১৯৭৩ সিইসিএএফএ কাপ
১৯৭৩ সিইসিএএফএ কাপ ছিল কাউন্সিল ফর ইস্ট এ্যান্ড সেন্ট্রাল আফ্রিকা ফুটবল এসোসিয়েশন কাপ বা সিইসিএএফএ কাপের উদ্বোধনী আসর, যা উগান্ডায় অনুষ্ঠিত হয়। সিইসিএএফএ কাপকে আফ্রিকার প্রাচীনতম ফুটবল প্রতিযোগিতা হিসাবে বিবেচনা করা হয়, সেখানে মধ্য ও দক্ষিণ আফ্রিকা দল সমূহ অংশগ্রহণ করেছিল। ১৯৭৩ সালের এ প্রতিযোগতার ম্যাচগুলি ২২ সেপ্টেম্বর ১৯৭৩ থেকে ২৯ সেপ্টেম্বর ১৯৭৩ তারিখে অনুষ্ঠিত হয়।[১] এটি পূর্বে মূলত চার জাতি গোসাগ কাপ ছিল, যাতে কেনিয়া, উগান্ডা, তাঞ্জানিয়া এবং জাঞ্জিবার[২] প্রতিদ্বন্দ্বিতা করত। এবং এটি ১৯২৯ সাল থেকে ১৯৬৫ সাল পর্যন্ত চালু ছিল। ১৯৬৭ সালে গোসাগ কাপকে ইস্ট এ্যান্ড সেন্ট্রাল আফ্রিকান সিনিয়র চ্যালেঞ্জ কাপ বা সংক্ষেপে চ্যালেঞ্জ কাপ পরিবর্তন করা হয়, যা ১৯৭১ সাল পর্যন্ত পাচঁ বছর চালু ছিল, ১৯৭৩ সাল সিইসিএএফএ কাপ চালু হওয়ার আগ পর্যন্ত। ১৯৭৩ সিইসিএএফএ কাপের স্বাগতিক দেশ হিসাবে উগান্ডা তাঞ্জানিয়াকে ২-১ গোলে পরাজিত করে চ্যাম্পিয়ন হয়। প্রতিযোগিতায় তৃতীয় স্থান নির্ধারনী ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়নি, তাই গ্রুপ পর্যায়ের রানার্স আপ কেনিয়া ও জাম্বিয়া যৌথভাবে তৃতীয় স্থান অর্জন করে।[৩] গ্রুপ পর্বের শেষে উগান্ডা ও জাম্বিয়া একই পরিমাণ গোল ও পয়েন্ট অর্জন করে, ফলে প্লে-অফ পদ্ধতিতে আরেকটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয় এবং উগান্ডা ২-১ গোলে বিজয়ী হয়েছিল। বর্তমানে প্রতিযোগিতাটি সম্প্রসারিত হয়েছে এবং ১২টি (১৯৭৩ সাল থেকে ইথিওপিয়া, দক্ষিণ সুদান, বুরুন্ডি, রুয়ান্ডা, সুদান এবং ইরিত্রিয়া যোগ দেয়) বিভিন্ন দলের সমন্নয়ে একটি আধুনিক দিনের প্রতিযোগিতা হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।[৪]
বিবরণ | |
---|---|
স্বাগতিক দেশ | উগান্ডা |
তারিখ | ২২ সেপ্টেম্বর –২৯ সেপ্টেম্বর |
দল | ৬ (সিইসিএএফএ - ১টি কনফেডারেশন থেকে) |
চূড়ান্ত অবস্থান | |
চ্যাম্পিয়ন | উগান্ডা (১ম শিরোপা) |
রানার-আপ | টেমপ্লেট:দেশের উপাত্ত তাঞ্জানিয়া |
পরিসংখ্যান | |
ম্যাচ | ৮ |
গোল সংখ্যা | ২৮ (ম্যাচ প্রতি ৩.৫টি) |
অংশগ্রহণকারী দল
সম্পাদনাপ্রতিয়োগিতায় ৬টি দল অংশগ্রহণ করেছিল: ৪টি মূল গোসাগ কাপ থেকে আসে এবং পরে দুটি যোগ হয়:
গ্রুপ পর্ব
সম্পাদনাগ্রুপ পর্ব ২২ সেপ্টেম্বর শুরু হয় এবং ২৮ সেপ্টেম্বর শেষ হয়; যাতে একটি প্লে-অফ ম্যাচও অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সপ্তাহব্যাপি প্রতি ম্যাচের দিন পর্যাক্রমিক ভাবে গ্রুপ এ ও গ্রুপ বি এর মধ্যে ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হয়, গ্রুপ এ শেষ হয় প্লে-অফ দিয়ে। গ্রুপ এ এর নির্ধারিত ম্যাচ শেষে, উগান্ডা এবং জাম্বিয়া নিচে উল্লেখিত পরস্পর একই সমান যোগ্যতা অর্জন করে। তাই প্রথাগত পদ্ধতিতে মূল পর্বে উত্তরণের জন্য প্লে-অফ ম্যাচের সিদ্ধান্ত হয় এবং তাতে উগান্ডা বিজয়ী হয়েছিল।[১]
যদি দুই বা ততোধিক দলের গ্রুপ ম্যাচ শেষ হওয়ার পরে পয়েন্ট সমান হয়, তবে র্যাঙ্কিংয়ে নিম্ন লিখিত মানদণ্ড প্রযোজ্য হবে। (ক্রমিকভাবে সাজানো):
|
|
গ্রুপ এ
সম্পাদনাদল | খেলা |
জয় |
ড্র |
পরাজয় |
স্বগো |
বিগো |
গোপা |
পয়েন্ট |
---|---|---|---|---|---|---|---|---|
উগান্ডা | ২ | ১ | ১ | ০ | ৭ | ২ | +৫ | ৩ |
জাম্বিয়া বি | ২ | ১ | ১ | ০ | ৭ | ২ | +৫ | ৩ |
সোমালিয়া | ২ | ০ | ০ | ২ | ২ | ১২ | −১০ | ০ |
জাম্বিয়া বি | ৬ – ১ | সোমালিয়া |
---|---|---|
উগান্ডা | ১ – ১ | জাম্বিয়া বি |
---|---|---|
গ্রুপ এ প্লে-অফ
সম্পাদনাউগান্ডা | ২ – ১ | জাম্বিয়া বি |
---|---|---|
গ্রুপ বি
সম্পাদনাদল | খেলা |
জয় |
ড্র |
পরাজয় |
স্বগো |
বিগো |
গোপা |
পয়েন্ট |
---|---|---|---|---|---|---|---|---|
তানজানিয়া | ২ | ২ | ০ | ০ | ৩ | ১ | +২ | ৪ |
কেনিয়া | ২ | ১ | ০ | ১ | ৩ | ১ | +২ | ২ |
জাঞ্জিবার | ২ | ০ | ০ | ২ | ০ | ৬ | −৬ | ০ |
তানজানিয়া | ১ – ০ | জাঞ্জিবার |
---|---|---|
তানজানিয়া | ২ – ১ | কেনিয়া |
---|---|---|
ফাইনাল
সম্পাদনাউগান্ডা | ২ – ১ | তানজানিয়া[১][৫] |
---|---|---|
১৯৭৩ সিইসিএএফএ কাপ চ্যাম্পিয়নস |
---|
উগান্ডা ১ম শিরোপা |
ফাইনাল র্যাঙ্কিং
সম্পাদনাশীর্ষ চার দল ছাড়া, গ্রুপ পর্বের একই টাই-ব্রেকিং মানদণ্ড ব্যবহার দলসমূহের র্যাঙ্কিং বা অবস্থান দেয়া হয়।[১]
অব. | দল | খেলা | জ | ড্র | হা | পয়েন্ট | স্বগো | বিগো | গোপা | ||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
১ | উগান্ডা | ৫ | ৪ | ১ | ০ | ৯ | ১১ | ৪ | +৭ | ||||
২ | তানজানিয়া | ৩ | ১ | ১ | ১ | ৩ | ৮ | ৪ | +৪ | ||||
গ্রুপ পর্যায়ে দ্বিতীয় স্থান অর্জনকারী | |||||||||||||
=৩ | জাম্বিয়া | ৩ | ১ | ১ | ১ | ৩ | ৮ | ৪ | +৪ | ||||
=৩ | কেনিয়া | ২ | ১ | ০ | ১ | ২ | ৩ | ১ | +২ | ||||
গ্রুপ পর্বে বিদায় হওয়া দল | |||||||||||||
৫ | জাঞ্জিবার | ২ | ০ | ০ | ২ | ০ | ০ | ৬ | -৬ | ||||
৬ | সোমালিয়া | ২ | ০ | ০ | ২ | ০ | ২ | ১২ | -১০ | ||||
মোট | ৮.৫(১) | ৭ | ১.৫(২) | ৭ | ২৪ | ৩২ | ৩১ | +১ |
(১) – মোট খেলেছে গণনায় মোট খেলা হার গণনা করা হয়নি (মোট খেলা হার = মোট খেলা জয়)
(২) – সব দলের ড্র (টাই) হওয়া খেলার মোট সংখ্যা = খেলা ড্র হওয়ার মোট সংখ্যা (টাই) ÷ ২ (উভয় দল জড়িত)
(৩) – ফুটবল পরিসংখ্যানের প্রচলিত রীতি অনুযায়ী, অতিরিক্ত সময়ে নিস্পত্তি হওয়া ম্যাচ জয় এবং হার হিসাবে গণনা করা হয়েছে, অন্যদিকে পেনাল্টি শুট-আউটে নিস্পত্তি হওয়া ম্যাচ ড্র হিসেবে ধরা হয়েছে।
টীকা
সম্পাদনা- ম্যাচে জিতলে ২ পয়েন্ট পাবে, ড্র করলে ১ পয়েন্ট পাবে এবং পরাজিত হলে ০ পয়েন্ট।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ গ ঘ ঙ "Uganda, 1973"। The Rec.Sport.Soccer Statistics Foundation (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১ জুন ২০১৪।
- ↑ Onwumechili, Chuka and Akindes, Gerard। Identity and Nation in African Football: Fans, Community and Clubs (ইংরেজি ভাষায়)।
- ↑ Korir, Patrick (২৫ নভেম্বর ২০০৯)। "The CECAFA Fact File"। futaa.com (ইংরেজি ভাষায়)। ৫ জুন ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ জুন ২০১৪।
- ↑ Mathu, Wilson (১৫ নভেম্বর ২০১৩)। "CECAFA: Stars', Cranes land different groups"। futaa.com (ইংরেজি ভাষায়)। ২৮ নভেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ জুন ২০১৪।
- ↑ "CECAFA Cup 1973"। Wildstat (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১ জুন ২০১৪।