হিশাম কাব্বানী
মুহম্মদ হিশাম কাব্বানী (আরবি: محمد هشام قباني; জন্ম ২৮ জানুয়ারি ১৯৪৫ — মৃত্যু: ৫ ডিসেম্বর ২০২৪) হলেন একজন লেবাননীয়–মার্কিন সুফি মুসলিম পণ্ডিত এবং নকশবন্দি তরিকার একজন শেখ। কাব্বানী হিংসাত্মক চরমপন্থার বিরুদ্ধে সামাজিক স্থিতিস্থাপকতা তৈরিতে মুসলিম নেতৃবৃন্দকে পরামর্শ ও উপদেশ দিয়ে থাকেন।[১] মৌলবাদের সমালোচনার কারণে তিনি কিছু মার্কিন মুসলমানদের মাঝে সমালোচিত হন। ২০১২ সালে রয়াল ইসলামিক স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ সেন্টার তাঁকে সবচেয়ে প্রভাবশালী ৫০০ মুসলিমের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে।[২] তাঁর শিষ্যদের মধ্যে বিশ্বখ্যাত মুষ্টিযোদ্ধা মুহাম্মদ আলী এবং সাবেক ইন্দোনেশীয় রাষ্ট্রপতি সুসিলো বামবাং ইয়ুধনো বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
মুহম্মদ হিশাম কাব্বানী | |
---|---|
محمد هشام قباني | |
ব্যক্তিগত তথ্য | |
জন্ম | |
মৃত্যু | ৫ ডিসেম্বর ২০২৪ | (বয়স ৭৯)
ধর্ম | ইসলাম |
জাতীয়তা | লেবাননীয় |
আদি নিবাস | বৈরুত, লেবানন |
দাম্পত্য সঙ্গী | হাজ্জা নাজিহা আদিল |
নাগরিকত্ব | লেবাননীয় মার্কিন |
আখ্যা | সুন্নি |
শিক্ষালয় | হানাফি |
ধর্মীয় মতবিশ্বাস | মাতুরিদি |
প্রধান আগ্রহ | কোরআন, হাদিস, তাসাউফ, ইহসান |
যেখানের শিক্ষার্থী | আমেরিকান ইউনিভার্সিটি অব বৈরুত |
তরিকা | নকশবন্দি |
যে জন্য পরিচিত | ফতোয়া অন দ্য প্রহিবিশন অব ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স ফতোয়া অন দ্য প্রিন্সিপলস অব জিহাদ |
পেশা | ইসলামি পণ্ডিত ও সুফি ওলি |
এর প্রতিষ্ঠাতা | ইসলামিক সুপ্রিম কাউন্সিল অব আমেরিকা |
দর্শন | সুফিবাদ |
মুসলিম নেতা | |
শিক্ষক | নাজিম হাক্কানী |
পেশা | ইসলামি পণ্ডিত ও সুফি ওলি |
ওয়েবসাইট | www |
জন্ম ও কর্মপরিধি
সম্পাদনাকাব্বানী লেবাননের রাজধানী বৈরুত জন্ম গ্রহণ করেন। তার মুর্শিদ মোহাম্মদ নিজাম আদিলের নির্দেশে তিনি ১৯৯০ সালে আমেরীকায় বসতি স্থাপন করেন এবং সেখানে ইসলামিক সুপ্রীম কাউন্সিল অব আমেরীকা (আই এস সি এ) নামক একটি বেসরকারী অলাভজনক সংস্থার পাশাপাশি এক ডজনেরও বেশি তাসাউফ চর্চার কেন্দ্র বা সূফি খানকাহ প্রতিষ্ঠা করেন।[৩] তিনি দ্যা ইলিজাহ ইন্টারফেইথ ইনষ্টিটিউট বোর্ড অব রিলিজিয়াস লিডার নামক একটি আন্তর্জাতিক সংগঠনেরও সদস্য।[৪]
ফতোয়া
সম্পাদনাহিসাম কাব্বানী এবং ড. হুমাইরা জিয়াদ (ইসলামিক ষ্ট্যাডিজ, ট্রিনিটি কলেজ, সিটি) যৌথ ভাবে ২০১১ সালে কোরআনের তফসির, হাদিসের বিষদ ব্যাখ্য ও ভাষাতাত্ত্বিক গবেষণার মাধ্যমে কোরআন পারিবারিক সন্ত্রাস ক্ষমা করেনা শীর্ষক এক ফতোয় জারী করেন।[৫] কাব্বানী জিহাদ বিষয়ক একটি একটি ফতোয়া প্রকাশ করেন যা আরবীতে অনুবাদ করে আমেরিকান আর্মিরা ইরাকে বিতরণ করেন[৬]
বিতর্ক ও সমালোচনা
সম্পাদনারচনাবলী
সম্পাদনাকাব্বানীর প্রকাশিত রচনা সমূহের মধ্যে রয়েছে:
- রিমেম্বারেন্স অব গড লিটারজি অব দ্যা সুফি নকশবন্দি মাষ্টার (Remembrance of God Liturgy of the Sufi Naqshbandi Masters), আইএসবিএন ৯৭৮-১-৮৭১০৩১-৫৮-৪ (১৯৯৪)
- দ্যা নকশবন্দি সুফি ওয়ে (The Naqshbandi Sufi Way), আইএসবিএন ৯৭৮-০-৯৩৪৯০৫-৩৪-৩ (১৯৯৫)
- এ্যান্জেলস আনভ্যালিড (Angels Unveiled), আইএসবিএন ৯৭৮-১-৯৩০৪০৯-৩৭-৮ (১৯৯৬)
- ফিফটি ড্যাস: দ্যা ডিভাইন ডিসক্লোজার ডিউরিং এ হলি সুফি স্যাক্লুশান (Fifty Days: the Divine Disclosures During a Holy Sufi Seclusion), আইএসবিএন ৯৭৮-১-৯৩০৪০৯-৭২-৯ (২০১০)
- আক্স দ্যা গ্রেভস্, দ্যা মিস্টিসিজম ওয়ে (Ask the graves, the mysticism way) (১৯৯৫)
- লাভ অব দ্যা আউলিয়া এন্ড দ্যায়ার হেল্প ফর ট্রু সুফি (Love of Auliya and their help for true sufi)
মৃত্যু
সম্পাদনাহিশাম কাব্বানী ২০২৪ সালের ৫ ডিসেম্বর মৃত্যুবরণ করেন।
আরও দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ Di Stefano Pironti, Alexandra (জানুয়ারি ৪, ২০১৩)। "Mystical Islam Deters Fundamentalism"। Inter Press Service। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জানুয়ারি ২০১৩।
- ↑ "The World's 500 Most Influential Muslims, 2012"। The Muslim 500। সংগ্রহের তারিখ ১৮ ডিসেম্বর ২০১২।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "এ সুফি মুসলিম টেইকস্ অন ওয়াহাবীজম (A Sufi Muslim Takes on Wahhabism)"। ডিসমেম্বর ১২, ২০১২। ইসলামিক সুপ্রিম কাউন্সিল অব আমেরিকা (Islamic Supreme Council of America)। সংগ্রহের তারিখ ২০ মার্চ ২০১৪।
- ↑ "ইলিজা-ইন্টারফেইথ (elijah-interfaith)"। সংগ্রহের তারিখ ২০ মার্চ ২০১৪।
- ↑ "দ্যা প্রোহিভিশান অব ডমেষ্টিক ভায়োলেন্স (The Prohibition of Domestic Violence)"। ওয়ারর্ডি (WORDE)। ১৬ জুন ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জানুয়ারি ২০১৩।
- ↑ "আওয়ার ওয়ারর্ডি, নভেম্বর ৭ সংখ্যা (Our WORDE Issue Number 7)"। অওয়ার ওয়ারর্ডি (Our WORDE) (৭)। ডিসেম্বর ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জানুয়ারি ২০১৩।