হোয়াট’স ইটিং গিলবার্ট গ্রেপ
হোয়াট’স ইটিং গিলবার্ট গ্রেপ (ইংরেজি: What’s Eating Gilbert Grape অর্থাৎ "গিলবার্ট গ্রেইপকে খাচ্ছে কী?") সুয়েডীয় পরিচালক লাসে হালস্ত্রোম পরিচালিত ইংরেজি ভাষার মার্কিন নাট্য চলচ্চিত্র। ১৯৯৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত এই ছবিতে অভিনয় করেছেন জনি ডেপ ও লিওনার্ডো ডিক্যাপ্রিও। পিটার হেজেস রচিত একই নামের উপন্যাস থেকে ছবিটি নির্মীত হয়েছে। ছবির শ্যুটিং হয়েছে টেক্সাসের ম্যানরে।
হোয়াট’স ইটিং গিলবার্ট গ্রেপ | |
---|---|
পরিচালক | লাসে হালস্ত্রোম |
প্রযোজক | ডেভিড ম্যাটালন বার্টিল ওলসন মাইর টেপার |
রচয়িতা | পিটার হেজেস |
শ্রেষ্ঠাংশে | জনি ডেপ জুলিয়েট লিউইস লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও ডারলিন কেটস ম্যারি স্টিনবার্জেন লরা হ্যারিংটন ম্যারি কেট শেলহার্ট কেভিন টিঘ জন সি. রেইলি ক্রিসপিন গ্লোভার |
সুরকার | অ্যালান পার্কার বিয়োর ইসফাল |
চিত্রগ্রাহক | স্ভেন নিকভিস্ত |
সম্পাদক | অ্যান্ড্রু মন্ডশেইন |
পরিবেশক | প্যারামাউন্ট পিকচার্স (USA) |
মুক্তি | ১৭ ডিসেম্বর ১৯৯৩ |
স্থিতিকাল | ১১৮ মিনিট |
দেশ | মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র |
ভাষা | ইংরেজি |
আয় | $১০ মিলিয়ন (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র) [১] |
কাহিনী সূত্র
সম্পাদনাগিলবার্ট গ্রেইপ (জনি ডেপ) পরিবার সামলাতে খুব ব্যস্ত। তার বাবা নিরুদ্দেশ, মা অত্যধিক মোটা হয়ে পড়ায় স্বাভাবিকভাবে চলাচল করতে পারেন না, ছোট ভাই আর্নি (ডিক্যাপ্রিও) মানসিকভাবে অসুস্থ। বড় বোন এমি ঘরের সব কাজ করে, ছোট বোন এলেন অন্যান্য আট-দশটি কিশোরীর মতই উচ্ছল জীবন যাপন করে। গিলবার্ট একটি মুদির দোকানে কাজ করে। নিজের ভাইয়ের প্রতি তার টানই ছবিতে মুখ্য হয়ে উঠেছে। এর পাশাপাশি সামাজিক ও পারিবারিক সম্পর্কের অনেক দিকই এতে সুন্দরভাবে উঠে এসেছে।
অভিনয়ে
সম্পাদনা- জনি ডেপ - গিলবার্ট গ্রেইপ
- লিওনার্ডো ডিক্যাপ্রিও - আর্নি গ্রেইপ (গিলবার্টের ছোট ভাই)
- ডার্লিন কেটস - বনি গ্রেইপ (মা)
- লরা হ্যারিংটন - এমি গ্রেইপ (বড় বোন)
- ম্যারি কেট শেলহার্ট - এলেন গ্রেইপ (ছোট বোন)
- হুলিয়েট লুইস - বেকি
- ম্যারি স্টিনবার্জেন - বেটি কার্ভার
প্রতিক্রিয়া
সম্পাদনাবক্স অফিসে সিনেমাটি বেশি আয় করতে পারে নি (মাত্র ১০,০৩২,৭৬৫ ডলার)। কিন্তু সমালোচকদের কাছে বিপুল প্রশংসিত হয়েছে। মুক্তি পরই এ ছবির একটি ফ্যান গোষ্ঠী তৈরি হয়েছে। রটেন টম্যাটোস-এ ছবিটির রেটিং ৮৯%। ৩৬টি রিভিউয়ের মধ্যে ৩২টি তেই ছবির প্রশংসা করা হয়েছে।
পুরস্কার
সম্পাদনাএ ছবির জন্য লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও মাত্র ১৯ বছর বয়সে শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতা বিভাগে একাডেমি পুরস্কার এবং গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন। এটাই ডিক্যাপ্রিওর প্রথম অস্কার ও গোল্ডেন গ্লোব মনোনয়ন। প্রাপ্ত পুরস্কারগুলো হচ্ছে:
- ন্যাশনাল বোর্ড অফ রিভিউয়ের সেরা পার্শ্ব অভিনেতা পুরস্কার - লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও
- সেরা বিদেশী চলচ্চিত্র - গিল্ড অফ জার্মান আর্টহাউজ সিনেমাস (১৯৯৫)