হেলেন শার্লট এলিজাবেথ ওগস্টন (পরে টাউনরো এবং তারপরে বুলিমোর, ১৮৮২ – ১৯৭৩) ছিলেন একজন স্কটিশ ভোটাধিকারী, যিনি ১৯০৮ সালের ৫ই ডিসেম্বর তারিখে রয়্যাল অ্যালবার্ট হলের একটি সভায় ডেভিড লয়েড জর্জকে বাধা দেওয়ার জন্য এবং পরবর্তীতে একটি কুকুরের চাবুক দিয়ে স্টুয়ার্ডদের আটকে রাখার জন্য পরিচিত।[]

হেলেন অগস্টন
স্যামুয়েল বেগ দ্বারা সংবাদপত্রের চিত্রের বিশদ বিবরণ
জন্ম
হেলেন শার্লট এলিজাবেথ ডগলাস ওগস্টন

(১৮৮২-০৬-১০)১০ জুন ১৮৮২
মৃত্যু৪ জুলাই ১৯৭৩(1973-07-04) (বয়স ৯১)
ম্যালভার্ন, ওরচেস্টারশায়ার, ইংল্যাণ্ড
জাতীয়তাগ্রেট ব্রিটেন এবং আয়ারল্যাণ্ডের যুক্তরাজ্য
শিক্ষাঅ্যাবরদিন বিশ্ববিদ্যালয়
পেশাভোটাধিকার
নিয়োগকারীডব্লিউএসপিইউ
দাম্পত্য সঙ্গী
  • ডাঃ ইউজিন ডানবার টাউনরো
  • গ্র্যানভিল হ্যাভলক বুলিমোর
পিতা-মাতাইসাবেলা এবং অধ্যাপক স্যার আলেকজাণ্ডার ওগস্টন

হেলেন ওগস্টন ১৮৮২ সালে অ্যাবরদিনে জন্মগ্রহণ করেছিলেন, তিনি অ্যাবরদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন অধ্যাপকের কন্যা।[] তিনি দুইবার বিয়ে করেছেন। তাঁর বাবা অধ্যাপক স্যার আলেকজাণ্ডার ওগস্টন দুইবার বিয়ে করেছিলেন। তাঁর প্রথম স্ত্রীর সাথে তাঁর তিনটি সন্তান ছিল এবং তিনি পরে ইসাবেলা মার্গারেট ম্যাথিউসকে পুনরায় বিয়ে করেন এবং হেলেন ও কনস্ট্যান্স অ্যামেলিয়া আইরিন সহ তাদের পাঁচটি সন্তান ছিল।[] হেলেন তাঁর ছোট বোন কনস্ট্যান্সের সাথে দক্ষিণে যাওয়ার আগে অ্যাবরদিন বিশ্ববিদ্যালয়ে বিজ্ঞান ডিগ্রি অর্জন করেছিলেন। তিনি একজন স্যানিটারি ইন্সপেক্টর হন এবং তাঁরা দুজনেই ১৯০৬ সালে মহিলা সামাজিক ও রাজনৈতিক ইউনিয়নের সদস্য হন।[]

১৯০৮ সালের ৫ই ডিসেম্বরে তিনি একটি বক্তৃতা অনুষ্ঠানে যোগ দেন, যেখানে আলবার্ট হলে, ডেভিড লয়েড জর্জ বক্তৃতা করছিলেন। সভাটি উইমেন লিবারেল ফেডারেশন দ্বারা সংগঠিত হয়েছিল এবং লয়েড জর্জ বক্তৃতা করলেও সন্দেহ করা হয়েছিল যে তিনি মহিলাদের জন্য ভোটের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সমস্যাটি এড়িয়ে যাবেন।[]

 
হেলেন ওগস্টন এবং মেরি গাওথর্প

স্টুয়ার্ডরা তাঁকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল এবং তিনি তখন একটি কুকুরের চাবুক টেনে নিয়েছিলেন। যখন তাঁকে বহিস্কৃত করা হচ্ছে তখন কেউ একজন তাঁর বুকে ঘুষি মারে এবং অন্য একজন তাঁর কব্জিতে জ্বলন্ত সিগার দিয়ে পুড়িয়ে দেয়।[] স্থানীয় সংবাদপত্রে তাঁকে নিয়ে লেখা হয়। বিক্ষোভের ফলে লয়েড জর্জের ভবিষ্যৎ আলোচনায় নারীদের উপস্থিতি থেকে বিরত রাখা হয়েছিল।[] চাবুক ব্যবহার করার জন্য ওগস্টন তাঁর যুক্তিতে উল্লেখ করেছেন:

"একজন লোক তার সিগারের আলোকিত প্রান্তটি আমার কব্জিতে রেখেছিল; অন্য একজন আমার বুকে আঘাত করেছিল। স্টুয়ার্ডরা বক্স আসনের মধ্যে ছুটে এসে আমাকে ছিটকে দেয়। আমি বলেছিলাম আমি চুপচাপ বেরিয়ে যাব, কিন্তু আমি তাদের পরিচালনার কাছে নতি স্বীকার করব না। তারা সবাই আমাকে আঘাত করেছে। আমি এটা সহ্য করতে পারিনি। আমি মনে করি না আমাদের এই ধরনের সহিংসতার কাছে নতিস্বীকার করা উচিত। এটা বার করে দেবার প্রশ্নই নয়; আমাদেরকে মারধর করা হয়েছে।"[][]

হেলেন অগস্টন ১৯০৯ সালে ব্রাইটনে ডব্লিউএসপিইউ-এর হয়ে কাজ করছিলেন এবং ইংল্যাণ্ডের দক্ষিণে তাদের পক্ষে কথা বলছিলেন, কিন্তু তিনি ১৯১০ সালে নারীদের ভোটাধিকারের জন্য নতুন সাংবিধানিক সমিতির একজন বেতনভোগী সংগঠক হয়েছিলেন।[]

হেলেন অগস্টন দুইবার বিয়ে করেছেন। তিনি স্কটল্যান্ডের ওল্ড অ্যাবারদিনের কিংস কলেজে ১৯১২ সালের ৪ঠা মে তারিখে ডাঃ ইউজিন ডানবার টাউনরোকে বিয়ে করেন। এরপর তিনি নরউইচ নরফোকে ১৯২৯ সালের ৩রা জানুয়ারি তারিখে গ্র্যানভিল হ্যাভলক বুলিমোরকে বিয়ে করেন।

১৯৭৩ সালের ৪ঠা জুলাই হেলেন অগস্টন ম্যালভার্ন ওরচেস্টারশায়ারে মারা যান।

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. Leneman, Leah (১৯৯১)। A guid cause : the women's suffrage movement in Scotland। Aberdeen University Press। আইএসবিএন 0080412017ওসিএলসি 24510440 
  2. "Ogston, A"www.scotlandswar.co.uk। ২০১৯-১২-০৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১২-০৫ 
  3. Crawford, Elizabeth (২০০৩-০৯-০২)। The Women's Suffrage Movement: A Reference Guide 1866-1928 (ইংরেজি ভাষায়)। Routledge। আইএসবিএন 978-1-135-43402-1 
  4. ""The woman with the whip" - Suffragette Helen Ogston causes an international stir | Royal Albert Hall"Royal Albert Hall (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-১২-০৬ 
  5. "Is your feminist T-shirt helping women? - The Boston Globe"BostonGlobe.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১২-০৫ 
  6. "The sexual assault faced by the Suffragettes"politics.co.uk (ইংরেজি ভাষায়)। ৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-১২-০৬ 
  7. Kingsley Kent, Susan (১৯৯৫)। Sex and suffrage in Britain 1860-1914। Routledge। আইএসবিএন 0415055202ওসিএলসি 264468874 

টেমপ্লেট:Women's suffrage in Scotland