২১ গ্রাম পরীক্ষা ১৯০৭ সালে করা একটি গবেষণা। এ গবেষণাটি করেন ম্যাসাচুসেটসের হাভারহিলের চিকিৎসক ম্যাকডোগাল ডানকান (MacDougall Duncan)। এ বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা থেকে ম্যাকডোগাল এ হাইপোথিসিস দেন যে; আত্মার শারীরিক ওজন আছে। তিনি এই পরীক্ষার দ্বারা মানুষের আত্মা মানুষকে ছেড়ে চলে যাওয়ার তাৎক্ষণিক মুহুর্তে এর ওজন মাপার চেষ্টা করেন। ম্যাকডোগাল মৃত্যু অবধারিত এরকম ছয়জন রোগীর উপর এই গবেষণা চালান। তিনি দেখতে পান; ছয়জন মৃত্যুপথযাত্রীর একজন মারা যাওয়ার সাথে সাথে, এক আউন্সের তিন চতুর্থাংশ (২১.৩ গ্রাম) ওজন হারায়।

ম্যাকডোগাল তার পরীক্ষণ নিয়ে বলতে গিয়ে বলেন, কোনো সিদ্ধান্তে পৌছার পূর্বে এই গবেষণাটি আরো কয়েকবার করতে হবে। এই গবেষণাটি বিস্তৃতপরিসরে খুঁতযুক্ত এবং অবৈজ্ঞানিক হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। এইরকম স্বীকৃতি পাওয়ার অন্যতম কারণ ছিল যে পরিমাণ স্যাম্পল নেওয়া হয়েছিল, তা এধরনের গবেষণার জন্য যথেষ্ট নয় এবং মাত্র যে ছয়জনকে নেওয়া হয়েছিল, তাদের মধ্যে শুধুমাত্র একজনের ক্ষেত্রেই এই হাইপোথিসিস খাটে। এই গবেষণাটিতে যে প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়েছে, তা পক্ষপাতমুলক প্রতিবেদনের উদাহরণ হিসেবেও বিভিন্ন জায়গায় ব্যবহার করা হয়। বৈজ্ঞানিক মহল দ্বারা এই গবেষণাটিকে বাতিল করা সত্ত্বেও ম্যাকডোগালের পরীক্ষাটি; আত্মার ওজন আছে; এবং তার ভর ২১ গ্রাম, এরকম একটি ধারণাকে জনমনে জনপ্রিয় করে তোলে।

পরীক্ষণ

সম্পাদনা
 
১৯১১ সালের ছবিতে ডানকান ম্যাকডোগাল

১৯০১ সালে ডানকান ম্যাকডোগাল বৈজ্ঞানিকভাবে আত্মার ওজনকে মাপা যায় কি না; এ বিষয়ের উপর চিন্তাভাবনা করেন। এজন্য তিনি নার্সিং হোমের ছয়জন রোগীকে বাছাই করেন, যাদের মৃত্যু অবধারিত ছিল। এই ছয়জন রোগীর মধ্যে চারজন যক্ষ্মায় আক্রান্ত ছিল, একজন ডায়াবেটিসে ভুগছিল, আরেকজন ঠিক কোন রোগে আক্রান্ত তা শনাক্ত করা যায় নি। ম্যাকডোগাল বিশেষ করে তাদেরই বাছাই করেন, যাদের শারীরিক অবস্থার চরম অবনতি হয়েছিল এবং যারা মারা যাওয়ার সাথে সাথে তাদের শরীরের ওজন নিখুঁতভাবে মাপার সময় রোগীর আত্মীয়স্বজন বা অন্য কোনো জায়গা থেকে প্রতিবন্ধকতা তৈরী না হয়। যখন সেইসব রোগী মৃত্যুর সন্নিকটে পৌছে যেত, তখন তাদের সম্পূর্ণ বিছানা জুড়ে ব্যবসায়িক স্কেল স্থাপন করা হত। এই স্কেলটি অত্যন্ত স্পর্শকাতর ছিল, যা এক আউন্সের দুই দশমাংশ(৫.৬ গ্রাম) পর্যন্ত তারতম্যকে হিসাব করতে পারত।[][][] মৃত্যুর পূর্ব ও পরমুহুর্তে রোগীর ওজনের তারতম্য থেকে; আত্মার ওজন বের করাই এই গবেষণার মুল লক্ষ্য ছিল। মানুষের আত্মা আছে, কুকুরের নেই- এই বিশ্বাসের উপর ভিত্তি করে ম্যাকডোগাল পনেরটি কুকুরের মৃত্যুর পর তাদের ওজন মাপেন। ম্যাকডোগাল বলেন, তিনি তার পরীক্ষার জন্য সেইসব কুকুরকেই বাছাই করেছেন, যারা হয় অসুস্থ ছিল অথবা মৃত্যু যাদের জন্য অবধারিত ছিল। এর পক্ষে অবশ্য কোনো প্রমাণ পাওয়া যায় নি। এটাও অনুমান করা হয় যে, ম্যাকডোগাল হয়তো স্বাস্থ্যবান কুকুরকেই বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত করেছিলেন।[][][]

ছয়জন রোগীর মধ্যে; একজন মৃত্যুর পর ওজন হারালেও, পুনরায় মাপার পর, সেই হারানো ওজন আবার ফিরে আসে, দুইজন রোগী মৃত্যুর পর ওজন হারান বলে গবেষণার নথিতে লিপিবদ্ধ হয়, কিন্তু কয়েক মিনিট পর দেখা যায়; তারা আরো কিছু ওজন হারাচ্ছেন, একজন মৃত্যুর পর এক আউন্সের তিন-চতুর্থাংশ (২১.৩ গ্রাম) ওজন হারান, ম্যাকডোগাল একটি ফলাফলকে বাতিল করে দেন, এই বলে যে; ওই রোগীর ক্ষেত্রে স্কেলটা ঠিকভাবে স্থাপন করা হয় নি এবং আরেকটি ফলাফলকে তিনি হিসাবে ধরেন নি কারণ রোগী মারা যাওয়ার পর ওজন মাপার যন্ত্রাংশ, তখনো মানাঙ্ক নির্ণয় করছিল। ম্যাকডোগাল তার প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন, কোনো কুকুরই মৃত্যুর পর ওজন হারায়নি।[][]

ম্যাকডোগাল তার পরীক্ষণ থেকে বিশ্বাস করতেন, মানুষের আত্মার ওজন আছে, যদিও ১৯০৭ সালের পূর্ব পর্যন্ত এটি প্রকাশিত হয়নি। তবুও তিনি এ পরীক্ষণ সম্বন্ধে বলতে গিয়ে বলেন, কোনো উপসংহারে পৌঁছানোর পূর্বে, এই পরীক্ষণটি আরো কয়েকবার পুনরাবৃত্ত করতে হবে।[][]

প্রতিক্রিয়া

সম্পাদনা
 
নিউ ইয়র্ক টাইমস এ ১৯০৭ সালের ১১ মার্চের আর্টিকেল

ম্যাকডোগাল তার গবেষণার ফলাফলকে কোথাও প্রকাশ করার পূর্বেই নিউ ইয়র্ক টাইমস এ আর্টিকেল নিয়ে একটি স্টোরি কভার করে, যার শিরোনাম ছিল "চিকিৎসক মনে করেন, আত্মার ওজন আছে" (Soul Has Weight, Physician Thinks)।[] ম্যাকডোগালের ফলাফল একই বছরের এপ্রিলে জার্নাল অব দ্য আমেরিকান সোসাইটি ফর ফিজিক্যাল রিসার্চ,[] এবং চিকিৎসা সংক্রান্ত জার্নাল আমেরিকান মেডিসিনে প্রকাশিত হয়।[]

সমালোচনা

সম্পাদনা

"আমেরিকান মেডিসিনে" পরীক্ষণটি প্রকাশ পাওয়ার পর চিকিৎসক অগাস্টাস পি.ক্লার্ক এই পরীক্ষণের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেন। ক্লার্ক উল্লেখ করেন মৃত্যুর পরপরই ফুসফুস, রক্তকে শীতল করা বন্ধ করে দেয়। ফলে শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায়। এর পরপরই শরীর থেকে ঘাম নিঃসরণ হয়। মৃতের শরীর থেকে বাষ্পীভবনের মাধ্যমে পানি বের হয়ে যাওয়াই মৃতের ২১ গ্রাম ভর কী করে কমল; তার ব্যাখ্যা দেয়। ক্লার্ক আরো একটি বিষয়ের দিকে ইঙ্গিত করে বলেন; কুকুরের যেহেতু কোনো ঘর্ম গ্রন্থি নেই, তাই তারা মৃত্যুর পর তাদের ওজন হারায় না।[][] ক্লার্কের সমালোচনা "আমেরিকান মেডিসিনের" মে মাসের ভলিউমে প্রকাশ করা হয়। ম্যাকডোগাল এবং ক্লার্কের মধ্যে 'এই পরীক্ষণটির বৈধতা নিয়ে বিতর্ক' ক্রমাগত সেই বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত জার্নালটিতে প্রকাশিত হয়।[]

ম্যাকডোগালের পরীক্ষার পদ্ধতিটি ত্রুটিযুক্ত এবং তার ফলাফলটিকে সুষ্পষ্টভাবে ধোঁকাবাজি বলে উল্লেখ করা হয়।[] শুধুমাত্র ছয়জন রোগীর একজনের জন্যই ম্যাকডোগালের হাইপোথিসিস খাটে, কার্ল ক্রুসজেলনিকি এই পরীক্ষণটিকে উদ্ধৃত করে বলেন, যেহেতু ম্যাকডোগাল এই ফলাফলের মেজরিটিকে এড়িয়ে গিয়েছেন, তাই এই পরীক্ষাটি নির্বাচিত প্রতিবেদনমুলক বিতর্কের উদাহরণ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে। ক্রুসজেলনিকি পরিমাণে অল্প স্যাম্পল নেওয়ারও সমালোচনা করেন এবং প্রশ্ন তুলেন; ১৯০৭ সালের সেকেলে প্রযুক্তির সাহায্যে কীভাবে ম্যাকডোগাল একজন মানুষের মৃত্যুর তাৎক্ষণিক মুহুর্তকে বুঝতে সক্ষম হলেন?[] ২০০৮ সালে পদার্থবিজ্ঞানী রবার্ট এল. পার্ক ম্যাকডোগালের পরীক্ষণ নিয়ে লিখতে গিয়ে বলেন; "এ পরীক্ষাটির আজকের দিনে আর কোনো বৈজ্ঞানিক বৈধতা নেই",[] এবং মনোবিদ ব্রুস হুড এ প্রসঙ্গে লিখেন, "যেহেতু ওজন হারানো মুলক এ গবেষণাটি; না নির্ভরযোগ্য না পুনরাবৃত্ত হয়েছে, তাই ম্যাকডোগালের এ গবেষণাটি অবৈজ্ঞানিক হয়ে গেল।"[] অধ্যাপক রিচার্ড ওয়াইসম্যান এই পরীক্ষার সমালোচনা করেন। []

২০১৩ সালে স্নোপস এই পরীক্ষণ সম্পর্কে বলে, এ পরীক্ষণটি ত্রুটিযুক্ত কারণ, এই পরীক্ষায় যে কৌশল ব্যবহার করা হয়েছে, তা সন্দেহজনক, এখানে স্যাম্পল হিসেবে যাদের ব্যবহার করা হয়েছে, তার সংখ্যা খুবই কম এবং ওজন পরিমাপের জন্য যে যন্ত্রাংশ ব্যবহার করা হয়েছে, তা যথার্থ নয়। এরপর, উপসংহার টানা হয় এভাবে যে: "তিনি যে আত্মার ভর ২১ গ্রাম - এটা বের করেছেন এটার জন্য তাকে কৃতিত্ব দান করা তো দূরের কথা, এই পরীক্ষায় যে কিছু প্রমাণ হয়েছে, তার এই ধারণার জন্যও তাকে কোনরকম কৃতিত্ব দেয়া উচিত নয়।"[] ম্যাকডোগাল পনেরটি কুকুরের শরীরে যে বিষক্রিয়া করিয়েছেন, এবং তার গবেষণার প্রমাণের জন্য ব্যবহার করেছেন, তাও অন্যতম সমালোচনা হয়ে রয়েছে।[][]

প্রভাব

সম্পাদনা

১৯১১ সালে "নিউ ইয়র্ক টাইমস" তাদের প্রতিবেদনে উল্লেখ করে; ম্যাকডোগাল এটা আশা করছেন, এ গবেষণাটি পুনরাবৃত্তি করার সময় তিনি আত্মার ছবি তুলবেন। কিন্তু এই ক্ষেত্রটিতে তিনি আর কাজ করেননি এবং ১৯২০ সালে তার মৃত্যু হয়।[] তার পরীক্ষণটি আর কখনোই পুনরাবৃত্তি করা হয় নি।[]

বৈজ্ঞানিক মহল দ্বারা এই গবেষণাটি বাতিল করা সত্ত্বেও ম্যাকডোগালের পরীক্ষা থেকে:- আত্মার ওজন আছে, এবং বিশেষ করে এর ওজন ২১ গ্রাম; এই ধারণাটি জনপ্রিয় হয়ে ইঠে।[][] উল্লেখযোগ্য বিষয় হচ্ছে ২০০৩ সালে ২১ গ্রাম নামে একটি চলচ্চিত্র তৈরী করা হয়, যার নাম এবং তথ্যসূত্র হিসেবে এই পরীক্ষাটিই ব্যবহার করা হয়েছে।[][][]

আত্মার ওজন ২১ গ্রাম এই ধারণাটি অনেক মিডিয়ায় ব্যবহার করা হয়েছে। যেমন ২০১৩ সালে মাঙ্গা গাণ্টজ সিরিজে[১০] ২০১৩ সালে ওয়েলকাম টু নাইট ভালে পডকাস্টে[১১] ২০১৫ সালে চলচ্চিত্র দ্য এম্পায়ার অব করপেসে,[১২] এবং ২০১৫ সালে নাইকে হিটনের সংগীত ২১ গ্রাম এ এই পরীক্ষার সমর্থনে তথ্যসূত্র উঠে আসে। গানটিতে একটি বাক্য ছিল এরকম, "আমি শুধু তোমার আত্মাকে আমার হাতে চাই, অনুভব করতে চাই তোমার ২১ গ্রাম ভর" (I just want your soul in my hands, feel your weight of 21 grams)।[১৩] ১৯৭৮ সালে একটি প্রামাণ্যচিত্র বিয়ন্ড এবং ব্যাকে ম্যাকডোগাল এবং তার পরীক্ষার কথা সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়,[১৪] উল্লেখ করা হয় ডার্ক ম্যাটার্স: টুইস্টেড বাট ট্রু নামক পাচ পর্বের প্রথম সিজনে।[১৫] ২০০৯ সালে গ্যালি ক্যারিজের উপন্যাস সোউললেসে (আত্মাহীন) আমেরিকান বিজ্ঞানী "মি. ম্যাকডোগাল" এর নাম উঠে আসে, যেখানে তাকে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয় আত্মার ভর এবং তার পরিমাপের বিশেষজ্ঞ হিসেবে।[১৬]

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. Wiseman, Richard (১ এপ্রিল ২০১১)। Paranormality: Why We see What Isn't There। Macmillan। পৃষ্ঠা 32–34। আইএসবিএন 978-1743038383 
  2. Roach, Mary (সেপ্টেম্বর ৬, ২০১২)। Stiff: The Curious Lives of Human Cadavers। Penguin। আইএসবিএন 978-0241965016 
  3. Kruszelnicki, Karl (২০০৬)। Great Mythconceptions: The Science Behind the Myths। Andrews McMeel Publishing। পৃষ্ঠা 199–201। আইএসবিএন 9780740753640 
  4. Mikkelson, Barbara; Mikkelson, David P. (অক্টোবর ২৭, ২০০৩)। "Soul Man"Snopes। ৩০ জুন ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০০৭ 
  5. Park, Rober L. (২২ সেপ্টেম্বর ২০০৮)। Superstition: Belief in the Age of Science। Princeton University Press। পৃষ্ঠা 102–103। আইএসবিএন 978-1400828777 
  6. "Soul has Weight, Physician Thinks"The New York Times। মার্চ ১১, ১৯০৭। সংগ্রহের তারিখ জুলাই ১৬, ২০১৭ 
  7. MacDougall, Duncan (১৯০৭)। "Hypothesis Concerning Soul Substance Together With Experimental Evidence of the Existence of Such a Substance"1 (1)। Journal of the American Society for Psychical Research: 237। 
  8. MacDougall, Duncan (এপ্রিল ১৯০৭)। "The Soul: Hypothesis Concerning Soul Substance Together with Experimental Evidence of the Existence of Such Substance"। American Medicine2: 240–243। 
  9. Hood, Bruce (১ জুন ২০০৯)। Supersense: From Superstition to Religion – The Brain Science of Belief। Hachette। পৃষ্ঠা 151। আইএসবিএন 978-1849012461 
  10. . "Gantz" Where the Missing Mass Goes 372: 12 (March 19, 2013)
  11. "Faceless Old Woman" (পডকাস্ট)। Welcome to Night Vale। জুলাই ১, ২০১৩। Proverb 1: The human soul weighs 21 grams, smells like grilled vegetables, looks like a wrinkled tartan quilt, and sounds like bridge traffic. 
  12. Sum, Ed (ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০১৬)। "A Historical Analysis & Review into The Empire of Corpses"Otaku no Culture। ১৬ জুলাই ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ জুলাই ১৬, ২০১৭ 
  13. Wass, Mike (আগস্ট ১০, ২০১৫)। "Niykee Heaton Gets Serious With Dark, Sprawling "21 Grams": Listen"Idolator। ১৬ জুলাই ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ জুলাই ১৬, ২০১৭ 
  14. Beyond and Back (Documentary film)। ১৯৭৮। 
  15. 21 Grams, Missing Cosmonauts, Sound of Death (TV episode)। Dark Matters: Twisted But True। সেপ্টেম্বর ২৮, ২০১১। 
  16. Carriger, Gail (সেপ্টেম্বর ২, ২০১০)। Soulless: Book 1 of The Parasol Protectorate। Hachette। আইএসবিএন 978-0748121489 

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা