হুমাশাহ সুলতান (অটোমান তুর্কি: ھما شاہ سلطان‎; fl. ১৬৪৭ – fl. ১৬৪৮) ইব্রাহিমের স্ত্রী ছিলেন। তিনি তাঁর অষ্টম হাসেকি

হুমাশাহ সুলতান
হাসেকি সুলতান
কার্যকাল১২ আগস্ট ১৬৪৮ সালের পূর্বপর্যন্ত
পূর্বসূরিআয়শে সুলতান
উত্তরসূরিগুলনুস সুলতান
সহ হাসেকিতুরহান সুলতান
আসুব সুলতান
মুয়াজ্জেজ সুলতান
আয়শে
মাহিএনভার
শিভেকার সুলতান
সাকবাগলি
জন্ম1627
জর্জিয়া
মৃত্যু১৬৭২(বয়স-45)
কন্সানটিনোপোল, অটোমান সাম্রাজ্য (বর্তমান ইস্তাম্বুল, তুর্কি)
দাম্পত্য সঙ্গীইব্রাহিম (বি. ১৬৪৭–১৬৪৮)
বংশধরশাহাযাদা ওরহান
পূর্ণ নাম
তুর্কি: হুমাশাহ সুলতান
উসমানীয় তুর্কি: ھما شاہ سلطان
রাজবংশঅটেমান (বিবাহসূত্রে)
ধর্মসুন্নি ইসলাম , পূর্বে জর্জিয়ান অর্থোডক্স

হুমাশাহ ১৬৪৭ সালে ইব্রাহিমকে বিয়ে করেছিলেন[][] এবং তাকে "অষ্টম হাসেকি" উপাধি দেওয়া হয়েছিল[]। তার বিয়ের পরে তিনি "টেলি হাসেকি" নামে পরিচিতি লাভ করেছিলেন[]সোনাররৌপ্য সুতার (টেলস) কারণে তাকে এই নাম দেওয়া হয়েছিল। এ সুতাগুলো প্রচলিতভাবে কনের চুলকে সাজানোর জন্য ব্যবহৃত হয়[]

তাকে বিবাহ করার পরে ইব্রাহিম তাকে যৌতুক হিসাবে মিশরের কোষাগার দিয়েছিলেন এবং সেবলের পশমের কার্পেটে সাজানো ইব্রাহিম পাশা প্রাসাদ তাকে দিয়েছিলেন[]

ইব্রাহিম তার বোনদের, কোসেমের কন্যা আয়েশা,ফাতমা এবং হানযাদে এবং তাঁর ভাতিজি কায়াকে তার উপপত্নীদের অধীনতায় বাধ্য করেছিলেন। তিনি তাদের জমি এবং গহনাগুলি কেড়ে নিয়েছিলেন এবং হামাশার খাওয়ার সময় দাসীদের মতো তার সেবা করার আদেশ দিয়েছিল। সাবান, বেসিন এবং জলের কলসিটি নিয়ে হুমাশার হাত ধুয়ে দিতেও বাধ্য করেছিলেন[]। তাঁর বিশ্বাস যে তাঁরা সঠিকভাবে সেবা দিতে ব্যর্থ হয়েছিল,যে কারণে সুলতান তখন তাদের এদির্ন প্রাসাদে নির্বাসন দিয়েছিলেন[]

হুমাশাহ যখন গর্ভবতী তখন তিনি পুরাতন প্রাসাদে নির্বাসিত ছিলেন। আগস্ট ১৬৪৮ সালে ইব্রাহিমের এর মৃত্যুর পর দুই মাস পর অক্টোবর ১৬৪৮ সালে তিনি জন্ম দেন শাহযাদা ওরহানের[][][১০][১১]।শাহযাদা জানুয়ারীতে ১৬৫০ সালে এক বছর বয়সে মারা যান[১২]

জনপ্রিয় সংস্কৃতি

সম্পাদনা

২০১৫ সালে তুর্কি টিভি সিরিজ সুলতান সুলেমান:কোসেম-এ হুমাশাহ সুলতানকে চিত্রিত করেছেন তুর্কি অভিনেত্রী Müge Boz[১৩]

আরও দেখুন

সম্পাদনা

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা