২০০৭ ক্রিকেট বিশ্বকাপ ফাইনাল

২০০৭ ক্রিকেট বিশ্বকাপ ফাইনাল বার্বাডোসের কেনসিংটন ওভালে ২৮ এপ্রিল, ২০০৭ তারিখে অনুষ্ঠিত হয়। অস্ট্রেলিয়াশ্রীলঙ্কা দল দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বকাপের ফাইনালে মুখোমুখি হয়। দক্ষিণ আফ্রিকাকে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডকে শ্রীলঙ্কা দল সেমি-ফাইনালে পরাজিত করে এ সুযোগ পায়।

২০০৭ আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ ফাইনাল
২০০৭ ক্রিকেট বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলা শ্রীলঙ্কা-অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে অনুষ্ঠিত হয়।
প্রতিযোগিতা২০০৭ ক্রিকেট বিশ্বকাপ
অস্ট্রেলিয়া শ্রীলঙ্কা
অস্ট্রেলিয়া শ্রীলঙ্কা
২৮১/৪ ২১৫/৮
৩৮ ওভার ৩৬ ওভার
তারিখ২১ এপ্রিল, ২০০৭
মাঠকেনসিংটন ওভাল, ব্রিজটাউন, বার্বাডোস
আম্পায়ারস্টিভ বাকনরআলীম দার
উপস্থিত দর্শক২৮,১০৮

বৃষ্টিবিঘ্নিত খেলায় অস্ট্রেলিয়া দল শ্রীলঙ্কাকে পরাজিত করে শিরোপা লাভ করে। ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতিতে অস্ট্রেলিয়া ৫৩ রানে পরাজিত করে চতুর্থবার ও ধারাবাহিকভাবে তৃতীয়বার বিশ্বকাপ ট্রফি নিজেদের করে নেয়। অস্ট্রেলীয় বোলার গ্লেন ম্যাকগ্রা সিরিজের সেরা খেলোয়াড়ের মর্যাদা পান।[] দেশে ফিরলে দশ সহস্রাধিক সমর্থক অস্ট্রেলিয়াকে উষ্ণ অভিনন্দন জানায়।

বিস্তারিত

সম্পাদনা

প্রথমবারের মতো এ বিশ্বকাপের ফাইনালে দুই দলের অংশগ্রহণের পুণরাবৃত্তি ঘটে। দল দু’টো ১৯৯৬ সালের বিশ্বকাপের ফাইনালে অংশ নিয়েছিল যাতে শ্রীলঙ্কা বিজয়ী হয়।[] তন্মধ্যে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এ পরাজয় ছাড়া প্রত্যেক মোকাবেলাতেই অস্ট্রেলিয়া জয় পায়। এ খেলায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে শ্রীলঙ্কা দ্বিতীয়বারের মতো ফাইনালে অংশ নেয়। অন্যদিকে ষষ্ঠবার ফাইনালে ও ধারাবাহিকভাবে চতুর্থবারের মতো ফাইনালে পৌঁছে।

অস্ট্রেলীয় অধিনায়ক রিকি পন্টিং টসে জয়ী হয়ে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু, বৃষ্টির কারণে খেলা শুরু হতে বিলম্ব হয়। ফলে, উভয় দলের ইনিংস ৩৮ ওভারে নির্ধারণ করা হয়। অ্যাডাম গিলক্রিস্ট ১৪৯ রানের অবিশ্বাস্য ইনিংস খেলেন। এ রানটি বিশ্বকাপের ফাইনালে যে-কোন ব্যাটসম্যানের জন্য সর্বোচ্চ। ফলে অস্ট্রেলিয়া বিরাট রান সংগ্রহ করে।[] পরবর্তীতে শ্রীলঙ্কান ব্যাটসম্যান কুমার সাঙ্গাকারাসনাথ জয়াসুরিয়া দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ১১৬ রান করলে প্রতিদ্বন্দ্বিতা জমে উঠে। উভয়ে আউট হলে শ্রীলঙ্কার জয়ের সম্ভাবনা ধীরে ধীরে কমতে থাকে।[] পুনরায় বৃষ্টি নামলে শ্রীলঙ্কার ইনিংস ৩৬ ওভারে ২৬৯ রান নির্ধারণ করা হয়। ৩৩তম ওভার শেষে আম্পায়ারদ্বয় মন্দ আলোকের জন্য খেলা স্থগিত করেন। অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়া দলের খেলোয়াড়েরা তাদের বিজয় উৎসব করতে শুরু করে। আম্পায়ারদ্বয় ভুলক্রমে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। ফলে, চূড়ান্ত তিন ওভার পরদিন খেলার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। শ্রীলঙ্কার জয়ের জন্য ১৮ বলে ৬১ রানের প্রয়োজন ছিল। মাহেলা জয়াবর্ধনে পরদিন না খেলতে সিদ্ধান্ত নেন। তিনি দলকে ব্যাটিং চালিয়ে যাবার পরামর্শ দেন। রিকি পন্টিং কেবলমাত্র স্পিনার দিয়ে খেলাতে সম্মত হন। পরবর্তীতে আম্পায়ারদ্বয় তাদের ভুলের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেন। খেলা শেষে ৩৭ রানে জয়ী হয় অস্ট্রেলিয়া দল।[] শেষ তিন ওভার পুরোপুরি অন্ধকারাচ্ছন্ন ছিল। এ সময়ে শ্রীলঙ্কা দল মাত্র নয় রান করে। এরফলে ডাক-ওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে অস্ট্রেলিয়া ৫৩ রানের জয় পায় ও অস্ট্রেলিয়ার তুলনায় ২ ওভার কম ব্যাটিংয়ের সুযোগ পায়।[]

অস্ট্রেলিয়া দল প্রতিযোগিতায় অপরাজিত অবস্থায় শিরোপা জয় করে। বিশ্বকাপে পরাজয়বিহীন অবস্থায় দলটি ২৯টি খেলায় জয় পায়।[]

২৮ এপ্রিল, ২০০৭
(স্কোরকার্ড)
অস্ট্রেলিয়া  
২৮১/৪ (৩৮ ওভার)
  শ্রীলঙ্কা
২১৫/৮ (৩৬ ওভার)
  • বৃষ্টির কারণে ৩৮ ওভারে নির্ধারণ করা হয়। শ্রীলঙ্কার ইনিংসে পুনরায় বৃষ্টি আসায় ৩৬ ওভারে নিয়ে আসা হয়।

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. "ICC World Cup - Final"। Cricinfo। ২৮ এপ্রিল ২০০৭। ২০০৭-০৪-৩০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-০৪-২৮ 
  2. "Australia v Sri Lanka: World Cup Series Summary"। Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-০৪-২৮ 
  3. "Gilchrist leads Australia to World Cup treble"। Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-০৫-০৬ 
  4. "World Cup Referee apologize"। Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-০৪-৩০ 
  5. "World Cup final scorecard"। Cricinfo। ২০০৭-০৪-৩০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-০৪-৩০ 
  6. "Australia v Sri Lanka, World Cup final, Barbados"। Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-০৪-৩০ 

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা