হ্যামি লাভ
হ্যাম্পডন স্ট্যানলি ব্রে লাভ (ইংরেজি: Hammy Love; জন্ম: ১০ আগস্ট, ১৮৯৫ - মৃত্যু: ২২ জুলাই, ১৯৬৯) নিউ সাউথ ওয়েলসের লিলিফিল্ড এলাকায় জন্মগ্রহণকারী প্রথিতযশা অস্ট্রেলীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন।[১] অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৩৩ সালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | হ্যাম্পডন স্ট্যানলি ব্রে লাভ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | লিলিফিল্ড, সিডনি, নিউ সাউথ ওয়েলস, অস্ট্রেলিয়া | ১০ আগস্ট ১৮৯৫|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
মৃত্যু | ২২ জুলাই ১৯৬৯ মসম্যান, সিডনি, নিউ সাউথ ওয়েলস, অস্ট্রেলিয়া | (বয়স ৭৩)|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | - | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | উইকেট-রক্ষক | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
সম্পর্ক | আলবার্ট চিদাম (ভাইপো) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
একমাত্র টেস্ট (ক্যাপ ১৪৮) | ১০ ফেব্রুয়ারি ১৯৩৩ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ৩০ জুলাই ২০১৯ |
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটে নিউ সাউথ ওয়েলস ও ভিক্টোরিয়া দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ উইকেট-রক্ষক হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, ডানহাতে কার্যকরী ব্যাটিংশৈলী প্রদর্শন করেছেন হ্যামি লাভ।
প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট
সম্পাদনা১৯২০-২১ মৌসুম থেকে ১৯৩২-৩৩ মৌসুম পর্যন্ত হ্যামি লাভের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। প্রথমে বিশ্বযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। ইংল্যান্ডে এআইএফের সাথে যুক্ত ছিলেন। পারিবারিক কারণে ও টেস্ট সিরিজ শুরুর পূর্বে দেশে ফিরে আসেন।
১৯২০-২১ মৌসুমে নিউ সাউথ ওয়েলসের সদস্যরূপে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। অভিষেক খেলাতেই ৯১ রানের ইনিংস খেলেন। তবে, অধিক খেলায় অংশগ্রহণের উদ্দেশ্যে ১৯২২-২৩ মৌসুমে ভিক্টোরিয়ায় স্থানান্তরিত হন তিনি। এ পর্যায়ে ব্যাট হাতে বেশ ভালো খেলেন। পাঁচটি শতরান করেন। তবে, জ্যাক এলিছের কারণে উইকেটের পিছনে অবস্থানের সুযোগ সীমিত হয়ে আসে। পরের ছয় বছরে বার্ট ওল্ডফিল্ডের সহকারী হিসেবে খেলেন। ১৯৩০-এর দশকের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ার দ্বিতীয় পছন্দের উইকেট-রক্ষকের মর্যাদা লাভ করেন। কিন্তু বার্ট ওল্ডফিল্ডের দক্ষতার কারণে খেলার সুযোগ পাননি। এছাড়াও, ব্যাটসম্যান হিসেবে চমৎকার দক্ষতা প্রদর্শন করেছেন। ৫৪ খেলায় অংশ নিয়ে সাতটি শতরানের ইনিংস খেলেছেন। ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ করেছেন ১৯২ রান।[২]
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট
সম্পাদনাসমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে একটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন হ্যামি লাভ। ১০ ফেব্রুয়ারি, ১৯৩৩ তারিখে ব্রিসবেনের গাব্বায় সফরকারী ইংল্যান্ড দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে প্রথম খেলেন। অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে লেন ডার্লিং, আর্নেস্ট ব্রমলি, হ্যামি লাভ এবং ইংল্যান্ডের পক্ষে টমাস মিচেলের একযোগে টেস্ট অভিষেক ঘটে। এটিই তার একমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ ছিল। ১৯৩৫-৩৬ মৌসুমে জ্যাক রাইডারের নেতৃত্বাধীন অস্ট্রেলিয়া দলের সদস্যরূপে ভারত গমন করেন।
ব্যক্তিগত জীবন
সম্পাদনা২২ জুলাই, ১৯৬৯ তারিখে ৭৪ বছর বয়সে সিডনির মসম্যান এলাকায় হ্যামি লাভের দেহাবসান ঘটে। তার ভ্রাতৃস্পুত্র আলবার্ট চিদাম অস্ট্রেলিয়ান সার্ভিসেস ও নিউ সাউথ ওয়েলসের পক্ষে ১৯৩৬-৩৭ থেকে ১৯৪৫-৪৬ সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছিলেন।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "Australia – Test Batting Averages"। ESPNCricinfo। সংগ্রহের তারিখ ৩০ জুলাই ২০১৯।
- ↑ http://www.espncricinfo.com/ci/content/player/6319.html
আরও দেখুন
সম্পাদনাবহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- ইএসপিএনক্রিকইনফোতে হ্যামি লাভ (ইংরেজি)
- ক্রিকেটআর্কাইভে হ্যামি লাভ (সদস্যতা প্রয়োজনীয়) (ইংরেজি)