অনুপম হায়াৎ
মতিউর রহমান ভূঁইয়া (জন্ম: ১ জুন ১৯৫০)[১] যিনি অনুপম হায়াৎ নামে সমধিক পরিচিত, একজন বাংলাদেশী লেখক এবং চলচ্চিত্র সমালোচক। তিনি বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের প্রথম পাঠ্যপুস্তকের লেখক। তার লেখা ' চলচ্চিত্র বিদ্যা' বইটি বাংলাদেশ ফিল্ম স্টাডি সেন্টার ২০০৪ সালে প্রকাশ করে। চলচ্চিত্র শিল্পের উপর তার আরেকটি পাঠ্যপুস্তক ' চলচ্চিত্র কলা' ২০০৭ সালে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন প্রকাশ করে।
অনুপম হায়াৎ | |
---|---|
জন্ম | নারায়ণগঞ্জ, বাংলাদেশ | ১ জুন ১৯৫০
পেশা | লেখক, ও চলচ্চিত্র সমালোচক |
জাতীয়তা | বাংলাদেশী |
নাগরিকত্ব | বাংলাদেশ |
উল্লেখযোগ্য পুরস্কার | শিল্পকলা পদক (২০১৯) |
জন্ম ও প্রাথমিক জীবন
সম্পাদনাহায়াৎ ১৯৫০ সালের ১ জুন নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার উপজেলার ব্রহ্মপুত্র নদীর পূর্বতীরে গোপিন্দী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।[১]
শৈশবকাল
সম্পাদনাঅনুপম হায়াৎ ১৯৬০ এর দশকের শেষদিকে প্রয়াত চলচ্চিত্র পরিচালক আলমগীর কবিরের লেখা পড়ে চলচ্চিত্রের বিষয়ে লেখায় আগ্রহী হয়ে উঠেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগের শিক্ষার্থী থাকা অবস্থায় তিনি "গণযোগাযোগ ও মোসন গ্রাফিক্সে" কোর্স করেন। চলচ্চিত্রের বিভিন্ন পত্র-পত্রিকাতে অবদান রেখে তিনি তার লেখার দক্ষতা সমৃদ্ধ করেন।
বই
সম্পাদনাহায়াতের লেখা এবং বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন কর্তৃক ১৯৮৭ সালে প্রকাশিত[২] 'বাংলাদেশী চলচ্চিত্রের ইতিহাস (১৮৯৬-১৯৯৭)' বইটিতে চলচ্চিত্র, বিভিন্ন চলচ্চিত্র কর্মী এবং ঐতিহাসিক ঘটনাবলির ছবিসহ কালানুক্রমিক ইতিহাস রয়েছে। একাধারে তিনি একজন নজরুল গবেষক। নজরুলকে নিয়ে তিনি গবেষণা করছেন ১৯৭৪-৭৫ সাল থেকে। এ পর্যন্ত কাজী নজরুল ইসলামের উপর তার লেখা বইয়ের সংখ্যা ৯টি।[৩] তার অন্যান্য বই যেমন চলচ্চিত্র জগতে নজরুল ও নজরুলের নাটক : বিষয়, আঙ্গিক ও বৈচিত্র্য, জহির রায়হানের চলচ্চিত্র : পটভূমি, বিষয় ও বৈশিষ্ট্য, মুক্তিযুদ্ধের চলচ্চিত্র এবং অন্যান্য , রবীন্দ্রনাথ ও চলচ্চিত্র এবং জীবনীগ্রন্থ ফাতেহ লোহানী গত তিন দশক ধরে চলচ্চিত্র শিক্ষানবিশ এবং সমঝদারতের পরিপুষ্ট করে চলছে।
পুরস্কার
সম্পাদনা- চলচ্চিত্র সমালোচনায় তার অবদানের স্বীকৃতি হিসাবে, অনুপম হায়াতকে ২০১১ সালে ফজলুল হক স্মৃতি পুরস্কার প্রদান করা হয়.[৪]
- কাজী নজরুল ইসলামের সাহিত্য নিয়ে গবেষণা ও চর্চায় গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য নজরুল পুরস্কার (২০১২)।[৫]
- চলচ্চিত্রে বিশেষ অবদানের জন্য শিল্পকলা পদক (২০১৯)। [৬]
- 'বঙ্গবন্ধু ও চলচ্চিত্র’ বইয়ের জন্য সমরেশ বসু সাহিত্য পুরস্কার-২০২০[৭]
কর্মকাণ্ড
সম্পাদনা১৯৯৪ সালে ফিল্ম স্টাডি সেন্টার প্রতিষ্ঠায় হায়াতের প্রশংসনীয় অবদান রয়েছে এবং ২০০৪ সালে তিনি স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ এর ফিল্ম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডি বিভাগের শিক্ষক হিসাবে যোগদান করেছিলেন। অনুপম হায়াৎ বলেন, বাংলাদেশে চলচ্চিত্র অধ্যয়নে পাঠ্যপুস্তকের ঘাটতি খুঁজে পেয়ে তিনি চলচ্চিত্র গবেষণায় পাঠ্যপুস্তক লেখার উদ্যোগ নিয়েছিলেন।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ শুভ জন্মদিন অনুপম হায়াৎ, জাগো নিউজ টুয়েন্টি ফোর ডটকম, ১জুন ২০১৭
- ↑ "মুখোমুখি অনুপম হায়াৎ, বাংলা ট্রিবিউট, ২ আগস্ট ২০১৭"। ২১ নভেম্বর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ অক্টোবর ২০২০।
- ↑ “বিদ্রোহী কবি’র সাথে আমার পরিচয় শৈশব থেকে”, চ্যানেল আই অনলাইন ডটকম, ২৫ মে ২০১৭
- ↑ "Fazlul Haque Memorial Award"। দ্য ডেইলি স্টার। ২৪ অক্টোবর ২০১১।
- ↑ "Nazrul Institute's Homage to the National Poet"। দ্য ডেইলি স্টার। ২৯ আগস্ট ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৬-১৩।
- ↑ শিল্পকলা পদক পাচ্ছেন ১৮ গুণীজন, আমাদের সময়, ১৩ জুন ২০২১
- ↑ সমরেশ বসু সাহিত্য পুরস্কার পেলেন ২১ জন, সমকাল, ৭ মার্চ ২০২০[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- Harun ur Rashid (১২ এপ্রিল ২০০৪)। "Chalachitravidhya: New book on film study by Anupam Hayat"। দ্য ডেইলি স্টার। ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯।
- Kamol, Ershad (৯ মার্চ ২০০৬)। "50 years of Bangladeshi Cinema: An overview"। দ্য ডেইলি স্টার। ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯।
- রকমারি ডট কমে অনুপম হায়াতের বই সমূহ