দক্ষিণ আফ্রিকা জাতীয় ক্রিকেট দল

জাতীয় ক্রীড়া দল
(South Africa cricket team থেকে পুনর্নির্দেশিত)

দক্ষিণ আফ্রিকার জাতীয় ক্রিকেট দল (আফ্রিকান্স: Suid-Afrikaanse nasionale krieketspan, ইংরেজি: South Africa national cricket team) বহিঃবিশ্বে প্রোটিয়াস নামেও খ্যাত। দক্ষিণ আফ্রিকার প্রধান ক্রিকেট পরিচালনাকারী সংস্থা ক্রিকেট সাউথ আফ্রিকার মাধ্যমে দক্ষিণ আফ্রিকা বা সাউথ আফ্রিকা দলটি পরিচালিত হচ্ছে।

দক্ষিণ আফ্রিকা
ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকার প্রতীক
ডাকনামপ্রোটিয়া
সংঘক্রিকেট সাউথ আফ্রিকা
কর্মীবৃন্দ
টেস্ট অধিনায়কতেম্বা বাভুমা
ওডিআই অধিনায়কতেম্বা বাভুমা
টি২০আই অধিনায়কএইডেন মার্করাম
কোচশুকরি কনরাড (টেস্ট)
রব ওয়াল্টার (সীমিত ওভার)
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল
আইসিসি মর্যাদাপূর্ণ সদস্য (১৯০৯)
আইসিসি অঞ্চলআফ্রিকা
আইসিসি র‍্যাংকিং বর্তমান[] সেরা
টেস্ট ৫ম ১ম (১ জানুয়ারি ১৯৬৯)
ওডিআই ৫ম ১ম (১ মে ১৯৯৬)
টি২০আই ৫ম ১ম (৮ আগস্ট ২০১২)
টেস্ট
প্রথম টেস্ট ইংল্যান্ড সেন্ট জর্জেস পার্ক, পোর্ট এলিজাবেথ; ১২–১৩ মার্চ ১৮৮৯
সর্বশেষ টেস্ট ভারত নিউল্যান্ডস ক্রিকেট গ্রাউন্ড, কেপ টাউন; ৩–৭ জানুয়ারি ২০২৪
টেস্ট ম্যাচ জয়/পরাজয়
মোট[] ৪৪৯ ১৭১/১৫৪ (১২৪ ড্র)
বর্তমান বছর[] ২/১ (০ ড্র)
বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ উপস্থিতি১ (২০১৯–২০২১ সালে সর্বপ্রথম)
সেরা ফলাফল৫ম স্থান (২০১৯–২০২১)
একদিনের আন্তর্জাতিক
প্রথম ওডিআই ভারত ইডেন গার্ডেন্স, কলকাতা; ১০ নভেম্বর ১৯৯১
সর্বশেষ ওডিআই ভারত বোল্যান্ড পার্ক, পার্ল; ২১ ডিসেম্বর ২০২৩
ওডিআই ম্যাচ জয়/পরাজয়
মোট[] ৬৩৮ ৩৯১/২২১ (৬ টাই, ২০ ফলাফল হয়নি)
বর্তমান বছর[] ৩/০ (০ টাই, ০ ফলাফল হয়নি)
বিশ্বকাপ উপস্থিতি৮ (১৯৯২ সালে সর্বপ্রথম)
সেরা ফলাফলসেমিফাইনাল (১৯৯২, ১৯৯৯, ২০০৭, ২০১৫)
টোয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিক
প্রথম টি২০আই নিউজিল্যান্ড ওয়ান্ডারার্স স্টেডিয়াম, জোহানেসবার্গ; ২১ অক্টোবর ২০০৫
সর্বশেষ টি২০আই ভারত ওয়ান্ডারার্স স্টেডিয়াম, জোহানেসবার্গ; ১৪ ডিসেম্বর ২০২৩
টি২০আই ম্যাচ জয়/পরাজয়
মোট[] ১৪৭ ৮৫/৬০ (১ টাই, ১ ফলাফল হয়নি)
বর্তমান বছর[] ০/০ (০ টাই, ০ ফলাফল হয়নি)
টি২০ বিশ্বকাপ উপস্থিতি৬ (২০০৭ সালে সর্বপ্রথম)
সেরা ফলাফলসেমিফাইনাল (২০০৯, ২০১৪)
দাপ্তরিক ওয়েবসাইটhttps://cricket.co.za/

টেস্ট কিট

ওডিআই কিট

টি২০আই কিট

২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২ অনুযায়ী

দক্ষিণ আফ্রিকা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল বা আইসিসির পূর্ণ সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে টেস্ট ক্রিকেট, একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটটুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলায় অংশগ্রহণের অধিকারী। গত শতকের মধ্য নব্বুইয়ের দশক থেকে অদ্যাবধি প্রোটিয়াসরা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে চোকার্স নামে খ্যাত। কেননা, তারা ক্রিকেট বিশ্বকাপে তারা খুব শক্তিশালী দল হয়েও এ পর্যন্ত চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি।[][]

১৩ নভেম্বর, ২০১৩ তারিখ পর্যন্ত আফ্রিকান দলটি ৩৭৯টি টেস্টে অংশগ্রহণ করে। তন্মধ্যে জয় পায় ১৩৮টি (৩৬.৪১%), পরাজয় ১২৭টি (৩৩.৫১%) এবং ড্র করে ১১৪টি (৩০.০৮%)।[১০]

১৩ নভেম্বর, ২০১৩ তারিখ পর্যন্ত ৪৯৮টি একদিনের আন্তর্জাতিকে ক্রিকেট খেলায় অংশগ্রহণ করে জয় পায় ৩০৭টি (৬১.৬৫%), পরাজয় ১৭২টি (৩৪.৫৪%), ড্র করে ৬টি (১.২০%) এবং ফলাফল হয়টি ১৩টি (২.৬১%)।[১১]

২৮ আগস্ট, ২০১২ তারিখে দক্ষিণ আফ্রিকা দলটি প্রথম দল হিসেবে তিন ধরনের ক্রিকেটেই বিশ্বের ১নং দলের মর্যাদা লাভ করেছিল।[১২]

ইতিহাস

সম্পাদনা
 
আগস্ট, ২০০৮ সালে ওভালে দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দল

১৯৭০ সালে আইসিসি দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে স্থগিতাদেশ প্রদান করে ঐ দেশের সরকারের বর্ণবাদ নীতির কারণে। দলটি শুধুমাত্র শ্বেতাঙ্গ রাষ্ট্র হিসেবে ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধেই খেলবে - দক্ষিণ আফ্রিকান সরকারের এ ঘোষণার বিরুদ্ধে আইসিসি এ সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়। ফলে, গ্রেইম পোলক, ব্যারি রিচার্ডস‌, মাইক প্রোক্টরের মতো প্রতিভাবান খেলোয়াড়রা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলা থেকে বঞ্চিত হন। এছাড়াও, অ্যালান ল্যাম্ব, রবিন স্মিথের ন্যায় উদীয়মান ক্রিকেটাররাও অভিবাসিত হয়ে ইংল্যান্ড এবং কেপলার ওয়েসেলসঅস্ট্রেলিয়ার পক্ষে খেলেন। পরবর্তীতে অবশ্য কেপলার ওয়েসেলস পুনরায় দক্ষিণ আফ্রিকা দলের পক্ষ হয়ে খেলেছেন।

দক্ষিণ আফ্রিকার সরকার কর্তৃক দেশ পুণর্গঠনের প্রেক্ষাপটে ১৯৯১ সালে আইসিসি দলটির বিরুদ্ধে স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে। ১৯৭০ সালের পর ১মবারের মতো ১০ নভেম্বর, ১৯৯১ সালে ভারতীয় ক্রিকেট দলের বিরুদ্ধে কলকাতায় একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলে দলটি।

দক্ষিণ আফ্রিকা দলকে পুনরায় সদস্য পদ বহাল রাখার পরপরই তারা মিশ্র সফলতা অর্জন করে। ২০০৩ সালে ক্রিকেট বিশ্বকাপের আয়োজক দেশ হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকাকে নির্বাচিত করে আইসিসি। অধিকন্তু, বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত ও বিশ্বাসযোগ্য যে - অ্যালান ডোনাল্ড, শন পোলক, গ্যারি কার্স্টেন এবং হান্সি ক্রোনিয়ের মতো স্বীকৃত খেলোয়াড় থাকা সত্ত্বেও চোকার্স হিসেবে দলটি আখ্যায়িত হয়। বিশ্বকাপে তিন বার দলটি সেমি-ফাইনালে খেললেও ফাইনালে যেতে ব্যর্থ হয়। বিশেষতঃ ১৯৯৯ সালে সুপার সিক্স পর্যায়ে হার্সেল গিবস কর্তৃক অস্ট্রেলীয় অধিনায়ক স্টিভ ওয়াহর ক্যাচ ফেলে দেয়াটা ছিল স্মরণীয় ঘটনা।

১৯৯০-এর দশকের দ্বিতীয়ার্ধে যে-কোন দলের বিপক্ষে জয়ের দিক দিয়ে একদিনের ক্রিকেটে সর্বোচ্চ গড়ের অধিকারী ছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। তাসত্ত্বেও দলটি ১৯৯৬ সালে কোয়ার্টার ফাইনাল পর্ব পেরোতে ব্যর্থ হয়। ২০০৩ সালে শিরোপা প্রত্যাশী দলের একটি হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দলটি ১ রানের জয়ের ভুল বুঝাবুঝিতে গ্রুপ পর্যায় উৎরাতে পারেনি।

এছাড়াও তারা অন্যান্য বিশ্ব প্রতিযোগিতা হিসেবে ২০০২ সালের আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি এবং ২০০৭ সালের আইসিসি বিশ্ব টুয়েন্টি২০ প্রতিযোগিতায় জয়ী হতে পারেনি।[১৩]

অ্যালান ডোনাল্ডের অবসর, হ্যান্সি ক্রোনিয়ের পাতানো খেলার পর বিমান দূর্ঘটনায় অকালমৃত্যু এবং শন পোলকের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর গ্রহণের প্রেক্ষাপটে দলটি আরো একবার পরিবর্তনের ধাক্কায় পড়ে। অধিনায়ক হিসেবে গ্রেইম স্মিথ নিজ দায়িত্ব পালন করেন এবং তাকে যোগ্য সঙ্গ দিচ্ছেন জ্যাক ক্যালিস, অ্যাশওয়েল প্রিন্স প্রমূখ। ১২ জুলাই, ২০০৬ তারিখে ২৯ বছর বয়সী অ্যাশওয়েল প্রিন্স প্রথম অ-শ্বেতাঙ্গ ব্যক্তি হিসেবে একদা শ্বেতাঙ্গ দল হিসেবে খ্যাত দক্ষিণ আফ্রিকার নেতৃত্ব দিচ্ছেন। বর্ণ কোটার প্রেক্ষাপটে তাকে দলে কৃষ্ণাঙ্গ খেলোয়াড় হিসেবে নেয়া হয়। কিন্তু ২০০৭ সাল থেকে এ নীতিটির পরিবর্তন হয়েছে।[১৪]

কীর্তিগাঁথা

সম্পাদনা

টেস্ট ক্রিকেটে

সম্পাদনা
  • ১৯৩৫ সালে ডেভ নোর্স জোহানেসবার্গে অস্ট্রেলিয়া দলের বিরুদ্ধে টেস্টে ২৩১ রান করে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রান করেন।[১৫]
  • ১৯৪৭ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দল ইংল্যান্ড সফর করে। নটিংহ্যামে অনুষ্ঠিত টেস্টে অধিনায়ক অ্যালেন মেলভিলে ও সহ-অধিনায়ক ডেভ নোর্স ৩য় উইকেটে ৩১৯ রান করে বিশ্বরেকর্ড গড়েন। পরের বছর ৩৮ বছর বয়সী নোর্স অধিনায়ক হয়ে এমসিসি'র টেস্ট ম্যাচ খেলেন।[১৫]

একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে

সম্পাদনা
  • দক্ষিণ আফ্রিকা দলটি পরবর্তীতে ব্যাটিং করে প্রতিপক্ষের রান টপকিয়ে একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বিশ্বরেকর্ড গড়ে। ২০০৬ সালে ৫ম খেলায় তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক খেলায় সফরকারী অস্ট্রেলিয়ার রানকে অতিক্রম করে ৪৯.৫ ওভারে ৪৩৮/৯ এবং ১ উইকেটে জয়ী হয়। এর মাধ্যমেই একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ইতিহাসে অনেকগুলো সেরা খেলার একটি হিসেবে বিবেচিত এ খেলাটি।
  • ২০১১ সালে অনুষ্ঠিত আইসিসি বিশ্বকাপ ক্রিকেটে মোহালিতে অনুষ্ঠিত খেলায় ২৩১ রানের বিরাট ব্যবধানে নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে জয়ী হয় দক্ষিণ আফ্রিকা। এ জয়ের মাধ্যমে বিশ্বকাপে যে-কোন দলের বিপক্ষে ৪র্থ বড় বিজয় এবং দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে সবচেয়ে বড় বিজয়। এছাড়াও ৩ মার্চ, ২০১১ইং তারিখের এ খেলায় দক্ষিণ আফ্রিকার জয়টি তাদের একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ২য় বড় বিজয়।
  • ৮৭ রান করে জেপি ডুমিনি-কলিন ইনগ্রাম জুটি দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে বিশ্বকাপে ৬ষ্ঠ উইকেটে তাদের সর্বোচ্চ রান করে। অথচ, ১৯৯৭ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হান্সি ক্রোনিয়ে-শন পোলকের গড়া ১৩৭ রানের জুটিই তাদের ৬ষ্ঠ উইকেটে সেরা। বিশ্বকাপে ৭মবারের মতো একশত বা তারও বেশি রানে জয়ী হয় দলটি।

টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ

সম্পাদনা

দীর্ঘদিন ধরে দক্ষিণ আফ্রিকার পরাজিত হবার রেকর্ড রয়েছে বড় কোন টুর্নামেন্ট জয়ের। যেমন : ১৯৯২ সালের বিশ্বকাপ ক্রিকেটে বৃষ্টিবিঘ্নিত সেমি-ফাইনালে ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতিতে তারা হারে। ১৩ বলে ২২ রানের প্রয়োজন হলেও এ পদ্ধতির কারণে বৃষ্টি শেষ হলে জয়ের জন্য তাদের লক্ষ্যমাত্রা দাঁড়ায় ১ বলে ২২ রান।

১৯৯৬ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা গ্রুপে ১ম হয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছে। ১৯৯৯ সালের বিশ্বকাপে সুপার সিক্স ম্যাচের শেষ খেলায় অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে হেরে বিদায় নেয় দলটি।

২০০৩ সালের বিশ্বকাপ ক্রিকেটে স্বাগতিক দেশ হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকা বৃষ্টিবিঘ্নিত খেলায় জয়লাভের জন্য কত রান করতে হবে তা জানতে ব্যর্থ হওয়ায় গ্রুপ পর্যায় থেকেই বিদায় নেয় দলটি। এরফলে অধিনায়ক হিসেবে শন পোলক অধিনায়কত্ব থেকে অব্যহতি নেন ও গ্রেইম স্মিথের অধিনায়কত্বে খেলা চালিয়ে যান। স্মিথের নেতৃত্বে দক্ষিণ আফ্রিকা কিছু কিছু ক্ষেত্রে সফলকাম হয়। কিন্তু, কয়েক মাসের মধ্যেই অনেক তারকাখচিত খেলোয়াড়ের অবসরজনিত কারণে বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তন্মধ্যে- ফাস্ট বোলার অ্যালান ডোনাল্ড, একদিনের ক্রিকেটে অভিজ্ঞ জন্টি রোডস অন্যতম। ফলশ্রুতিতে ২০০৪ সালে একমাত্র ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দলের বিরুদ্ধেই কেবল জয় পায় দক্ষিণ আফ্রিকা।

২০০৭ সালের বিশ্বকাপের সেমি-ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে মাত্র ১৪৯ রানে অল-আউট হয় যা বিশ্বকাপে তাদের সর্বনিম্ন রান হিসেবে রেকর্ডের খাতায় নাম লেখায় দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দল। ফলে, অস্ট্রেলিয়া খুব সহজেই ৭ উইকেটে জয়ী হয়। দলটি সেরা দলগুলোর একটি হলেও এখনো বিশ্বকাপ ক্রিকেট জয় করতে পারেনি।

২০১১ সালে বাংলাদেশ, ভারত ও শ্রীলঙ্কায় যৌথভাবে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপ ক্রিকেটের ১০ম আসরে বি গ্রুপে প্রতিটি দলকেই তারা অল-আউট করে। কিন্তু কোয়ার্টার ফাইনালে নাটকীয়ভাবে ব্যাটিংয়ে ধ্বস নামে এবং ৬৮ রান নিতেই তারা ৮ উইকেট হারিয়ে ফেলে। ফলে, নিউজিল্যান্ড দল জয়ী হয়। এ পরাজয়ের মধ্য দিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা আবারো প্রমাণ করলো যে, নক-আউটভিত্তিক খেলায় তারা কখনো জিততে পারেনি এবং সর্বত্র চোকার্স নামেই তাদের অপবাদ হয়েছে।[১৬][১৭][১৮][১৯]

প্রতিযোগিতার ইতিহাস

সম্পাদনা

বিশ্বকাপ ক্রিকেট

সম্পাদনা

১৯৭৫ সালের বিশ্বকাপ ক্রিকেট শুরু হয় এবং আইসিসি সদস্যভূক্ত দেশ ছিল না বিধায় দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দল ১৯৮৭ সালের বিশ্বকাপ ক্রিকেট খেলা পর্যন্ত অংশগ্রহণের যোগ্যতা হারায়। পরবর্তীতে আইসিসি দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দলের উপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলে দলটি বিশ্বকাপ ক্রিকেটে ১ম অংশগ্রহণ করে ১৯৯২ সালে।

আইসিসি বিশ্ব টুয়েন্টি২০

সম্পাদনা

আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি

সম্পাদনা
  • ২০০২ সালের আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সেমি-ফাইনালে অংশগ্রহণ;
  • ২০০৪ সালের আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে প্রথম রাউন্ডে বিদায়;
  • ২০০৬ সালের আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সেমি-ফাইনালে অংশগ্রহণ;
  • ২০০৯ সালের আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে প্রথম রাউন্ডে বিদায়;
  • ২০১৩ সালের আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সেমি-ফাইনালে অংশগ্রহণ।

আইসিসি নক-আউট পর্ব

সম্পাদনা
  • ১৯৯৮ সালের আইসিসি নক-আউট ট্রফি বিজয়ী;
  • ২০০০ সালের আইসিসি নক-আউট ট্রফি'র সেমি-ফাইনালে অংশগ্রহণ।

কমনওয়েলথ গেমস

সম্পাদনা

১৯৯৮ সালের কমনওয়েলথ গেমসে দক্ষিণ আফ্রিকার জাতীয় ক্রিকেট দল স্বর্ণপদক লাভ করে।

খেলোয়াড়গণের তালিকা

সম্পাদনা

বিগত বছরগুলোতে যারা দক্ষিণ আফ্রিকা দলের হয়ে খেলেছেন, নিচের তালিকায় তাদের নাম ও কোন স্তরে তারা খেলেছেন তা উল্লেখ করা হলো। ২০১৪-১৫ মৌসুমে ক্রিকেট সাউথ আফ্রিকা টেস্ট, একদিনের আন্তর্জাতিক ও টুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিক দলে খেলার জন্য ১৭জন চুক্তিবদ্ধ খেলোয়াড়ের নাম ঘোষণা করে।[২০] চুক্তিতে উপনীত না হওয়া খেলোয়াড়েরাও দলে নির্বাচিত হতে পারেন। এ সকল খেলোয়াড়গণ যদি নিয়মিতভাবে দলে নির্বাচিত হন, তাহলে তারাও ক্রিকেট সাউথ আফ্রিকা’র সাথে চুক্তিতে আবদ্ধ হতে পারবে।

Name Age Batting style Bowling style Domestic team Forms C S/N Captain Last Test Last ODI Last T20I
Batters
Temba Bavuma ৩৪ Right-handed Right-arm medium Lions Test, ODI, T20I Y 11 Test, ODI (C)   2023   2023   2023
David Bedingham ৩০ Right-handed Western Province Test 5   2024
Matthew Breetzke ২৫ Right-handed Eastern Province T20I 85   2023
Tony de Zorzi ২৭ Left-handed Western Province Test, ODI 33   2024   2023
Zubayr Hamza ২৯ Right-handed Lions Test   2024   2021
Reeza Hendricks ৩৫ Right-handed Right-arm off break Lions ODI, T20I Y 17   2023   2023
Aiden Markram ৩০ Right-handed Right arm off break Titans Test, ODI, T20I Y 4 T20I (C); ODI (VC)   2024   2023   2023
David Miller ৩৫ Left-handed Dolphins ODI, T20I Y 10   2023   2023
Edward Moore ৩১ Left-handed Right arm off break Titans Test   2024
Keegan Petersen ৩১ Right-handed Dolphins Test Y 93   2024
Rassie van der Dussen ৩৫ Right-handed Right-arm leg break Lions ODI, T20I Y 72   2022   2023   2023
Raynard van Tonder ২৬ Right-handed North West Test   2024
All-rounders
Neil Brand ২৮ Right-handed Left-arm orthodox Titans Test   2024
Dewald Brevis ২১ Right-handed Titans T20I 52   2023
Ruan de Swardt ২৬ Left-handed Right-arm medium-fast North West Test   2024
Donovan Ferreira ২৬ Right-handed Titans T20I 55   2023
Marco Jansen ২৪ Right-handed Left-arm medium-fast Warriors Test, ODI, T20I Y 70   2024   2023   2023
Wiaan Mulder ২৬ Right-handed Right-arm medium Lions ODI 13   2023   2023   2021
Andile Phehlukwayo ২৮ Left-handed Right-arm medium-fast Dolphins ODI, T20I 23   2018   2023   2023
Shaun von Berg ৩৮ Right-handed Right-arm leg break Boland Test   2024
Wicket-keepers
Quinton de Kock ৩১ Left-handed Titans Y 12   2021   2023   2023
Clyde Fortuin ২৯ Right-handed Boland Test   2024
Heinrich Klaasen ৩৩ Right-handed Right-arm off break Titans ODI, T20I Y 45   2023   2023   2023
Ryan Rickelton ২৮ Left-handed Lions Y 44   2023   2023
Tristan Stubbs ২৪ Right-handed Right-arm off break Warriors Test, T20I Y 30   2024   2023   2023
Kyle Verreynne ২৭ Right-handed Western Province Test 97   2024   2022
Spin bowlers
Bjorn Fortuin ৩০ Right-handed Left-arm orthodox Lions T20I Y 77   2023   2023
Keshav Maharaj ৩৪ Right-handed Left-arm orthodox Dolphins Test, ODI, T20I Y 16   2024   2023   2023
Dane Piedt ৩৪ Right-handed Right-arm off break Knights Test   2024
Tabraiz Shamsi ৩৪ Right-handed Left-arm unorthodox Titans ODI, T20I Y 26   2018   2023   2023
Seam bowlers
Nandre Burger ২৯ Left-handed Left-arm medium-fast Western Province Test, ODI, T20I   2024   2023   2023
Gerald Coetzee ২৪ Right-handed Right-arm fast Knights Test, ODI, T20I 62   2023   2023   2023
Beuran Hendricks ৩৪ Left-handed Left-arm fast-medium Western Province ODI 14   2020   2023   2021
Sisanda Magala ৩৩ Right-handed Right-arm fast-medium Lions ODI Y 58   2023   2023
Tshepo Moreki ৩১ Right-handed Right-arm fast-medium Lions Test   2024
Lungi Ngidi ২৮ Right-handed Right-arm fast-medium Titans Test, ODI, T20I Y 22   2024   2023   2023
Anrich Nortje ৩০ Right-handed Right-arm fast Warriors ODI Y 20   2023   2023   2023
Duanne Olivier ৩২ Right-handed Right-arm fast-medium Lions Test   2024   2019
Dane Paterson ৩৫ Right-handed Right-arm fast-medium Western Province Test   2024   2019   2018
Kagiso Rabada ২৯ Left-handed Right-arm fast Lions Test, ODI Y 25   2024   2023   2023
Lizaad Williams ৩১ Left-handed Right-arm medium-fast Titans ODI, T20I 6   2022   2023   2023

আরও দেখুন

সম্পাদনা

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. "Men's Team Rankings"আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (ইংরেজি ভাষায়)। 
  2. "Records for Test Matches"ইএসপিএনক্রিকইনফো (ইংরেজি ভাষায়)। 
  3. "Records in 2024 in Test matches"ইএসপিএনক্রিকইনফো (ইংরেজি ভাষায়)। 
  4. "Records for ODI Matches"ইএসপিএনক্রিকইনফো (ইংরেজি ভাষায়)। 
  5. "Records in 2024 in ODI matches"ইএসপিএনক্রিকইনফো (ইংরেজি ভাষায়)। 
  6. "Records for T20I Matches"ইএসপিএনক্রিকইনফো (ইংরেজি ভাষায়)। 
  7. "Records in 2024 in T20I matches"ইএসপিএনক্রিকইনফো (ইংরেজি ভাষায়)। 
  8. Cricinfo Until we win world cup, the chokers tag will stay - Herschelle Gibbs retrieved on 3 November 2010
  9. Cricinfo Suffocating on the big stage retrieved on 3 November 2010
  10. Cricinfo Test Team Records page retrieved on 22 December 2010
  11. Cricinfo ODI [১][স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ] retrieved 21 July 2013
  12. McGlashan A (2012), Amla ton leads SA to third No. 1 spot, ESPN Sports Media Ltd., retrieved 25 September 2013, <http://www.espncricinfo.com/england-v-south-africa-2012/content/story/579730.html>
  13. South Africa choke on their lines again Hugh Chevallier in Durban 20 September 2007 Cricinfo
  14. South Africa Remove Racial Quotas 7 November 2007 BBC Sport
  15. The Times, 27 October 1948, Cricket South Africa's Captain
  16. http://www.kingcricket.co.uk/south-africa-choke-in-1999-world-cup-semi-final-against-australia/2007/09/21/
  17. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ মে ২০১১ 
  18. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ৬ অক্টোবর ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ 
  19. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ২৭ আগস্ট ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ মে ২০১১ 
  20. "De Kock, Miller in as CSA trims contracts list" 

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা