হেরাত জামে মসজিদ
হেরাত জামে মসজিদ (مسجد جمعه هرات) (হেরাত বড় মসজিদ নামেও পরিচিত) আফগানিস্তানের উত্তর-পশ্চিম প্রদেশের হেরাত শহরে অবস্থিত একটি বিখ্যাত মসজিদ। মসজিদটি ঘুরি শাসক সুলতান গিয়াস উদ্দিন ঘুরি কর্তৃক নির্মিত হয়। তিনি ১২০০ খ্রিষ্টাব্দে এটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন এবং পরবর্তীতে অনেক শাসকের দ্বারাই মসজিদটি সম্প্রসারিত হয়েছে। পরবর্তীতে এর অনেক চকচকে টাইলস প্রতিস্থাপিত হয়েছে এবং পনেরতম শতাব্দির শেষের দিকে হেরাতের জামে মসজিদটির বর্তমান সংস্করণটির রূপ দেয়া হয়।
হেরাত জামে মসজিদ | |
---|---|
ধর্ম | |
অন্তর্ভুক্তি | ইসলাম |
নেতৃত্ব | শাহরুখ মির্জা[১] |
অবস্থান | |
অবস্থান | হেরাত, আফগানিস্তান |
স্থাপত্য | |
স্থপতি | জালাল আল-দীন ফিরোজ শাহ[১] |
ধরন | মসজিদ |
স্থাপত্য শৈলী | ইসলামী |
ভূমি খনন | ১৪০৪ (৮০৭ হিজরী) |
সম্পূর্ণ হয় | ১৪৪৬ (৮৫০ হিজরী) |
বিনির্দেশ | |
মিনার | ৮ |
উপাদানসমূহ | নীলকান্তমণি, ইট, পাথর |
প্রতিদিনের সালাত আদায়ের জন্য অসংখ্য ছোট মসজিদ ছাড়াও, ইসলামী বিশ্বের অনেক সম্প্রদায়ের একটি বড় মসজিদ থাকে, শুক্রবারের জুম্মার সালাত খুৎবা সহকারে আদায়ের জন্য একটি সম্মিলিত মসজিদ থাকে। জামে মসজিদটি কখনোই হেরাতের সর্ববৃহৎ মসজিদ ছিল না; তিমুরিদ কর্তৃক গা্ওয়ারসাদ মাদ্রাসা ও মসিজদের একট সুবৃহৎ কমপ্লেক্স নির্মিত হয় যা শহরের উত্তর অংশে অবস্থিত। ঐ স্থাপনাগুলো ১৮৮৫ সালে বিট্রিশ ভারতীয় সেনাবহিনী ধ্বংস করে দেয় যাতে ঐ দুর্গগুলো ব্যবহার করে রাশিয়ার সেনাবাহিনী ভারতের উপর আক্রমণ করতে না পারে।
ইতিহাস
সম্পাদনাহেরাত জামে মসজিদ শহরের প্রথম জামে মসজিদ। ভূমিকম্প এবং অগ্নি কর্তৃক ধ্বংস হওয়া দুটি ছোট জরাস্ট্রিয়ান অগ্নি মন্দিরের উপর নির্মিত হয়। ঘুরি শাসক গিয়াস উদ্দিন ঘুরি ১২০০ খ্রিষ্টাব্দে (৫৯৭ হিজরীতে) একটি মসজিদটি নির্মাণের কাজ শুরু করেন এবং তার মৃত্যুর পর, তার ভাই এবং উত্তরসূরী মোহাম্মদ কর্তৃক মসজিদটির নির্মাণ কাজ চলতে থাকে। বিষয়টি ১৯৬৪ সালে মসজিদটির পুনর্নির্মাণের সময় পূর্ব ঘুরি প্রবেশদ্বারের একটি শিলালিপি এবং ষোলতম শতাব্দীর তিমরুদের ঐতিহাসিক খাওয়ান্দমির এর খোলাসাত আল আকবর নামক গ্রন্থ থেকে জানা যায়।
তিমুরিদ
সম্পাদনা১৪২১ সালে, চেঙ্গিস খান ছোট ভবনগুলো ধ্বংসের মাধ্যমে হেরাতে অনেক অংশসহ প্রদেশটি জয়লাভে করেন। ১২৪৫ সাল পর্যন্ত এটি ছিল না, শামস আল দিন কার্ত[২] এর নিয়ন্ত্রণে কোন প্রকারের পুনর্নির্মাণ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়নি এবং ১৩০৬ পর্যন্ত মসজিদ নির্মাণের কাজ শুরু করা হয়নি। ১৩৬৪ সালে একটি বিধ্বংসী ভূমিকম্পে ভবনটি প্রায় সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে যায়, যদিও ভবনটি পুননির্মাণের জন্য বহুবার চেষ্টা করা হয়েছিল।[১]
মসজিদের বিবরণ
সম্পাদনামসজিদটি প্রথাগত আয়তাকার ইওয়ান প্যাটার্নে নির্মিত হয়েছে। মসজিদটির চারপাশে তিনটি প্রাচীর এবং সামনে একটি বিশাল উঠান রয়েছে।[৩] মসজিদটির মূল নকশার কিছু অংশ মসজিদটির কেন্দ্রভাগে রয়ে গেছে, কিন্তু অনেক কিছু প্রতিস্থাপিত হয়েছে।[৩]
চিত্রশালা
সম্পাদনা-
১৯৬২
-
২০০৪
-
২০০৪
-
২০০৪
-
২০০৯
-
মোজাইক কর্মী, ২০০৯
-
২০০৪
-
২০০৪
-
২০০৯
-
২০১১
-
২০১১
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ গ "Great Mosque of Herat"। Archnet.org। ১৯ আগস্ট ২০০৫। ৩ অক্টোবর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ নভেম্বর ২০১৫।
- ↑ Jamal, Nadia Eboo (২০০২)। Surviving the Mongols: Nizārī Quhistānī and the Continuity of Ismaili Tradition in Persia। London: Tauris। পৃষ্ঠা 70। আইএসবিএন 978-1-86064-876-2।
- ↑ ক খ "City of Herat"। World Heritage Centre, UNESCO।