রেনে ফারেল
রেনে মিশেল ফারেল (ইংরেজি: Rene Farrell; জন্ম: ১৩ জানুয়ারি, ১৯৮৭) সিডনির কোগারা এলাকায় জন্মগ্রহণকারী প্রথিতযশা অস্ট্রেলীয় প্রমিলা ক্রিকেটার। অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য রেনে ফারেল। দলে তিনি মূলতঃ ফাস্ট-মিডিয়াম পেস বোলিং করে থাকেন। এছাড়াও ডানহাতে ব্যাটিং করে থাকেন তিনি।
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | রেনে মিশেল ফারেল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | কোগারা, সিডনি, অস্ট্রেলিয়া | ১৩ জানুয়ারি ১৯৮৭|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি মিডিয়াম | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
একমাত্র টেস্ট | ১০ জুলাই ২০০৯ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক | ২৮ জুলাই ২০০৭ বনাম নিউজিল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ২৭ নভেম্বর ২০১৬ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই শার্ট নং | ১৩ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টি২০আই অভিষেক | ১ জুন ২০০৯ বনাম নিউজিল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টি২০আই | ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬ বনাম শ্রীলঙ্কা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টি২০আই শার্ট নং | ১৩ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০৬-২০০৮ | নিউ সাউথ ওয়েলস | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০৮-২০১০ | ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০৯ | নটিংহ্যামশায়ার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০১২-২০১৪ | এসিটি মেটেওর্স | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০১৪-বর্তমান | নিউ সাউথ ওয়েলস ব্রেকার্স | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০১৫-বর্তমান | সিডনি থান্ডার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০১৬ | সারে স্টার্স | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ক্রিকেটআর্কাইভ, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ |
খেলোয়াড়ী জীবন
সম্পাদনামার্চ, ২০০২ সালে আন্তঃরাজ্য চ্যাম্পিয়নশীপে অনূর্ধ্ব-১৭ দলের সদস্যরূপে নিউ সাউথ ওয়েলসে খেলার জন্য নির্বাচিত হন। ঐ প্রতিযোগিতায় তিনি ২৬.০০ গড়ে ২৬ রান তোলেন ও ১৬.৬৬ গড়ে ছয় উইকেট পান। চূড়ান্ত খেলায় পৌঁছার পূর্ব-পর্যন্ত প্রত্যেক খেলাতেই জয় পায় তার দল। কিন্তু কুইন্সল্যান্ডের বিপক্ষে মাত্র ৬০ রানে গুটিয়ে যায়।[১]
বয়সভিত্তিক আন্তঃরাজ্য ক্রিকেটে বেশ সফলকাম ছিলেন। তা সত্ত্বেও বেশ দেরীতে ২০ বছর পূর্তির একমাস পূর্বে ২০০৬-০৭ মৌসুমে নিউ সাউথ ওয়েলসের বড়দের দলে ঠাঁই হয় তার। প্রথম খেলায় ৩/২৭ লাভ করেন ও অপরাজিত থেকে দলকে জয়ের প্রান্তে নিয়ে যান। নিউ সাউথ ওয়েলস শিরোপা লাভ করে ও ফারেলকে নিউজিল্যান্ড সফরে রোজ বোল সিরিজের জন্য জাতীয় দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এরপর ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ায় স্থানান্তরিত হন। নয় উইকেট নেয়ার পাশাপাশি ৩৪.৪০ গড়ে রান তোলেন।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট
সম্পাদনা২০০৭ সালের জুলাইয়ে ডারউইনে অনুষ্ঠিত রোজ বোল সিরিজে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে খেলেন। বড়দের ঘরোয়া খেলায় মাত্র পাঁচটিতে অংশ নেয়ার পরই তার এ সুযোগ ঘটে। আঘাতপ্রাপ্ত লিজা স্তালেকার ও ক্লি স্মিথের ঘাটতি পূরণেই তাকে নেয়া হয়েছিল।[২] পাঁচ খেলার সিরিজে ২-১ ব্যবধানে সিরিজে এগিয়ে থাকার পর চতুর্থ খেলায় অভিষেক ঘটে তার। ফারেল নয় ওভারে মাঝারি সারির তিন ব্যাটসম্যানের উইকেট পান ও ৩/৩৬ নিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে সিরিজ জয়ে ভূমিকা রাখেন।[৩] অস্ট্রেলিয়া ৩ উইকেটে জয় পায় ও সিরিজ করায়ত্ত করে। নিচের সারির ব্যাটসম্যান হওয়ায় তার ব্যাটিংয়ের প্রয়োজন পড়েনি। চূড়ান্ত খেলায় প্রথমবারের মতো ব্যাটিংয়ে নামেন ও অপরাজিত ৩ রান সংগ্রহ করেন। পাঁচ ওভারে ১/২৩ লাভ করলেও নিউজিল্যান্ড ৪ উইকেটে জয় পায়।
দল থেকে সংক্ষিপ্তকাল ছিটকে পড়েন। ঘরোয়া ক্রিকেটে সাফল্যের প্রেক্ষিতে পুনরায় তাকে অস্ট্রেলিয়া দলে নেয়া হয়। প্রথম খেলায় নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৩/২৬ নেন। ২০০৯ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপে সাত খেলার ছয়টিতে অংশ নেন। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তিনটি টুয়েন্টি২০ খেলায় পাঁচ উইকেট নিলে তাকে ২০০৯ সালে ইংল্যান্ড অনুষ্ঠিত টুয়েন্টি২০ খেলায় অংশগ্রহণের জন্য নেয়া হয়। চার খেলার সবগুলোতে অংশ নিলেও ৮.৯২ ইকোনোমি রেটে মাত্র এক উইকেট দখল করেন। কিন্তু দ্রুততার সাথে রান তুলতেও ভূমিকা রেখেছিলেন তিনি।
স্বাগতিক দলের বিপক্ষে দ্বি-পক্ষীয় সিরিজে তার টেস্ট অভিষেক হয়। ৩/৩৬ লাভ করেন ও পাঁচ ওডিআইয়ে এক উইকেট দখল করেন। এরপর তিনি কিছুকাল নটিংহ্যামশায়ারের পক্ষে খেলেন। দুই সেঞ্চুরিসহ ৫৯.০০ গড়ে ৪১৩ রান তোলেন। ২০০৯-১০ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়ায় ফিরে আসেন ও ডব্লিউএনসিএল প্রতিযোগিতায় ১৭১ রান ও ১৮ উইকেট পান। জুন, ২০১৫ সালে ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত মহিলাদের অ্যাশেজে সফরকারী অস্ট্রেলিয়া দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি।
আইসিসি বিশ্ব টুয়েন্টি২০
সম্পাদনাওয়েস্ট ইন্ডিজে অনুষ্ঠিত ২০১০ সালের বিশ্ব টুয়েন্টি২০ প্রতিযোগিতায় খেলার জন্য মনোনীত হন। অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হওয়া অস্ট্রেলিয়া দলের প্রত্যেক খেলায় তার অংশগ্রহণ ছিল।[৪][৫][৬][৭][৮][৯][১০] প্রথম প্রস্তুতিমূলক খেলায় ইনিংসের শেষদিকে বোলিং করেন ০/১৫। নিউজিল্যান্ডকে ১৮ রানে হারানোর ঐ খেলায় তার ব্যাটিংয়ের প্রয়োজন পড়েনি। শেষ প্রস্তুতিমূলক খেলায় নায়েন আবিদি ও বিসমাহ মারুফের উইকেট পান ২/১৬। ঐ খেলায় অস্ট্রেলিয়া ৮২ রানে পাকিস্তানকে হারায়।[৫]
প্রথম খেলায় ইংল্যান্ডের বিপক্ষে কঠিন অবস্থায় নিপতিত হয়ে ফারেল স্তালেকারের সাথে যোগ দেন। ১৬.৩ ওভারে ৮৬/৮ অবস্থায় দলের জয়ের প্রয়োজন ছিল ২১ বলে ১৮ রান। এ জুটি ১৪ বলে ১১ রান তোলার পর স্তালেকার ফিরে যান ও শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে ক্লি স্মিথ মাঠে নামেন। চূড়ান্ত ওভারে সাত রানের প্রয়োজন থাকাবস্থায় ইংরেজ দলনায়ক শার্লত এডওয়ার্ডস বোলিংয়ে আসেন। প্রথম বলে চার ও তৃতীয় বলে দুই নিলে স্কোর টাই হয়। কিন্তু চূড়ান্ত বলে বেথ মর্গ্যানের হাতে ১৩ বলে ১৩ রান তোলে রান আউটের শিকার হন ও খেলাটি টাইয়ে পরিণত হয়।[৬][১১] সুপার ওভারে উভয় দল ২/৬ তোলে। কিন্তু, জেস ক্যামেরনের একমাত্র ছক্কার সুবাদে অস্ট্রেলিয়া বিজয়ী হয়।[৬][১২]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "Player Oracle RM Farrell"। CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ১৪ মে ২০০৯।
- ↑ "Rene Farrell to replace Sthalekar in Australian squad"। Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২৫ মার্চ ২০০৯।
- ↑ "4th ODI: Australia Women v New Zealand Women in 2007"। CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ২৫ মার্চ ২০০৯।
- ↑ "Australia Women v New Zealand Women"। CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ৪ জুন ২০১০।
- ↑ ক খ "Australia Women v Pakistan Women"। CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ৪ জুন ২০১০।
- ↑ ক খ গ "Australia Women v England Women"। CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ৪ জুন ২০১০।
- ↑ "Australia Women v South Africa Women"। CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ৪ জুন ২০১০।
- ↑ "West Indies Women v Australia Women"। CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ৪ জুন ২০১০।
- ↑ "Australia Women v India Women"। CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ৪ জুন ২০১০।
- ↑ "Australia Women v New Zealand Women"। CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ৪ জুন ২০১০।
- ↑ "Australia win after Super Over eliminator"। Cricinfo। ৫ মে ২০১০। সংগ্রহের তারিখ ১০ জুন ২০১০।
- ↑ "Australia Women v New Zealand Women"। Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ১০ জুন ২০১০।
আরও দেখুন
সম্পাদনাবহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- ইএসপিএনক্রিকইনফোতে রেনে ফারেল (ইংরেজি)
- ক্রিকেটআর্কাইভে রেনে ফারেল (সদস্যতা প্রয়োজনীয়) (ইংরেজি)