সিরাজুল ইসলাম
সিরাজুল ইসলাম (জন্ম: ১৯৩৯) বাংলাদেশের একজন ইতিহাসবিদ, জ্ঞানকোষ সম্পাদক ও গবেষক। তিনি বাংলাদেশের জাতীয় জ্ঞানকোষ বাংলাপিডিয়ার প্রধান সম্পাদক, তাকে এই জ্ঞানকোষের রূপকারও বলা হয়ে থাকে। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন। তিনি বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটির সাবেক সভাপতি। তার উদ্যোগে ও সম্পাদনায় বিখ্যাত জ্ঞানকোষ ফ্লোরা ফনা অব বাংলাদেশ, কালচারাল সার্ভে অব বাংলাদেশ, ছোটদের বাংলাপিডিয়া, ঢাকার ৪০০ বছর প্রভৃতি প্রমাণিক জ্ঞানকোষ প্রকাশিত হয়েছে। সিরাজুল ইসলাম ব্রিটিশ আমলে প্রকাশিত সরকারের গেজেটগুলোর ওপর গবেষণা করে ১২ খণ্ডে গেজেটগুলো প্রকাশ করেছেন।[১][২]
সিরাজুল ইসলাম | |
---|---|
সভাপতি | |
বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি | |
কাজের মেয়াদ ১৯৯৪ – ১৯৯৫ | |
পূর্বসূরী | এ কে এম নুরুল ইসলাম |
উত্তরসূরী | ওয়াকিল আহমদ |
কাজের মেয়াদ ২০০৮ – ২০১১ | |
পূর্বসূরী | এমাজউদ্দিন আহমদ |
উত্তরসূরী | নজরুল ইসলাম |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | থানাকান্দি, নবীনগর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, বাংলাদেশ | ২৯ অক্টোবর ১৯৩৯
জাতীয়তা | বাংলাদেশী |
প্রাক্তন শিক্ষার্থী | ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় |
পেশা | ইতিহাসবিদ, সম্পাদক |
যে জন্য পরিচিত | বাংলাপিডিয়ার প্রধান সম্পাদক |
জন্ম ও শিক্ষাজীবন
সম্পাদনাতার জন্ম ১৯৩৯ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার থানাকান্দি গ্রামে। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিহাসশাস্ত্র অধ্যয়ন করেন এবং ১৯৬১ সালে বি.এ. (অনার্স) ও ১৯৬২ সালে এম.এ.তে প্রথম শ্রেণীতে প্রথম স্থান অর্জন করেন। ১৯৬৮ সালে লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব ওরিয়েন্টাল অ্যান্ড আফ্রিকান স্টাডিজে অধ্যয়ন ও গবেষণা করেন এবং ১৯৭২ সালে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।
কর্মজীবন
সম্পাদনা১৯৬৬ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগে প্রভাষক হিসেবে চাকরি জীবন শুরু করেন। এখানে ৩৪ বছর অধ্যাপনা করার পর ২০০০ সালে অবসর গ্রহণ করে সার্বক্ষণিক গবেষণায় নিজেকে নিযুক্ত করেন।[৩]
প্রকাশনা
সম্পাদনাতাকে বলা হয় বাংলাদেশে আধুনিক ইতিহাস গবেষণার পথিকৃৎ। তার উল্লেখযোগ্য প্রকাশনার মধ্যে রয়েছে-
(ক) বাংলার চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত (১৭৯০-১৮১৯),
(খ) বাংলার ভূমিস্বত্ব: মধ্যবর্তী শ্রেণীর উদ্ভব,
(গ) বাংলাদেশের নদী অববাহিকার গ্রামগুলো,
(ঘ) বাংলাদেশের গ্রামীণ ইতিহাস,
(ঙ) ভূমি ব্যবস্থা ও সামাজিক সমস্যা,
(চ) ঔপনিবেশিক শাসন কাঠামো এবং
অবদান
সম্পাদনাইতিহাসশাস্ত্রে মৌলিক গবেষণায় বিশেষ অবদান রাখার জন্য তিনি ভারতের বিখ্যাত স্যার যদুনাথ সরকার স্বর্ণপদক সম্মাননায় ভূষিত হন এবং গবেষণাকর্মের স্বীকৃতিস্বরূপ সিনিয়র ফুলব্রাইট স্কলারশিপ নিয়ে আমেরিকার হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অতিথি অধ্যাপক হিসেবে যোগদান করেন। তার সম্মানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগে ‘সিরাজুল ইসলাম লেকচার হল’ স্থাপন করা হয়েছে। তার নামে “ড. সিরাজুল ইসলাম ফাউন্ডেশন” স্থাপন করা হয়েছে।[৬][৭]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "'বাংলাপিডিয়া'র পথিকৃৎ অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম"। বণিক বার্তা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১০-২৯।
- ↑ "বাংলাপিডিয়ার স্রষ্টা প্রফেসর সিরাজুল ইসলাম"। www.deshrupantor.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১০-২৯।
- ↑ "গবেষণা ও জাগতিক স্বার্থ একসঙ্গে হয় না"। কালের কণ্ঠ। ২০১৯-১০-১০। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১০-২৯।
- ↑ "ড. সিরাজুল ইসলাম আধুনিক ইতিহাস গবেষণার পথিকৃৎ- -মুহাম্মদ নূরে আলম বরষণ"। দৈনিক সংগ্রাম। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১০-২৯।
- ↑ "বাংলাদেশের ইতিহাস (১৭০৪-১৯৭১) - অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম সম্পাদিত"। মুক্তিযুদ্ধ ই-আর্কাইভ। ২০২০-০৪-০৬। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১০-২৯।
- ↑ "ঢাবি ইতিহাস বিভাগে 'সিরাজুল ইসলাম লেকচার হল' উদ্বোধন"। Risingbd.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১০-২৯।
- ↑ "ইতিহাসবিদ ড. সিরাজুল ইসলাম ফাউন্ডশনের বৃক্ষরোপণ"। banglaview.news। ২০২১-১০-২৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১০-২৯।