হিমবাহ

বরফক্ষেত্র

হিমবাহ হল বরফের বিরাট চলমান স্তুপ বা নদী। সাধারণত পার্বত্য অঞ্চলে শীতকালে তুষার পড়ার হার গ্রীষ্মে গলনের হারের চেয়ে বেশি হলে পাহাড়ের উপরে তুষার জমতে শুরু করে এবং জমে শক্ত বরফে পরিণত হয়। এই বরফজমা এলাকাটিকে বরফক্ষেত্র (Ice field) বলে।[][] যখন এই জমা বরফ নিজের ওজনের ভারে এবং মাধ্যাকর্ষণের টানে ধীরগতিতে পাহাড়ের ঢাল বেয়ে নিচে নামতে শুরু করে, তখন তাকে হিমবাহ বলে। তবে জমা বরফ এত পুরু হয় এবং এর নিম্নগতি এতই ধীর যে তাকে স্থিরই মনে হয়।

আর্জেন্টিনার পাতাগোনিয়া পেরিতো মোরেনো হিমবাহ
আলেচ হিমবাহ, সুইজারল্যান্ড
গ্রিনল্যান্ডের ইয়র্ক অন্তরীপে হিমবাহ থেকে হিমশৈল খসে পড়ছে

ভারতের উত্তরে পাকিস্তানের কারাকোরাম পর্বতমালাতে অবস্থিত গ্রেট বালটোরা পৃথিবীর দীর্ঘতম হিমবাহ। এর দৈর্ঘ্য প্রায় ৫৮ কিলোমিটার। হিমালয়ের এভারেস্ট শৃঙ্গের কাছে রংবুক ও কাশৃঙ্গ হিমবাহ অবস্থিত। অস্ট্রিয়া-ইতালি সীমান্তে আল্পস পর্বতমালার সিমিলাউন হিমবাহে ১৯৯১ সালে একজন মানুষের অবিকৃত দেহের সন্ধান পাওয়া যায়। ধারণা করা হয় দেহটি প্রায় ৫,৩০০ বছর সেখানে সমাহিত হয়ে ছিল।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]

মধ্যাকর্ষণ শক্তির টানে হিমবাহের তুষার ক্ষেত্র অনেক সময় পার্বত্য ঢালে ভারসাম্য হারিয়ে দ্রুতগতিতে নিচে নেমে যায়। একে বলে হিমানী সম্প্রপাত বা avalanche। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে ইহা মানুষের জীবন বিপর্যস্ত করে তোলে ।ভারতের পশ্চিম হিমালয়ে ব্যাপকহারে হিমানী সম্প্রপাত ঘটে। ২০১৪ সালে এপ্রিল মাসে এভারেস্ট অভিযানের সময় প্রবল হিমানী সম্প্রপাত এ ১৩ জন নেপালি শেরপা মৃত্যুবরণ করেন। সাতজন পর্বতারোহী নিখোঁজ হন এবং দশজন আহত হন।

হিমবাহের খ্য়

সম্পাদনা

কার্যের ফলে সৃষ্ট ভূমিরূপ

সম্পাদনা

গ্রাবরেখা [Moraine]:

 
গ্রাবরেখা

হিমবাহের সঞ্চয়কাজের ফলে যে সমস্ত ভূমিরূপের সৃষ্টি হয়, গ্রাবরেখা [Moraine] হল তাদের মধ্যে অন্যতম একটি ভূমিরূপ । পার্বত্য অঞ্চল দিয়ে হিমবাহ প্রবাহিত হওয়ার সময় ক্ষয় পাওয়া শিলাখন্ড, নুড়ি, কাঁকর, বালি প্রভৃতি হিমবাহের সঙ্গে বয়ে চলে । এইসব বিচ্ছিন্ন ও ক্ষয়প্রাপ্ত শিলাখন্ড বা শিলাচূর্ণে কিছু অংশ হিমবাহের দু’পাশে, সামনে ও তলদেহে স্তূপাকারে সঞ্চিত হয় । এই সব সঞ্চিত শিলাস্তূপকে গ্রাবরেখা [Moraine] বলে ।

গ্রাবরেখার শ্রেণিবিভাগ: গ্রাবরেখার অবস্থান অনুযায়ী গ্রাবরেখা নানান ধরনের হয়, যেমন:-

১) পার্শ্ব-গ্রাবরেখা [Lateral Moraine] : হিমবাহের সঞ্চয়কাজের ফলে যে সমস্ত ভূমিরূপের সৃষ্টি হয়, গ্রাবরেখা [Moraine] হল তাদের মধ্যে অন্যতম একটি ভূমিরূপ । পার্বত্য অঞ্চল দিয়ে হিমবাহ প্রবাহিত হওয়ার সময় ক্ষয় পাওয়া শিলাখন্ড, নুড়ি, কাঁকর, বালি প্রভৃতি হিমবাহের সঙ্গে বয়ে চলে। এই সব বিচ্ছিন্ন ও ক্ষয়প্রাপ্ত শিলাখন্ডের কিছু অংশ হিমবাহের দু’পাশে, সামনে ও তলদেশে স্তূপাকারে সঞ্চিত হয় । সঞ্চিত এইসব শিলাস্তূপকে গ্রাবরেখা বলে । শিলাখন্ড বা শিলাচূর্ণ, নুড়ি, কাঁকর, বালি প্রভৃতি হিমবাহের দু’পাশে স্তূপাকারে প্রাচীরের মতো সঞ্চিত হলে তাকে পার্শ্ব-গ্রাবরেখা [Lateral Moraine] বলে।

২) প্রান্ত-গ্রাবরেখা [Terminal Moraine]: হিমবাহের সঞ্চয়কাজের ফলে যে সমস্ত ভূমিরূপের সৃষ্টি হয়, গ্রাবরেখা [Moraine] হল তাদের মধ্যে অন্যতম একটি ভূমিরূপ । পার্বত্য অঞ্চল দিয়ে হিমবাহ প্রবাহিত হওয়ার সময় ক্ষয় পাওয়া শিলাখন্ড, নুড়ি, কাঁকর, বালি প্রভৃতি হিমবাহের সঙ্গে বয়ে চলে । এই সব বিচ্ছিন্ন ও ক্ষয়প্রাপ্ত শিলাখন্ডের কিছু অংশ হিমবাহের দু’পাশে, সামনে ও তলদেশে স্তূপাকারে সঞ্চিত হয় । সঞ্চিত এইসব শিলাস্তূপকে গ্রাবরেখা বলে । শিলাখন্ড বা শিলাচূর্ণ, নুড়ি, কাঁকর, বালি প্রভৃতি হিমবাহের সামনে স্তূপাকারে সঞ্চিত হলে তাকে প্রান্ত-গ্রাবরেখা [Terminal Moraine] বলে ।

৩) মধ্য-গ্রাবরেখা [Medival Moraine] : হিমবাহের সঞ্চয়কাজের ফলে যে সমস্ত ভূমিরূপের সৃষ্টি হয়, গ্রাবরেখা [Moraine] হল তাদের মধ্যে অন্যতম একটি ভূমিরূপ । পার্বত্য অঞ্চল দিয়ে হিমবাহ প্রবাহিত হওয়ার সময় ক্ষয় পাওয়া শিলাখন্ড, নুড়ি, কাঁকর, বালি প্রভৃতি হিমবাহের সঙ্গে বয়ে চলে। এই সব বিচ্ছিন্ন ও ক্ষয়প্রাপ্ত শিলাখন্ডের কিছু অংশ হিমবাহের দু’পাশে, সামনে ও তলদেশে স্তূপাকারে সঞ্চিত হয় । সঞ্চিত এইসব শিলাস্তূপকে গ্রাবরেখা বলে । শিলাখন্ড বা শিলাচূর্ণ, নুড়ি, কাঁকর, বালি প্রভৃতি হিমবাহের দু’পাশে স্তূপাকারে প্রাচীরের মতো সঞ্চিত হলে তাকে পার্শ্ব-গ্রাবরেখা বলে। যখন দুটি হিমবাহ, দুদিক থেকে এসে একসঙ্গে মিলিত হলে উভয়ের পরস্পর সন্নিহিত পার্শ্ব-গ্রাবরেখা দুইটি মিশে গেলে তাকে মধ্য-গ্রাবরেখা [Medival Moraine] বলে ।

৪) তলদেশ-গ্রাবরেখা [Ground Moraine] : হিমবাহের সঞ্চয়কাজের ফলে যে সমস্ত ভূমিরূপের সৃষ্টি হয়, গ্রাবরেখা [Moraine] হল তাদের মধ্যে অন্যতম একটি ভূমিরূপ । পার্বত্য অঞ্চল দিয়ে হিমবাহ প্রবাহিত হওয়ার সময় ক্ষয় পাওয়া শিলাখন্ড, নুড়ি, কাঁকর, বালি প্রভৃতি হিমবাহের সঙ্গে বয়ে চলে। এই সব বিচ্ছিন্ন ও ক্ষয়প্রাপ্ত শিলাখন্ডের কিছু অংশ হিমবাহের দু’পাশে, সামনে ও তলদেশে স্তূপাকারে সঞ্চিত হয় । সঞ্চিত এইসব শিলাস্তূপকে গ্রাবরেখা বলে । শিলাখন্ড বা শিলাচূর্ণ, নুড়ি, কাঁকর, বালি প্রভৃতি হিমবাহের তলায় স্তূপাকারে সঞ্চিত হলে তাকে ভূমি-গ্রাবরেখা বা তলদেশ-গ্রাবরেখা [Ground Moraine] বলে ।

৫) আবদ্ধ গ্রাবরেখা: হিমবাহের সঞ্চয়কাজের ফলে যে সমস্ত ভূমিরূপের সৃষ্টি হয়, গ্রাবরেখা [Moraine] হল তাদের মধ্যে অন্যতম একটি ভূমিরূপ । পার্বত্য অঞ্চল দিয়ে হিমবাহ প্রবাহিত হওয়ার সময় ক্ষয় পাওয়া শিলাখন্ড, নুড়ি, কাঁকর, বালি প্রভৃতি হিমবাহের সঙ্গে বয়ে চলে। এই সব বিচ্ছিন্ন ও ক্ষয়প্রাপ্ত শিলাখন্ডের কিছু অংশ হিমবাহের দু’পাশে, সামনে ও তলদেশে স্তূপাকারে সঞ্চিত হয় । সঞ্চিত এইসব শিলাস্তূপকে গ্রাবরেখা বলে । শিলাখন্ড বা শিলাচূর্ণ, নুড়ি, কাঁকর, বালি প্রভৃতি হিমবাহের মধ্যে আটকে পড়ে স্তূপাকারে সঞ্চিত হয়ে আবদ্ধ-গ্রাবরেখার সৃষ্টি করে ।

উদাহরণ: তিস্তা নদীর উচ্চ অববাহিকায় লাচুং ও লাচেন অঞ্চলে নানা ধরনের গ্রাবরেখা দেখা যায়।

অবক্ষেপ [Drift]: পর্বতের নিম্নাংশ ও নিম্নভূমিতে হিমবাহ প্রধানত অবক্ষেপণ করে থাকে । নদী যেমন তার বাহিত বস্তুগুলিকে যথা- নুড়ি, পাথর, কাদা, বালি, কাঁকর প্রভৃতি আকৃতি অনুসারে বিভিন্ন অংশে সঞ্চিয় করে, হিমবাহ তা করে না । হিমবাহ উপর থেকে বিভিন্ন আকৃতির শিলাচূর্ণ একই সঙ্গে নিয়ে এসে এক জায়গায় জমা করে, এগুলিকে একত্রে অবক্ষেপ [Drift] বলে ।

ইরাটিক [Erratics] :

 
ইরাটিক

হিমবাহ উপর থেকে বিভিন্ন আকৃতির শিলাচূর্ণ একই সঙ্গে নিয়ে এসে এক জায়গায় জমা করে, এগুলিকে একত্রে অবক্ষেপ [Drift] বলে । হিমবাহ অবক্ষেপিত বৃহৎ শিলাখন্ডগুলির সঙ্গে আঞ্চলিক শিলাসমূহের আকৃতিগত ও প্রকৃতিগত কোনো সাদৃশ্য পরিলক্ষিত হয় না, তাই ওই হিমবাহ অবক্ষেপিত বৃহৎ শিলাখন্ডগুলিকে আগামুক [Erratics] বলে। কাশ্মীরের পহেলগামের উঁচু পার্বত্য অঞ্চলে এই ধরনের আগামুক [Erratics] দেখা যায় ।

বোল্ডার ক্লে [Boulder Clay]:

 
বোল্ডার ক্লে বা হিমকর্দ

হিমবাহ গলে গেলে তার নিচে হিমবাহের সঙ্গে বয়ে আনা বালি ও কাদার সঙ্গে বিভিন্ন আকৃতির নুড়ি-পাথর অবক্ষেপ হিসাবে সঞ্চিত হলে তাদের একসঙ্গে বোল্ডার ক্লে বা হিমকর্দ [Boulder Clay] বলা হয়।

ড্রামলিন [Drumlin]:

 
ড্রামলিন

হিমবাহের সঞ্চয় কাজের ফলে যেসব ভূমিরূপের সৃষ্টি হয়, ড্রামলিন [Drumlin] হল তার মধ্যে অন্যতম একটি ভূমিরূপের নিদর্শন । হিমবাহ গলে গেলে তার নিচে হিমবাহের সঙ্গে বয়ে আনা বালি ও কাদার সঙ্গে বিভিন্ন আকৃতির নুড়ি-পাথর অবক্ষেপ হিসাবে সঞ্চিত হলে তাদের একসঙ্গে বোল্ডার ক্লে বা হিমকর্দ [Boulder Clay] বলা হয়। স্তুপিকৃত বোল্ডার ক্লে অনেক সময়ে সারিবদ্ধ টিলা বা ছোটো ছোটো স্তুপের আকারে বিরাজ করে । ভূ-পৃষ্ঠের উপর এদের দেখতে অনেকটা উলটানো নৌকা বা চামচের মতো আকৃতির হয় । এই চামচের মতো আকৃতির ভূমিরূপকে ড্রামলিন [Drumlin] বলা হয়।

একটি আদর্শ ড্রামলিন ১-২ কি.মি. দীর্ঘ ৪০০-৬০০ মিটার প্রশস্ত এবং ১৫-৩০ মিটার উঁচু হয় । ড্রামলিনের ক্ষেত্রে হিমবাহ প্রবাহের দিকে অমসৃণ এবং বিপরীত দিকটি মসৃণ হয়ে থাকে । হিমবাহ যেদিকে প্রবাহিত হয় ড্রামলিনগুলি সেদিকে সমান্তরাল ভাবে অথবা লম্বালম্বিভাবে বা কোণাকুণিভাবে অবস্থান করে । এছাড়া ড্রামলিনের ঢাল হিমবাহের উজানের দিকে খাড়া এবং ভাটির দিকে মৃদু হয় ।

একক ড্রামলিন সাধরনত দেখা যায় না, সাধারণত ঝাঁকে ঝাঁকে ড্রামলিন দেখা যায় । বহু ড্রামলিন একসঙ্গে অবস্থান করলে তাদের মধ্যবর্তী অবনত অঞ্চলগুলোতে জল জমে জলাভূমি সৃষ্টি হয় । অনেক উঁচুজায়গা থেকে দেখলে ড্রামলিনগুলিকে ‘ডিম ভর্তি ঝুড়ির’মতো মনে হয় । ড্রামলিন অধ্যুষিত অঞ্চলকে তাই ঝুড়ি ভর্তি ডিমের মতো ভূ-পকৃতি বলে ।

উদাহরণ: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উত্তরাঞ্চল, উত্তর ইংল্যান্ড, উত্তর আয়ারল্যান্ড প্রভৃতি স্থানে বহু ড্রামলিন দেখা যায়।

এসকার [Esker] :

হিমবাহের সঞ্চয় কাজের ফলে যেসব ভূমিরূপের সৃষ্টি হয়, এসকার [Esker] হল তার মধ্যে অন্যতম একটি ভূমিরূপের নিদর্শন । উচ্চ পার্বত্য অঞ্চলের পাদদেশে হিমবাহের বহন করে আনা বিভিন্ন আকৃতির নুড়ি, পাথর, কাদা, বালি, কাঁকর প্রভৃতি জমা হয়ে এক একটি দীর্ঘ, আঁকাবাঁকা, নাতিউচ্চ ও সংকীর্ণ বাঁধের মতো শৈলশিরা বা উচ্চভূমি গঠন করে । এই ধরনের শৈলশিরা উচ্চ ভূমিকে এস্‌কার [Esker] বলে ।

কেম [kame] :

 
কেম

হিমবাহের সঞ্চয়কাজের ফলে যে সমস্ত ভূমিরূপের সৃষ্টি হয়, কেম [Kame] হল তাদের মধ্যে অন্যতম একটি ভূমিরূপ । অনেক সময় পার্বত্য হিমবাহের শেষপ্রান্তে হিমবাহ যেখানে গলতে শুরু করে সেখানে কাদা, বালি, নুড়ি, পাথর, কাঁকর ইত্যাদি স্তূপাকারে সঞ্চিত হয়ে বদ্বীপের মতো ত্রিকোণাকার যে ভূমিরূপের সৃষ্টি হয়, তাকে কেম [Kame] বলে । এগুলি উপত্যকার পার্শ্বদেশের সঙ্গে মিশে ধাপ তৈরি করে । কেম হল হিমবাহ ও জলের মিলিত সঞ্চয়জাত ভূমিরূপের একটি প্রকৃষ্ট নিদর্শন।

বহিঃধৌত সমভূমি[Out-Wash-Plain]:

 
বহিঃধৌত সমভূমি

হিমবাহের সঞ্চয়কাজের ফলে যে সমস্ত ভূমিরূপের সৃষ্টি হয়, বহিঃধৌত সমভূমি বা আউট-ওয়াশ সমভূমি [Out-Wash-Plain] হল তাদের মধ্যে অন্যতম ভূমিরূপ । উচ্চ পর্বতের পাদদেশে হিমবাহ এসে পৌঁছালে তা গলে নদীর সৃষ্টি হয় এবং সেখানে হিমবাহ-বাহিত পাথরের টুকরো, নুড়ি, কাঁকর, বালি, কাদা প্রভৃতি সঞ্চিত হয়ে যে বিস্তীর্ণ সমভূমি গঠন করে তাকে আউট-ওয়াশ প্লেন বা বহিঃধৌত সমভূমি [Out-Wash-Plain] বলে।

হিমশৈল [Iceberg] :

 
হিমশৈল

মেরু উপকূলে হিমবাহ সাগর জলে নেমে এলে তরঙ্গের আঘাতে ভেঙ্গে বিশাল বরফের স্তূপ বিচ্ছিন্ন হয়ে সংলগ্ন মহাসাগরে ভেসে বেড়ায় । সমুদ্রে ভাসমান এইসব বিশাল বরফের স্তূপকে হিমশৈল [Iceberg] বলে । হিমশৈল মাত্র ১ / ৯ অংশ সমুদ্রে ভেসে থাকে। এই রকম একটি হিমশৈলের সঙ্গে ধাক্কা লেগে টাইটানিক জাহাজ তার প্রথম যাত্রাতেই গভীর সমুদ্রে ডুবে যায়।


তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. "What is a glacier? | U.S. Geological Survey"www.usgs.gov। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৮-১৮ 
  2. "Glacier | Definition, Formation, Types, Examples, & Facts | Britannica"www.britannica.com (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২৩-০৮-১৭। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৮-১৮