হেমেন গাঙ্গুলী
হেমেন গাঙ্গুলী (ইংরেজি: Hemen Ganguly)(১৯২৫ — ১৯ মার্চ, ১৯৭৩) ছিলেন ভারতীয় বাঙালি শিক্ষা ও সংস্কৃতি অনুরাগী ব্যক্তিত্ব, চলচ্চিত্র প্রদর্শক, পরিবেশক ও প্রযোজক। ১৯৬০ খ্রিস্টাব্দে "ক্ষুধিত পাষাণ" প্রযোজনা করে জাতীয় পুরস্কার লাভ করেন। [১][২]
হেমেন গাঙ্গুলী | |
---|---|
জন্ম | ১৯২৫ |
মৃত্যু | ১৯ মার্চ, ১৯৭৩ |
নাগরিকত্ব | ভারতীয় |
পরিচিতির কারণ | চলচ্চিত্র প্রযোজক |
পিতা-মাতা | রায়বাহাদুর শচীন্দ্রনাথ গাঙ্গুলী (পিতা) |
সংক্ষিপ্ত জীবনী
সম্পাদনাহেমেন গাঙ্গুলীর জন্ম বৃটিশ ভারতের তৎকালীন বিহার রাজ্যের বর্তমানে ঝাড়খণ্ডের রাঁচিতে। পিতা ছিলেন রায়বাহাদুর শচীন্দ্রনাথ গাঙ্গুলী। পড়াশোনায় অত্যন্ত মেধাবী ছাত্র ছিলেন তিনি। পাটনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বি.এ পরীক্ষায় সংস্কৃতে প্রথম, ইংরাজীতে এম.এ (প্রথম শ্রেণীতে প্রথম) এবং প্যারিসে ফরাসি সাহিত্যের পরীক্ষাতেও প্রথম হন। প্রথমদিকে তিনি বিভিন্ন ভাষায় কবিতা রচনা করে সাহিত্যিক মহলে ভূয়সী প্রশংসা অর্জন করেন। শিক্ষা ও সংস্কৃতির প্রতি তার গভীর অনুরাগ ছিল। রাঁচির বাড়িতে অসংখ্য বইয়ের সংগ্রহে বিরাট লাইব্রেরী ছিল। তিনি সুবক্তা, নামি রোটারিয়ান, রাঁচি বিশ্ববিদ্যালয়ের সেনেট ও সিন্ডিকেটের সদস্য ছিলেন। এ ছাড়াও রাঁচির প্রাচীনতম মহিলা কলেজ রাঁচি উওমেন কলেজের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন তিনি। তবে কর্মজীবনে চলচ্চিত্র প্রদর্শক, পরিবেশক ও প্রযোজক হিসাবে সাফল্য লাভ করেন। রাঁচি শহরে তিনটি সিনেমা হলের মালিক ছিলেন তিনি। ব্যবসায়সূত্রে হিন্দি চলচ্চিত্রের সাথে অধিকতর জড়িত থাকলেও বাংলা ছবির প্রযোজনাও করেছেন। উল্লেখযোগ্য বাংলা চলচ্চিত্র দুটি হল-
- ক্ষুধিত পাষাণ (১৯৬০)
- সাগিনা মাহাতো (১৯৭৪)
"ক্ষুধিত পাষাণ" দ্বিতীয় শ্রেষ্ঠ ফিচার ফিল্ম নির্বাচিত হওয়ায় জাতীয় পুরস্কার লাভ করেন। হেমেন গাঙ্গুলী ১৯৭৩ খ্রিস্টাব্দের ১৯ শে মার্চ মাত্র ৪৮ বৎসর বয়সে প্রয়াত হন। তার মরদেহ তার রাঁচির বাড়িতে এক কুঁয়োর মধ্যে পাওয়া যায়।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "হেমেন গাঙ্গুলী অ্যাওয়ার্ডস (ইংরাজীতে)"। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৩-১৯।
- ↑ সুবোধচন্দ্র সেনগুপ্ত ও অঞ্জলি বসু সম্পাদিত, সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান, প্রথম খণ্ড, সাহিত্য সংসদ, কলকাতা, আগস্ট ২০১৬ পৃষ্ঠা ৮৭৮, আইএসবিএন ৯৭৮-৮১-৭৯৫৫-১৩৫-৬