জালালুদ্দীন সুয়ুতী
আব্দুর রহমান ইবনে কামালুদ্দিন আবি বকর বিন মুহাম্মাদ সাবিক উদ্দিন খুদর আল খুদায়রি আল আসয়ুতী ( আরবি : عبد الرحمن بن كمال الدين أبي بكر بن محمد سابق الدين خضر الخضيري الأسيوطي) বা ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ুতী ( জন্ম: কায়রো ৮৪৯ হি: /১৪৪৫ খ্রি:–কায়রো ৯১১ হি: ১৫০৫) ছিলেন একজন বিখ্যাত আলেম, শাস্ত্রজ্ঞ ও বহুল আলোচিত ব্যক্তিত্ব। [৬] তিনি হাফেজ জালালুদ্দীন আসয়ুতী/ সুয়ুতী নামে অধিক প্রসিদ্ধ। তিনি একাধারে গ্রন্থকার, মুফাসসির, মুহাদ্দিস, ফকিহ, সাহিত্যিক, কবি, ইতিহাসবিদ, সুফি ও হিজরি ৯ম শতকের সমসাময়য়িক একজন মুজাদ্দিদ ছিলেন। জীবদ্দশায় তিনি ইলমের প্রতিটি শাখায় সবমিলিয়ে ৫০০- এরও গ্রন্থ রচনা করেছেন।[৭]
জালালুদ্দিন সুয়ুতি | |
---|---|
ব্যক্তিগত তথ্য | |
জন্ম | ৩ অক্টোবর ১৪৪৫ খ্রিস্টাব্দ / ১ রজব ৮৪৯ হিজরি |
মৃত্যু | ১৮ অক্টোবর ১৫০৫ খ্রিস্টাব্দ / ১৯ জুমাদিউল আউয়াল ৯১১ হিজরি |
ধর্ম | ইসলাম |
অঞ্চল | মিশর |
আখ্যা | সুন্নি |
ব্যবহারশাস্ত্র | শাফিয়ি[৩][৪] |
ধর্মীয় মতবিশ্বাস | আশআরি [১][২] |
প্রধান আগ্রহ | তাফসির, শরিয়ত, ফিকহ, হাদিস, কুরআন, উসুলে ফিকহ, ইতিহাস, আকিদা |
উল্লেখযোগ্য কাজ | তাফসির আল জালালাইন , তারিখুল খুলাফা , খাসায়েসুল কুবরা , খাসাইসুস সুগরা , আল মুযহির , জামি আল-কাবির , জামি আল-সাগির |
তরিকা | সাজিলি |
মুসলিম নেতা | |
যার দ্বারা প্রভাবিত
| |
যাদের প্রভাবিত করেন
| |
আরবি নাম | |
ব্যক্তিগত (ইসম) | ‘আবদুর রহমান |
পৈত্রিক (নাসাব) | ইবনে আবি বকর ইবনে মুহাম্মদ |
ডাকনাম (কুনিয়া) | আবুল ফজল |
উপাধি (লাক্বাব) | জালালুদ্দীন |
স্থানীয় (নিসবা) | আস-সুয়ুতী, আল-খুদায়রী, আশ-শাফিয়ী |
জন্ম ও বংশ পরম্পরা
সম্পাদনাজালালুদ্দীন সুয়ুতী ৮৪৯ হিজরির ১ রজব ; ১৪৪৫ খ্রিষ্টাব্দের ৩ অক্টোবর তারিখে মিশরের কায়রোতে জন্ম গ্রহণ করেন ।[৮] তার পিতা তখন কায়রোতে খলিফার প্রাসাদে ইমামের দায়িত্ব পালনরত ছিলেন ।[৯] তার জন্ম স্থান সম্পর্কে আরেকটি তথ্যবর্ণনা এভাবে উল্লেখ আছে যে , তিনি মিশর -এর 'আস সুয়ূত' বা 'আল-আসইয়ূত' নামক স্থানে জন্ম গ্রহণ করেন ।[১০]
ইবনুল কুতুব
সম্পাদনাএ ছিল তার আরেক উপাধি । 'ইবনুল কুতুব' উপাধিতেও তিনি সবিশেষ পরিচিত ছিলেন । কথিত আছে যে , হাফিজ জালালুদ্দীন সুয়ুতী যেদিন জন্ম গ্রহণ করেছিলেন সেদিন তার জন্মের আগে তার পিতার বিশেষ প্রয়োজনে তার মা কুতুবখায় একখানি কিতাব আনতে গিয়েছিলেন । ঃকিতাবটি খুজে বের করতে থাকলেন তিনি । ঘটনাক্রমে তখন সেখানেই ইমাম সুয়ুতীর জন্ম হয় । তিনি তার পিতার কুতুবখানায় জন্ম গ্রহণ করেছিলেন বিধায় তাকে ইবনুল কুতুব উপাধিতে ভূষিত করা হয় ।
পিতা
সম্পাদনাতার পিতা শায়খ কামালুদ্দীনও ছিলেন একজন বিশিষ্ট আলেম ও কাজী । তিনি 'আসয়ুত্ব' থেকে কায়রোয় চলে আসলে সেখানে 'ইবনে তুলুন জামে মসজিদ-এ খতিব হিসেবে দাতিত্ব পালন করেন । পাশা পাশি শায়খুনী জামে মসজিদ সংলগ্ন মাদরাসায় তিনি 'ফিকহ'-এর ওস্তাদ হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন । হিজরি ৮৫৫ সালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন । এ সময় জালালুদ্দীন সুয়ুতীর বয়স ছিল পাঁচ কিংবা ছয় বছর ।
শিক্ষাজীবন
সম্পাদনাবাবার মৃত্যুর পর তার অভিভাবকত্বের দায়িত্ব নিয়েছিলেন তার পিতার ঘনিষ্ঠ এক সুফি বন্ধু । জালালুদ্দীন সুয়ুতী পড়াশোনায় খুব মনোযোগী ও মেধাবী ছিলেন । আট বছর বয়সে তিনি পবিত্র কুরআন মুখস্থ করে ফেলেন । তারপর তিনি নাহভ ও ফিকহ'র 'মতন' মুখস্থ করতে মশগুল হন । হাদিস শাস্ত্রে তিনি বদরুল মুহাদ্দিসীন আল্লামা বদরুদ্দিন আইনি হানাফি (রাহ), হাফিজ সাখাভী (রাহ) সহ অন্যান্য বিখ্যাত মুহাদ্দিসদের নিকট শিক্ষা লাভ করেন । তিনি তাসাউফ তথা আধ্যাত্নবাদে দীক্ষিত হতে প্রসিদ্ধ সুফি বুজুর্গ কামালুদ্দিন মুহাম্মদ বিন মুহাম্মদ মিসরি শাফেয়ি (রাহ) এর আশ্রয়ে উপনীত হন এবং তার মুবারক হাতে খিরকায়ে তাসাউফ পরিধান ও খালকে খোদার ফয়েজ (অনুকম্পা) লাভে ধন্য হন ।
একটি তথ্যের অবতারণা
সম্পাদনাআল্লামা জালালুদ্দীন সুয়ুতীর জীবনী লেখকদের কেউ কেউ এরকম উল্লেখ করেছেন যে , তিনি ( আল্লামা সুয়ুতী ) হাফেজ ইবনে হাজার আসকালানীর ছাত্র ছিলেন । তিনি হাদিস শাস্ত্রে [[ইবনে হাজার আসকালানীর (রাহঃ) নিকট থেকে সনদ প্রাপ্ত ছিলেন ।[১১] আর কেউ কেউ এর বিপরীত মত উল্লেখ করে বলেন যে, এরুপ মন্তব্য সঠিক নয় । যেহেতু হাফেজ ইবনে হাজার আসকালানী ৮৫২ হিজরিতে মৃত্যুবরণ করেছেন আর আল্লামা সুয়ুতী জন্ম গ্রহণ করেছেন ৮৪৯ হিজরিতে । সেহেতু এ সন তারিখ বিবেচনা অনুসারে হাফেজ ইবনে হাজার আসকালানীর মৃত্যুর সময় জালালুদ্দীন সুয়ুতীর বয়স ছিল মাত্র ৩ বছর । এ বয়সে ইবনে হাজার আসকালানীর ছাত্র হওয়ার দাবী উত্তাপন অমুলক । তবে এ কথা উল্লেখ্য যে, তিন বছর বয়সে তার পিতা তাকে ইবনে হাজার আসকালানীর (রহ) মজলিসে উপস্থিত করেছিলেন ।[১২][১৩]
কর্মজীবন
সম্পাদনাজালালুদ্দীন সুয়ুতী (রাহ.) তখনকার মিসরের সর্বোচ্চ ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনার মাধ্যমে কর্মজীবনের সূচনা করেছিলেন । তিনি ৮৭১ হিজরিতে জামেয়া শায়খুনিয়া (কায়রু)-তে শায়খুল হাদিস পদ অলংকৃত করেন । সেখানে তিনি পাঠদান কালীন সময়ে কাজী আয়াজের আশ শিফা-এর পাঠ মজলিসে পূর্ণরূপে সমাপ্ত করেন ।
স্বভাব চরিত্র
সম্পাদনাআল্লামা ইমাম জালালুদ্দীন সিয়ুতী (রহ) অত্যন্ত পরহেযগার তাকওয়াবান খোদাভীরু ছিলেন । দ্বীনি খেদমতে কাটিয়েছন জীবনের বেশির ভাগ সময় । তার বয়স যখন চল্লিশ হয় , তখন তিনি ক্ষণিকের জীবনের প্রতি আরও সতর্ক হয়ে পড়েন । দুনিয়ার আরাম আয়েশকে উপেক্ষা করে মহান স্রষ্টার ইবাদতে আরও মশগোল হয়ে যান । বেশির ভাগ সময় নির্জনতায় থাকতে তিনি পছন্দ করতেন । ঘরের দরজা-জানালা পর্যন্ত খুলতেন না । তার কাছে লেখালেখি , বই-পুস্তক, গ্রন্থ আর গবেষণা কর্মে নির্জনতাই উতকৃষ্ট সহায়ক মনে হতো । [১৪]
তীসার্রোফ ও কারামত
সম্পাদনাআল্লামা জালালুদ্দীন সুয়ুতী (রহ) কুরআন ও সুন্নাহ'র নুরানি স্রোতে অবগাহনের মধ্য দিয়ে আল্লাহ ও তার রাসুল (সাঃ)-এর এত্তেবায় নিজেকে সমর্পিত করেছিলেন । তার রুহানি ক্ষমতা ছিল খুবই প্রবল । আল্লামা জালালুদ্দীন সুয়ুতী (রহ)-এর এক বিশেষ খাদেম ছিল নাম তার মুহাম্মদ ইবনে আলী হাব্বাক । ইবনে আলী হাব্বাক বর্ণনা করেন যে , একদিন দুপুরে খাবারের পর জালালুদ্দীন সুয়ুতী আমাকে বললেন ,- তুমি আমার জীবদ্দশায় আমার উপস্থিতিতে কিংবা অনুপস্থিতিতে কখনও কারো কাছে এ রহস্যের কথা যদি ব্যক্ত না কর, তাহলে আল্লাহ চাহেতো আজ আসরের সালাত তোমাকে মক্কা শরিফে পড়ার ব্যবস্থা করবো - ইনশাআল্লাহ । আমি বললাম , আলহামদুলিল্লাহ । ঠিক আছে, তাই হবে । তিনি বললেন , তাহলে চোখ বন্ধ করো । আমি চোখ বন্ধ করলাম । সুয়ুতী (রহ) আমার হাত ধরে প্রায় ২৭ কদম সামনে অগ্রসর হলেন । তারপর তিনি বললেন , চোখ খোল । আমি চোখ খুললাম । চোখ খুলে দেখি আমরা দু'জন 'বাবে মুয়াল্লা'য় দাঁড়িয়ে আছি । এরপর হেরেম শরিফে পৌছে আমরা তাওয়াফ করলাম । পবিত্র জমজমের পানি পান করলাম । আসরের সালাত আদায় করলাম । আল্লামা সুয়ুতী (রহ) বললেন , মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন তার বান্দার দু'আ কবুল করলেন । আমাদের জন্য জমিন সংকোচিত হয়ে গেল । ইন্নাল্লাহা আ'লা কুল্লী শায়য়িন কাদির । এ যে আল্লাহ তায়ালার কুদরতময় অনুগ্রহ ! ইবনে আলী হাব্বাক বলেন , অতঃপর জালালুদ্দীন সুয়ুতী (রহ) বললেন, - হেরেমের আশে পাশে আমাদের পরিচিত মিশরের অনেক লোক রয়েছে । আমাদেরকে তারা চিনতে পারেনি । তুমি ইচ্ছে করলে আমার সঙ্গেই চলো, অথবা হাজীদের সঙ্গে চলে এসো । আমি বললাম , আপনার সঙ্গেই যাব । সুতরাং আমরা রওয়ানা হলাম । 'বাবে মুয়াল্লা' পর্যন্ত যাওয়ার পর জালালুদ্দীন সুয়ুতী (রহ) আমাকে বললেন, চোখ বন্ধ করো । আমি চোখ বন্ধ করলাম । এ অবস্থায় ৭ কদম সামনে অগ্রসর হলে তিনি বললেন , এবার চোখ খোল । আমি চোখ খুললাম । খুলে দেখি আমরা মিশরে পৌছে গেছি ।[১৫]
রচনাবলি
সম্পাদনাতার অনেক বই রয়েছে । তার গ্রন্থগুলির সংখ্য ৫০০ এরও অধিক । [৭] দালিলু মাখতুতাত আল সুয়ুতী- থেকে জানা যায় যে, ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ুতী ৭০০ টিরও বেশি গ্রন্থ রচনা করেছিলেন ।[১৬] তবে ১৯৯৫ খ্রিস্টাব্দ সালে একটি জরিপে দেখা যায় যে, তার রচনা সংখ্যা ৫০০ [১৭] এবং ৯৮১ । তবে এর মধ্যে সংক্ষিপ্ত পত্রপত্রিকা এবং সঙ্গত ভিত্তিমূলক মতামত অন্তর্ভুক্ত রয়েছে ।[১৮] ইবনুল ইমাদ লিখেছেন: “তাঁর বেশিরভাগ রচনা তাঁর জীবদ্দশায় বিশ্বখ্যাত হয়ে ওঠে ।"
- আল ইতকান ফি উলুমুল কুরআন।
- আদ দুররুল মানসুর ফি তাফসিরি বিল মা'ছুর ।
- লুবাবুন নুকুল ফি আসবাবিন নুজুল ।
- তাফসির আল জালালাইন।
এ গ্রন্থটি ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ুতীর একক রচনা নয় বরং তা দুই জালাল এর রচনা । একজন হলেন স্বয়ং জালালুদ্দীন সুয়ুতী আরেকজন তার বিশিষ্ট শিক্ষক যার নাম ছিল জালালুদ্দীন মহল্লী ।[১৬] শিক্ষক জালালুদ্দীন মহল্লী আল কুরআনের তাফসিরের একটি গ্রন্থ রচনার কাজে হাত দিয়েছিলেন । তিনি আল কুরআনের শেষার্ধের তাফসির প্রথমে সমপন্ন করেন । পরে আল কুরআনের প্রথমার্ধের তাফসির লিখতে মনোনিবেশ করেন । সুরা ফাতিহার তাফসির শেষ করার পর তিনি আর বাকী অংশের তাফসির সম্পন্ন করে যেতে পারেননি । এর আগেই তার জীবন সমাপ্তির ডাক এসে যায় । একপর্যায়ে একদিন তিনি পরলোক গমন করেন । প্রিয় শিক্ষকের রেখে যাওয়া এই অসমাপ্ত তাফসির গ্রন্থ রচনার বাকী কাজটুকু নিষ্ঠার সাথে বিচক্ষণতায় সম্পন্ন করেন আল্লামা জালালুদ্দীন সুয়ুতী। কথিত আছে যে, আল্লামা সুয়ুতী এটি চল্লিশ দিনে সমপন্ন করেছিলেন । গ্রন্থটি যেহেতু দুই জালালের দ্বারা রচিত হয়েছে, তাই মুসলিম বিশ্বে এটি তাফসিরে জালালাইন নামে পরিচিতি লাভ করে । আর এ কথা সত্য যে, জালালুদ্দীন সুয়ুতী যদি এর বাকি অংশের প্রণয়ন না করতেন হয়তো তা প্রকাশের মুখ দেখতো কিনা কে জানে ।
- হাশিয়াতু আলা তাফসিরি বায়জাবী ।
- শারহু ইবনি মাজাহ ।
- তাদরিবুর রাওয়ী ফি শারহি তাকরিবুন নাবাবী ।
- শারহুস সুদুর বি শারহে হালিল মাওতা ওয়াল কুবুর ।
- আল বুদুরুস সাফিরাহ আন উমুরিল আখিরাহ ।
- আত তিব্বুন নাবাওয়ী ।
- আল আশবাহ ওয়ান নাজারাহ ।
- আল হাবি লিল ফাতাওয়া ।
- তারিখুল খুলাফা ।
- ইসআফুল মুবাত্তা বি রিজালিল মুয়াত্তা ।
- আল আয়াতুল কুবরা ফি শারহি কিসসাতিল ইসরা ।
- আল জামিউস সাগির মিন হাদিসিল বাশিরিন নাজির ।
- আল জামিউল কাবির ।
- ইহয়াউল মাইয়িত বি ফাজাইলি আহলি বাইত ।
- হুসনুল মাকসাদ ফী আমালিল মাওলাদ ।।[১৯]
- আল হাবাইকু ফি আখবারিল মালাইক ।
- তাবাকাতুল হুফফাজ
- তাবাকাতুল মুফাসসিরিন
- উকুদুজ জামান ফি ইলমিল মা'আনি ওয়াল বায়ান
- শারহুস সুয়ুতী আলা সুনানিন নাসাঈ
- আল-হাবি লিল-ফাতাওয়া
- লুবাবুল হাদিস
- লুবাবুন নুকুল ফি আসবাবিন নুজুল
- আল মুজহার ফি উলুমিল লুগাত ওয়া আনওয়াইহা
- আসরারু তারতিবিল কুরআন
- ইরাবুল কুরআন
- আইনুল ইসাবা ফি মারিফাতিস সাহাবা
- কাশফুল মুগাত্তা ফি শারহিল মুয়াত্তা
- মিফতাহুল জান্নাহ ফিল ইতিশাম বিস-সুন্নাহ
মৃত্যু
সম্পাদনাআল্লামা ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ুতী (রাহ.) ৯১১ হিজরি ১৯ জুমাদাল উলা মুতাবেক ১৫০৫ খ্রিষ্টাব্দে মৃত্যু বরণ করেন ।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ Spevack, Aaron (২০১৪)। The Archetypal Sunni Scholar: Law, Theology, and Mysticism in the Synthesis of Al-Bajuri। State University of New York Press। পৃষ্ঠা 99, 179। আইএসবিএন 143845371X।
- ↑ In মাসালিকুল হুনাফা ফি ওয়ালিদাইল মুস্তাফা, he says: "The Prophet's parents died before he was sent as a Prophet and there is no punishment for them, since (We never punish until We send a messenger (whom they reject)( (17:15 ). Our Ash`ari Imams among those in kalam, usul, and fiqh agree on the statement that one who dies while da`wa has not reached him, dies saved. This has been defined by Imam al-Shafi`i.. . . Some of the fuqaha' explained that the reason is, such a person follows fitra or Primordial Disposition, and has not stubbornly refused nor rejected any Messenger"
- ↑ Barakat, E. R., & HANEEF, M. A. (2006). Must money be limited to only gold and silver?: a survey of Fiqhi opinions and some implications. Journal of King Abdulaziz University: Islamic Economics, 19(1).
- ↑ Sookhdeo, Patrick. "Issues of interpreting the Koran and Hadith." Connections 5.3 (2006): 57-82.
- ↑ Ali, Mufti. "Aristotelianisme Dalam Kacamata Para Tokoh Abad Tengah Penentang Logika." Al Qalam 24.3 (2007): 318-339.
- ↑ ""السيوطي.. صاحب الـ7 علوم (في ذكرى وفاته: 19 جمادى الأولى 911هـ) – ارشيف اسلام اونلاين""। Archived from the original on ১০ এপ্রিল ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জানুয়ারি ২০২১।
- ↑ ক খ عبد الحلیم چشتی، فواہد جامعہ برعجالا نافعۃ، کراچی۔1964، صفحہ 165 تا 180 (506 کتب کی فہرست مرتب کی ہے، جو حتمی نہیں ہے)
- ↑ معروف ، ناجي ، عروبة الامام السيوطي ،؟ مجلة الاقلام ، بغداد ، سنة 1996 ، ص76.
- ↑ হুসনুল মাকসিদ ফি আমালিল মাওলিদ ও ইম্বাউল আজকিয়া বি হায়াতিল আম্বিয়া- এর লেখক পরিচিতি অংশ ; অনুবাদক - মাওলানা ছালিক আহমদ, সহ অধ্যাপক সিনিয়র ফাজিল মাদরাসা ; প্রকাশনায়: আল আমিন প্রকাশন, বিয়ানী বাজার, সিলেট । প্রথম প্রকাশ: জানুয়ারী ২০১০ ইং ; মহরম ১৪৩১ হিজরি ।
- ↑ ডক্টর মুহাম্মাদ হুসাইন - আত-তাফসীর ওয়াল মুফাসসিরুন, ১ম খন্ড (করাচী : ইদারাতুল কুরআন ওয়াল উলূম , ১৯৮৭) পৃষ্ঠা-২৫১ ।
- ↑ বাংলা খাসায়েসুল কুবরা- (১ম খন্ড)-এর 'অনুবাদকের আরজ' অংশ দ্রষ্টব্য । অনুবাদ : মাওলানা মুহিউদ্দীন খান । মদীনা পাবলিকেশান্স ৩৮/২ বাংলাবাজার, ঢাকা-১১০০ । প্রথম প্রকাশ: রবিউল আওয়াল ১৪১৯ হিজরি, শ্রাবণ: ১৪০৫ বাংলা । তৃতীয় সংস্করণ : শাওয়াল ১৪১৯ হি: , মাঘ: ১৪০৫ বাংলা , ফেব্রুয়ারি : ১৯৯৯ ইংরেজি । * ৯ম সংস্করণ : সফর: ১৪৩২ হি:, জানুয়ারি : ২০১১ ইংরেজি । ISBN 984-8367-98-5
- ↑ বাংলা ভাষায় অনুবাদকৃত : তাফসীরে জালালাইন - ১ ; পৃষ্ঠা : ৫২ ; প্রকাশনায় : ইসলামিয়া কুতুবখানা ৩০/৩২ নর্থব্রুক হল রোড, বাংলাবাজার, ঢাকা - ১১০০ ।
- ↑ جمالين فى شرح جلالين - جلد أول - مقدمه صفحه : 40 - شارح: حضرت مولانا محمد جمال بلند شهرى ، استاذ دار العلوم ديوبند - زمزم پبليثرز ، نزد مقدس مسجد أردو بازار كراچی
- ↑ الکوکب الساءرة باعيان المائة العاشر :লেখক - নাজমুদ্দীন আল কুরী ।
- ↑ বাংলা ভাষায় অনুবাদকৃত : তাফসীরে জালালাইন - ১ ; পৃষ্ঠা : ৫৩ ; প্রকাশনায় : ইসলামিয়া কুতুবখানা ৩০/৩২ নর্থব্রুক হল রোড, বাংলাবাজার, ঢাকা - ১১০০ ।
- ↑ ক খ Oliver Leaman, সম্পাদক (২০০৬)। "Al-Suyuti"। The Qur'an: An Encyclopedia। Taylor & Francis। পৃষ্ঠা 618–920। আইএসবিএন 978-0-415-32639-1।
- ↑ Irwin, R. (১৯৯৮)। Julie Scott Meisami; Paul Starkey, সম্পাদকগণ। Encyclopedia of Arabic Literature। Taylor & Francis। পৃষ্ঠা 746। আইএসবিএন 978-0-415-18572-1।
- ↑ Meri, Josef W., সম্পাদক (২০০৫)। "Suyuti, Al-, 'Abd al-Rahman"। Medieval Islamic Civilization: An Encyclopedia। Routledge। পৃষ্ঠা 784–786। আইএসবিএন 978-1-135-45603-0।
- ↑ https://archive.org/details/HusnAlmaqsad ।
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- Tafsir al-Jalalayn কুরআনের তাফসীর (ইংরেজি ভাষায়)।
- Radiant Cosmography (আল হায়া আল-সানিয়া ফাই-হায়া আল-সুননিয়া) আর্কাইভ.ওআরজি ইংরেজিতে।
- The Dead become Alive by the Grace of the Holy Five (ইহাইয়া আল-মায়ায়িত)আর্কাইভ.ওআরজি ইংরেজিতে।