হিউ গ্র্যান্ট
এই নিবন্ধটি ইংরেজি উইকিপিডিয়ার সংশ্লিষ্ট নিবন্ধ অনুবাদ করে সম্প্রসারণ করা যেতে পারে। (নভেম্বর ২০২৪) অনুবাদ করার আগে গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশাবলি পড়ার জন্য [দেখান] ক্লিক করুন।
|
হিউ জন মাঙ্গো গ্র্যান্ট[১] (জন্ম ৯ সেপ্টেম্বর ১৯৬০) হলেন একজন ইংরেজ অভিনেতা ও চলচ্চিত্র প্রযোজক। গ্র্যান্ট তার কাজের জন্য একটি গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার, একটি বাফটা পুরস্কার ও একটি সম্মানসূচক সেজার অর্জন করেছেন। ২০১৮ সাল পর্যন্ত, তার চলচ্চিত্রসমূহ বিশ্বব্যাপী প্রায় ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করেছে। তিনি মরিস (১৯৮৭) চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে ভল্পি কাপ অর্জনের পর প্রথম সকলের নজর কাড়েন, কিন্তু ফোর ওয়েডিংস অ্যান্ড আ ফিউনারেল (১৯৯৪) চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সফলতা লাভ করেন।[২] এই চলচ্চিত্রের ব্যক্তিত্ব তিনি এরপর ১৯৯০-এর দশকের আরও কয়েকটি চলচ্চিত্রে ব্যবহার করেন, সেগুলো হল নটিং হিল (১৯৯৯) ও মিকি ব্লু আইজ (১৯৯৯)। ফোর ওয়েডিংস অ্যান্ড আ ফিউনারেল চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য তিনি সেরা সঙ্গীতধর্মী বা হাস্যরসাত্মক চলচ্চিত্র অভিনেতা বিভাগে গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার এবং শ্রেষ্ঠ প্রধান চরিত্রে অভিনেতা বিভাগে বাফটা পুরস্কার অর্জন করেন।
হিউ গ্র্যান্ট | |
---|---|
জন্ম | হিউ জন মাঙ্গো গ্র্যান্ট[১] ৯ সেপ্টেম্বর ১৯৬০ |
মাতৃশিক্ষায়তন | নিউ কলেজ, অক্সফোর্ড |
পেশা | অভিনেতা, প্রযোজক |
কর্মজীবন | ১৯৮২-বর্তমান |
দাম্পত্য সঙ্গী | অ্যানা এবারস্টেইন (বি. ২০১৮) |
সন্তান | ৫ |
স্বাক্ষর | |
চলচ্চিত্র শিল্পে গ্র্যান্ট একজন মেধাবী পরিবেশনকারী ও প্রতি-তারকা হিসেবে খ্যাত, যিনি মূলত তার কাজগুলোকে চরিত্রাভিনেতার মত রূপ দিয়ে থাকেন এবং তার অভিনয়কে স্বতঃস্ফূর্ত করে তুলতে কঠোর পরিশ্রম করেন।[৩] ৩৫ বছরের অধিক সময়ের কর্মজীবনে গ্র্যান্ট বারবার দাবী করেন যে তার অভিনয়ের প্রতি আগ্রহ ছিল না, কিন্তু ঘটনাক্রমে এটাই তার কর্মজীবন হয়ে ওঠেছে।
প্রারম্ভিক জীবন
সম্পাদনাগ্র্যান্ট ১৯৬০ সালের ৯ সেপ্টেম্বর[৪] লন্ডনের হ্যামারস্মিথের চার্লিং ক্রস হসপিটালে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা ক্যাপ্টেন জেমস মারি গ্র্যান্ট (জ. ১৯২৯) এবং মাতা ফিনভোলা সুজান ম্যাকলিন (বিবাহপূর্ব উইকহ্যাম, ১১ অক্টোবর ১৯৩৩ - জুলাই ২০০১)।[৫] তার পিতামহ কর্নেল জেমস মারি গ্র্যান্ট, ডিএসও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে সাঁ-ভালেরি-অঁ-কোয়াতে সাহসিকতা ও নেতৃত্বের জন্য স্মরণীয়। তার পূর্বপুরুষদের মধ্যে রয়েছেন স্যার ওয়াল্টার র্যালাই,[৬] ৪র্থ ভিসকাউন্ট স্ট্র্যাথালান উইলিয়াম ড্রামন্ড, জেমস স্টুয়ার্ট,[৭][৮] আথোলের ১ম মার্কুয়েস জন মারি, নটিংহামের ১ম আর্ল হেনিজ ফিঞ্চ, স্যার ইভান নেপিয়ান, এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী স্পেন্সার পার্সিভ্যালের বোন।[৯]
কর্মজীবন
সম্পাদনা৩২ বছর বয়সে গ্র্যান্ট অভিনয় পেশা ছেড়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করেন, কিন্তু তিনি ফোর ওয়েডিংস অ্যান্ড আ ফিউনারেল (১৯৯৪) চলচ্চিত্রের পাণ্ডুলিপি পড়ে আশ্চর্য হন।[১০] এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "আপনি যদি আমার সমপরিমাণ বাজে পাণ্ডুলিপি পড়ে থাকেন, এরপর এমন একটি পাণ্ডুলিপি পড়েন যেখানে আপনার চরিত্রটি আনন্দদায়ক, তাহলে আপনি বুঝতে পারবেন আপনি কতটা কৃতজ্ঞ।"[২] ১৯৯৪ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত চলচ্চিত্রটিতে গ্র্যান্ট প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেন। এটি এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ আয়কারী ব্রিটিশ চলচ্চিত্র, যা বিশ্বব্যাপী বক্স অফিসে ২৪৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের অধিক আয় করে।[১১] এই চলচ্চিত্রের সফলতায় তিনি রাতারাতি আন্তর্জাতিক তারকা হয়ে ওঠেন। চলচ্চিত্রটি দুটি বিভাগে একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করে এবং এর অভিনয়শিল্পী ও কলাকুশলীগণ একাধিক পুরস্কার অর্জন করেন। গ্র্যান্ট তার কাজের জন্য সেরা সঙ্গীতধর্মী বা হাস্যরসাত্মক চলচ্চিত্র অভিনেতা বিভাগে গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার ও শ্রেষ্ঠ প্রধান চরিত্রে অভিনেতা বিভাগে বাফটা পুরস্কার অর্জন করেন।[১২]
তিনি পারিবারিক চলচ্চিত্র প্যাডিংটন ২-এ ফিনিক্স বুকানন চরিত্রে খল ভূমিকায় অবতীর্ণ হন।[১৩] চলচ্চিত্রটি ব্যবসায়িক ও সমালোচনামূলকভাবে সফলতা লাভ করে। দ্য গার্ডিয়ান তার অভিনয়কে নজড়-কাড়া বলে উল্লেখ করে,[১৪] অন্যদিকে আইজিএন মন্তব্য করে, "গ্র্যান্ট বারবার তার কর্মজীবনে বিস্ময়করভাবে ফিরে আসছেন, আবারো ফিনিক্স বুকানন চরিত্রে তার দক্ষ হাস্যরসাত্মক নৈপুণ্য দিয়ে।"[১৫] গ্র্যান্ট এই কাজের জন্য বর্ষসেরা পার্শ্ব অভিনেতা বিভাগে লন্ডন চলচ্চিত্র সমালোচক সমিতি পুরস্কার অর্জন করেন এবং শ্রেষ্ঠ পার্শ্বচরিত্রে অভিনেতা বিভাগে বাফটা পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন।[১৬] ২০১৯ সালে ইন্ডিওয়্যার-এর র্যাংকিঙে গ্র্যান্টের এই অভিনয় ২০১০-এর দশকের ২২তম সেরা চলচ্চিত্র অভিনয় হিসেবে স্থান অধিকার করে।[১৭]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ "Transcript of Afternoon Hearing 21 November 2011" (পিডিএফ) (ইংরেজি ভাষায়)। দ্য লিভসন ইনকোয়ারি। ১৯ এপ্রিল ২০১২ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ মে ২০২০।
- ↑ ক খ নোল, শ্যারন; ফোরম্যান, লিজা (১৬ ডিসেম্বর ২০০২)। "Scribe's alter ego evolves on celluloid"। ভ্যারাইটি (ইংরেজি ভাষায়)। পৃষ্ঠা A8।
- ↑ কের, ডেভ (১৭ মে ২০০২)। "At the Movies: For Hugh Grant, Natural Does It"। দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস (ইংরেজি ভাষায়)। ৭ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ মে ২০২০।
- ↑ মরগান, মিশেল (১৭ অক্টোবর ২০১৩)। The Mammoth Book of Hollywood Scandals (ইংরেজি ভাষায়)। লিটন, ব্রাউন বুক গ্রুপ। পৃষ্ঠা ২৩০। আইএসবিএন 978-1-4721-0034-4। সংগ্রহের তারিখ ২২ মে ২০২০।
- ↑ রোডস, মাইকেল। "Person Page 18289:Hugh John Mungo Grant" (ইংরেজি ভাষায়)। দ্য পিরেজ.কম। সংগ্রহের তারিখ ২২ মে ২০২০।
- ↑ Walter Raleigh King (2019) Sunk Down among the People: The Story of the Descendants of Sir Walter Raleigh Kindle Direct Publishing. ASIN: B081SKM5HD
- ↑ "Grants of Glenmoriston" (ইংরেজি ভাষায়)। ইলেকট্রিক স্কটল্যান্ড। সংগ্রহের তারিখ ২২ মে ২০২০।
- ↑ "Hugh Grant - Actually - from the Cape !!!"। অ্যানসেস্ট্রি২৪ (ইংরেজি ভাষায়)। ২৯ জুন ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ মে ২০২০।
- ↑ হজসন, রিচার্ড। "Ancestors of a 21st century British family"। রুটসওয়েব (ইংরেজি ভাষায়)। ১৪ আগস্ট ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ মে ২০২০।
- ↑ উদ্ধৃতি ত্রুটি:
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়;prince charming
নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি - ↑ "Hugh Grant"। বক্স অফিস মোজো (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২২ মে ২০২০।
- ↑ জোন্স, ক্রিস (৩ জুন ২০০৫)। "Faces of the week: Richard Curtis"। বিবিসি নিউজ (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২২ মে ২০২০।
- ↑ এলউড, গ্রেগরি (২ ডিসেম্বর ২০১৬)। "From 'tragic character' to 'bad guy,' Hugh Grant takes his time picking roles"। লস অ্যাঞ্জেলেস টাইমস (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২২ মে ২০২০।
- ↑ ব্র্যাডশ, পিটার (২৬ অক্টোবর ২০১৭)। "Paddington 2 review – Hugh Grant steals the show in sweet-natured and funny sequel"। দ্য গার্ডিয়ান (ইংরেজি ভাষায়)। ২৬ অক্টোবর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ মে ২০২০।
- ↑ ওয়েলচ, আলেক্স (২১ ডিসেম্বর ২০১৭)। "Paddington 2 Review"। আইজিএন (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২২ মে ২০২০।
- ↑ "In Paddington 2, Hugh Grant Gives the Year's First Oscar-Worthy Performance"। স্লেট (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২২ মে ২০২০।
- ↑ "The 50 Best Movie Performances of the Decade" (ইংরেজি ভাষায়)। ইন্ডিওয়্যার। ২৩ জুলাই ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ২২ মে ২০২০।