জুলফিকার আলী ভুট্টো
জুলফিকার আলী ভুট্টো (৫ জানুয়ারি ১৯২৮[১][২]-৪ এপ্রিল ১৯৭৯) পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী। ১৯৫৮ সালে তিনি মন্ত্রিসভায় যোগ দেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পান ১৯৬৩ সালে। আইয়ুব খানের মন্ত্রিসভা ত্যাগ করে ১৯৬৭ সালে নিজে আলাদা দল গঠন করেন যার নাম দেয়া হয় পাকিস্তান পিপলস্ পার্টি (পিপিপি)।[৩] ১৯৭০ সালে পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনে তার দল পশ্চিম পাকিস্তানে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। কিন্তু পূর্ব পাকিস্তানের আওয়ামী লীগ সার্বিক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করা সত্ত্বেও তাদের উপর ক্ষমতা অর্পণে ভুট্টো আপত্তি তুলেন। ১৯৭১ সালের বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে পাকিস্তানের পরাজয়ের পর ভুট্টো ইয়াহিয়া খানের স্থলে পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি হন।[৪] ১৯৭৩ সালে দেশের সংবিধান পরিবর্তনের মাধ্যমে তিনি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর পদ গ্রহণ করেন। ১৯৭৭ সালে পুনরায় প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। কিন্তু অল্পদিনের মধ্যেই জেনারেল জিয়াউল হক দ্বারা সংঘটিত এক সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যূত হন। এক ব্যক্তিকে হত্যার ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার অভিযোগে ১৯৭৯ সালে সামরিক আদালত তাকে মৃত্যুদন্ডে দন্ডিত করে।[৫]
কায়েদে আওয়াম জুলফিকার আলী ভুট্টো | |
---|---|
ذوالفقار علی بھٹو | |
৯ম পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী | |
কাজের মেয়াদ ১৪ আগস্ট ১৯৭৩ – ৫ জুলাই ১৯৭৭ | |
রাষ্ট্রপতি | ফজল ইলাহী চৌধুরী |
পূর্বসূরী | নুরুল আমিন |
উত্তরসূরী | মুহাম্মদ খান জুনেজো |
৪র্থ পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি | |
কাজের মেয়াদ ২০ ডিসেম্বর ১৯৭১ – ১৩ আগস্ট ১৯৭৩ | |
উপরাষ্ট্রপতি | নুরুল আমিন |
পূর্বসূরী | ইয়াহিয়া খান |
উত্তরসূরী | ফজল ইলাহী চৌধুরী |
পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের স্পিকার | |
কাজের মেয়াদ ১৪ এপ্রিল ১৯৭২ – ১৫ আগস্ট ১৯৭২ | |
পূর্বসূরী | আব্দুল জব্বার খান |
উত্তরসূরী | ফজল ইলাহী চৌধুরী |
পররাষ্ট্রমন্ত্রী | |
কাজের মেয়াদ ১৫ জুন ১৯৬৩ – ৩১ আগস্ট ১৯৬৬ | |
রাষ্ট্রপতি | আইয়ুব খান |
পূর্বসূরী | মোহাম্মদ আলী বগড়া |
উত্তরসূরী | শরিফুদ্দিন পিরজাদা |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | লারকানা, সিন্ধু, ব্রিটিশ ভারত (এখন পাকিস্তান) | ৫ জানুয়ারি ১৯২৮
মৃত্যু | ৪ এপ্রিল ১৯৭৯ রাওয়ালপিন্ডি, পাকিস্তান | (বয়স ৫১)
সমাধিস্থল | ভুট্টো পরিবারের মাজার |
নাগরিকত্ব | পাকিস্তানি (১৯৪৭-১৯৭৯) |
জাতীয়তা | পাকিস্তানি (১৯৪৭-১৯৭৯) |
রাজনৈতিক দল | পাকিস্তান পিপলস পার্টি |
দাম্পত্য সঙ্গী | শিরিন আমির বেগম (প্রথম স্ত্রী), নুসরাত ইস্পাহানি (দ্বিতীয় স্ত্রী), হুসনা শেখ (তৃতীয় স্ত্রী), শেখ ফাতিমা (হুসনা শেখের ছোট বোন,বিবাহবহির্ভূত), আকলিম (বিবাহবহির্ভূত), আকলিমের জা (বিবাহবহির্ভূত) |
সম্পর্ক | ভুট্টো পরিবার মা: লক্ষ্মী বাই (খুরশিদা বেগম-ধর্মান্তরিত), বাবা: শাহনওয়াজ খান |
সন্তান | বেনজির ভুট্টো মুর্তজা ভুট্টো সনম ভুট্টো শাহনওয়াজ ভুট্টো |
প্রাক্তন শিক্ষার্থী | University of California, Berkeley Christ Church, Oxford Inns of Court School of Law |
জীবিকা | Lawyer Politician |
ধর্ম | শিয়া ইসলাম |
তিনি পাকিস্তান পিপলস পার্টির প্রধান ছিলেন। তার মেয়ে বেনজির ভুট্টো পরে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হন।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "Bhutto, Zulfikar Ali"। সংগ্রহের তারিখ ৭ নভেম্বর ২০০৬।
- ↑ "Bhutto Family"। www.globalsecurity.org। সংগ্রহের তারিখ ৯ সেপ্টেম্বর ২০২০।
- ↑ Pakistan Peoples Party (২০১১)। "Pakistan Peoples Party (PPP)"। PPP। PPP medial Cell। ২৮ অক্টোবর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ এপ্রিল ২০০১।
- ↑ "Zulfikar Ali Bhutto | Biography, Death, & Facts | Britannica"। www.britannica.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০১-১১।
- ↑ Khan, Waqar A. (২০২১-০৭-১২)। "The Incorrigible Zulfikar Ali Bhutto"। দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০১-১১।
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনাএই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |