শরিফ এনামুল কবির
শরিফ এনামুল কবির একজন বাংলাদেশী শিক্ষাবিদ যিনি ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ থেকে মে ২০১২ পর্যন্ত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এর উপাচার্য হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। [১]
শরিফ এনামুল কবির | |
---|---|
উপাচার্য of জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় | |
কাজের মেয়াদ ২৪ ফ্রেবুয়ারী ২০০৯ – মে ২০১২ | |
উত্তরসূরী | মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জাতীয়তা | বাংলাদেশী |
প্রাক্তন শিক্ষার্থী | জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় |
শিক্ষা ও কর্মজীবন
সম্পাদনাকবির ১৯৫৫ সালে গোপালগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন।তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৭৫ সালে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান লাভ করে রসায়নশাস্ত্রে বি.এসসি (অনার্স) এবং ১৯৭৬ সালে প্রথম শ্রেণিতে দ্বিতীয় স্থান লাভ করে এম.এসসি (মাস্টার্স) সম্পন্ন করেন। ১৯৮৬ সালে কমনওয়েলথ বৃত্তি লাভ করে তিনি লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্ত ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনে উচ্চশিক্ষার্থে গমন করেন ও ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন থেকে পিএইচডি সম্পন্ন করেন।
তিনি ১৯৭৯ সালে তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রভাষক হিসাবে যোগদান করেন এবং পরবর্তীতে ক্রমশ অধ্যাপক পদে পদোন্নতি লাভ করেন। তিনি গত চার দশক ধরে তার অসামান্য প্রচেষ্টা দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়কে সমৃদ্ধ করে চলেছেন এবং নিজেকে একজন অতুলনীয় মেধাবী শিক্ষক হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন গবেষক হিসাবে তিনি বিভিন্ন জার্নালে তিন শতাধিক নিবন্ধ প্রকাশ করেছেন [২][৩] । তিনি ১৯৯৯ সাল থেকে বাংলাদেশ বিজ্ঞান একাডেমিতে নির্বাচিত সহযোগী। [৪]
পুরস্কার
সম্পাদনা- স্বর্ণপদক বাংলাদেশ বিজ্ঞান একাডেমি (১৯৯৯) (শারীরিক বিজ্ঞান, সিনিয়র গ্রুপ) [৫]
- রয়্যাল সোসাইটি অফ কেমিস্ট্রি রিসার্চ ফান্ড অ্যাওয়ার্ড (১৯৯৩, ১৯৯৪এবং১৯৯৫) [৬]
- জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বইয়ের পুরস্কার (১৯৭৯) [৪]
- বিশ্ববিদ্যালয় অনুদান কমিশন পুরস্কার (দুই সময়) [৭]
- স্বর্ণপদক বিজ্ঞান একাডেমী (সিনিয়র গ্রুপ) ১৯৯৯ সালে। 8[৮]
- স্বর্ণপদক ড.এম.এ ওয়াজেদ মিয়া মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশনড এম এ ওয়াজেদ মিয়া স্বর্নপদক আন্তর্জাতিক পুরস্কার। [৯]
কর্মসমূহ
সম্পাদনাকবির ট্রেজার, উপাচার্য এবং পাবলিক সার্ভিস কমিশনের সদস্যের পদকে সজ্জিত করেছেন [১০] । উপাচার্য হিসাবে [১১] , তিনি নিজের কঠোর পরিশ্রম ও নিষ্ঠার দ্বারা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে বিপ্লবী পরিবর্তন করেছেন। উপাচার্য হিসাবে তার আমলে ১০ টি নতুন বিভাগ এবং ২ টি ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তিনি পাঁচটি একাডেমিক ছাত্রাবাসের অনুমোদন পেয়েছিলেন এবং তাদের নির্মাণকাজ শুরু করেছিলেন [১২] । তিনি ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান গবেষণা ইনস্টিটিউটও প্রতিষ্ঠা করেছেন যা বাংলাদেশের অন্যতম সেরা গবেষণা কেন্দ্র হিসাবে বিবেচিত হয়।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ Shahtub Siddique Anik (মে ১১, ২০১২)। "The 48-hour Story"। দ্য ডেইলি স্টার। জানুয়ারি ৪, ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ জুন ২৪, ২০১৭।
- ↑ "JU erupts in protests"। দ্য ডেইলি স্টার। জানুয়ারি ১১, ২০১২। সংগ্রহের তারিখ জুন ২৪, ২০১৭।
- ↑ "Farzana Islam new VC of JU"। দ্য ডেইলি স্টার। মার্চ ৩, ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ জুন ২৪, ২০১৭।
- ↑ ক খ "Professor Shariff Enamul Kabir"। Bangladesh Academy of Sciences। জুন ২৩, ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ জুন ২৪, ২০১৭।
- ↑ "Academy Gold Medal Award"। Bangladesh Academy of Sciences। ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ এপ্রিল ২০১৮।
- ↑ http://www.rsc.org/search-results/?q=Shariff%20Enamul%20Kabir
- ↑ "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ১৬ আগস্ট ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৯।
- ↑ "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৯।
- ↑ http://www.daily-sun.com/printversion/details/242859/Five-personalitiesget-Wazed-MiahGold-Medal
- ↑ "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ২০১৮-১০-১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৯-১০।
- ↑ https://www.youtube.com/watch?v=KV-OLivXzak
- ↑ http://juniv.edu