ব্রুস ফ্রেঞ্চ
ব্রুস নিকোলাস ফ্রেঞ্চ (ইংরেজি: Bruce French; জন্ম: ১৩ আগস্ট, ১৯৫৯) নটিংহ্যামশায়ারের মার্কেট ওয়ারসপ এলাকায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার।[১] ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৮৫ থেকে ১৯৮৮ সময়কালে ইংল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছিলেন।
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | ব্রুস নিকোলাস ফ্রেঞ্চ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | মার্কেট ওয়ারসপ, নটিংহ্যামশায়ার, ইংল্যান্ড | ১৩ আগস্ট ১৯৫৯|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ডাকনাম | ফ্রগ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | উইকেট-রক্ষক কোচ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
সম্পর্ক | এন ফ্রেঞ্চ (ভ্রাতা) জেটি বল (ভাইপো) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ৫১৭) | ১৯ জুন ১৯৮৬ বনাম ভারত | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ৩ মার্চ ১৯৮৮ বনাম নিউজিল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ৮০) | ২৭ জানুয়ারি ১৯৮৫ বনাম ভারত | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ১৯ মার্চ ১৯৮৮ বনাম নিউজিল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৭৬ – ১৯৯৫ | নটিংহ্যামশায়ার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৮৫ – ১৯৮৭ | মেরিলেবোন ক্রিকেট ক্লাব (এমসিসি) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ১২ এপ্রিল ২০১৯ |
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে নটিংহ্যামশায়ার দলের প্রতিনিধিত্ব করেছেন ‘ফ্রগ’ ডাকনামে পরিচিত ব্রুস ফ্রেঞ্চ। দলে তিনি মূলতঃ উইকেট-রক্ষক হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, ডানহাতে কার্যকরী ব্যাটিং করেছেন তিনি।
কাউন্টি ক্রিকেট
সম্পাদনাতার ভাইপো জ্যাক বল ইংল্যান্ডের পক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অংশ নিয়েছিলেন। ১৯৭৬ থেকে ১৯৯৫ সময়কালে নটিংহ্যামশায়ারের পক্ষে কাউন্টি ক্রিকেটে অংশ নিয়েছিলেন তিনি।
খেলোয়াড়ী জীবনের স্বর্ণালী সময়ে শীর্ষস্থানীয় উইকেট-রক্ষক হিসেবে পরিচিত ছিলেন। কিন্তু ব্যাটিংয়ে তেমন উন্নতি ঘটাতে পারেননি। বিখ্যাত ক্রিকেট লেখক কলিন বেটম্যান মন্তব্য করেন যে, উইকেট-রক্ষক হিসেবে ব্রুস ফ্রেঞ্চ তার দক্ষতার চূড়ান্ত পর্যায়ে উপনীত হয়েছিলেন।[১]
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট
সম্পাদনা১৯৮৬ সালে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেকের পূর্বেই দুইবার ইংল্যান্ড দলের সদস্যরূপে বহিঃবিশ্বে গমন করেছিলেন। তখন তিনি পল ডাউনটনের সহকারী হিসেবে দলে অন্তর্ভুক্ত হন। দলের নিয়মিত উইকেট-রক্ষক জ্যাক রাসেল আঙ্গুলে আঘাত পেলেই কেবল স্ট্যাম্পের পিছনে অবস্থান করার সুযোগ হয়েছিল ব্রুস ফ্রেঞ্চের।[১]
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে ষোলটি টেস্ট ও তেরোটি একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশগ্রহণের সুযোগ ঘটেছিল তার। ১৯ জুন, ১৯৮৬ তারিখে লিডসের হেডিংলিতে সফররত ভারতের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে ব্রুস ফ্রেঞ্চের। ১৯৮৬ সালে লর্ডসে অনুষ্ঠিত ইংল্যান্ড-নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার টেস্টের প্রথম ইনিংসে উইকেট-রক্ষকের দায়িত্ব পালনকালে ব্রুস ফ্রেঞ্চ আহত হলে আরও তিনজন উইকেট-রক্ষক - বিল অ্যাথে, বব টেলর, ববি পার্কসকে দায়িত্বভার নিতে হয়েছিল।
১৯৮৭ সালে ব্যাট হাতে দূর্দান্ত সফলতা পান। ওল্ড ট্রাফোর্ডে সফররত পাকিস্তানের বিপক্ষে অনুষ্ঠিত টেস্টে ৫৯ রান তুলেছিলেন। বৃষ্টিবিঘ্নিত ঐ টেস্টটি অবশ্য ড্রয়ে পরিণত হয়েছিল। ১৯৮৮ সালে ওয়েলিংটনে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নিয়েছিলেন তিনি।
সর্বমোট ষোল টেস্টে অংশ নিয়ে ১৮.১১ গড়ে ৩০৯ রান করতে সক্ষম হয়েছিলেন তিনি। এ সময়ে ৩৮ ক্যাচ ও একটি স্ট্যাম্পিং করেন।[১]
বিতর্কিত ভূমিকা
সম্পাদনাঅংশগ্রহণকৃত সফরগুলোয় মিশ্র অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন। তন্মধ্যে কুকুরের কামড় খেয়েছেন, অনুশীলনকালে দর্শকের ছোড়া বলে আঘাত পেয়েছেন ও হোঁচট খেয়ে গাড়ীর নিচে চাপা পড়ে চিকিৎসার্থে হাসপাতালে যেতে হয়েছিল তাকে।[২] এছাড়াও, পাকিস্তানে টেস্ট সফরকালীন জলে ডোবার হাত থেকে দুই কিশোরীকে উদ্ধারের মাধ্যমে জীবন রক্ষা করেছেন তিনি।[৩]
অবসর
সম্পাদনাটেস্ট খেলা থেকে দূরে সরে আসার পর ১৯৯০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় বিদ্রোহী দলের সাথে গমন করেছিলেন।[১] এক পর্যায়ে ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের উইকেট-রক্ষণে প্রশিক্ষকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। ইংরেজ উইকেট-রক্ষক ম্যাট প্রায়রকে সহায়তার হাত প্রশস্ত করেছিলেন।
পর্বতারোহণ করতে বেশ ভালোবাসেন তিনি।[১]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ Bateman, Colin (১৯৯৩)। If The Cap Fits। Tony Williams Publications। পৃষ্ঠা 71। আইএসবিএন 1-869833-21-X।
- ↑ "England rule the world"। ESPN Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ১৬ আগস্ট ২০১৭।
- ↑ "Bruce French: 10 interesting facts about the English wicketkeeper"। Cricket County। সংগ্রহের তারিখ ১৬ আগস্ট ২০১৭।
আরও দেখুন
সম্পাদনাবহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- ইএসপিএনক্রিকইনফোতে ব্রুস ফ্রেঞ্চ (ইংরেজি)
- ক্রিকেটআর্কাইভে ব্রুস ফ্রেঞ্চ (সদস্যতা প্রয়োজনীয়) (ইংরেজি)