অভিনন্দননাথ
অভিনন্দননাথ বা অভিনন্দন স্বামী ছিলেন বর্তমান অবসর্পিণী যুগের চতুর্থ তীর্থঙ্কর। কথিত আছে, তিনি ৫০ লক্ষ "পূর্ব", অর্থাৎ ৩৫২.৮০ কুইন্টিলিয়ন বছর জীবিত ছিলেন। অযোধ্যায় ইক্ষ্বাকু বংশীয় রাজা সম্বর ও রাণী সিদ্ধার্থা ছিলেন অভিনন্দননাথের পিতামাতা। ভারতীয় পঞ্জিকা অনুসারে, মাঘ মাসের শুক্লা দ্বিতীয়া তিথিতে তাঁর জন্ম। জৈনদের বিশ্বাস, তিনি আত্মার সকল কর্ম ধ্বংস করে "সিদ্ধ" বা মুক্ত আত্মায় পরিণত হয়েছিলেন।
অভিনন্দননাথ | |
---|---|
৪র্থ জৈন তীর্থঙ্কর | |
অন্যান্য নাম | অভিনন্দন স্বামী |
আরাধ্য | জৈনধর্ম |
পূর্বসূরি | সম্ভবনাথ |
উত্তরসূরি | সুমতিনাথ |
প্রতীক | বাঁদর |
উচ্চতা | ৩৫০ ধনুষ (১,০৫০ মিটার) |
বয়স | ৫,০০০,০০০ পূর্ব (৩৫২.৮০ কুইন্টিলিয়ন বছর) |
রঙ | সোনালি |
ব্যক্তিগত তথ্য | |
জন্ম | |
মৃত্যু | |
মাতাপিতা |
|
জীবন
সম্পাদনাঅভিনন্দননাথ বা অভিনন্দন স্বামী ছিলেন বর্তমান অবসর্পিণী যুগের চতুর্থ তীর্থঙ্কর।[১] কথিত আছে, তিনি ৫০ লক্ষ "পূর্ব", অর্থাৎ ৩৫২.৮০ কুইন্টিলিয়ন বছর জীবিত ছিলেন।[২] অযোধ্যায় ইক্ষ্বাকু বংশীয় রাজা সম্বর ও রাণী সিদ্ধার্থা ছিলেন অভিনন্দননাথের পিতামাতা।[৩] ভারতীয় পঞ্জিকা অনুসারে, মাঘ মাসের শুক্লা দ্বিতীয়া তিথিতে তাঁর জন্ম।[১] প্রিয়াঙ্গু বৃক্ষের তলায় বসে তিনি "কেবল জ্ঞান" অর্জন করেন।[৪] জৈনদের বিশ্বাস, তিনি আত্মার সকল কর্ম ধ্বংস করে "সিদ্ধ" বা মুক্ত আত্মায় পরিণত হয়েছিলেন। তাঁদের আরও বিশ্বাস, অভিনন্দননাথের উচ্চতা ছিল ৩৫০ "ধনুষ" (১,০৫০ মিটার)।[৫]
স্তুতি
সম্পাদনাজৈন সন্ন্যাসী সামন্তভদ্র তাঁর স্বয়ম্ভুস্তোত্র নামক স্তোত্রে চব্বিশ জন তীর্থঙ্করের গুণকীর্তন করেন। এই স্তোত্রের পাঁচটি শ্লোকে অভিনন্দননাথের গুণাবলি কীর্তিত হয়েছে।[৬] তার মধ্যে একটি শ্লোকের বঙ্গানুবাদ নিম্নরূপ:
“ | খিদের কষ্টের হাত থেকে রেহাই পেয়ে ক্রমাগত দেহে অন্নসংস্থান বা ক্ষণিক ইন্দ্রিয়সুখ চরিতার্থকরণে দেহ ও আত্মা উভয়েরই নিরাপত্তা ক্ষুণ্ণ হয়। এই ধরনের কর্ম দেহ ও আত্মা কোনওটির উপকার করে না; হে প্রভু অভিনন্দননাথ, এইভাবেই আপনি বাস্তবতার সত্য প্রকৃতি উদ্ঘাটিত করেছিলেন।[৭] | ” |
উল্লুক প্রতীক, পিয়াল বৃক্ষ, যক্ষেশ্বর ও নায়ক যক্ষ এবং বজ্রশৃঙ্কলা ও কালিকা যক্ষী অভিনন্দননাথের সঙ্গে যুক্ত।[৮]
-
অভিনন্দননাথ মন্দির, মধুবন
-
অভিনন্দননাথ তঙ্ক, শিখরজি
-
অভিনন্দননাথ তঙ্কে পদচিহ্ন, শিখরজি
See also
সম্পাদনাপাদটীকা
সম্পাদনা- ↑ ক খ Tukol 1980, পৃ. 31।
- ↑ Vijay K. Jain 2015, পৃ. 185।
- ↑ Vijay K. Jain 2015, পৃ. 184।
- ↑ Krishna ও Amirthalingam 2014, পৃ. 46।
- ↑ Vijay K. Jain 2015, পৃ. 184-185।
- ↑ Vijay K. Jain 2015, পৃ. 22-24।
- ↑ Vijay K. Jain 2015, পৃ. 24।
- ↑ Tandon 2002, পৃ. 44।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- Johnson, Helen M. (১৯৩১), Abhinandanacaritra (Book 3.2 of the Trishashti Shalaka Purusha Caritra), Baroda Oriental Institute
- Jain, Vijay K. (২০১৫), Acarya Samantabhadra's Svayambhustotra: Adoration of The Twenty-four Tirthankara, Vikalp Printers, আইএসবিএন 978-81-903639-7-6, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা,
এই উৎস থেকে এই নিবন্ধে লেখা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যা পাবলিক ডোমেইনে রয়েছে।
- Krishna, Nanditha; Amirthalingam, M. (২০১৪) [2013], Sacred Plants of India, Penguin Books, আইএসবিএন 978-9-351-18691-5
- Tandon, Om Prakash (২০০২) [1968], Jaina Shrines in India (1 সংস্করণ), New Delhi: Publications Division, Ministry of Information and Broadcasting, Government of India, আইএসবিএন 81-230-1013-3
- Tukol, T. K. (১৯৮০), Compendium of Jainism, Dharwad: University of Karnataka