উচ্চিংড়ে
উচ্চিংড়ে বা ঘুর্ঘরে পোকা ইংরেজি: cicadas (/sɪˈkɑːdə/ বা /sɪˈkeɪdə/) হল হেমিপ্টেরা পতঙ্গ বর্গের সাইকাডোইডি পর্বের বড় একটি গোত্র। এই গোত্রটিকে ইংরেজিতে ট্রু বাগ বা আসল পোকা নামেও জানা যায়। এরা Auchenorrhyncha'র উপবর্গের, এবং [ক] ছোট ঝাপ দেওয়া পতঙ্গেও আছে যেমন লিফহফার এবং ফ্রগহফার। অস্ট্রেলিয়ায় এটি টেটিগারকটিডা'য় ভাগ হয়েছে দুটি প্রজাতিতে এবং সাইকাডিডায় সারা পৃথিবীর ১৩০০ প্রজাতি আছে। এছাড়াও আরো প্রজাতি রয়েছে।
সাইকাডা | |
---|---|
Annual cicada, Neotibicen linnei | |
Calling song of Magicicada cassini | |
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস | |
Families | |
উচ্চিংড়ের প্রধান চোখ জোড়া মাথার দুপাশে অবস্থিত, ছোট এ্যান্টেনা এবং সামনে পাখা আছে। তারা বিশেষভাবে উচ্চ শব্দে গান করে থাকে। এটি stridulation কারণে হয় না, বরং তাদের ড্রামের মত tymbal গুলো দ্রুতির ফলে এই শব্দ হয়। এদের সবচেয়ে পুরনো ফসিল Cicadomorpha দেখা গেছে আপার পারমিয়ান পিরিয়ডে। এদের গ্রীষ্মপ্রধান অঞ্চল থকে শুরু করে নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলে দেখা যায়। এরা সাধারণত গাছে বাস করে, গাছের রস খায় এবং বাকলের ফাটলে ডিম পাড়ে। বেশিরভাগ উচ্চিংড়ে লুকিয়ে থাকতে পছন্দ করে, তারা শত্রুদের চোখ এড়াতে রাতে গান গায়। পিরিয়ডিক উচ্চিংড়ে'রা তাদের জীবনের বেশির ভাগ সময়ই লুকিয়ে থাকে। এরা উঠে আসে শুধুমাত্র ১৩ বা ১৭ বছর (মৌলিক নম্বর)পরে। এর ফলে তাদের খাদকেরা না খেয়ে থাকে এবং তারা যখন উঠে আসে তখন বিশাল পরিমানে এক সঙ্গে উঠে, যার ফলে তাদের বেচে থাকা খাদকরা তৃপ্তি করে খেতে পারে। বার্ষিক উচ্চিংড়েরা প্রতি বছর উঠে আসে। এরা ১ থেকে ৯ বা তার বেশি বছর বাচে। যদিও এসব উচ্চিংড়েরা জীবন চক্রের বেশিরভাগ লার্ভা হিসেবে মাটির নিচে কাটায়। পূর্নাঙ্গ পোকা হবার পর এরা মাটির উপর উঠে আসে।[১]
শব্দ উৎপত্তি
সম্পাদনানামটি লাতিন cicada থেকে সরাসরি নেয়া হয়েছে, যার অর্থ "গাছের ফড়িং"।[২][খ]
জীববিদ্যা
সম্পাদনাবর্ণনা
সম্পাদনাউচ্চিংড়ে হল বড় পতঙ্গ। এদের পুরুষদের ডাকের জন্য এরা সবার দৃষ্টি আর্কষন করে। এদের বৈশিষ্ট্যের মধ্যে আছে তিন সন্ধি বিশিষ্ট টারসি পদ এবং চৌঙ আকৃতির ছোট এ্যান্টেনা যাতে আবার তিন থেকে ছয় ভাগ রয়েছে। অগ্রভাগে এতে আরো আছে একটি সিটা (Seta) [৩] অকেনোরঙ্কা (Auchenorrhyncha) অন্য হেমিপ্টেরানদের থেকে আলাদা কারণ তাদের রস্ট্রাম রয়েছে যা মাথার posteroventral থেকে হয়। আরো রয়েছে জটিল শব্দ উৎপাদনকারী ঝিল্লি, জোড়া পাখনার একটি কার্য প্রণালী যাতে উপরের পাখনার পেছনের দিকে রয়েছে নিম্ন মুখি ঝালর এবং পেছনের পাখনায় সম্মুখ মুখী ঝাপটা দেয়া যায় এমন প্রসারণী পাখনা। অকেনোরঙ্গা বর্গের অন্যান্যদের মত উচ্চিংড়ে ঝাপ দিতে পারে না। অন্য আরেকটি বৈশিষ্ট্য হল মাটি গর্তে থাকার জন্য অপরিণত উচ্চিংড়ের সম্মুখ দিকের দেহ প্রত্যঙ্গ অভিযোজন।
পরিণত বয়স্ক উচ্চিংড়ে কে ইমাগো হিসেবে ডাকা হয়। এরা ২ থেকে ৫ সেন্টিমিটার (১–২ ইঞ্চি) লম্বা হয় যদিও সবচেয়ে বড় উচ্চিংড়ে, empress cicada (Megapomponia imperatoria), লম্বায় প্রায় ৭ সেন্টিমিটার (২.৮ ইঞ্চি), এবং এর পাখনার দৈর্ঘ্য ১৮ থেকে ২০ সেন্টিমিটার (৭–৮ ইঞ্চি)।[৪][৫] এদের প্রধান চোখ জোড়া মাথায় বেশ দূরে দূরে অবস্থান করে পরস্পর থেকে। ছোট এ্যান্টেনা তাদের দুই চোখের মধ্যভাগে থাকে। এদের মাথার একেবারে মধ্যবর্তী স্থানে ছোট ছোট তিনটি চোখ এক সাথে ত্রিভুজআকৃতি নিয়ে থাকে। এদের ওসিলি ocelli বলা হয়। এই বৈশিষ্ট্যের জন্য হেমিপ্টেরার অন্য সদস্যদের থেকে উচ্চিংড়ে আলাদা। মুখের অংশ লম্বা ধারালো হয় যাকে রস্ট্রাম বলে, এটি তারা গাছের মধ্যে প্রবেশ করে খাবার খায়।[৬] দুই চোখের মাঝখান থেকে নিচের দিকের অংশটি নাকের মত দেখতে যা মাথার প্রায় পুরোটা জুড়ে আছে একে ক্লিপাস Clypeus বলে। এই অংশে সঞ্চালন পেশী কোষ থাকে।[৭]
টীকা
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ Fitzgerals, Kevin (মার্চ ২২, ২০১৬)। "How Do Cicadas Know When to Emerge from the Ground?"। Entomology Today। সংগ্রহের তারিখ জুলাই ২৪, ২০১৭।
- ↑ Garmin, Harrison (২৩ মে ১৯০৩)। Agricultural Experiment Station: 17-year locusts in Kentucky (Bulletin No. 107 সংস্করণ)। Lexington. Kentucky: State College of Kentucky। পৃষ্ঠা 89।
- ↑ উদ্ধৃতি ত্রুটি:
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়;Cuvier
নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি - ↑ উদ্ধৃতি ত্রুটি:
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়;Burton2002
নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি - ↑ Flindt, R. (2006). Amazing Numbers in Biology, p. 10. আইএসবিএন ৯৭৮-৩-৫৪০-৩০১৪৬-২
- ↑ উদ্ধৃতি ত্রুটি:
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়;Capinera
নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি - ↑ Moulds, Maxwell Sydney (১৯৯০)। Australian Cicadas। New South Wales University Press। পৃষ্ঠা 10। আইএসবিএন 0-86840-139-0।
আরো পড়ুন
সম্পাদনা- Clausen, Lucy W. (১৯৫৪)। Insect Fact and Folklore। Macmillan।
- Egan, Rory B. (১৯৯৪)। "Cicada in Ancient Greece"। ১০ নভেম্বর ২০০৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ ডিসেম্বর ২০০৬।
- Hoppensteadt, Frank C; Keller, Joseph B (১৯৭৬)। "Synchronization of periodical cicada emergences" (পিডিএফ)। Science। Pitt। 194 (4262): 335–37। ডিওআই:10.1126/science.987617। পিএমআইডি 987617। বিবকোড:1976Sci...194..335H। ৯ নভেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল (PDF) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ ডিসেম্বর ২০১৭।
- Myers, JG (১৯২৯)। Insect Singers: A Natural History of the Cicadas। Routledge।
- Ramel, Gordon (২০০৫)। "The Singing Cicadas"। Earth life। সংগ্রহের তারিখ জানুয়ারি ৩১, ২০০৭।
- Riegel, Garland (নভেম্বর ১৯৯৪)। Cicada in Chinese Folklore। Melsheimer Entomological Series। Bug bios। ১০ নভেম্বর ২০০৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ ডিসেম্বর ২০০৬।
- Walker, Annette (২০০০)। The Reed Handbook of Common New Zealand Insects। Reed। আইএসবিএন 0-7900-0718-5।
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- Cicada Mania Website dedicated to cicadas, the most amazing insects in the world
- Massachusetts Cicadas describes behavior, sightings, photos, how to find guide, videos, periodical and annual cicada species information and distribution maps
- Magicicada.org Brood mapping project – solicits records and observations from the general public ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৮ আগস্ট ২০১০ তারিখে
- Song recordings and information of cicadas of the United States and Canada
- Cicadas of Florida, Neocicada hieroglyphica, Tibicen, Diceroprocta and Melampsalta spp. at University of Florida / IFAS Featured Creatures
- College of Mt Saint Joseph Cicada Information Site; Greater Cincinnati Cicada Information & Teaching Resources ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৬ এপ্রিল ২০১৩ তারিখে
- DrMetcalf: a resource on cicadas, leafhoppers, planthoppers, spittlebugs, and treehoppers