হুমায়ুন কাদির
হুমায়ুন কাদির বাংলাদেশের একজন কথাশিল্পী। তার রচনায় সমাজের বিভিন্ন দিক ফুটে আসে।
হুমায়ুন কাদির | |
---|---|
জন্ম | সৈয়দ হুমায়ুন কাদির মুরতাজ আলী ২৯ জুলাই ১৯৩২[১] গোপালপুর, মাদারীপুর |
মৃত্যু | ২০ এপ্রিল ১৯৭৭ | (বয়স ৪৪)
জাতীয়তা | বাংলাদেশী |
পেশা | কথাশিল্পী, অভিনেতা, উপন্যাসিক |
প্রাথমিক জীবন
সম্পাদনাহুমায়ুন কাদির ১৯৩২ সালের ২৯ জুলাই মাদারীপুর জেলার গোপালপুর গ্রামে জন্মগগ্রহণ করেন। তার বাবা এস.এন.কিউ জুলফিকার আলী ছিলেন সাব-ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট। বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, জ্ঞানতাপস ও সাহিত্যানুরাগী হিসেবেও তার সুখ্যাতি ছিল। হুমায়ুন কাদিরের সাহিত্যের প্রতি আকর্ষণ শৈশব থেকেই।[২]
শিক্ষাজীবন
সম্পাদনাতিনি আনন্দমোহন কলেজ এ লেখাপড়া করেন। নাটক, সঙ্গীত, সাহিত্যের প্রতি আকর্ষণ থাকার কারণে মেধাবী হুমায়ুন প্রাতিষ্ঠানিক পড়ালেখায় তেমন মনযোগী ছিলেন না। ব্যক্তিগত জীবনে নানা অস্থির পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে অনিয়মিত লেখাপড়া চালিয়ে বি.এ পাস করেন। ১৯৫৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এ বাংলায় এম.এ তে ভর্তি হন। এখানেই তার আনুষ্ঠানিক শিক্ষার সমাপ্তি ঘটে।
সাহিত্যকর্ম
সম্পাদনাতার কর্মজীবন শুরু হয় দৈনিক সংবাদ এর বার্তা বিভাগের সাংবাদিকতার মধ্য দিয়ে। পরবর্তীকালে অন্যান্য পত্রিকায় কাজ করলেও পাশাপাশি নিমগ্ন হন সাহিত্য সাধনায়। ছাত্রাবস্থাতেই অনেক ছোটগল্প ও উপন্যাস রচনা করেন। কলেজে থাকা অবস্থায় নিয়মিত তার কবিতা ছাপা হতো। কলেজ সাহিত্য-সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করতেন নিয়মিত। অভিনয় করতেন নাটকে। হুমায়ুন কাদির প্রচুর গানও রচনা করেছেন। কিন্তু সেগুলো সুরারোপিত কিংবা গীত হয়েছিল বলে জানা যায়নি।[৩]
উপন্যাস
সম্পাদনা- নির্জন মেঘ
- আদিম অরণ্যে একরাত্রি[৪]
- শীলার জন্য সাধ
- একগুচ্ছ গোলাপ ও কয়েকটি গল্প
ছোটগল্প
সম্পাদনা- অরণ্য কথা বলে
- জলটুঙ্গি
- অচেনা মানুষ
- সেই অনাদি
পুরস্কার
সম্পাদনাহুমায়ুন কাদির ১৯৮০ খ্রিস্টাব্দে মরণোত্তর বাংলা একাডেমী পুরস্কার লাভ করেন।[৫]
মৃত্যু
সম্পাদনা১৯৭৭ সালের ২০ এপ্রিল সমাজ মনষ্ক এই কথাশিল্পী প্রয়াত হন।[৬]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "বরেণ্য: কথাশিল্পী হুমায়ুন কাদির"। যুগান্তর।
- ↑ "হুমায়ূন কাদির : সমাজ সচেতন কথাশিল্পী"। দৈনিক আজাদী।
- ↑ "হুমায়ুন কাদির নিসঃঙ্গ পথিক"। আমাদের সময়।
- ↑ "আদিম অরণ্যে একরাত্রি/হুমায়ুন কাদির"।
- ↑ "বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার"। বাংলাদেশ প্রতিদিন। ঢাকা, বাংলাদেশ। ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৫।
- ↑ সেলিনা হোসেন ও নুরুল ইসলাম সম্পাদিত; বাংলা একাডেমী চরিতাভিধান; দ্বিতীয় সংস্করণ: ফেব্রুয়ারি, ১৯৯৭; পৃষ্ঠা: ৪৪১, আইএসবিএন ৯৮৪-০৭-৪৩৫৪-৬