১৯৩৮ ফিফা বিশ্বকাপ
১৯৩৮ ফিফা বিশ্বকাপ ফ্রান্সে অনুষ্ঠিত ফিফা বিশ্বকাপ ফুটবলের ৩য় আসর যা ১৯৩৮ সালের ৪ জুন থেকে ১৯ জুন পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়। চূড়ান্ত খেলায় ইতালি ৪-২ গোলে হাঙ্গেরিকে পরাজিত করে পুনরায় শিরোপা জয়ী হয়। ভিত্তোরিও পোজ্জোই এখন পর্যন্ত একমাত্র কোচ যার অধীনে কোনো দল দুটি বিশ্বকাপ জয়ের অনন্য রেকর্ড গড়ে; ইতালির ১৯৩৪ এবং ১৯৩৮ সালের দলের সাথে তিনি এই রেকর্ড গড়েন।
কাপ ডু মোন্ডে ১৯৩৮ Fueßball-Wältmaischterschaft 1938 (Alemannic German) | |
---|---|
বিবরণ | |
স্বাগতিক দেশ | ফ্রান্স |
তারিখ | ৪–১৯ জুন |
দল | ১৫ (৪টি কনফেডারেশন থেকে) |
মাঠ | ১০ (৯টি আয়োজক শহরে) |
চূড়ান্ত অবস্থান | |
চ্যাম্পিয়ন | ইতালি (২য় শিরোপা) |
রানার-আপ | হাঙ্গেরি |
তৃতীয় স্থান | ব্রাজিল |
চতুর্থ স্থান | সুইডেন |
পরিসংখ্যান | |
ম্যাচ | ১৮ |
গোল সংখ্যা | ৮৪ (ম্যাচ প্রতি ৪.৬৭টি) |
দর্শক সংখ্যা | ৩,৭৪,৮৩৫ (ম্যাচ প্রতি ২০,৮২৪ জন) |
শীর্ষ গোলদাতা | লিওনিদাস (৭ গোল) |
স্বাগতিক নির্বাচন
সম্পাদনা১৯৩৬ সালের ১৩ আগস্ট বার্লিনে ফিফা সন্মেলনে ফ্রান্সকে স্বাগতিক দেশ হিসাবে নির্বাচিত করা হয়। ভোটের প্রথম পর্বে আর্জেন্টিনা এবং জার্মানিকে পরাজিত করে ফ্রান্স নির্বাচিত হয়। ইউরোপে (পূর্ববর্তী ১৯৩৪ সালে ইতালির পর) দ্বিতীয়বারের মতো টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হওয়ার সিদ্ধান্ত দক্ষিণ আমেরিকায় ক্ষোভ সৃষ্টি করে, কারণ এটি ধারণা করা হতো যে স্বাগতিক দেশ এদুটি মহাদেশের মধ্য হতে পর্যায়ক্রমে নির্বাচিত করা হবে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরুর আগে এটি ছিলো সর্বশেষ বিশ্বকাপের আয়োজন।
বাছাইপর্ব
সম্পাদনাপর পর দ্বিতীয় বারের মতো ইউরোপে বিশ্বকাপের আয়োজন করার সিদ্ধান্তে ক্ষোভ প্রকাশ করে উরুগুয়ে ও আর্জেন্টিনা দল প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করা হতে বিরত থাকে। অপরদিকে, স্পেন চলমান স্প্যানিশ গৃহযুদ্ধের কারণে এতে অংশগ্রহণ করতে পারেনি।
এই বিশ্বকাপটি ছিলো ফিফা বিশ্বকাপের ইতিহাসে প্রথমবার যাতে স্বাগতিক দেশ (ফ্রান্স) এবং পূর্ববর্তী টুর্নামেন্টের শিরোপাধারী দল (ইতালি) সরাসরি মূল পর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে। এই বিশ্বকাপ হতে (১৯৩৮) ২০০২ সালের বিশ্বকাপ পর্যন্ত পূর্ববর্তী টুর্নামেন্টের শিরোপাধারী দলকে সরাসরি মূলপর্বে খেলার সুযোগ দেওয়া হয়; ২০০৬ সাল হতে এই সুবিধা বাতিল করা হয়।
মূলপর্বে উত্তীর্ণ দলসমূহ
সম্পাদনামোট ১৬টি দল বাছাইপর্বে উত্তীর্ণ হয়ে মূলপর্বে খেলা সুযোগ পেলেও অস্ট্রিয়া অভ্যন্তরীন সমস্যার কারণে মূলপর্বের খেলায় অংশ নেয়নি।
|
|
স্থান
সম্পাদনাফ্রান্সের ১০টি শহরে মূলপর্বের খেলাগুলো অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও অস্ট্রিয়া অংশগ্রহণ না করায় লিওনে কোনো ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়নি।
কলোম্বাস | প্যারিস | মার্সেই | লিওঁ |
---|---|---|---|
কলম্বস অলিম্পিক স্টেডিয়াম | পার্ক দে প্রাঁস | ভেলোদ্রোম স্টেডিয়াম | গারল্যান্ড স্টেডিয়াম (সেখানে একমাত্র ম্যাচ বাতিল হয়েছে) |
ধারণক্ষমতা: ৬০,০০০ | ধারণক্ষমতা: ৪০,০০০ | ধারণক্ষমতা: ৪৮,০০০ | ধারণক্ষমতা: ৪০,৫০০ |
টুলুজ | বোর্দো | ||
Stade du T.O.E.C. (in the old Parc des Sports), initially planned to the new stadium (in the new Parc des Sports) |
Parc Lescure | ||
ধারণক্ষমতা: ১৫,০০০ | ধারণক্ষমতা: ৩৪,৬৯৪ | ||
স্টরাসবার্গ | লে হাভরে | ||
Stade de la Meinau | Stade Municipal | ||
ধারণক্ষমতা: ৩০,০০০ | ধারণক্ষমতা: ২২,০০০ | ||
রিইমস্ | লিল | এন্টিবিস | |
Vélodrome Municipal | Stade Victor Boucquey | Stade du Fort Carré | |
ধারণক্ষমতা: ২১,৬৮৪ | ধারণক্ষমতা: ১৫,০০০ | ধারণক্ষমতা: ৭,০০০ | |