১৮৭৬ সালের ঘূর্ণিঝড় (বাংলাদেশ)
১৮৭৬ সালের বাকেরগঞ্জ ঘূর্ণিঝড় (অক্টোবর ২৯ – নভেম্বর ১, ১৮৭৬) প্রাণহানির ও ভয়ঙ্করের দিক থেকে পৃথিবীর ঘূর্ণিঝড়-এর ইতিহাসে ষষ্ঠ স্থান নিয়ে আছে।[১]। ৩১ অক্টোবর ১৮৭৬ সালে বাকেরগঞ্জের উপকূলের (মেঘনার মোহনার নিকটে) উপর দিয়ে বয়ে যায় এই প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড়।
সুপার ঘূর্ণিঝড় (আইএমডি স্কেল) | |
---|---|
শ্রেণী ৪ (স্যাফির-সিম্পসন মাপনী) | |
গঠন | ২৯ অক্টোবর ১৮৭৬ |
বিলুপ্তি | ১ নভেম্বর ১৮৭৬ |
সর্বোচ্চ গতি | ৩-মিনিট স্থিতি: ২২০ কিমি/ঘণ্টা (১৪০ mph) ১-মিনিট স্থিতি: ২৩০ কিমি/ঘণ্টা (১৪৫ mph) |
সর্বনিম্ন চাপ | ৯৪৫ hPa (mbar); ২৭.৯১ inHg |
হতাহত | ২,০০,০০০ মোট |
ক্ষয়ক্ষতি | অজানা |
প্রভাবিত অঞ্চল | বাংলাদেশ, ভারত |
উৎপত্তি
সম্পাদনা২৭শে অক্টোবর, দক্ষিণ বঙ্গোপ্রসাগর (আনুমানিক) ১০.০ ডিগ্রি উত্তর এবং ৮৯.০ ডিগ্রি পূর্ব হতে ঘূর্ণিঝড়ের উৎপত্তি হয় এবং এর ফলশ্রুতিতে সকাল থেকেই নিন্মচাপের সৃষ্টি হয়, যা ৩০শে অক্টোবর ১৫ ডিগ্রি উত্তর ৮৯ ডিগ্রি পূর্ব এ তীব্রতর আকার ধারণ করে এবং উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে এগিয়ে যেতে থাকে।
প্রকৃতি
সম্পাদনা৩১ অক্টোবর প্রবল সামুদ্রিক ঝড়ের আকার নিয়ে বাকেরগঞ্জএর উপকূলের উপর দিয়ে বয়ে যায়। ঝড়ের কেন্দ্র ৩-১৩.৬ মিটার, বাতাসের তীব্রতা ২২০ কিমি/ঘণ্টা (১৪০ মাইল/ঘণ্টা) এবং পানি সমুদ্রতটের থেকে স্বাভাবিকের থেকে ৪০ ফিট (১২ মিটার) উপর দিয়ে বয়ে যায়।[২]
ভয়াবহতা
সম্পাদনামেঘনা মোহনা এবং চট্টগ্রাম, বরিশাল ও নোয়াখালী উপকূলে তীব্র ঝড়ো জলোচ্ছ্বাস ও প্লাবন সংঘটিত হয়। ঘূর্ণিঝড়ে বাকেরগঞ্জের নিন্ম অঞ্চল সম্পূর্ণভাবে প্লাবিত হয়ে যায়, ঝড়ে আক্রান্ত ব্যতীত সমপরিমান মানুষ ঝড় পরবর্তী বিভিন্ন অসুখ ও অনাহারে মৃত্যুবরণ করে। আনুমানিক হিসাবে ২ লক্ষ মানুষ এর প্রাণহানি ঘটে এই ঘূর্ণিঝড়ে।[৩] আরও অধিক মানুষ মারা যায় দুর্যোগ পরবর্তী মহামারী এবং দুর্ভিক্ষে।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "Deadliest World Tropical Cyclones - Weather Underground" (ইংরেজি ভাষায়)।
- ↑ চৌধুরী, মাসুদ হাসান। "ঘূর্ণিঝড়"। বাংলাপিডিয়া।
- ↑ "Bengal cyclone of 1876" (ইংরেজি ভাষায়)।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]