কেন আর্চার
কেনেথ কেন অ্যালেন আর্চার, এএম (ইংরেজি: Ken Archer; জন্ম: ১৭ জানুয়ারি, ১৯২৮) কুইন্সল্যান্ডের ইয়ারংপিলি এলাকায় জন্মগ্রহণকারী প্রথিতযশা ও সাবেক অস্ট্রেলীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৫০ থেকে ১৯৫১ সময়কালে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।[১]
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | কেনেথ অ্যালেন আর্চার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | ইয়ারংপিলি, কুইন্সল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া | ১৭ জানুয়ারি ১৯২৮|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি অফ ব্রেক | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | ব্যাটসম্যান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
সম্পর্ক | রন আর্চার (ভ্রাতা) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ১৮৬) | ২২ ডিসেম্বর ১৯৫০ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ৩০ নভেম্বর ১৯৫১ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৪৬ - ১৯৫৬ | কুইন্সল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২৫ জুলাই ২০১৯ |
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটে কুইন্সল্যান্ড দলের প্রতিনিধিত্ব করেন কেন আর্চার। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, ডানহাতে অফ ব্রেক বোলিংয়ের পাশাপাশি মাঝে-মধ্যে উইকেট-রক্ষকের দায়িত্ব পালন করতেন।
প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট
সম্পাদনাঅ্যাংলিকান চার্চ গ্রামার স্কুলে অধ্যয়ন করেন।[২] ১৯৪৬-৪৭ মৌসুম থেকে ১৯৫৬-৫৭ মৌসুম পর্যন্ত কেন আর্চারের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ১৯৪৬-৪৭ মৌসুম থেকে ১৯৫৬-৫৭ মৌসুম পর্যন্ত ১০ বছর কুইন্সল্যান্ডের সদস্যরূপে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলেছেন।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট
সম্পাদনাসমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে পাঁচটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন কেন আর্চার। ২২ ডিসেম্বর, ১৯৫০ তারিখে মেলবোর্নে সফরকারী ইংল্যান্ড দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ৩০ নভেম্বর, ১৯৫১ তারিখে সিডনিতে সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।
১৯৪৯-৫০ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়া দলের সাথে দক্ষিণ আফ্রিকা গমন করেন। কিন্তু, টেস্টে অংশগ্রহণের সুযোগ হয়নি তার। দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে ২৪ ইনিংসে ৮২৬ রান তুলেছিলেন। উপর্যুপরি ছয় টেস্টে দ্বাদশ ব্যাটসম্যান হিসেবে দলে থাকেন। অবশেষে, ১৯৫০-৫১ মৌসুমের অ্যাশেজ সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে মেলবোর্নে অভিষেক ঘটে তার। অভিষেকে টেস্টে ২৬ ও ৪৬ রান তুলেন। ঐ খেলায় ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়া ২৮ রানে জয় পেয়েছিল। ফলশ্রুতিতে, পরবর্তী দুই টেস্টে খেলার সুযোগ পান। খেলায় তিনি মাঝারিমানের সফলতা পান। তাসত্ত্বেও, সিডনিতে তৃতীয় ও অ্যাডিলেড ওভালের চতুর্থ টেস্টে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছিলেন। এরপর তাকে দলের বাইরে রাখা হয়। ১৯৫১-৫২ মৌসুমে সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের বিপক্ষে আরও দুই টেস্টে অংশ নেন। এরপর আর তাকে টেস্ট ক্রিকেট আঙ্গিনায় খেলতে দেখা যায়নি।
১৯৫৪ সালে ল্যাঙ্কাশায়ার লীগে অ্যাক্রিংটনের পক্ষে পূর্ণাঙ্গ মৌসুম খেলে ৯৩.০০ গড়ে ১১৭৬ রান তুলেছিলেন।
সম্মাননা
সম্পাদনা২৬ জানুয়ারি, ১৯৮০ তারিখে গণমাধ্যমে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালনের স্বীকৃতিস্বরূপ মেম্বার অব দি অর্ডার অব অস্ট্রেলিয়া উপাধিতে ভূষিত হন।[৩] ১৪ জুলাই, ২০০০ তারিখে ক্রিকেট খেলায় অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ অস্ট্রেলীয় স্পোর্টস পদকে লাভ করেন।[৪]
সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সালে লেন মাডকসের দেহাবসানের পর অস্ট্রেলিয়ার বয়োঃজ্যেষ্ঠ জীবিত টেস্ট ক্রিকেটারের সম্মাননা লাভ করে আসছেন।[৫]
ব্যক্তিগত জীবন
সম্পাদনাতার কনিষ্ঠ ভ্রাতা রন আর্চার ১৯৫৩ থেকে ১৯৫৬ সাল পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে ১৯ টেস্টে অংশগ্রহণ করেছিলেন। এছাড়াও, ব্যতিক্রমধর্মী ফিল্ডার হিসেবেও সুনাম ছিল কেন আর্চারের। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পেশাদারী পর্যায়ে বেসবল খেলার প্রস্তাবনা পান। তবে তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেন।
খেলোয়াড়ী জীবনের শুরুরদিকে বিজ্ঞান শিক্ষক হিসেবে কাজ করতেন।[৬] পরবর্তীকালে ১৯৫৪ সালে বব হাইন্স ব্রিসবেনেভিত্তিক বেতার কেন্দ্র ফোরবিসিতে তাকে নিযুক্ত করেন। এরপর তিনি কমনওয়েলথ ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশনে থাকাবস্থায় হাইন্সের প্রধান চালিকাশক্তিতে পরিণত হন। এ প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী হিসেবে স্থলাভিষিক্ত হন।[৭]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "Australia – Test Batting Averages"। ESPNCricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জুলাই ২০১৯।
- ↑ Mason, James (২০১১)। Churchie: The Centenary Register। Brisbane, Australia: The Anglican Church Grammar School। আইএসবিএন 978-0-646-55807-3।
- ↑ "Ken Archer AM"। Department of the Prime Minister and Cabinet। ৪ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ জানুয়ারি ২০১২।
- ↑ "Ken Archer"। Department of the Prime Minister and Cabinet। ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ জানুয়ারি ২০১২।
- ↑ "Former Australia wicketkeeper Len Maddocks dies at 90"। ESPNcricinfo। ESPN Sports Media। ২ সেপ্টেম্বর ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ২ সেপ্টেম্বর ২০১৬।
- ↑ Coverdale, Brydon (১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭)। "Archer's other arrows"। The Cricket Monthly।
- ↑ http://adb.anu.edu.au/biography/hynes-sir-lincoln-carruthers-10585
আরও দেখুন
সম্পাদনাবহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- ইএসপিএনক্রিকইনফোতে কেন আর্চার (ইংরেজি)
- ক্রিকেটআর্কাইভে কেন আর্চার (সদস্যতা প্রয়োজনীয়) (ইংরেজি)