২০১৯–২০ শ্রীলঙ্কা মহিলা ক্রিকেট দলের অস্ট্রেলিয়া সফর
শ্রীলঙ্কা মহিলা ক্রিকেট দল সেপ্টেম্বর-অক্টোবর ২০১৯-এ অস্ট্রেলিয়া সফর করে।[১][২] সফরসূচীতে অন্তর্ভুক্ত ছিল তিনটি মহিলাদের একদিনের আন্তর্জাতিক (ডব্লিউওডিআই), যা ছিল ২০১৭-২০ আইসিসি মহিলা চ্যাম্পিয়নশীপ প্রতিযোগিতার অংশ, এবং তিনটি মহিলাদের টুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিক (ডব্লিউটি২০আই)।[৩][৪] অস্ট্রেলিয়া মহিলা দলের বিপক্ষে শ্রীলঙ্কার এটি হচ্ছে প্রথম দ্বিপক্ষীয় সিরিজ।[৫]
অস্ট্রেলিয়া মহিলা | শ্রীলঙ্কা মহিলা | ||
তারিখ | ২৭ সেপ্টেম্বর – ৯ অক্টোবর ২০১৯ | ||
অধিনায়ক | মেগ ল্যানিং |
শশীকলা শ্রীবর্ধনে (WODIs) চামারি আতাপাত্তু (ডব্লিউটি২০আই) | |
একদিনের আন্তর্জাতিক সিরিজ | |||
ফলাফল | ৩ ম্যাচের সিরিজে অস্ট্রেলিয়া মহিলা ৩–০ ব্যবধানে জয়ী | ||
সর্বাধিক রান | রসিয়েল হেইনেস (২৩৭) | চামারি আতাপাত্তু (১৩০) | |
সর্বাধিক উইকেট | জেস জোনাসেন (৬) |
শশীকলা শ্রীবর্ধনে (৩) অচিনি কুলাসুরিয়া (৩) | |
টোয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিক সিরিজ | |||
ফলাফল | ৩ ম্যাচের সিরিজে অস্ট্রেলিয়া মহিলা ৩–০ ব্যবধানে জয়ী | ||
সর্বাধিক রান | এলিশা হিলি (২১২) | চামারি আতাপাত্তু (১৫৯) | |
সর্বাধিক উইকেট |
টায়লা ভ্লাইমিঙ্ক (৪) জর্জিয়া ওয়ারেহাম (৪) | চামারি আতাপাত্তু (৩) |
সিরিজের শেষ ও চূড়ান্ত ডব্লিউটি২০আই ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার এলিশা হিলি ১৪৮ (অপরাজিত) নিয়ে মহিলাদের টুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিকে একক ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড তৈরী করেন।[৬] অস্ট্রেলিয়া মহিলা দল ৩-০তে ডব্লিউটি২০আই সিরিজ জিতে নেয়।[৭] অস্ট্রেলিয়া মহিলা দল তাদের প্রথম দুটি ডব্লিউওডিআই ম্যাচে জয় লাভ করে এক অপ্রতিরোধ্য সিরিজ জয়ের পথ তৈরি করে। তাদের দ্বিতীয় ডব্লিউওডিআই ম্যাচের জয়টি ছিল তাদের দলের ধারাবাহিক ১৭তম ডব্লিউওডিআই জয়, যার ফলে উক্ত সংস্করণে সর্বাধিক ধারাবাহিক জয়ের রেকর্ড তৈরি হয়। আর এ জয়ের মধ্য দিয়েই তাদের ২০১৭-২০ আইসিসি মহিলা চ্যাম্পিয়নশীপের জয় নিশ্চিত হয়ে যায়।[৮][৯] অস্ট্রেলিয়া তাদের তৃতীয় ডব্লিউওডিআই ম্যাচে ৯ উইকেটে জিতে ৩-০তে সিরিজে জয় লাভ করে, এবং সর্বাধিক ১৮টি ধারাবাহিক জয়ের রেকর্ড তৈরি করে।[১০]
দলীয় সদস্য
সম্পাদনাডব্লিউওডিআই | ডব্লিউটি২০আই | ||
---|---|---|---|
অস্ট্রেলিয়া[১১] | শ্রীলঙ্কা[১২] | অস্ট্রেলিয়া[১৩] | শ্রীলঙ্কা[১৪] |
সফর ম্যাচ
সম্পাদনা২০ ওভার খেলা: ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া একাদশ ব শ্রীলঙ্কা
সম্পাদনাব
|
||
- শ্রীলঙ্কা মহিলা দল টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়।
ডব্লিউটি২০আই সিরিজ
সম্পাদনা১ম ডব্লিউটি২০আই
সম্পাদনাব
|
||
- অস্ট্রেলিয়া মহিলা দল টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়।
- মহিলাদের টুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিকে নিজেদের ঘরের মাঠে এটিই ছিল অস্ট্রেলিয়ার সেরা স্কোর।[১৫]
- বেথ মুনি (অস্ট্রেলিয়া) চতুর্থ কোন খেলোয়াড় যিনি মহিলাদের টুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিকে সেঞ্চুরী করেন (২টি সেঞ্চুরী)।[১৬]
- এটি ছিল শ্রীলঙ্কা মহিলা দলের ডব্লিউটি২০আই ক্রিকেটে সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ।[১৭]
- চামারি আতাপাত্তু (শ্রীলঙ্কা) মহিলাদের টুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিকে তার প্রথম সেঞ্চুরী লাভ করেন।[১৮]
২য় ডব্লিউটি২০আই
সম্পাদনাব
|
||
- শ্রীলঙ্কা মহিলা দল টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়।
- এলিশা হিলি (অস্ট্রেলিয়া) তার ১০০তম মহিলা টি২০আই খেলেন।[১৯]
৩য় ডব্লিউটি২০আই
সম্পাদনাব
|
||
- অস্ট্রেলিয়া মহিলা দল টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়।
- এলিশা হিলি (অস্ট্রেলিয়া) মহিলাদের টুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিকে তার প্রথম সেঞ্চুরী লাভ করেন এবং সর্বোচ্চ একক স্কোরের রেকর্ড করেন।[২০]
ডব্লিউওডিআই সিরিজ
সম্পাদনা১ম ডব্লিউওডিআই
সম্পাদনাব
|
||
- অস্ট্রেলিয়া মহিলা দল টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়।
- পয়েন্ট : অস্ট্রেলিয়া মহিলা ২, শ্রীলঙ্কা মহিলা ০।
২য় ডব্লিউওডিআই
সম্পাদনাব
|
||
- অস্ট্রেলিয়া মহিলা দল টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়।
- হিদার গ্রাহাম (অস্ট্রেলিয়া) তার ডব্লিউওডিআই ওডিআই অভিষেক হয়।
- রসিয়েল হেইনেস (অস্ট্রেলিয়া) ডব্লিউওডিআইয়ে তার প্রথম সেঞ্চুরী লাভ করেন।[২১]
- জেস জোনাসেন (অস্ট্রেলিয়া) মহিলা ওডিআইয়ে তার শততম উইকেট লাভ করেন।[২২]
- পয়েন্ট: অস্ট্রেলিয়া মহিলা ২, শ্রীলঙ্কা মহিলা ০।
৩য় ডব্লিউওডিআই
সম্পাদনাব
|
||
- শ্রীলঙ্কা মহিলা দল টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়।
- পয়েন্ট: অস্ট্রেলিয়া মহিলা ২, শ্রীলঙ্কা মহিলা ০।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "Big Bash to take over Australia Day from national team"। ESPN Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ৭ মে ২০১৯।
- ↑ "Australia to host Sri Lanka, Pakistan and New Zealand in momentous home summer"। International Cricket Council। সংগ্রহের তারিখ ৭ মে ২০১৯।
- ↑ "CA announce 2019-20 summer schedule"। Cricket Australia। সংগ্রহের তারিখ ৭ মে ২০১৯।
- ↑ "Cricket Australia's 2019-20 cricket schedule unveiled"। Fox Sports। সংগ্রহের তারিখ ৭ মে ২০১৯।
- ↑ "Sri Lanka Women to play first bilateral series in Australia"। The Papare। সংগ্রহের তারিখ ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৯।
- ↑ "Healy plunders T20I world record with 148*"। ESPN Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২ অক্টোবর ২০১৯।
- ↑ "Healy's world record knock leads Aussies to sweep"। Cricket Australia। সংগ্রহের তারিখ ২ অক্টোবর ২০১৯।
- ↑ "Haynes, Jonassen see Aussies equal record win streak"। Cricket Australia। সংগ্রহের তারিখ ৭ অক্টোবর ২০১৯।
- ↑ "Bowlers, Healy power Australia to record 18th ODI win in a row"। International Cricket Council। সংগ্রহের তারিখ ৯ অক্টোবর ২০১৯।
- ↑ "World record! Healy's ton seals win No.18 for Aussies"। Cricket Australia। সংগ্রহের তারিখ ৯ অক্টোবর ২০১৯।
- ↑ "Australia name T20I and ODI squads to face Sri Lanka"। International Cricket Council। সংগ্রহের তারিখ ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯।
- ↑ "Shashikala Siriwardena to lead Sri Lanka in Australia ODIs"। International Cricket Council। সংগ্রহের তারিখ ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৯।
- ↑ "Australia unveil T20, ODI squads to tackle Sri Lanka"। Cricket Australia। সংগ্রহের তারিখ ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯।
- ↑ "Sri Lanka Women's squads for Australia tour"। Sri Lanka Cricket। সংগ্রহের তারিখ ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৯।
- ↑ "Mooney's heroics help Aussies prevail"। Cricket Australia। সংগ্রহের তারিখ ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯।
- ↑ "Records tumble as Mooney, Athapaththu slam hundreds in Sydney run-fest"। International Cricket Council। সংগ্রহের তারিখ ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯।
- ↑ "Mooney 113 cornerstone of Australia's win; Atapattu's record ton in vain"। ESPN Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯।
- ↑ "Beth Mooney's century trumps Chamari Atapattu's masterclass as Australia go one-up"। Women's Criczone। ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯।
- ↑ "Healy joins elite company with a ton of T20Is"। Cricket Australia। সংগ্রহের তারিখ ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৯।
- ↑ "Alissa Healy slams world record Twenty20 ton"। Sydney Morning Herald। সংগ্রহের তারিখ ২ অক্টোবর ২০১৯।
- ↑ "Haynes century steers Australian charge"। The Northern Daily Leader। সংগ্রহের তারিখ ৭ অক্টোবর ২০১৯।
- ↑ "Haynes' maiden century sets up Australia's record-equaling victory"। ESPN Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ৭ অক্টোবর ২০১৯।