ব্রুস ডুল্যান্ড
ব্রুস ডুল্যান্ড (ইংরেজি: Bruce Dooland; জন্ম: ১ নভেম্বর, ১৯২৩ - মৃত্যু: ৮ সেপ্টেম্বর, ১৯৮০) দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার কোয়ানডিলা এলাকায় জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত অস্ট্রেলীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তারকা ছিলেন। অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৪৭ থেকে ১৯৪৮ সময়কালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে অস্ট্রেলিয়া দলের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন। ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটে সাউথ অস্ট্রেলিয়া দলের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। দলে তিনি মূলতঃ অল-রাউন্ডারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। ডানহাতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি লেগ ব্রেক গুগলি বোলিং করতেন।
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | ব্রুস ডুল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | কোয়ানডিলা, দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়া, অস্ট্রেলিয়া | ১ নভেম্বর ১৯২৩|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
মৃত্যু | ৮ সেপ্টেম্বর ১৯৮০ বেডফোর্ড পার্ক, দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়া, অস্ট্রেলিয়া | (বয়স ৫৬)|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | লেগ ব্রেক ও গুগলি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | অল-রাউন্ডার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ১৭৪) | ১ জানুয়ারি ১৯৪৭ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ১ জানুয়ারি ১৯৪৮ বনাম ভারত | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৪৫–১৯৫৮ | সাউথ অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৫৩–১৯৫৭ | নটিংহ্যামশায়ার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ক্রিকইনফো, ১৩ ডিসেম্বর ২০১৮ |
টেস্ট ক্রিকেট
সম্পাদনা১৯৪০-এর দশকের শেষদিকে সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে তিনটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণের সুযোগ হয় তার। ১৯৪৬-৪৭ মৌসুমে ইংরেজ দল অ্যাশেজ সিরিজ খেলার জন্যে অস্ট্রেলিয়া গমন করে। মেলবোর্নে সিরিজের তৃতীয় টেস্টে খেলার জন্য দল নির্বাচকমণ্ডলী কর্তৃক আহুত হন। ঐ টেস্টে তিনি ৪/৬৯ ও ১/৮৪ লাভ করেন। উইকেটের এক প্রান্ত ধরে রেখে কলিন ম্যাককুলের একমাত্র টেস্ট সেঞ্চুরি হাঁকানোয় প্রভূতঃ অবদান রাখেন। মেলবোর্নের চতুর্থ টেস্টেও তাকে রাখা হয়। এবারো তিনি কিথ মিলারের অভিষেক শতক হাঁকানোয় প্রভূতঃ সহায়তা করেন। তবে খেলায় তিনি ১৯৮ রান খরচ করে মাত্র ৩ উইকেট পেয়েছিলেন। ফলশ্রুতিতে, জর্জ ট্রাইবকে প্রাধান্য দিয়ে তাকে দলের বাইরে রাখা হয়। ১৯৪৮ সালে ইংল্যান্ড গমনে ডগ রিং ও কলিন ম্যাককুলের ন্যায় লেগ স্পিন বোলারদেরকে অগ্রাধিকার দেয়ার ফলে তার টেস্ট খেলোয়াড়ী জীবনের সমাপ্তি ঘটে।
বিশ্বযুদ্ধে অংশগ্রহণ
সম্পাদনাদ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে অস্ট্রেলীয় কমান্ডো বাহিনীতে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।[১] যুদ্ধ শেষ হবার পর শেফিল্ড শিল্ড প্রতিযোগিতায় সাউথ অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেন। যুদ্ধ পরবর্তী সময়কালে অস্ট্রেলিয়ায় প্রথম হ্যাট্রিক লাভকারীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন।
ল্যাঙ্কাশায়ার লীগে অংশগ্রহণ
সম্পাদনাল্যাঙ্কাশায়ার লীগে খেলার জন্যে ইংল্যান্ড গমন করেন তিনি। এরপর আবাসিক শর্তাবলী পূরণ হলে নটিংহ্যামশায়ারের (নটস) পক্ষে খেলার যোগ্যতা লাভ করেন। ১৯৫০-৫১ মৌসুমে কমনওয়েলথ দলের সদস্যরূপে ভারত ও সিলন গমন করেন।
কাউন্টি ক্রিকেটে দলটি বেশ নিচের দিকে অবস্থান করছিল। প্রথম বিদেশী খেলোয়াড় হিসেবে দলকে শক্তিধরে রূপান্তরে গুরুদায়িত্ব পালন করেন। ১৯৫৩ থেকে ১৯৫৭ সাল পর্যন্ত দলটির পক্ষে খেলেন। এ সময়ে ২৪.৫২ গড়ে ৪৭৮২ রান ও ১৮.৮৬ গড়ে ৭৭০ উইকেট দখল করেছিলেন তিনি। দুই মৌসুমে ১০০০ রান ও ১০০ উইকেট লাভের ন্যায় ডাবল পেয়েছেন। আরেক মৌসুমে মাত্র ৩০ রান কম সংগ্রহের কারণে ডাবল লাভ করা থেকে বঞ্চিত হন। ১৯৫৪ সালে ট্রেন্ট ব্রিজে এসেক্সের বিপক্ষে ৮৩ রান খরচায় ১৬ উইকেট পান।[২] ঐ মৌসুমে নটিংহ্যামশায়ারের পক্ষে ১৮১ উইকেট পান। এ সংগ্রহটি অদ্যাবধি ক্লাব রেকর্ডরূপে টিকে রয়েছে।
জেন্টলম্যান বনাম প্লেয়ার্সের মধ্যকার খেলায় দুইবার প্লেয়ার্সের পক্ষে খেলেছেন। ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে অসাধারণ ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শনের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯৫৫ সালে উইজডেন কর্তৃক অন্যতম বর্ষসেরা ক্রিকেটারের সম্মাননায় ভূষিত হন ব্রুস ডুল্যান্ড।[৩]
ব্যক্তিগত জীবন
সম্পাদনাক্রিকেট খেলার পাশাপাশি বেসবল খেলায়ও তার সবিশেষ দক্ষতা ছিল। নিজ রাজ্যদলে অন্যতম সেরা পিচার হিসেবে পরিচিতি পেয়েছিলেন তিনি। ক্রিকেটসহ বেসবলেও অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে খেলেছেন ব্রুস ডুল্যান্ড। ৮ সেপ্টেম্বর, ১৯৮০ তারিখে দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার বেডফোর্ড পার্কে ৫৬ বছর বয়সে ব্রুস ডুল্যান্ডের দেহাবসান ঘটে।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ Cricketer magazine, August 1957, 28th edition.
- ↑ Nottinghamshire v Essex 1954. Cricket Archive
- ↑ "Wisden's Five Cricketers of the Year"। ESPNcricinfo। ESPN। ২৩ মার্চ ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ এপ্রিল ২০১৫।
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- ইএসপিএনক্রিকইনফোতে ব্রুস ডুল্যান্ড (ইংরেজি)
- ক্রিকেটআর্কাইভে ব্রুস ডুল্যান্ড (সদস্যতা প্রয়োজনীয়) (ইংরেজি)
- উইজডেন স্মরণিকায় ব্রুস ডুল্যান্ড (ইংরেজি)
- ১৯৫৫ উইজডেন বর্ষসেরা ক্রিকেটারের সম্মাননায় ব্রুস ডুল্যান্ড (ইংরেজি)