ওয়েব ২.০
ওয়েব ২.০ (ইংরেজি ভাষায়: Web 2.0) বলতে ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবের একটি নতুন ধারাকে বোঝায়। এই নতুন ধারাটি বেশ কয়েক বছর থেকে প্রসার লাভ করেছে। এই ধারার মূল লক্ষ্য ওয়েবের সৃজনশীলতা, পারস্পরিক যোগাযোগ, নিরাপদ তথ্য আদান-প্রদান, সহযোগিতা এবং কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি। এই নতুন ধারা ওয়েবে বেশ কিছু নতুন সাংস্কৃতিক ও কারিগরি সম্প্রদায়ের জন্ম দিয়েছে। এর মধ্যে বিভিন্ন হোস্টিং সেবাও রয়েছে। এই নতুন সম্প্রদায় ও সেবাগুলির মধ্যে আছে সামাজিক নেটওয়ার্কিংভিত্তিক ওয়েবসাইট, ভিডিও অংশীদারী ওয়েবসাইট, উইকি, ব্লগ এবং ফোকসোনমি। ২০০৪ সালে ও'রাইলি মিডিয়ার ওয়েব ২.০ সম্মেলনের পর থেকেই এই নতুন ধারাটি সম্পর্কে সচেতনতার সৃষ্টি হয়।[১][২][৩][৪] ওয়েব ২.০ এর মাধ্যমে ওয়েবের একটি নতুন সংস্করণের কথা বলা হলেও এটা আসলে নতুন কোন সফ্টওয়্যার প্লাটফর্ম বা কারিগরি বিষয়ে নতুন কোন প্রজন্মকে নির্দেশ করে না। অর্থাৎ কারগরি দিক দিয়ে ওয়েব আর ওয়েব ২.০ এর মধ্যে কোনই পার্থক্য নেই। পার্থক্য আছে ব্যবহার এবং উপযোগিতায়। অর্থাৎ ইতোমধ্যে বিদ্যমান সফ্টওয়্যারগুলো কীভাবে এবং কী উদ্দেশ্য ব্যবহার করা হচ্ছে তার উপর ভিত্তি করেই ওয়েব ২.০ কে আলাদা করা হয়। এ সম্পর্কে বিল ও'রাইলি বলেন,
“ | Web 2.0 is the business revolution in the computer industry caused by the move to the Internet as a platform, and an attempt to understand the rules for success on that new platform. | ” |
কিন্তু ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবের জনক টিম বার্নার্স-লি ওয়েব ২.০ এর ধারণাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন। তিনি এ ধরনের পার্থক্যীকরণকে অমূলক বলেছেন। এ সম্পর্কে তার যুক্তি হলো, ওয়েব ২.০ শব্দটিকে যৌক্তিক উপায়ে ব্যবহার করা সম্ভব না। কারণ, ওয়েব ২.০-তে যে প্রযুক্তিগত উপাদানগুলি ব্যবহার করা হয় সেগুলো ওয়েবের প্রাথমিক দিনগুলো থেকেই ব্যবহৃত হয়ে আসছে ।
শুরুতে ওয়েব ২.০ এর অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য ছিল ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের সাথে ইন্টারঅ্যাক্ট করা এবং কন্টেন্ট তৈরিতে অবদান রাখা। উইকিপিডিয়া এবং ইউটিউবের মতো ওয়েবসাইটগুলি ব্যবহারকারীদের তাদের নিজস্ব কন্টেন্ট তৈরি এবং শেয়ার করার অনুমতি দেয়, অন্যদিকে ফেসবুক এবং টুইটারের মতো সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলি ব্যবহারকারীদের অনলাইনে অন্যদের সাথে সংযোগ করতে এবং জড়িত হতে সক্ষম করে।[৫][৬]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ Graham, Paul (নভেম্বর ২০০৫)। "Web 2.0"। সংগ্রহের তারিখ ২০০৬-০৮-০২।
I first heard the phrase 'Web 2.0' in the name of the Web 2.0 conference in 2004.
- ↑ O'Reilly, Tim (২০০৫-০৯-৩০)। "What Is Web 2.0"। O'Reilly Network। সংগ্রহের তারিখ ২০০৬-০৮-০৬।
- ↑ Strickland, Jonathan (২০০৭-১২-২৮)। "How Web 2.0 Works"। computer.howstuffworks.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-০২-২৮।
- ↑ DiNucci, Darcy (১৯৯৯)। "Fragmented Future" (পিডিএফ)। Print। 53 (4): 32।
- ↑ "Web 2.0"। Wikipedia (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২৩-০১-২৯।
- ↑ "Web2 vs Web3: A Deep-Dive into the Evolving Landscape of Internet"। The Post W3B। ২০২৩-০১-২৫। ২০২৩-০১-৩১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০১-৩১।
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- Web 2.0 Summit ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১২ মে ২০০৮ তারিখে
- Web 2.0 - A YouTube video made by Michael Wesch explaining Web 2.0 in just under 5 minutes.
- Deloitte & Touche LLP - Canada (2008 study) - Change your world or the world will change you: The future of collaborative government and Web 2.0 ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৬ সেপ্টেম্বর ২০০৮ তারিখে
- "Critical Perspectives on Web 2.0", Special issue of First Monday, 13(3), 2008.
- MacManus, Richard. Porter, Joshua. "Web 2.0 for Designers". Digital Web Magazine, May 4, 2005.
- Graham Vickery, Sacha Wunsch-Vincent: "Participative Web and User-Created Content: Web 2.0, Wikis and Social Networking"; OECD, 2007