মারাইজ ইরাসমাস

দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটার ও আম্পায়ার
(Marais Erasmus থেকে পুনর্নির্দেশিত)

মারাইজ ইরাসমাস (ইংরেজি: Marais Erasmus; জন্ম: ২৭ ফেব্রুয়ারি, ১৯৬৪) দক্ষিণ আফ্রিকায় জন্মগ্রহণকারী আন্তর্জাতিক ক্রিকেট আম্পায়ার। তিনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল কর্তৃক মনোনীত আইসিসি’র সেরা আম্পায়ার তালিকার একজন সদস্য। প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে বোল্যান্ড ক্রিকেট দলের হয়ে খেলেছেন। খেলায় তিনি অল-রাউন্ডারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হতেন।

এম ইরাসমাস
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নাম
মারাইজ ইরাসমাস
জন্ম (1964-02-27) ২৭ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৪ (বয়স ৬০)
কেপ প্রদেশ, দক্ষিণ আফ্রিকা
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি ব্যাটসম্যান
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি ফাস্ট মিডিয়াম
ভূমিকাঅল-রাউন্ডার, আম্পায়ার
ঘরোয়া দলের তথ্য
বছরদল
১৯৮৮/৮৯-১৯৯৬/৯৭বোল্যান্ড
প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট অভিষেক৮ ডিসেম্বর ১৯৮৮ বোল্যান্ড বনাম সাউথ আফ্রিকান ডিফেন্স ফোর্স
শেষপ্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট১২ ডিসেম্বর ১৯৯৬ বোল্যান্ড বনাম নাটাল
লিস্ট এ ক্রিকেট অভিষেক২৪ অক্টোবর ১৯৮৯ বোল্যান্ড বনাম বোল্যান্ড
শেষ লিস্ট এ ক্রিকেট২৫ অক্টোবর ১৯৯৬ বোল্যান্ড বনাম ওয়েস্টার্ন প্রভিন্স
আম্পায়ারিং তথ্য
টেস্ট আম্পায়ার৬২ (২০১০–২০২০)
ওডিআই আম্পায়ার৯২ (২০০৭–২০২০)
টি২০আই আম্পায়ার২৬ (২০০৬–২০১৬)
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা প্রথম শ্রেণি লিস্ট-এ
ম্যাচ সংখ্যা ৫৩ ৫৪
রানের সংখ্যা ১,৯১৩ ৩২২
ব্যাটিং গড় ২৯.৪৩ ১০.৩৮
১০০/৫০ ১/৭ ০/১
সর্বোচ্চ রান ১০৩* ৫৫
বল করেছে ৮,৪০২ ২,৬৫০
উইকেট ১৩১ ৪৮
বোলিং গড় ২৮.১৮ ৩৭.০৬
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট
সেরা বোলিং ৬/২২ ৩/২৫
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ৩৫/— ১৬/—
উৎস: Cricinfo, ১৩ মার্চ ২০২০

ইরাসমাস ২০০৮ সালে আন্তর্জাতিক আম্পায়ার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হন। এরপর খুব দ্রুত ২০১০ সালে আইসিসি’র সেরা আম্পায়ার তালিকায় সদস্যরূপে উত্তরণ ঘটান।[]

আম্পায়ারিত্ব

সম্পাদনা

১৮ অক্টোবর, ২০০৭ তারিখে নাইরোবি'র নাইরোবি জিমখানা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত কেনিয়া বনাম কানাডা'র মধ্যকার একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের মাধ্যমে আম্পায়ার জীবনে প্রবেশ করেন। এর পূর্বেই অবশ্য টি২০ ক্রিকেটে আম্পায়ার হিসেবে অভিষিক্ত হয়েছেন। ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০০৬ তারিখে জোহানেসবার্গের ওয়ান্ডারার্স স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত দক্ষিণ আফ্রিকা বনাম অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে অনুষ্ঠিত টি২০ ক্রিকেটে খেলা পরিচালনা করেন। পরবর্তীতে ১৭-২১ জানুয়ারি, ২০১০ তারিখে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যকার টেস্টে প্রথমবারের মতো খেলা পরিচালনার সুযোগ পান।

ক্রিকেট বিশ্বকাপ, ২০১৫

সম্পাদনা

অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডে যৌথভাবে অনুষ্ঠিত ২০১৫ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপে বিশ-সদস্যের আম্পায়ারের তালিকায় অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি।[] তন্মধ্যে, ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ তারিখে ক্রাইস্টচার্চের হ্যাগলে ওভালে অনুষ্ঠিত নিউজিল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কার মধ্যকার উদ্বোধনী খেলাটি পরিচালনা করেন।[] ২০ মার্চ, ২০১৫ তারিখে অ্যাডিলেড ওভালে অনুষ্ঠিত কোয়ার্টার-ফাইনালে অস্ট্রেলিয়া-পাকিস্তানের খেলাও পরিচালনা করেছেন।[]

আম্পায়ার পরিসংখ্যান

সম্পাদনা

১ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ তারিখ পর্যন্ত:

প্রথম শেষ মোট
টেস্ট   বাংলাদেশ  ভারত, চট্টগ্রাম, জানুয়ারি ২০১০   ইংল্যান্ড  পাকিস্তান, দি ওভাল, আগস্ট ২০১৬ ৩৬
ওডিআই   কেনিয়া  কানাডা, নাইরোবি (জিম), অক্টোবর ২০০৭   ইংল্যান্ড  পাকিস্তান, লিডস, সেপ্টেম্বর ২০১৬ ৬৪
টি২০আই   দক্ষিণ আফ্রিকা  অস্ট্রেলিয়া, জোহানেসবার্গ, ফেব্রুয়ারি ২০০৬   ভারত  অস্ট্রেলিয়া, মোহালি, মার্চ ২০১৬ ২৬

বিতর্কিত ভূমিকা

সম্পাদনা

শুরুতে আম্পায়ার হিসেবে সঠিক ও সুন্দরভাবে খেলা পরিচালনা করেছেন। কিন্তু জুলাই/আগস্ট, ২০১১ সালে অনুষ্ঠিত ভারত-ইংল্যান্ডের মধ্যেকার টেস্ট সিরিজে মাঠে তার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্নবিদ্ধতায় পড়ে যান। বিশেষ করে ট্রেন্ট ব্রিজে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় টেস্টে অধিকাংশ দর্শকই তার সিদ্ধান্তে হতবাক হন।

অস্ট্রেলিয়া ও শ্রীলঙ্কার মধ্যেকার একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সিরিজের চতুর্থ খেলায় ডেভিড ওয়ার্নারকে এলবিডব্লিউ প্রদান করে পুনরায় সবচেয়ে বেশি প্রশ্নের মুখোমুখি হন।[][]

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. Cricinfo
  2. "ICC announces match officials for ICC Cricket World Cup 2015"। ICC Cricket। ২ ডিসেম্বর ২০১৪। ৩০ মার্চ ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ 
  3. "ICC Cricket World Cup, 1st Match, Pool A: New Zealand v Sri Lanka at Christchurch, Feb 14, 2015"। ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ৩০ মে ২০১৬ 
  4. "ICC Cricket World Cup, 3rd Quarter-Final: Australia v Pakistan at Adelaide, Mar 20, 2015"। ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ৩ আগস্ট ২০১৬ 
  5. Sydney Morning Herald Online
  6. ABC Grandstand Radio