ধনুষ্কোড়ি
ধনুষ্কোড়ি ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যের পাম্বন দ্বীপের দক্ষিণ-পূর্ব প্রান্তে একটি পরিত্যক্ত শহর । [১] এটি পাম্বনের দক্ষিণ-পূর্ব এবং প্রায় ২৪ কিলোমিটার (১৫ মা) শ্রীলঙ্কার তালাইমান্নারের পশ্চিমে। শহরটি ১৯৬৪ সালের রামেশ্বরম ঘূর্ণিঝড়ের সময় ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল এবং পরে জনবসতিহীন রয়ে গেছে। আজ ধনুষ্কোটিতে দিনের বেলায় শুধুমাত্র কিছু বিক্রেতা এবং রেস্তোরাঁ দেখা যায় এবং দীর্ঘ ধ্বংস হওয়া শহরের ধ্বংসাবশেষ আছে।
ধনুষ্কোড়ি | |
---|---|
জনশূন্য শহর | |
ডাকনাম: রামসেতু | |
ধনুষ্কোড়ির অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ৯°০৯′০৭″ উত্তর ৭৯°২৬′৪৫″ পূর্ব / ৯.১৫২০১১° উত্তর ৭৯.৪৪৫৮৫১° পূর্ব | |
দেশ | ভারত |
রাজ্য | তামিলনাড়ু |
জেলা | রামনাথপুরম |
ধ্বংসপ্রাপ্ত | ১৯৬৪ |
উচ্চতা | ০ মিটার (০ ফুট) |
টেলিফোন কোড | +০৪৫৬৭ |
ইতিহাস
সম্পাদনাধনুষ্কোড়িতে ১৯৬৪ সালে প্রাকৃতিক বিপর্যয় ঘটে এবং একসময়ের সমৃদ্ধিশালী শহর, পোতাশ্রয় ও তীর্থস্থান, ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়। তার সমসময়ে স্থানটিতে রামেশ্বরমের সমান জনসংখ্যা ছিল। ওই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে স্থানটি পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যায়, ২০০০ মানুষের মৃত্যু ঘটে এবং সমস্ত রকম শক্তি সরবরাহ ও যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে যায়। ঘরবাড়ি, মন্দির, গির্জা ও ধর্মশালা সবকিছু ধূলিস্যাৎ হয়ে যায় ও একটি ভূতের শহরে পরিণত হয়। কিছু ধর্মশালা রামেশ্বরমে স্থানান্তরিত করা হয়। কিন্তু ধনুষ্কোড়িকে পুননির্মাণ করা যায়নি। সাইক্লোনের পূর্বে ধনুষ্কোড়ি রেলের মাধ্যমে মূল ভূখণ্ড ও পমবনের সাথে সুসংযোজিত ছিল। ধনুষ্কোড়ি রেলওয়ে স্টেশনটি এখনও বর্তমান এবং এটিই স্থানটিকে ভূতুড়ে শহরে পরিণত করেছে।