পার্থ
পার্থ (/ˈpɜːθ/) পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী ও বৃহত্তম শহর। সোয়ান নদীর তীরে এ নগর গড়ে উঠেছে। প্রায় ১.৯৭ মিলিয়ন অধিবাসী এ নগরে বসবাস করেন।[৯] সিডনি, মেলবোর্ন ও ব্রিসবেনের পর এটি অস্ট্রেলিয়ার চতুর্থ বৃহত্তম শহর।
পার্থ পশ্চিম অস্ট্রেলিয়া | |||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
ভৌগোলিক স্থানাঙ্ক | ৩১°৫৭′৮″ দক্ষিণ ১১৫°৫১′৩২″ পূর্ব / ৩১.৯৫২২২° দক্ষিণ ১১৫.৮৫৮৮৯° পূর্ব | ||||||||
জনসংখ্যা | ১৯,৭২,৩৫৮ (২০১৩)[১] (৪র্থ) | ||||||||
• জনঘনত্ব | ৩১০/বর্গ কি.মি. (৮০০/ব.মা.) [২] | ||||||||
প্রতিষ্ঠার তারিখ | ১৮২৯ | ||||||||
আয়তন | ৬,৪১৭.৯ বর্গ কি.মি.(২,৪৭৮.০ বর্গমাইল)(GCCSA)[৩] | ||||||||
সময় অঞ্চল | অস্ট্রেলীয় পশ্চিমী মান সময় (AWST) (ইউটিসি+৮:০০) | ||||||||
অবস্থান |
| ||||||||
রাজ্য নির্বাচনী এলাকা | পার্থ (এবং আরও ৪১টি)[৮] | ||||||||
কেন্দ্রীয় বিভাগ | পার্থ (এবং আরও ১০টি) | ||||||||
|
গুরুত্বপূর্ণ রেলসড়ক ব্যবস্থাপনার প্রেক্ষিতে বাণিজ্যিক, উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে পরিগণিত হয়েছে। ধাতু ও ধাতব পদার্থ, পরিশোধিত পেট্রোলিয়ামজাত পণ্য, প্রক্রিয়াজাতকরণ খাদ্য, রাবার, ভবনের মালামালসহ মুদ্রিত পণ্যসামগ্রীর জন্য পার্থ বিখ্যাত।
ইতিহাস
সম্পাদনা১৮২৯ সালে ক্যাপ্টেন জেমস স্টার্লিং এ নগরের গোড়াপত্তন করেন। সোয়ান রিভার কলোনি নামে প্রশাসনিক কেন্দ্র গড়ে তোলেন তিনি। তৎকালীন ব্রিটিশ যুদ্ধ ও উপনিবেশ সংক্রান্ত্র মন্ত্রী স্যার জর্জ মুরের পরামর্শক্রমে স্কটল্যান্ডের পার্থ এলাকার নাম অনুসারে পার্থের নামকরণ করা হয়। ১৮৫৬ সালে পার্থ নগরের মর্যাদা লাভ করে। ঊনবিংশ শতকের শেষদিকে পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ায় স্বর্ণপ্রাপ্তির প্রেক্ষিতে নগরের জনসংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পেতে থাকে। এরফলে অস্ট্রেলিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় উপনিবেশ থেকে দলে দলে লোকের সমাগত হতে থাকে এখানে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে অস্ট্রেলিয়ার জড়িত থাকার প্রেক্ষিতে প্রশান্ত মহাসাগরীয় রণাঙ্গনে সাবমেরিন ঘাঁটি পরিচালিত হতো।[১০] যুদ্ধের পর ব্রিটেন, গ্রিস, ইতালি এবং যুগোস্লাভিয়া থেকে অভিবাসীদের আগমনে জনসংখ্যা বৃদ্ধি এর প্রধান কারণ হয়ে দাঁড়ায়। সাদা বালুকাময় সমুদ্র সৈকতের জন্য এ নগরের সুখ্যাতি রয়েছে। তন্মধ্যে কোটস্লো ও স্কারবোরা সমুদ্র সৈকত অন্যতম। সাঁতার কাঁটার জন্য এ সৈকতগুলো বেশ আদর্শ। রোটনেস্ট আইল্যান্ডে পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। সেখানে ছোট্ট প্রজাতির কুক্কা নামে স্তন্যপায়ী প্রাণী বসবাস করে।
আরো দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "Regional Population Growth, Australia, 2012-13 - ESTIMATED RESIDENT POPULATION, States and Territories - Greater Capital City Statistical Areas (GCCSAs)"। 3218.0 - Regional Population Growth, Australia, 2012-13। Australian Bureau of Statistics। ৩ এপ্রিল ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ৩ এপ্রিল ২০১৪।
- ↑ "3218.0 - Regional Population Growth, Australia, 2012-13:Western Australia: Population Density"। Australian Bureau of Statistics। ৩ এপ্রিল ২০১৩। ৮ এপ্রিল ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ এপ্রিল ২০১৪।
- ↑ "Greater Perth: Basic Community Profile"। 2011 Census Community Profiles। Australian Bureau of Statistics। ২৮ মার্চ ২০১৩। ১ মে ২০২২ তারিখে মূল (xls) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ এপ্রিল ২০১৪।
- ↑ "Great Circle Distance between PERTH and ADELAIDE"। Geoscience Australia। মার্চ ২০০৪। ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ জানুয়ারি ২০১৫।
- ↑ "Great Circle Distance between PERTH and DARWIN CITY"। Geoscience Australia। মার্চ ২০০৪। ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ জানুয়ারি ২০১৫।
- ↑ "Great Circle Distance between PERTH and MELBOURNE"। Geoscience Australia। মার্চ ২০০৪।
- ↑ "Great Circle Distance between PERTH and SYDNEY"। Geoscience Australia। মার্চ ২০০৪।
- ↑ "2011 Electoral Boundaries"। State of Western Australia - Office of the Electoral Distribution Commissioners। ২০১৪। ২৭ জানুয়ারি ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ ফেব্রু ২০১৪।
- ↑ "Regional Population Growth, Australia 2008–2009"। Australian Bureau of Statistics। ৩০ মার্চ ২০১০।
- ↑ "The Catalina Base"। The University of Western Australia, Archives and Records Management Services। ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ আগস্ট ২০১৩।
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- Watch historical footage of Perth and Western Australia from the National Film and Sound Archive of Australia's collection.
- Historical photos of Perth from the State Library of Western Australia