কাস্পিয়ান সাগর
কাস্পিয়ান সাগর আয়তনে অনুসারে পৃথিবীর বৃহত্তম আবদ্ধ জলাশয়। একে পৃথিবীর বৃহত্তম হ্রদ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে যার আয়তন একটি সম্পূর্ণ সাগরের সমান। এ সাগর এশিয়া ইউরোপের মাঝে, ককেসাস পর্বতমালার পূর্বে এবং স্তেপ ও মধ্য এশিয়ার পশ্চিমে অবস্থিত।এর পৃষ্ঠতলীয় ক্ষেত্রফল ৩৭১,০০০ বর্গ কিলোমিটার (১৪৩,২৪৪ বর্গ মাইল) (কারাবোগাজগল উপহ্রদ বাদে) এবং আয়তন ৭৮,২০০ ঘন কিলোমিটার (১৮,৭৬১ ঘন মাইল)।এর লবণাক্ততা প্রায় ১.২% (১২গ্রাম/লিটার) যা অন্যান্য সাগরের এক তৃতীয়াংশ।
কাস্পিয়ান সাগর | |
---|---|
স্থানাঙ্ক | ৪১°৪০′ উত্তর ৫০°৪০′ পূর্ব / ৪১.৬৬৭° উত্তর ৫০.৬৬৭° পূর্ব |
ধরন | প্রাচীন হ্রদ, নির্গমনহীন অববাহিকা |
প্রাথমিক অন্তর্প্রবাহ | ভলগা নদী , উরাল নদী , কুরা নদী , টেরেক নদী |
প্রাথমিক বহিঃপ্রবাহ | বাস্পীভবন, কারা-বগাজ-গল |
অববাহিকা | ৩৬,২৬,০০০ কিমি২ (১৪,০০,০০০ মা২)[১] |
অববাহিকার দেশসমূহ | আজারবাইজান, ইরান, কাজাখস্তান, রাশিয়া, তুর্কমেনিস্তান |
সর্বাধিক দৈর্ঘ্য | ১,০৩০ কিমি (৬৪০ মা) |
সর্বাধিক প্রস্থ | ৪৩৫ কিমি (২৭০ মা) |
পৃষ্ঠতল অঞ্চল | ৩,৭১,০০০ কিমি২ (১,৪৩,২০০ মা২) |
গড় গভীরতা | ২১১ মি (৬৯০ ফু) |
সর্বাধিক গভীরতা | ১,০২৫ মি (৩,৩৬০ ফু) |
পানির আয়তন | ৭৮,২০০ কিমি৩ (১৮,৮০০ মা৩) |
বাসস্থান সময় | ২৫০ বছর |
উপকূলের দৈর্ঘ্য১ | ৭,০০০ কিমি (৪,৩০০ মা) |
পৃষ্ঠতলীয় উচ্চতা | −২৮ মি (−৯২ ফু) |
দ্বীপপুঞ্জ | 26+ |
জনবসতি | বাকু (আজারবাইজান ), রাশ্ত (ইরান), আকটাও (কাজাখস্তান), মাখাচকালা (রাশিয়া), তুর্কমেনব্যাসি (তুর্কমেনিস্তান) (see article) |
তথ্যসূত্র | [১] |
১ উপকূলের দৈর্ঘ্য ভাল সংজ্ঞায়িত পরিমাপ হয়নি। |
এটি উত্তরে কাজাখস্তান, পশ্চিমে আজারবাইজান,দক্ষিণে ইরান এবং দক্ষিণ-পূর্বে তুর্কমেনিস্তান ঘিরে আছে।কাস্পিয়ান সাগর সামুদ্রিক মাছের ডিম ও তেল শিল্পের জন্য অধিক পরিচিত।তবে তেল শিল্পের বর্জ্য সাগরে ফেলার কারণে এখানকার জীবের উপর খারাপ প্রভাব পড়ছে। কাস্পিয়ান সাগর উত্তর থেকে দক্ষিণে প্রায় ১,২০০কিমি (৭৫০মাইল) জুড়ে বিস্তৃত, এর গড় প্রশস্ততা ৩২০কিমি (২০০মাইল)।এছাড়া এর পানির পৃষ্ঠ সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ২৭মিটার (৮৯ ফুট) নীচু এবং দক্ষিণাংশের সমুদ্রতল সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১,০২৩মিটার (৩,৩৫৬ ফুট) নীচু।
কাস্পিয়ান চুক্তি
সম্পাদনাসম্প্রতি কাস্পিয়ান সাগরের ‘আইনগত অবস্থান’ নিয়ে ইরান, রাশিয়া, কাজাখস্তান, তুর্কমেনিস্তান ও আজারবাইজান এ সম্পর্কিত একটি চুক্তি সই করে। ইরানের সাবেক শাসক শতকরা ১১ ভাগ সম্পদ নিয়ে সন্তুষ্ট ছিল কিন্তু ইসলামি প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় তেহরান তা কখনো মেনে নেয়নি। মধ্যপ্রাচ্যের কাস্পিয়ান সাগরের ২০ ভাগ সম্পদের মালিকানা পাচ্ছে ইরান।
সম্প্রতি সই হওয়া চুক্তিতে ২৪টি অনুচ্ছেদ রয়েছে যার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অনুচ্ছেদ হচ্ছে এই সাগরে বাইরের কোনো দেশের সামরিক উপস্থিতি থাকতে পারবে না।
এছাড়া এ সাগর দিয়ে বাইরে কোনো দেশ কোনো সামরিক সরঞ্জাম পরিবহন করতে পারবে না। পাশাপাশি সদস্য দেশগুলোর কেউ কাস্পিয়ান সাগরে অবস্থিত নিজেদের কোনো সামরিক ঘাঁটি বাইরের কোনো দেশের কাছে হস্তান্তর করতে পারবে না।[২]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ van der Leeden, Troise, and Todd, eds., The Water Encyclopedia. Second Edition. Chelsea F.C., MI: Lewis Publishers, 1990, p. 196.
- ↑ "সাগরের ২০ ভাগ"।