অটো নথলিং
ড. অটো আর্নেস্ট নথলিং (ইংরেজি: Otto Nothling; জন্ম: ১ আগস্ট, ১৯০০ - মৃত্যু: ২৬ সেপ্টেম্বর, ১৯৬৫) কুইন্সল্যান্ডের উইটা এলাকায় জন্মগ্রহণকারী প্রথিতযশা অস্ট্রেলীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ও রাগবি ইউনিয়ন খেলোয়াড় ছিলেন। অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯২৮ সালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
জন্ম | [১] উইটা, কুইন্সল্যান্ড[১] | ১ আগস্ট ১৯০০|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
মৃত্যু | ২৬ সেপ্টেম্বর ১৯৬৫[১] চেলমার, কুইন্সল্যান্ড[১] | (বয়স ৬৫)|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | বোলার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
একমাত্র টেস্ট (ক্যাপ ১২৭) | ১৪ ডিসেম্বর ১৯২৮ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ১০ অক্টোবর ২০১৯ | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
রাগবি খেলোয়াড়ী জীবন | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্মকালীন নাম | অটো আর্নেস্ট নথলিং[১] | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বিশ্ববিদ্যালয় | সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়[২] | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
রাগবি ইউনিয়নে খেলোয়াড়ী জীবন | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটে কুইন্সল্যান্ড দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম বোলিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিংয়ে অভ্যস্ত ছিলেন অটো নথলিং।
প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট
সম্পাদনাব্রিসবেন গ্রামার স্কুলে অধ্যয়ন করেছেন অটো নথলিং। ব্রিসবেন গ্রামার স্কুলের অন্যতম সেরা ক্রীড়াবিদ ছিলেন। সর্বকালের সেরা ১০০ ওয়াল্যাবিস হিসেবে নির্বাচিত হন।
সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থানকালে চমৎকার অল-রাউন্ডার হিসেবে ভূমিকা রাখেন। ১৯২২-২৩ মৌসুমে মেলবোর্নে কম্বাইন্ড অস্ট্রেলিয়ান ইউনিভার্সিটিজের সদস্যরূপে সফররত এমসিসি দলের বিপক্ষে ৫৬ রান সংগ্রহের পাশাপাশি পাঁচ-উইকেট দখল করেছিলেন তিনি। ঐ মৌসুমের ন্যায় ১৯২৪-২৫ মৌসুমেও বেশ ভালো করেন। সিডনিভিত্তিক প্রথম স্তরের ক্রিকেটে বোলিং গড়ে সেরা ছিলেন। দীর্ঘদেহী, ডানহাতি মিডিয়াম পেস বোলার ছিলেন তিনি। এছাড়াও, অফ ব্রেক বোলিংও করতে পারতেন তিনি।
১৯২২-২৩ মৌসুম থেকে ১৯২৯-৩০ মৌসুম পর্যন্ত অটো নথলিংয়ের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। ১৯২৪-২৫ মৌসুমে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। নিউ সাউথ ওয়েলসের সদস্যরূপে সফররত এমসিসি দলের বিপক্ষে সিডনিতে অংশ নেন। এর কয়েকদিন পরই শেফিল্ড শিল্ডে প্রথমবারের মতো খেলতে নামেন।
ব্রিসবেনে ফিরে চিকিৎসাশাস্ত্রে অংশ নেন। ১৯২৭-২৮ মৌসুমে কুইন্সল্যান্ডের পক্ষে খেলতে শুরু করেন। পরের মৌসুমে ১২১ রানের মনোজ্ঞ সেঞ্চুরি করেন। এটিই তার সমগ্র প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবনের একমাত্র সেঞ্চুরি ছিল। সিডনিতে নিউ সাউথ ওয়েলসের বিপক্ষে ২১২ মিনিটে এ রান তুলেন।
প্রশস্ত কাঁধের অধিকারী অটো নথলিং আগ্রাসী ব্যাটসম্যান হিসেবে পরিচিত ছিলেন। ড্রাইভের দিকেই তার সবিশেষ দক্ষতা লক্ষ্য করা গিয়েছিল। ১৯২৮-২৯ মৌসুমে এমসিসি’র বিপক্ষে ৫/৭৮ বোলিং পরিসংখ্যান গড়েন। এ পর্যায়ে ডব্লিউ. আর. হ্যামন্ডকে শূন্য রানে বিদেয় করেছিলেন তিনি। এছাড়াও, অস্ট্রেলীয় একাদশের সদস্যরূপে সফরকারীদের বিপক্ষে বেশ ভালোমানের বোলিং করেন।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট
সম্পাদনাসমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে একটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন অটো নথলিং। ১৪ ডিসেম্বর, ১৯২৮ তারিখে সফরকারী ইংল্যান্ড দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। এটিই তার একমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ ছিল।
সিডনিতে অ্যাশেজ সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে অংশগ্রহণ করার সুযোগ পান। ১৯২৮ সালে জাতীয় দলে ডন ব্র্যাডম্যানের স্থলাভিষিক্ত হয়েছিলেন। তাসত্ত্বেও অস্ট্রেলিয়ার সেরা কিংবদন্তীর সাথে আজীবনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখেন। এ খেলায় স্যার ডি. জি. ব্র্যাডম্যানের একচ্ছত্র প্রভাব খর্ব হবার বিষয়টি লক্ষ্য করা যায়। দ্বাদশ খেলোয়াড় হিসেবে তাকে রাখা হলে নথলিং পরবর্তীকালে মূল একাদশে খেলার সুযোগ পান। বল হাতে কোন উইকেট লাভে সক্ষমতা দেখাতে পারেননি। প্রথম ইনিংসে ৮ রান করলেও দ্বিতীয় ইনিংসে ৪৪ রানের ইনিংস খেলেছিলেন। ৪৬ ওভার বোলিং করে ৭২ রান খরচায় কোন উইকেট পাননি। ফলশ্রুতিতে, পরবর্তী টেস্টে তাকে আর রাখা হয়নি।
নভেম্বর, ১৯২৯ সালে কুইন্সল্যান্ডের সদস্যরূপে সর্বশেষ প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশ নিয়েছিলেন। সবগুলো প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশ নিয়ে ২৪.৫০ গড়ে ৮৮২ রান তুলেন। এছাড়াও, ৪১ রান গড়ে ৩৬ উইকেট পেয়েছিলেন।
ব্যক্তিগত জীবন
সম্পাদনাবিশ্ববিদ্যালয়ে থাকাকালীন সর্বক্রীড়াবিদ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। ক্রিকেটের পাশাপাশি রাগবি ইউনিয়নে দক্ষ ছিলেন। দুইজন অস্ট্রেলীয় খেলোয়াড়ের একজন হিসেবে অস্ট্রেলীয় রাগবি ও ক্রিকেট - দ্বৈত খেলায় আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অংশ নিয়েছেন। বাকী আরেকজন হচ্ছেন - জনি টেলর। ফুলব্যাক অবস্থানে খেলতেন তিনি। অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে মোট ১৯টি আন্তর্জাতিক খেলায় অংশ নিয়েছেন।
আন্তঃরাজ্যীয় রাগবি ইউনিয়নের খেলোয়াড় ছিলেন। ফুলব্যাক অবস্থানে নিউ সাউথ ওয়েলসের প্রতিনিধিত্ব করেন। ১৯২৩ সালে নিউজিল্যান্ড গমন করেন, ১৯২৪ সালে সিডনিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে খেলেন। খেলোয়াড়ী জীবনের শেষদিকে গল্ফার হিসেবেও অংশ নেন।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশ নেন। মেজর পদবী নিয়ে অস্ট্রেলিয়ান আর্মি মেডিক্যাল কোরে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। পেশাদারী পর্যায়ে ব্রিসবেনে চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। এছাড়াও, কুইন্সল্যান্ড ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনে দুই বছর সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন। ২৬ সেপ্টেম্বর, ১৯৬৫ তারিখে ৬৫ বছর বয়সে কুইন্সল্যান্ডের চেলমার এলাকায় দেহাবসান ঘটে।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনাআরও দেখুন
সম্পাদনাবহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- ইএসপিএনক্রিকইনফোতে অটো নথলিং (ইংরেজি)
- ক্রিকেটআর্কাইভে অটো নথলিং (সদস্যতা প্রয়োজনীয়) (ইংরেজি)