অমিতা মালিক
অমিতা মালিক (১৯২১—২০ ফেব্রুয়ারি ২০০৯) ছিলেন একজন ভারতীয় বাঙালি মিডিয়া সমালোচক। টাইম ম্যাগাজিন তাঁকে ভারতের "সর্বাধিক বিশিষ্ট চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন সমালোচক" হিসাবে বর্ণনা করেছিল[১] এবং "ভারতীয় মিডিয়াতে প্রথম নারী" ও "ভারতীয় চলচ্চিত্রের শ্রেষ্ঠ ভাষ্যকার" বলে অভিহিত করেছিল।[২]
অমিতা মালিক | |
---|---|
জন্ম | ১৯২১ |
মৃত্যু | ২০ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ নতুন দিল্লি, ভারত | (৮৭ বছর)
জাতীয়তা | ভারতীয় |
পেশা | চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন সমালোচক |
পুরস্কার |
|
১৯৯৪ সালে তিনি লখনউতে অল ইন্ডিয়া রেডিওতে নিজের কর্মজীবন শুরু করেছিলেন এবং পরে দ্য স্টেটসম্যান, দ্য টাইমস অফ ইন্ডিয়া, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস এবং পাইওনিয়ার সহ অনেক মুদ্রণ প্রকাশনার জন্য লেখালেখি করেছিলেন।[৩] ২০০৯ সালের ২০ ফেব্রুয়ারতে তিনি দক্ষিণ দিল্লির নিকটবর্তী কৈলাশ হাসপাতালে ৮৭ বছর বয়সে লিউকেমিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন।[৪]
শৈশব
সম্পাদনাঅমিতা মালিক ব্রিটিশ ভারতের আসামের গুয়াহাটিতে একটি বাঙালি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। ২১ দিন বয়সী অমিতার একটি গাড়িতে যাত্রার সময় অন্য একটি গাড়ির সাথে ধাক্কা লেগেছিল, সেই গাড়িতে মহাত্মা গান্ধী বসে ছিলেন। এই ঘটনায় গান্ধীজি খুব উদ্বিগ্ন ছিলেন যে শিশুটি আঘাত পেল কিনা।[৫]
তাঁর জীবনের প্রথম দেখা চলচ্চিত্র ছিল চার্লি চ্যাপলিনের দ্য গোল্ড রাশ, এটি লরেটো কনভেন্ট শিলংয়ের প্রব্রাজিকাদের দ্বারা প্রদর্শিত হয়েছিল।[৬]
কর্মজীবন
সম্পাদনা"শনিবার দুপুরের খাবারের সময় ইউরোপীয় সঙ্গীতের সাপ্তাহিক অনুষ্ঠান উপস্থাপন" করতে তিনি মাসে লক্ষ টাকা বেতনে লখনউয়ের অল ইন্ডিয়া রেডিওতে যোগ দিয়েছিলেন।[৭] ১৯৪৪ সালে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে অল ইন্ডিয়া রেডিওর অনুষ্ঠান সহকারী পদের জন্য আবেদন করেছিলেন এবং তাঁকে দিল্লি স্টেশনে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল।[৮] তিনিই একমাত্র ভারতীয় চলচ্চিত্র সমালোচক যিনি ইংমার বারিমান এবং মার্লোন ব্রান্ডোর মতো গুরুত্বপূর্ণ চলচ্চিত্র তারকা ও পরিচালকদের সাক্ষাৎকার নিতে পেরেছিলেন।[৯]
তাসখন্দে লাল বাহাদুর শাস্ত্রীর মৃত্যুর পরে অপ্রত্যাশিতভাবে ইন্দিরা গান্ধী যখন ভারতের প্রধানমন্ত্রী হন তখন অমিতা মালিক ছিলেন তাঁর সাক্ষাৎকার গ্রহণকারী প্রথম সাংবাদিক।[১০]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "Worldwide Wave – Why is the Entire Planet Baywatching? Why Not? It's Sexy, Wholesome Fun. Yes, Really"। Time। ২৫ সেপ্টেম্বর ১৯৯৫। ১৭ আগস্ট ২০০০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ জুলাই ২০১৭।
- ↑ New Straits Times, Singapore, 16 May 1991
- ↑ "Amita Malik, RIP"। news.outlookindia.com। ৬ অক্টোবর ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ অক্টোবর ২০১২।
- ↑ [১] ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ তারিখে
- ↑ pg.3/4 "Amita No Holds Barred" আইএসবিএন ৮১-৭২২৩-৩৫১-৫
- ↑ pg. 13 "Amita No Holds Barred" আইএসবিএন ৮১-৭২২৩-৩৫১-৫
- ↑ pg. 63 "Amita No Holds Barred" আইএসবিএন ৮১-৭২২৩-৩৫১-৫
- ↑ pg. 77 "Amita No Holds Barred" আইএসবিএন ৮১-৭২২৩-৩৫১-৫
- ↑ "Lonely death for a trailblazer – Analysis – DNA"। Dnaindia.com। ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০০৯। সংগ্রহের তারিখ ২৬ অক্টোবর ২০১২।
- ↑ "Amita no holds barred" – pages 180/181