হুনাইন ইবনে ইসহাক
আবু জায়েদ হুনাইন ইবনে ইসহাক আল–ইবাদী (আরবি: أبو زيد حنين بن إسحاق العبادي; ʾAbū Zayd Ḥunayn ibn ʾIsḥāq al-ʿIbādī; ৮০৮–৮৭৩ খ্রি) ছিলেন একজন প্রভাবশালী নেস্টোরীয় আরব খ্রিস্টান, যিনি একাধারে অনুবাদক, শাস্ত্রজ্ঞ, চিকিৎসক এবং বিজ্ঞানী ছিলেন। হুনাইন আব্বাসীয় খিলাফতের শীর্ষে একদল অনুবাদকের সাথে গ্রীক ও ফার্সি গ্রন্থ আরবি ভাষায় অনুবাদের কাজে জড়িত ছিলেন, যাদের মধ্যে আবু উসমান আল দিমাশকি, ইবনে মুসা আল-নওবাখতি ও সাবিত ইবনে কুর্রা উল্লেখযোগ্য ছিলেন। তারা দর্শনের বইসহ শাস্ত্রীয় গ্রীক ও ফার্সি গ্রন্থগুলিকে আরবি এবং সিরীয় ভাষায় অনুবাদের কাজে নিয়োজিত ছিলেন।[২]
হুনাইন ইবনে ইসহাক আল ইবাদি أبو زيد حنين بن إسحاق العبادي | |
---|---|
জন্ম | ৮০৮ খ্রি. আল-হিরা |
মৃত্যু | ৮৭৩ খ্রি. |
উচ্চশিক্ষায়তনিক কর্ম | |
যুগ | ইসলামি স্বর্ণযুগ |
বিষয় | চিকিৎসাবিদ |
উপ-বিষয় | চক্ষুচিকিৎসাবিজ্ঞান |
উল্লেখযোগ্য শিক্ষার্থী | হুবাইশ ইবনুল হাসান |
প্রধান আগ্রহ | অনুবাদ, সাহিত্য, চক্ষুচিকিৎসাবিজ্ঞান, দর্শন, ধর্ম, আরবি ব্যাকরণ |
উল্লেখযোগ্য কাজ |
|
উল্লেখযোগ্য ধারণা | নিওপ্লাজমের প্রকৃতি বর্ণনা |
যাদের প্রভাবিত করেন | ইসহাক ইবনে হুনাইন |
হুনাইন ইবনে ইসহাক ছিলেন সে সময়ে গ্রীক চিকিৎসা ও বৈজ্ঞানিক গ্রন্থের সবচেয়ে প্রভাবশালী অনুবাদক। তিনি গ্রীক ভাষা অধ্যয়ন করেন এবং "অনুবাদকদের শেখ" উপাধিতে পরিচিত হন। [৩] হুনাইন মোট চারটি ভাষা আয়ত্ত করেছিলেন: আরবি, সিরীয়, গ্রীক এবং ফার্সি। তার পদ্ধতি পরবর্তী অনুবাদকরা ব্যাপকভাবে অনুসরণ করেছিলেন। তিনি মূলত আল-হিরা অঞ্চল থেকে এসেছিলেন, যা একটি প্রাক-ইসলামি সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যময় আরব রাজ্যের রাজধানী ছিল। কিন্তু তিনি বাগদাদে তাঁর কর্মময় জীবন অতিবাহিত করেছিলেন, যা মহান নবম শতাব্দীতে গ্রীক থেকে আরবি ও সিরীয় ভাষায় অনুবাদ আন্দোলনের কেন্দ্রস্থল হয়ে ওঠেছিল। তার খ্যাতি তার নিজের সম্প্রদায়কে ছাড়িয়ে আরবসহ গোটা পৃথিবী ছড়িয়ে গিয়েছিল।।[৪]
তিনি কঠোর নৈতিক নীতির সাথে অত্যন্ত ন্যায়পরায়ণ ব্যক্তি ছিলেন। এই সম্পর্কে একটি উপাখ্যানও আছে। খলিফা জাফর আল-মুতাওয়াক্কিল তাকে প্রচুর অর্থের বিনিময়ে একটি বিষ প্রস্তুত করতে বলেছিলেন, যাতে তিনি একজন শত্রুর হাত থেকে মুক্তি পেতে পারেন। কিন্তু হুনাইন তা প্রত্যাখ্যান করে বলেন:
"আমার বিজ্ঞান শুধুমাত্র উপকারী পদার্থ নিয়ে কাজ করে থাকে; এই কারণেই আমি অন্যদের অধ্যয়ন করিনি। দুইটি জিনিস আমাকে মারাত্মক বিষ তৈরি করতে বাধা দেয়: আমার নৈতিকতা এবং আমার পেশা। প্রথমটি আমাকে শেখায় যে, আমাদের অবশ্যই আমাদের শত্রুদের এবং এমনকি আমাদের বন্ধুদের জন্যও ভাল করতে হবে। আমার পেশা হিসাবে, এটি নিরাময় এবং উপশম করার একচেটিয়া উদ্দেশ্যসহ মানবতার সর্বশ্রেষ্ঠ সুবিধার জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তদুপরি, সমস্ত ডাক্তারের মতো আমিও কাউকে মারাত্মক পদার্থ না দেওয়ার শপথ নিয়েছি।
যেহেতু তিনি খলিফার হুকুম মানতে অস্বীকার করেন, তাই খলিফা তাকে হুমকি দেন এবং তাকে কারাগারে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু যেহেতু খলিফা তার কাছ থেকে কিছুই পেতে পারেননি, তাই তিনি অবশেষে তাকে মুক্তি দেন এবং এমনকি তার নৈতিক সততার জন্য তাকে পুরস্কৃত করেন; সেই সাথে তাকে প্রচুর অর্থ প্রদান করে। তাকে খলিফার ব্যক্তিগত ডাক্তার হিসেবে নিযুক্ত করেন।[৫]
সংক্ষিপ্ত জীবনী
সম্পাদনাআব্বাসীয় যুগে গ্রীক বিজ্ঞানের অধ্যয়ন সম্প্রসারণের নতুন আগ্রহ জন্মেছিল। তখন দর্শন, গণিত, প্রাকৃতিক বিজ্ঞান ও চিকিৎসা সংক্রান্ত প্রচুর পরিমাণে অনূদিত প্রাচীন গ্রীক সাহিত্য ছড়িয়ে পড়ে। [৬][৭] এই মূল্যবান তথ্যগুলি শধুমাত্র মধ্যপ্রাচ্যের পণ্ডিতদের একটি খুবই ছোট সংখ্যালঘু জ্ঞানী ও পণ্ডিত দলের নিকট বোধগম্য ছিল, যারা গ্রীক ভাষা জানতেন। তাই একটি সংগঠিত অনুবাদ আন্দোলনের প্রয়োজন জরুরী ছিল। সময়ের সাথে সাথে, হুনাইন ইবনে ইসহাক তর্কযোগ্যভাবে সেই যুগের প্রধান অনুবাদক হয়ে উঠেছিলেন এবং ইসলামি চিকিৎসার ভিত্তি স্থাপন করেন। [৬] নিজের জীবদ্দশায় হুনাইন ইবনে ইসহাক প্লেটোর টাইমাউস, এরিস্টটলের মেটাফিজিক্স এবং বাইবেলের পুরাতন নিয়মসহ মোট ১১৬টি কাজের সিরীয় এবং আরবি ভাষায় অনুবাদ প্রকাশ করেছিলেন।[৮] [৯] ইবনে ইসহাক তার নিজের ৩৬টি বইও রচনা করেন, যার মধ্যে একুশটি চিকিৎসা ক্ষেত্রের ওপর আলোকপাত করেছিল। [৯] তার ছেলে ইসহাক ও তার ভাগ্নে হুবায়শ অনুবাদে সাহায্য করার জন্য মাঝে মাঝে তার সাথে একসাথে কাজ করেছিল। হুনাইন ইবনে ইসহাক তার অনুবাদ, অনুবাদ পদ্ধতি ও চিকিৎসায় তার অবদানের জন্য পরিচিত হয়ে ওঠেন।[৮]
"সায়েন্টিয়া ভেনান্দি পার অ্যাভস"র লেখক ফ্রাঙ্কোইস ভিরে তাকে আরবি বাজপাখি মোয়ামিনের আসল পরিচয় হিসেবেও উল্লেখ করেছেন।[১০] হুনাইন ইবনে ইসহাক বায়তুল হিকমার একজন অনুবাদক ছিলেন, যেখানে তিনি তার শিক্ষা লাভ করেছিলেন। পশ্চিমে তিনি তার লাতিন নাম জোয়ানিটিয়াস দ্বারা পরিচিত। [৩] প্রশাসনিক এবং আইনি উপকরণ থেকে সংগৃহীত অনুবাদের সাহায্যে একটি নতুন সরকারী ভাষা হিসাবে আরবিকে কীভাবে গড়ে তোলা যায়, তা হুনাইন ইবনে ইসহাকের কাজগুলি প্রমাণ করে। [১১]
জীবনের প্রথমার্ধ
সম্পাদনাহুনাইন ইবনে ইসহাক ছিলেন একজন আরব নেস্টরীয় খ্রিস্টান, যিনি ৮০৮ সালে আব্বাসীয় শাসনামলে আল-হিরাহতে একটি জাতিগত আরব পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন।[১২] [১৩] [১৪] [১৫] [১৬] [১৭] শাস্ত্রীয় সূত্রে হুনাইনকে "ইবাদ গোষ্ঠীর" অন্তর্গত বলে কথিত আছে; তাই তার নিসবা 'আল-ইবাদি'। [১৮] [১৯] ইবাদ ছিল বিভিন্ন আরব উপজাতির সমন্বয়ে গঠিত একটি ক্ষুদ্র আরব সম্প্রদায় , যারা একসময় নেস্টোরিয়ান খ্রিস্টান ধর্মে রূপান্তরিত হয়েছিল এবং আল-হিরাতে বসবাস করত। [২০] [২১] তারা নিজেদের উচ্চ-সাক্ষরতা ও বহুভাষিকতার জন্য পরিচিত ছিল তাদের স্থানীয়-আরবি ছাড়াও সিরীয় ও তাদের ধর্মীয় এবং সাংস্কৃতিক ভাষাতে সাবলীল ছিল। [২২] [২৩] [২৪]
ছোটবেলায় তিনি সিরীয় ও আরবি ভাষা শিখেছিলেন। যদিও আল-হিরা বাণিজ্য ও ব্যাংকিঙের জন্য পরিচিত ছিল; তবে তার বাবা একজন ফার্মাসিস্ট ছিলেন এবং সেই সূত্রে হুনাইন চিকিৎসাবিদ্যা অধ্যয়ন করার জন্য বাগদাদে গিয়েছিলেন। বাগদাদে তৎকালীন প্রখ্যাত চিকিৎসক ইউহানা ইবনে মাসওয়াইহের অধীনে তিনি অধ্যয়ন করার সুযোগ পেয়েছিলেন। যাহোক, হুনাইন ইবনে ইসহাকের অগণিত প্রশ্ন ইউহানাকে বিরক্ত করে এবং এর ফলে সে হুনাইনকে তিরস্কার করেছিল এবং তাকে চলে যেতে বাধ্য করেছিল। পরে হুনাইন বাগদাদ ফিরে যাওয়ার জন্য পুনরায় প্রস্তুতি নেন, যখন তিনি ইতোমধ্যে একজন চিকিৎসক হয়েছিলেন। তিনি গ্রীক ভাষা আয়ত্ত করতে বিদেশেও গিয়েছিলেন। বাগদাদে ফিরে আসার পর হুনাইন হোমার ও গ্যালেনের কাজ আবৃত্তি করে তার নতুন অর্জিত দক্ষতা প্রদর্শন করেন। এতে আতঙ্কিত হয়ে ইবনে মাসওয়াইহ হুনাইনের সাথে পুনর্মিলিত হন এবং তারা দুজনে মিলেমিশে কাজ শুরু করেন। [২৫]
হুনাইন গ্রীক অধ্যয়ন আয়ত্ত করার ক্ষেত্রে তার কাজে অত্যন্ত পরিশ্রমী ছিলেন, যা তাকে সিরীয় এবং আরবি ভাষায় গ্রীক পাঠ্য অনুবাদ করতে সক্ষম করেছিল। আব্বাসীয় খলিফা আল-মামুন হুনাইনের প্রতিভা লক্ষ্য করেন এবং তাকে বায়তুল হিকমাহের দায়িত্বে নিযুক্ত করেন। বায়তুল হিকমা এমন একটি প্রতিষ্ঠান, যেখানে গ্রীক রচনাগুলি অনুবাদ করা হয়েছিল এবং তা স্থানীয় পণ্ডিতদের জন্য উপলব্ধ করা হয়েছিল। [২৬] তবে মাত্র একজন পণ্ডিত যুক্তি দিয়েছেন যে, হুনাইনকে বায়তুল হিকমাহের দায়িত্বে নিযুক্ত করার কোনো প্রমাণ নেই। [২৭] খলিফা হুনাইনকে এরিস্টটলের মতো অতিরিক্ত পাণ্ডুলিপির সন্ধানে বাইজেন্টিয়ামে যাওয়ার সুযোগও দিয়েছিলেন। [২৫]
কৃতিত্ব
সম্পাদনাহুনাইন ইবনে ইসহাক তার জীবদ্দশায় প্রচুর অনুবাদ ও মূল কাজের লেখালেখিতে নিজেকে নিয়োজিত করেছিলেন। [২৫]
মৌলিক কাজের লেখক হিসেবে
সম্পাদনাহুনাইন দর্শন, ধর্ম এবং চিকিৎসা শাস্ত্রের বিভিন্ন বিষয়ে লিখেছেন। "হাউ টু গ্র্যাপ রিলিজিয়ন"-এ হুনাইন ধর্মের সত্যতা ব্যাখ্যা করেছেন, যার মধ্যে রয়েছে অলৌকিক ঘটনা, যা মানুষের দ্বারা কোনোভাবেই তৈরি করা সম্ভব নয় এবং এমন কিছু ঘটনা সম্পর্কেও ব্যাখ্যা করেছেন, যা মানুষের অক্ষমতা এবং ধর্মের মিথ্যা ধারণা হিসেবে বিবেচিত হয়। তিনি আরবি ব্যাকরণ এবং অভিধানের উপরও কাজ করেছেন। [২৫] এছাড়াও তিনি "গ্রীকদের পদ্ধতি অনুসারে প্রত্যয় ও বিভক্তির নিয়ম" শিরোনামে আরবি ভাষার একটি অনন্য ব্যাকরণও লিখেছেন। [২৮]
চক্ষুবিদ্যা
সম্পাদনাহুনাইন ইবনে ইসহাক চক্ষুচিকিৎসাবিজ্ঞানের ক্ষেত্রকে সমৃদ্ধ করেছিলেন। মানুষের চোখের অধ্যয়নের ক্ষেত্রে তাঁর বিকাশগুলি তাঁর উদ্ভাবনী বই "বুক অফ দ্য টেন ট্রিটিসিস অফ দ্য আই" এর মাধ্যমে সনাক্ত করা যায়। এ পাঠ্যপুস্তকটি এই ক্ষেত্রের প্রথম পরিচিত পদ্ধতিগত চিকিৎসার বই এবং সম্ভবত সেই সময়কার মেডিকেল স্কুলগুলিতে ব্যবহৃত হয়েছিল। পুরো বই জুড়ে হুনাইন চোখের ও তার শারীরস্থানের বিশদে ব্যাখ্যা করেছেন; এর রোগ, তাদের উপসর্গ ও তাদের চিকিৎসাও বর্ণনা করেছেন। হুনাইন বারবার জোর দিয়ে বলেন যে, তিনি বিশ্বাস করেন যে, স্ফটিক লেন্স চোখের কেন্দ্রে থাকে এবং এই তিনি এই ধারণার উদ্ভবক হতে পারেন, যা ১৫০০ এর দশকের শেষের দিকে ব্যাপকভাবে বিশ্বাস করা হয়েছিল। [২৯] তিনি সিস্ট এবং টিউমারের প্রকৃতি এবং তাদের কারণে ফোলা নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি সার্জারির মাধ্যমে বিভিন্ন কর্নিয়ার আলসারের চিকিৎসা এবং ছানি দূর করার সাথে জড়িত চিকিৎসা নিয়ে আলোচনা করেন। বইটি হুনাইন ইবনে ইসহাকের কেবল একজন অনুবাদক এবং একজন চিকিৎসক হওয়ারই নয়; বরং একজন শল্যচিকিৎসক হিসাবেও তার দক্ষতা প্রমাণ করে। [৯]
একজন চিকিৎসক হিসেবে
সম্পাদনাএকজন পণ্ডিত এবং অনুবাদক হিসেবে হুনাইন ইবনে ইসহাকের খ্যাতি এবং খলিফা আল-মুতাওয়াক্কিলের সাথে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কারণে খলিফা হুনাইনকে তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক হিসাবে মনোনিত করন এবং এর ফলে বুখতিশু পরিবারের চিকিৎসকদের খলিফার দরবারে একচেটিয়া নিয়োগের পথ বন্ধ হয়ে যায়। [২৫] তাদের মাঝে গভীর সম্পর্ক থাকা সত্ত্বেও খলিফা তার প্রতি অবিশ্বাসী হয়ে ওঠেন, যখন খলিফা চিকিত্সক হিসাবে হুনাইনের নীতিশাস্ত্র পরীক্ষা করে তাকে একটি বিষ তৈরি করতে বলেন, যা শত্রুদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা যাবে এবং তা তিনি একটি বড় অঙ্কের বিনিময়ে করে দিতে বলেন। উল্লেখ করা হয় যে, হুনাইন ইবনে ইসহাক বারবার খলিফার এই উদার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছিলেন এবং বলেছিলেন, তার বিষ তৈরি করতে সময় লাগবে। হতাশ হয়ে খলিফা তার চিকিৎসককে এক বছরের জন্য কারারুদ্ধ করেন। যখন জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যে, তাকে ওষুধ তৈরি না করার বদলে হত্যা করা হতে পারে, তখন হুনাইন ব্যাখ্যা করেছিলেন যে, চিকিত্সকের শপথ তাকে তার রোগীদের সাহায্য করতে বলে; ক্ষতি করতে নয়। [২৬] তিনি অনেকগুলি বিভিন্ন চিকিৎসামূলক কাজ সম্পন্ন করেছিলেন, যা শারীরিক চিকিৎসার অনুশীলন এবং শিল্পের সাথে ওষুধ চিকিৎসার ধারণাটিকে এগিয়ে নিয়েছিল। তার কিছু চিকিৎসা সংক্রান্ত কাজ গ্রীক উৎস থেকে নেওয়া হয়েছে; যেমন: ফি আওজা আল-মায়িদাহ (পাকস্থলীর রোগ সংক্রান্ত) এবং আল-মাসায়েল ফি'ল-তিব্ব লি'ল-মুতাআল্লিমিন (ছাত্রদের ওষুধ সম্পর্কিত প্রশ্ন)। [৩০]
অনুবাদক হিসেবে
সম্পাদনাবাইতুল হিকমাহ নির্মাণের মাধ্যমে আব্বাসীয় খলিফা আল-মামুন মুসলিম ও অমুসলিম শিক্ষাবিদদের কাছ থেকে বিশ্বের জ্ঞান সংগ্রহের একটি শক্ত জায়গা পেতে চেয়েছিলেন এবং হুনাইন ইবনে ইসহাক ছিলেন সেই প্রতিষ্ঠানটির সবচে' সুপরিচিত অনুবাদকদের একজন এবং তাকে অনুবাদকদের শেখ বলা হত; কারণ তিনি তখনকার চারটি প্রধান ভাষা: গ্রীক, ফার্সি, আরবি ও সিরীয় আয়ত্ত করেছিলেন। তিনি দর্শন, জ্যোতির্বিদ্যা, গণিত, ঔষধ-বিজ্ঞান এমনকি জাদু ও স্বপ্নের ব্যখ্যার মতো বিষয়ে লিখিত রচনাবলী অনুবাদ করতে সক্ষম হন। [৩] তা সত্ত্বেও, তাঁর বর্তমান অনুবাদ কাজগুলির কোনোটিই বায়তুল হিকমাহকে কৃতিত্ব দেয় না, যা এই স্থানটি আসলে অনুবাদ আন্দোলনের উৎস ছিল, কিনা তার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে।[৩১] তিনি সঠিক অনুবাদ কৌশলের ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন, যা জ্ঞানের সঠিক বিকাশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। [৩২] [৩৩]
হুনাইনের একটি উল্লেখযোগ্য অনুবাদ হলো, তার "ডি মেটেরিয়া মেডিকা" যা একটি ডাক্তারি হ্যান্ডবুক ছিল এবং তার সবচেয়ে জনপ্রিয় নির্বাচন ছিল "কোয়েশ্চেন অন মেডিসিন" বইটি। [৮] এটি নবাগত চিকিত্সকদের জন্য একটি নির্দেশিকা, যার তথ্যাবলী গ্যালেনের 'আর্ট অফ ফিজিক' থেকে নেওয়া হয়েছে এবং সেই সব তথ্য প্রশ্ন এবং উত্তরে আকারে উপস্থাপন করা হয়েছে। [২৫]
হুনাইন এসব ছাড়াও কৃষি, পাথর ও ধর্ম এবং প্লেটো ও এরিস্টটলের কিছু রচনার অনুবাদ করেছেন। এছাড়া তিনি অনেক ঔষধি গ্রন্থ ও সারাংশ অনুবাদ করেছেন এবং তা প্রধানত গ্যালেনের; যেমন: গ্যালেনের "অন সেক্টস" ও "অন দ্য অ্যানাটমি অফ দ্য ভেইনস অ্যান্ড আর্টারিজ"। [২৫] তাঁর অনুবাদগুলি হল ধ্বংস হতে চলা গ্রীক পাণ্ডুলিপির অবশিষ্ট নথি এবং এর মাধ্যমে তিনি চিকিৎসা শিল্পকে প্রভাবিত করতে সাহায্য করেছিলেন এবং তাঁর বই আল-আশার মাকালাত ফি'ল-আইন-এর মাধ্যমে তিনি চিকিৎসা বিজ্ঞানকে ব্যাপক প্রসারিত করতে সাহায্য করেছিলেন। [৩]
রসায়নের উপর আর ডুভালের প্রকাশিত অনেক কাজ হুনাইনের কাজের অনুবাদের প্রতিনিধিত্ব করে। [৩৪] এছাড়াও রসায়নে "আন আল-আসমা" শিরোনামের তার একটি বই গবেষকদের কাছে পৌঁছায়নি। তবে তা দশম শতাব্দীর "ইবন বাহলুলের অভিধানে" ব্যবহৃত হয়েছিল।
অনুবাদ কৌশল
সম্পাদনাগ্রীক উপাদান অনুবাদ করার প্রচেষ্টায় হুনাইন ইবনে ইসহাক তার পুত্র ইসহাক ইবনে হুনাইন এবং ভাতিজা হুবাইশের সাথে একত্রে জড়িত ছিলেন। হুনাইন গ্রীক গ্রন্থকে সিরীয় ভাষায় অনুবাদ করতেন এবং তারপরে তিনি তার ভাতিজার সাহায্যে সিরীয় থেকে আরবিতে পাঠ্যটি অনুবাদ করাতেন। শেষে তিনি অংশীদারদের যেকোন ভুল বা ত্রুটি খুঁজে পেলে তা সংশোধন করার চেষ্টা করতেন। [৮] [৩৫]
আব্বাসীয় যুগে অনেক অনুবাদকের বিপরীতে তিনি মূলত পাঠ্যের সঠিক অভিধান অনুসরণ করার চেষ্টা করেননি। এর পরিবর্তে তিনি মূল গ্রন্থের বিষয়গুলি সংক্ষিপ্ত করার চেষ্টা করেন এবং তারপরে একটি নতুন পাণ্ডুলিপিতে এটি সিরীয় অথবা আরবি ভাষায় ব্যাখ্যা করতেন। [৮] এরপর তিনি একই ধরনের বিষয়ের অন্য কাজের সাথে এতে অন্তর্ভুক্ত তথ্যসমূহের তুলনা করে প্রযুক্তিগত কাজের উপলব্ধ পাঠ্যগুলি সম্পাদনা এবং সংশোধন করে নিতেন। [২৫] এইভাবে তার অনূদিত সব উপস্থাপনাগুলিকে চিকিৎসা, জ্যোতির্বিদ্যা ও দার্শনিক পাঠ্যের একটি স্বতন্ত্র ব্যাখ্যা হিসাবে দেখা যেতে পারে। [৮] [৩৬] কিছু পণ্ডিত যুক্তি দেন যে, হুনাইনের দৃষ্টিভঙ্গি আগেকার অনুবাদকদের থেকে ভিন্ন ছিল; কারণ তার এই পথচলার মধ্যে তিনি গ্যালেনের ধারণাগুলি দ্বারা ব্যাপকভাবে প্রভাবিত হয়েছিল। [৩৭]
গ্যালেনের রচনাগুলি আমার আগে বিন সাহদা নামে একজন অনুবাদ করেছিলেন... আমি যখন ছোট ছিলাম, তখনই আমি একটি ত্রুটিপূর্ণ গ্রীক পাণ্ডুলিপি থেকে অনুবাদ করেছিলাম। পরে আমার বয়স যখন চল্লিশ বছর পূর্ণ হয়, তখন আমার ছাত্র হুবাইশ আমাকে পূর্বের অনুবাদ সংশোধন করতে বলেন। এরই মধ্যে আমার হাতে বেশ কিছু পাণ্ডুলিপি জমে গিয়েছিল। আমি সেই পাণ্ডুলিপিগুলিকে একত্রিত করেছি এবং একটি একক সঠিক কপি তৈরি করেছি। পরবর্তীতে আমি এটির সাথে সিরীয় পাঠ্যটি একত্রিত করেছি এবং এটি সংশোধন করেছি। আমি যা অনুবাদ করি, তার সাথেই আমি এভাবে কাজ করার অভ্যাস করি।
নির্বাচিত অনুবাদ
সম্পাদনা- "কিতাব ইলা আগলুকান ফি শিফা আল আমরাজ" –হুনাইন ইবনে ইসহাক দ্বারা রচিত গ্যালেনের ভাষ্য সম্পর্কিত এই আরবি অনুবাদটি বর্তমান ইবনে সিনা একাডেমি অব মেডিয়্যাল মেডিসিন এন্ড সায়েন্সেস-এর গ্রন্থাগারে বিদ্যমান রয়েছে। এটি গ্যালেনের সব সাহিত্যকর্মের ওপর একটি মহামূল্যবান বই। বইটি গ্যালেনের কাজগুলির আলেকজান্দ্রীয় সংকলনের অংশ এবং ১০ শতকের এই পাণ্ডুলিপিটি দুটি খণ্ডে রয়েছে, যাতে বিভিন্ন ধরণের জ্বর (হুমায়াত) এবং শরীরের বিভিন্ন প্রদাহজনক অবস্থার বিবরণ রয়েছে। আরও গুরুত্বপূর্ণ যে, এতে ভেষজ ও প্রাণী উভয়েরই ১৫০টির বেশি একক ও যৌগিক গঠনের বিশদ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। বইটি গ্রীক (ইউনানি) এবং রোমান যুগের ঐতিহ্য ও তার চিকিৎসা পদ্ধতিগুলি বোঝার জন্য একটি অন্তর্দৃষ্টি প্রদান করে।
উল্লেখযোগ্য কাজ
সম্পাদনা- কিতাব আদাব আল-ফালাসিফা; মূল আরবি গ্রন্থটি হারিয়ে গেছে। বর্তমান স্পেনীয় ভাষায় কিছু লেখা পাওয়া যায় এবং গ্রন্থটি মধ্যযুগীয় অনুবাদ হিসেবে পরিচিত।
- Libro de Los Buenos Proverbios (কাস্তিলীয় স্পেনীয় ভাষা)।
- Sefer Musré ha-Filosofim ( Book of the Morals of the Philosophers), আন্দালুসীয় কবি জুদা বেন স্লোমো আল জাসিরির (১১৭০-১২৩৫) কাজের হিব্রু অনুবাদ। [৩৯]
- তারিখুল আতিব্বা ওয়াল হুকামা (تاريخ الأطباء و الحكماء)।
- কিতাব আল আদাবিয়া আল মুফরাদা (كتاب الأدوية المفردة)।
- كناش الخف كتاب ذكر فيه ابتداء صناعة الطب وأسماء جماعة من الحكماء والأطباء.
- كتاب الأدوية الموجودة بكل مكان.
- كتاب إصلاح الأدوية المسهلة.
- اختصار كتاب إقليدس.
- كتاب المقولات.
- كتاب إيساغوجي وهو المدخل إلى صناعة المنطق.
- إصلاح جوامع الإسكندرانيين لشرح جالينوس لكتاب الفصول لأبقراط.
- كتاب في النبض على جهة التقسيم.
- مقالة في الأشياء التي تفيد الصحة والحفظ وتمنع من النسيان ألفها لعبد الله بن شمعون.
- كتاب في الأدوية المفردة.
- كتاب صنعة العلاج بالحديد.
- كتاب آداب الفلاسفة ونوادرهم مقالة في التوحيد.
ومما ترجم ابن حنين ما يلي:
- ترجمة كتاب «الأصول» و«المعطيات» لإقليدس.
- ترجمة كتاب «في كتب أبقراط الصحيحة وغير الصحيحة» لجالينوس. وقد ترجمه عن السريانية.
- ترجمة كتاب «حول الكرة والأسطوانة» لأرخميدس.
- ترجمة كتاب «السفسطائي» لأفلاطون
খণ্ড খণ্ড অনূদিত গ্রন্থাবলী
সম্পাদনা- General History of Alfonso el Sabio (কাস্তিলীয় স্পেনীয় ভাষা).
- Llibre de Saviesa of James of Aragon (কাস্তিলীয় স্পেনীয় ভাষা).
- The Pseudo Seneca ( কাস্তিলীয় স্পেনীয় ভাষা).
- La Floresta de Philosophos ( কাস্তিলীয় স্পেনীয় ভাষা).
- El Victorial (কাস্তিলীয় স্পেনীয় ভাষায়).
- Bocados de Oro, taken directly from Adab al-Falasifa (স্পেনীয় ভাষা).
অন্যান্য অনূদিত কাজ
সম্পাদনা- Plato's Republic (Siyasah).
- Aristotle's Categories (Maqulas), Physics (Tabi'iyat) and Magna Moralia (Khulqiyat).
- Seven books of Galen's anatomy, lost in the original Greek, preserved in Arabic.
- Arabic version of the Old Testament from the Greek Septuagint did not survive.
- "Kitab al-Ahjar" or the "Book of Stones"
আরও পড়ুন
সম্পাদনা- Brock, Sebastian P., Changing Fashions in Syriac Translation Technique: The Background to Syriac Translations under the Abbasids, Journal of the Canadian Society for Syriac Studies 4 (2004): 3–14.
- Brock, Sebastian P., The Syriac Background to Hunayn's Translation Techniques, ARAM 3 (1991 [1993]): 139–162.
- Cooper, Glen M., Ḥunayn ibn Isḥāq's Galen Translations and Greco-Arabic Philology: Some Observations from the Crises (De crisibus) and the Critical Days (De diebus decretoriis), Oriens 44 (2016): 1–43.
- Cooperson, Michael (১৯৯৭)। "The Purported Autobiography of Ḥunayn ibn Isḥāq" (পিডিএফ)। Edebiyât। Harwood Academic। 7: 235–249। ৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭।
- Eksell, Kerstin, Pragmatic Markers from Greek into Arabic: A Case Study on Translations by Isḥāq ibn Ḥunayn, Studia graeco-arabica 5 (2015): 321–344.
- Faiq, Said. "Medieval Arabic translation: A cultural consideration." Mediaevalia 26.2 (2005): 99–110.
- Gorini, Rosanna; Shabat, Mohammed (২০০৫)। "The Process of Origin and Growth of the Islamic Medicine: The Role of the Translators. A Glimpse on the Figure of Hunayn bin Ishaq"। Journal of the International Society for the History of Islamic Medicine। 4 (8): 1–7।
- Haddad, Rachid (১৯৭৪)। "Hunayn ibn Ishaq apologiste chrétien"। Arabica (ফরাসি ভাষায়)। 21 (3): 292–302। ডিওআই:10.1163/157005874x00445।
- Healy, J. "The Syriac-Speaking Christians and the Translation of Greek Science into Arabic." Muslim Heritage (2006).
- Johna, Samir. "Marginalisation of ethnic and religious minorities in Middle East history of medicine: the forgotten contributions to Arabian and Islamic medicine and science." Acta Medico-Historica Adriatica 8.2 (2010): 203–210.
- Lin, Daren (২০০৮)। "A foundation of western ophthalmology in medieval Islamic medicine" (পিডিএফ)। University of Western Ontario Medical Journal। 78 (1): 41–45। ২৩ নভেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭।
- Millar, Marcia Inhorn; Lane, Sandra D. (১৯৮৮)। "Ethno-ophthalmology in the Egyptian delta: An historical systems approach to ethnomedicine in the middle east" (পিডিএফ)। Social Science & Medicine। 26 (6): 651–657। ডিওআই:10.1016/0277-9536(88)90030-5। পিএমআইডি 3283948।
- Osman, Ghada. "The sheikh of the translators." The Sociological Turn in Translation and Interpreting Studies 66 (2014): 41.
- Rashed, Roshdi. "Problems of the transmission of Greek scientific thought into Arabic: Examples from mathematics and optics." History of science 27.2 (1989): 199–209.
- Sa'di, Lutfi M. (১৯৩৪)। "A Bio-Bibliographical Study of Hunayn Ibn is-Haq Al-Ibadi"। Bulletin of the Institute of the History of Medicine। 2: 409–446। প্রোকুয়েস্ট 1296241043। templatestyles stripmarker in
|id=
at position 1 (সাহায্য) - Schrier, Omert J. (১৯৯৫)। "Hunayn Ibn Isḥaq on Tragedy and Comedy: A New Fragment of Galen"। Mnemosyne। 48 (3): 344–348। জেস্টোর 4432506।
- Sezgin, Fuat; Amawi, Mazin; Ehrig-Eggert, Carl; Neubauer, E. (১৯৯৯)। Ḥunain Ibn Isḥāq (d. 260/873): texts and studies। Frankfurt am Main: Institute for the History of Arabic-Islamic Science at the Johann Wolfgang Goethe University। আইএসবিএন 3-8298-6018-8।
- Tamcke, Martin (২০০৭)। Christlich-muslimische Gespräche im Mittelalter [Christians and Muslims in dialogue in the Islamic Orient of the Middle Ages] (জার্মান ভাষায়)। Beirut Würzburg: Orient-Institut Ergon Verlag in Kommission। আইএসবিএন 978-3-89913-611-1।
- Watt, John W. (২০১৪)। "The Syriac Translations of Ḥunayn ibn Isḥāq and their Precursors"। Tamcke, Martin; Grebenstein, Sven। Geschichte, Theologie und Kultur des syrischen Christentums: Beiträge zum 7. Deutschen Syrologie-Symposium in Göttingen, Dezember 2011। Göttinger Orientforschungen, I. Reihe: Syriaca 46। Wiesbaden: Harrassowitz Verlag। পৃষ্ঠা 423–445।
- Watt, John W. (২০১৪)। "Why Did Ḥunayn, the Master Translator into Arabic, Make Translations into Syriac? On the Purpose of the Syriac Translations of Ḥunayn and his Circle"। Scheiner, Jens J.; Janos, Damien। The Place to Go: Contexts of Learning in Baghdād, 750–1000 C.E.। Studies in Late Antiquity and Early Islam। 26। Princeton, New Jersey: Darwin Press। পৃষ্ঠা 363–388।
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- হুনাইন ইবনে ইসহাক: কিভাবে ধর্মের সত্যতা নির্ণয় করা যায় - ইংরেজি অনুবাদ
- এপ্রিম, ফ্রেড "হুনেইন ইবনে ইশাক - (809-873 বা 877)"
- "Hunayn Ibn Ishaq Al-'Ibadi, Abu Zaydonar Complete Dictionary of Scientific Biography"। সংগ্রহের তারিখ ১০ অক্টোবর ২০১৪।
- জেরুজালেমের হিব্রু ইউনিভার্সিটি থেকে হুনাইন ইবনে ইসহাকের কাজের গ্রন্থপঞ্জি
আরও দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ Britannica, The Editors of Encyclopaedia. "Ḥunayn ibn Isḥāq". Encyclopedia Britannica, Invalid Date, https://www.britannica.com/biography/Hunayn-ibn-Ishaq. Accessed 13 May 2023.
- ↑ Nadim (al-), Abū al-Faraj Muḥammad ibn Isḥāq (১৯৭০)। The Fihrist of al-Nadim; a Tenth-Century Survey of Muslim Culture। Columbia University Press। পৃষ্ঠা 440, 589, 1071।
- ↑ ক খ গ ঘ Osman, Ghada (২০১২-১২-৩১)। ""The sheikh of the translators": The translation methodology of Hunayn ibn Ishaq" (ইংরেজি ভাষায়): 161–175। আইএসএসএন 1932-2798। ডিওআই:10.1075/tis.7.2.04osm।
- ↑ Seleznyov, N. "Ḥunayn ibn Isḥāq in the Summa of al-Muʾtaman ibn al-ʿAssāl" in VG 16 (2012) 38–45 [In Russian].
- ↑ Christy Bandak: Testimonios árabes de Kitab adab al-falsifa, Universidad de Navarra.।
- ↑ ক খ Strohmaier 1993।
- ↑ Lindberg, David C. The Beginnings of Western Science: Islamic Science. Chicago: The University of Chicago, 2007. Print.
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ Lindberg, David C. The Beginnings of Western Science: Islamic Science. Chicago: The University of Chicago, 2007. Print.
- ↑ ক খ গ Opth: Azmi, Khurshid. "Hunain bin Ishaq on Ophthalmic Surgery. "Bulletin of the Indian Institute of History of Medicine 26 (1996): 69–74. Web. 29 October 2009
- ↑ François Viré, Sur l'identité de Moamin le fauconnier. Communication à l'Académie des inscriptions et belles lettres, avril-juin 1967, Parigi, 1967, pp. 172–176
- ↑ El Khamloussy, Ahmed. "Commented Translation of an Excerpt from Hunayn Ibn Ishaq's Epistle to His Patron 'Ali Ibn Yahya on the Translations of Galen." Order No. MM07845 University of Ottawa (Canada), 1995
- ↑ G., Strohmaier (২৪ এপ্রিল ২০১২)। "Ḥunayn b. Isḥāḳ al-ʿIbādī" (ইংরেজি ভাষায়)।
- ↑ "Ḥunayn ibn Isḥāq | Arab scholar"। Encyclopedia Britannica (ইংরেজি ভাষায়)।
- ↑ Esposito, John L. (2000). The Oxford History of Islam. Oxford University Press. p. 160.:"The most famous of these translators was a Nestorian (Christian) Arab by the name of Hunayn ibn Ishaq al-Ibadi (808–73)."
- ↑ Porter, Roy (2001). The Cambridge Illustrated History of Medicine. Cambridge University Press. p. 67."The major ninth-century medical figure in Baghdad was a Christian Arab, Hunain ibn Ishaq, an amazingly accurate and productive scholar, who traveled to the Greek Byzantine empire in search of rare Galenic treatises."
- ↑ Corbin, Henry (2014). History of Islamic Philosophy. Routledge. p. 16.:"The latter was succeeded by one of his students, the famous and prolific Hunayn ibn Ishaq (194/ 809—260/ 873), who was born at al-Hirah into a family belonging to the Christian Arab tribe of the 'Ibad."
- ↑ Grmek, Mirko D.; Fantini, Bernardino (1998). Western Medical Thought from Antiquity to the Middle Ages. Harvard University Press. p. 145.:"Hunayn ibn Ishaq was able to satisfy their needs. Of Christian Arab descent, he had spent many years of his life in Byzantine territory, in pursuit of his studies, most probably in Constantinople."
- ↑ Selin, Helaine (2013). Encyclopaedia of the History of Science, Technology, and Medicine in Non-Westen Cultures. Springer Science & Business Media. p. 399.:"The family nickname, al-'Ibadi, is derived from "al-'Ibad," a Christian Arab tribe."
- ↑ Sarton, George (1927). Introduction to the History of Science. Carnegie Institution of Washington. p. 611:"The nisba is derived from 'Ibad, the name of a Christian tribe of Arabs, established near Hira"
- ↑ Ohlig, Karl-Heinz; Puin, Gerd-R. (2010). The hidden origins of Islam: new research into its early history. Prometheus Books. p. 32. :"The 'Ibad are tribes made up of different Arabian families that became connected with Christianity in al-Hira."
- ↑ "ḤIRA – Encyclopaedia Iranica" (ইংরেজি ভাষায়)।:"Ḥira became renowned for its literate population of Arab Christians, or ʿEbād [al-Masiḥ] "devotees [of Christ]". "
- ↑ Yarshater, E. (1983). The Cambridge History of Iran. Cambridge University Press. p. 598."The population of Hira comprised its townspeople, the 'Ibad "devotees", who were Nestorian Christians using Syriac as their liturgical and cultural language, though Arabic was probably the language of daily intercourse."
- ↑ Milani, Milad (2014). Sufism in the Secret History of Persia. Routledge. p. 150."Hira was also home to the 'Ibad ("devotees"), who were Nestorian Christians using Syriac as their liturgical and cultural language, but Arabic for common daily use."
- ↑ Angelelli, Claudia V. (2014). The Sociological Turn in Translation and Interpreting Studies. John Benjamins Publishing Company. p. 45."Hunayn was most likely trilingual from his youth; Arabic was the vernacular of his native town, Persian a frequently-used tongue in his region, and Syriac the language of the liturgy and of higher Christian education."
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ ছ জ "Hunayn Ibn Ishaq". The Dictionary of Scientific Biography. Vol. XV. 1978. Print.
- ↑ ক খ Tschanz 2003।
- ↑ S. Gougenheim: Aristote au Mont-Saint-Michel, 136–137 Nemira Publishing House, Bucharest 2011, (Romanian edition)
- ↑ Vidro, Nadia (২০২০)। "A Book on Arabic Inflexion According to the System of the Greeks: A Lost Work by Ḥunayn b. Isḥāq": 26–58। ডিওআই:10.13173/zeitarabling.72.0026।
- ↑ Leffler CT, Hadi TM, Udupa A, Schwartz SG, Schwartz D (২০১৬)। "A medieval fallacy: the crystalline lens in the center of the eye": 649–662। ডিওআই:10.2147/OPTH.S100708 । পিএমআইডি 27114699। পিএমসি 4833360 ।
- ↑ Iskandar, Albert Z. (২০০৮), "Ḥunayn Ibn Isḥāq", Encyclopaedia of the History of Science, Technology, and Medicine in Non-Western Cultures, Dordrecht: Springer Netherlands, পৃষ্ঠা 1081–1083, আইএসবিএন 978-1-4020-4559-2, ডিওআই:10.1007/978-1-4020-4425-0_9796, সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১২-০৪
- ↑ Kalin, Ibrahim (২০০৩-০৩-০১)। "Dimitri Gutas: Greek Thought, Arabic Culture: The Graeco‐Arabic Translation Movement in Baghdad and Early Ábbasid Society (Second–Fourth/Eighth–Tenth Centuries)": 59। আইএসএসএন 0021-1753। ডিওআই:10.1086/376126।
- ↑ Rassam, Suha (২০০৫)। Christianity in Iraq: Its Origins and Developments to the Present Day। Gracewing। পৃষ্ঠা 84। আইএসবিএন 9780852446331।
- ↑ ক খ Rebhan, Helga (২০১০)। Die Wunder der Schöpfung: Handschriften der Bayerischen Staatsbibliothek aus dem islamischen Kulturkreis। Otto Harrassowitz Verlag। পৃষ্ঠা 46। আইএসবিএন 9783880080058।
- ↑ Wright. Catalogue, pp. 1190–1191, MV Coll' orient, 1593
- ↑ Vagelpohl, U (২০১১)। "'In the translator's workshop,'" (পিডিএফ): 249–288। ডিওআই:10.1017/S0957423911000038। পিএমআইডি 24077025। পিএমসি 3783994 ।
- ↑ Cooper, Glen M. (২০১৪), "Isḥāq ibn Ḥunayn: Abū Yaҁqūb Isḥāq ibn Ḥunayn ibn Isḥāq al-ҁIbādī", Biographical Encyclopedia of Astronomers, New York, NY: Springer New York, পৃষ্ঠা 1094–1095, আইএসবিএন 978-1-4419-9916-0, ডিওআই:10.1007/978-1-4419-9917-7_704, বিবকোড:2014bea..book.1094C, সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১২-০৪
- ↑ Vagelpohl, U (২০১১)। "'In the translator's workshop,'" (পিডিএফ): 249–288। ডিওআই:10.1017/S0957423911000038। পিএমআইডি 24077025। পিএমসি 3783994 ।
- ↑ Rassam, Suha (২০০৫)। Christianity in Iraq: Its Origons and Developments to the Present Day। Gracewing। পৃষ্ঠা 84। আইএসবিএন 9780852446331।
- ↑ "Testimonios Árabes de Adab Al-Falásifa"।