সীমিত স্বীকৃতিপ্রাপ্ত রাষ্ট্রসমূহের তালিকা
রাজনীতির একটি অংশ নিজেদের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছে এবং আইনত () সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসাবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নিকট স্বীকৃতি চেয়েছে কিন্তু সার্বজনীনভাবে তেমন স্বীকৃত হয়নি। এই সত্ত্বাগুলি তাদের এলাকা কার্যত () নিয়ন্ত্রণে রেখেছে। এ রকম সত্ত্বাগুলোর একটি অংশ অতীত থেকেই বিদ্যমান রয়েছে।
এখানে দু ধরনের ঐতিহ্যগত মতবাদ রয়েছে যা একটি ধারণা প্রদান করে যে একটি আইনত রাষ্ট্রের অস্তিত্ব কীভাবে আসে। ঘোষণামূলক তত্ত্বে আন্তর্জাতিক আইনে একটি রাষ্ট্রর নিম্নলিখিত চারটি বৈশিষ্ট্য সংজ্ঞায়িত হয়েছেঃ
- একটি নির্দিষ্ট স্বাধীন রাষ্ট্র
- একটি স্থায়ী জনগোষ্ঠী
- একটি সরকার এবং
- অপর কোন সার্বভৌম রাষ্ট্রের সাথে সম্পর্ক স্থাপনের যোগ্যতা
ঘোষণামূলক তত্ত্ব অনুযায়ী, অন্য সার্বভৌম রাষ্ট্রের স্বীকৃতি ছাড়াও একটি সার্বভৌম রাষ্ট্রের অস্ত্বিত্ব থাকতে পারে। সাংবিধানিক তত্ত্বে আন্তর্জাতিক আইনে এভাবে রাষ্ট্রকে সংজ্ঞায়িত করেছে যে সার্বভৌম রাষ্ট্র হতে হলে অন্যান্য রাষ্ট্র কর্তৃক স্বীকৃত হতে হয় যেসব রাষ্ট্র পূর্ব থেকেই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সদস্য।[১][২]
স্বীকৃতির পর্যায় অনুযায়ী বর্তমান ভূরাজনৈতিক অস্তিত্ব
সম্পাদনাজাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্র যা অন্য একটি জাতিসংঘ সদস্য রাষ্ট্র কর্তৃক স্বীকৃত নয়
সম্পাদনানাম | ঘোষণা | অবস্থা | অন্যান্য দাবিদার | আরও তথ্য | তথ্যসূত্র |
---|---|---|---|---|---|
দক্ষিণ কোরিয়া | ১৯৪৮ | দক্ষিণ কোরিয়া ১৯৪৮ সাল থেকে স্বাধীন, কিন্তু জাতিসংঘের একটি সদস্য রাষ্ট্র উত্তর কোরিয়া একে স্বীকৃতি দেয়নি। | উত্তর কোরিয়া নিজেকে কোরিয়ার একমাত্র বৈধ সরকার বলে দাবি করে। | বৈদেশিক সম্পর্ক, মিশন (দেশের, দেশেতে) | [৩][৪] |
আর্মেনিয়া | ১৯৯১ | আর্মেনিয়া ১৯৯১ সাল থেকে স্বাধীন, কিন্তু এটি জাতিসংঘ সদস্য রাষ্ট্র পাকিস্তান কর্তৃক স্বীকৃত নয়। নাগোর্নো-কারাবাখ যুদ্ধের সময় থেকে পাকিস্তান আজারবাইজানকে পক্ষে অবস্থান ব্যক্ত করে আসছে। | নাই | বৈদেশিক সম্পর্ক, মিশন (দেশের, দেশেতে) | [৫][৬] |
সাইপ্রাস | ১৯৬০ | সাইপ্রাস ১৯৬০ সালে স্বাধীন হয়, কিন্তু এটি একটি জাতিসংঘ সদস্য রাষ্ট্র (তুরস্ক) এবং জাতিসংঘের সদস্য নয় এমন একটি রাষ্ট্র (উত্তর সাইপ্রাস) কর্তৃক স্বীকৃত না হওয়ার কারণে দ্বীপে চলমান নাগরিক সংঘাত। | উত্তর সাইপ্রাস সাইপ্রাস দ্বীপের একটি অংশ দাবি করে। | বৈদেশিক সম্পর্ক, মিশন (দেশের, দেশেতে) | [৭][৮][৯][১০] |
গনতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রী কোরিয়া | ১৯৪৮ | উত্তর কোরিয়া ১৯৪৮ থেকে স্বাধীন, কিন্তু ৩টি জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্র ফ্রান্স, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া স্বীকৃতি প্রদান করেনি।[১১][১২][মৌলিক গবেষণা?][১৩] | দক্ষিণ কোরিয়া নিজেকে কোরিয়ার একমাত্র বৈধ্য সরকার বলে দাবি করে। | বৈদেশিক সম্পর্ক, মিশন (দেশের, দেশেতে) | [১২][১৩][১৪][১৫] |
গণপ্রজাতন্ত্রী চীন | ১৯৪৯ | The People's Republic of China (PRC), proclaimed in 1949, is the more widely recognised of the two claimant governments of "China", the other being the Republic of China (ROC, also known as Taiwan). The PRC does not accept diplomatic relations with states that recognise the ROC. Most of these states do not officially recognise the PRC as a state, though some states have established relations with the ROC while stating they do not intend to stop recognising the PRC (Kiribati, Nauru).[১৬][১৭] Some states which currently recognise only the PRC have attempted simultaneous recognition and relations with the ROC and the PRC in the past (Liberia, Vanuatu).[১৮][১৯][২০] According to United Nations General Assembly Resolution 2758, the PRC is the only legitimate representative of China to the United Nations.[Note ১] | প্রজাতন্ত্রী চীন প্রজাতন্ত্রী চীনের সংবিধান অনুযায়ী নিজেকে সমগ্র চীনের আইনসম্মত সরকার হিসাবে দাবি করে। | Foreign relations, missions (of, to) PRC's diplomatic relations dates of establishment |
[২১] |
ইসরায়েল রাষ্ট্র | ১৯৪৮ | ইসরায়েল ১৯৪৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়, কিন্তু জাতিসংঘের ৩১টি সদস্য রাষ্ট্র স্বীকৃতি দেয়নি। | সিরিয়া গোলান মালভূমি দাবি করে। লেবানন শেবা ফার্মস দাবি করে। ফিলিস্তিন ইসরায়েল নিয়ন্ত্রিত সম্পূর্ণ এলাকা দাবি করে। বিষয়টি ইসরায়েল ফিলিস্তিন শান্তি প্রক্রিয়া এবং বিস্তৃত আরব ইসরায়েল শান্তি প্রক্রিয়াতে চলমান। |
Foreign relations, missions (of, to) International recognition |
[২২][২৩][২৪][২৫] [২৬] |
আরও দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ Thomas D. Grant, The recognition of states: law and practice in debate and evolution (Westport, Connecticut: Praeger, 1999), chapter 1.
- ↑ Lauterpacht, Hersch (২০১২)। Recognition in International Law (ইংরেজি ভাষায়)। Cambridge University Press। পৃষ্ঠা ৬৪। আইএসবিএন 978-1-107-60943-3।
- ↑ US Library of Congress (৭ অক্টোবর ২০০০)। "World War II and Korea"। Country Studies। সংগ্রহের তারিখ ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০০৮।
- ↑ Sterngold, James (৩ সেপ্টেম্বর ১৯৯৪)। "China, Backing North Korea, Quits Armistice Commission"। The New York Times। সংগ্রহের তারিখ ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০০৮।
- ↑ Pakistan Worldview - Report 21 - Visit to Azerbaijan Senate of Pakistan — Senate foreign relations committee, 2008
- ↑ Nilufer Bakhtiyar: "For Azerbaijan Pakistan does not recognise Armenia as a country" 13 September 2006 [14:03] - Today.Az
- ↑ European Parliament Directorate-General External Policies Policy Department "Turkey and the problem of the recognition of Cyprus" 20 January 2005 Retrieved 2011-02-03
- ↑ CIA World Factbook (২৮ ফেব্রুয়ারি ২০০৮)। "Cyprus"। Central Intelligence Agency। ২৬ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০০৮।
- ↑ "Cyprus exists without Turkey's recognition: president"। XINHUA। ১ অক্টোবর ২০০৫। সংগ্রহের তারিখ ৭ মার্চ ২০০৮।
- ↑ European Parliament's Committee on Foreign Affairs "The influence of Turkish military forces on political agenda-setting in Turkey, analysed on the basis of the Cyprus question" 18 February 2008 Retrieved 2011-02-03
- ↑ See South Korea–Taiwan relations.
- ↑ ক খ "Treaty on Basic Relations between Japan and the Republic of Korea"। সংগ্রহের তারিখ ২৭ অক্টোবর ২০০৮।
- ↑ ক খ Commission de la défense nationale et des forces armées (৩০ মার্চ ২০১০)। "Audition de M. Jack Lang, envoyé spécial du Président de la République pour la Corée du Nord." (ফরাসি ভাষায়)। ২০১০-০৪-২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৫-০২।
- ↑ "Declaration of Independence"। TIME। ১৯ আগস্ট ১৯৬৬। ২০১০-১১-০৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০০৮।
- ↑ Scofield, David (৪ জানুয়ারি ২০০৫)। "Seoul's double-talk on reunification"। Asia Times। ১৯ এপ্রিল ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০০৮।
- ↑ Lee, Meifang "Minister announces resumption of diplomatic ties with Nauru" ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৮ অক্টোবর ২০১১ তারিখে Taiwan Today 2005-05-20 Retrieved 2011-04-29
- ↑ "Kiribati president upbeat on conference, Taiwan" Radio Australia 21 June 2010 Retrieved 2011-04-29
- ↑ Crocombe, Ron Asia in the Pacific Islands: Replacing the West University of the South Pacific. Institute of Pacific Studies 2007 p. 258 Online version available at Google Books
- ↑ "Looking East: China-Africa Engagements Liberia Case Study" African Center for Economic Transformation, Monrovia December 2009
- ↑ Chiu, Hungdah "The International Legal Status of the Republic of China (Revised Version)" Occasional Papers/Reprints Series in Contemporary Asian Studies Number 5 - 1992 (112), School of Law, University of Maryland আইএসবিএন ০-৯২৫১৫৩-২৩-০
- ↑ "Constitution of the People's Republic of China"। International Human Rights Treaties and Documents Database। ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০০৮।
- ↑ Government of Israel (১৪ মে ১৯৪৮)। "Declaration of Israel's Independence 1948"। Yale University। সংগ্রহের তারিখ ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০০৮।
- ↑ United States Congress (৫ জুন ২০০৮)। "H. RES. 1249" (পিডিএফ)।
- ↑ "'Reply' Online Book Chapter 1"। Mythsandfacts.org। ২৭ জুলাই ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জুন ২০১০।
- ↑ "Khartoum Resolution"। Council on Foreign Relations। ৫ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ মার্চ ২০১৭।
- ↑ Government of Israel। "Israel's Diplomatic Missions Abroad: Status of relations"। Ministry of Foreign Affairs। সংগ্রহের তারিখ ৪ এপ্রিল ২০১১।
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনা
উদ্ধৃতি ত্রুটি: "Note" নামক গ্রুপের জন্য <ref>
ট্যাগ রয়েছে, কিন্তু এর জন্য কোন সঙ্গতিপূর্ণ <references group="Note"/>
ট্যাগ পাওয়া যায়নি