তুর্কমেনিস্তানের জাতীয় পতাকা
তুর্কমেনিস্তানের জাতীয় পতাকা নির্বাচিত হয় ২৪ জানুয়ারি, ২০০১। বিশ্বের সবচেয়ে কারুকার্য মণ্ডিত পতাকা হিসাবে সাধারণত একে চিহ্নিত করা হয়।
সবুজ পটভূমির এই পতাকার বাম দিকে (Hoist side) উলম্বিকভাবে লাল ডোরা রয়েছে। ডোরার মধ্যে গালিচায় ব্যবহৃত নকশা (পাঁচটি) এবং নিচের দিকে জাতিসংঘের পতাকার মতো জলপাই গাছের শাখা রয়েছে; সবুজ পটভূমির উপর একটি সাদা রঙের বর্ধিষ্ণু বাঁকা চাঁদ রয়েছে, যা তুর্কিদের (Turkic Peoples) বৈশিষ্ট্যমূলক প্রতীকস্বরূপ। এর ঠিক উপরে কোনায় লাল ডোরার পাশে পাঁচটি পঞ্চ-বিন্দু তারা (Five-pointed star) অবস্থিত।
সবুজ ও লাল রঙের প্রতি তুর্কিদের দীর্ঘ সময়ের অনুরাগ পতাকার রঙে প্রতিফলিত হয়েছে। বর্ধিষ্ণু বাঁকা চাঁদ দেশের উজ্জ্বল সম্ভাবনা এবং তারাসমূহ তুর্কমেনিস্তানের পাঁচটি প্রদেশ আহাল (Ahal Province), বলকান (Balkan Province), দাসোগুজ (Daşoguz Province), লেবাপ (Lebap Province) ও মেরী প্রদেশের (Mary Province)প্রতিনিধিত্ব করে।
পাঁচটি ঐতিহ্যবাহী গালিচার নকশা রাষ্ট্রীয় প্রতীক ও পতাক্য পাঁচটি প্রধান উপজাতি গোষ্ঠীর সংস্কৃতির পরিচায়ক। এই উপজাতির ঐতিহ্যবাহী ক্রম (উপর থেকে নিচ) হচ্ছে টেকে (টেক্কে), ইয়োমুট (ইয়োমুদ), আরসারি (এরসারি), চৌদুর (চোদুর) এবং সেরিক (সেরিক্ব্) (ইংরেজিতে:Teke (Tekke), Yomut (Yomud), Arsary (Ersary), Chowdur (Choudur), and Saryk (Saryq))। স্যালির (স্যালর) গোষ্ঠী যারা আধুনিক যুগের কিছু পূর্বে যুদ্ধে পরাজিত হয় তারা সহ অন্যান্য ছোট উপজাতি ও গোষ্ঠী সমূহকে তুলে ধরা হয়নি
পতাকার অন্যতম বিষম অংশটি হচ্ছে জলপাইয়ের মালা, যা ঐতিহ্যবাহী গালিচার নকশাকে লঙ্ঘন করে যোগ করা হয়েছে। ১৯৯৫ সালের ১২ই ডিসেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী স্থায়ী নিরপেক্ষতার প্রতীক স্বরূপ এটি গৃহীত হয়।
১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন হতে স্বাধীনতা লাভের পূর্বে তুর্কমেনিস্তানের পতাকা সোভিয়েত প্রজাতন্ত্রের অন্যান্য পতাকার সদৃশ ছিল। স্বাধীনতা লাভের পর ১৯৯২ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি তুর্কমেনিস্তানের জন্য অনেকটা বর্তমান নকশার মতো পতাকা নির্বাচন করা হয়, যার বাম দিকের নকশা ছিল ভিন্নতর। ২০০১ সালে বর্তমান নকশা প্রতিষ্ঠিত হওয়ার আগে ১৯৯৭ সালে আর এক দফা নকশা পরিবর্তন করা হয়।