জো অ্যাঞ্জেল
জো অ্যাঞ্জেল (ইংরেজি: Jo Angel; জন্ম: ২২ এপ্রিল, ১৯৬৮) ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার মাউন্ট ললি এলাকায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক অস্ট্রেলীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৯০-এর দশকের শুরুরদিকে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।
ব্যক্তিগত তথ্য | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | জো অ্যাঞ্জেল | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | মাউন্ট ললি, ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া | ২২ এপ্রিল ১৯৬৮||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উচ্চতা | ১.৯৮ মিটার (৬ ফুট ৬ ইঞ্চি) | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | বামহাতি | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি ফাস্ট | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | বোলার | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ৩৫৫) | ৩০ জানুয়ারি ১৯৯৩ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ৩ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৫ বনাম ইংল্যান্ড | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ১১৮) | ১৩ সেপ্টেম্বর ১৯৯৪ বনাম শ্রীলঙ্কা | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ২২ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৫ বনাম ভারত | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৯১/৯২-২০০৩/০৪ | ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০২ | গ্লুচেস্টারশায়ার | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ১৮ জুলাই ২০২০ |
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটে ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া ও ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে গ্লুচেস্টারশায়ার দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ফাস্ট বোলার হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, বামহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিং করতেন তিনি।
প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট
সম্পাদনাপশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার মাউন্ট ললি এলাকায় জো অ্যাঞ্জেলের জন্ম। ১৯৯১-৯২ মৌসুম থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত জো অ্যাঞ্জেলের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। ওয়াকা মাঠে প্রতিপক্ষের ত্রাস হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। বিশাল দেহের অধিকারী ও ৬ ফুট ৬ ইঞ্চি (১৯৮ সেমি) উচ্চতাবিশিষ্ট তিনি।
সর্বমোট ৪৮৫টি প্রথম-শ্রেণীর উইকেট লাভ করেছেন। তন্মধ্যে, ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে ঘরোয়া ক্রিকেটে লাভ করেছেন ৪৪৫টি।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট
সম্পাদনাসমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে চারটিমাত্র টেস্ট ও তিনটিমাত্র একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশগ্রহণ করেছেন জো অ্যাঞ্জেল। ৩০ জানুয়ারি, ১৯৯৩ তারিখে পার্থে সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ৩ ফেব্রুয়ারি, ১৯৯৫ তারিখে একই মাঠে সফরকারী ইংল্যান্ড দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।
১৯৯৩ সালে ওয়াকা গ্রাউন্ডে সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয় তার। নিজস্ব দ্বিতীয় ওভারের শর্ট বলে ডেসমন্ড হেইন্সের মুখে আঘাত করলে জোরপূর্বক রিটায়ার হার্ট হন।[১][২] কিন্তু, ৮০ রান করা ফিল সিমন্স ও রিচি রিচার্ডসনের ব্যাটিং তাণ্ডবের শিকারে পরিণত হন। দুই বছর পর পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলার জন্যে তাকে পুনরায় অস্ট্রেলিয়া দলে ফিরিয়ে আনা হয়। ইনজামামাম-উল-হককে বিদেয় করেন। তবে, শেষ উইকেটের দৃঢ়তায় পরাজিত হয়। এরপর আর তাকে খেলানো হয়নি ও ঐ মৌসুমেই তার টেস্ট খেলোয়াড়ী জীবনের ইতি ঘটে।
১৯৯৪ সালে শ্রীলঙ্কা গমন করেন। সিঙ্গার কাপ একদিনের প্রতিযোগিতায় অন্যান্য অস্ট্রেলীয় পেসার গরমে নাকানিচুবানি ও ধীরগতিসম্পন্ন পিচে নিজেদেরকে মেলে ধরতে ব্যর্থ হলেও তিনি কিছুটা সফলতা পেয়েছিলেন। তবে, খেলায় তিনি ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে পারেননি ও এরপর দলের বাইরে যেতে বাধ্য হন।
অবসর
সম্পাদনাআন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রত্যাখ্যাত হলেও ঘরোয়া ক্রিকেটে দূর্দান্ত খেলেন। ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার বোলিং আক্রমণে নেতৃত্ব দেন ও রেকর্ডসংখ্যক উইকেট লাভ করেন। ২৮ জুলাই, ২০০০ তারিখে ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার সর্বকালের সেরাদের তালিকায় চতুর্থ শীর্ষস্থানীয় উইকেট লাভের স্বীকৃতিস্বরূপ অস্ট্রেলিয়ান স্পোর্টস মেডেল পুরস্কার লাভ করেন।[৩] একমাত্র বোলার হিসেবে শেফিল্ড শিল্ডে রাজ্য দলের পক্ষে চার শতাধিক উইকেট পেয়েছেন। সবমিলিয়ে ৪১৯ উইকেট দখল করেন। এ সংখ্যাটি ক্ল্যারি গ্রিমেটের ৫১৩ উইকেট লাভের পর শেফিল্ড শিল্ডের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। ৫ জানুয়ারি, ২০০৩ তারিখে কুইন্সল্যান্ডের বিপক্ষে খেলার দ্বিতীয় দিন মধ্যাহ্নভোজনের পূর্বে মাইকেল কাসপ্রোভিচকে আউট করে নিজস্ব ৪০০তম উইকেটের সন্ধান পান। ঐ ইনিংসে তিনি ৬/৩৫ লাভ করেন। ৪১৯ উইকেট লাভের পাশাপাশি প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে আরও ২৬ উইকেট পেয়ে নিজ সংগ্রহকে ৪৪৫-এ নিয়ে যান।[৪][৫]
খেলোয়াড়ী জীবনের শেষ মৌসুমগুলোয় আঘাত তার নিত্যসঙ্গী ছিল। তাসত্ত্বেও, ২০০৩-০৪ মৌসুমে অবসর গ্রহণের পূর্ব-পর্যন্ত নিজ রাজ্য দলের অন্যতম প্রধান চালিকাশক্তির ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। এ প্রসঙ্গে তিনি মন্তব্য করেন যে, মানসিকভাবে দৃঢ় হলেও শারীরিক কারণে তাকে খেলার জগৎ থেকে বিদেয় নিতে হচ্ছে।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "Jo Angel"। ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৪-১৪।
- ↑ Ray, Mark (৩১ জানুয়ারি ১৯৯৩)। "Farewell to the series" । The Age (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৪-১৪ – Newspapers.com-এর মাধ্যমে।
- ↑ "Jo Angel"। Department of the Prime Minister and Cabinet। ৪ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ জানুয়ারি ২০১২।
- ↑ "Sheffield Shield - Records - Most Wickets"। ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৪-১৪।
- ↑ "First-class Bowling For Each Team by Jo Angel" । CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৪-১৪।
আরও দেখুন
সম্পাদনাবহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- ইএসপিএনক্রিকইনফোতে জো অ্যাঞ্জেল (ইংরেজি)
- ক্রিকেটআর্কাইভে জো অ্যাঞ্জেল (সদস্যতা প্রয়োজনীয়) (ইংরেজি)