হাসিবুল হোসেন
মোহাম্মদ হাসিবুল হোসেন (জন্ম: ৩ জুন, ১৯৭৭) মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখায় জন্মগ্রহণকারী বাংলাদেশের সাবেক ক্রিকেটার। বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের পক্ষে টেস্ট ও একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশগ্রহণ করেছেন। দলে তিনি মূলতঃ অল-রাউন্ডারের ভূমিকা পালন করতেন। ডানহাতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতে ফাস্ট মিডিয়াম বোলিংয়ে দক্ষ ছিলেন ‘শান্ত’ ডাকনামে পরিচিত হাসিবুল হোসেন।
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | মোহাম্মদ হাসিবুল হোসেন | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | ৩ জুন ১৯৭৭ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ডাকনাম | শান্ত | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ৫) | ১০ নভেম্বর ২০০০ বনাম ভারত | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ২৬ ডিসেম্বর ২০০১ বনাম নিউজিল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ৩০) | ৬ এপ্রিল ১৯৯৫ বনাম শ্রীলঙ্কা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ২৭ ডিসেম্বর ২০০৪ বনাম ভারত | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ক্রিকইনফো, ১৮ অক্টোবর ২০১৬ |
প্রারম্ভিক জীবন
সম্পাদনাপিতা সামরিকবাহিনীর কর্মকতা ছিলেন। সে সুবাদে ঢাকার ক্যান্টমেন্টে শৈশবকাল কাটে তার। অবসরপ্রাপ্ত ক্রিকেটারদের সাথে খেলার মাধ্যমে প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে সংস্পর্শ ঘটে। মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবে অনেকগুলো বছর খেলেন। ১৯৯০-এর দশকে বাংলাদেশের ক্রিকেট সমর্থকদের কাছে ফাস্ট বোলিংয়ের জন্য তিনিই একমাত্র ভরসা ছিলেন। বাংলাদেশের ক্রিকেটের আশার আলো হওয়া স্বত্ত্বেও বহুভাবে বোলিংয়ের চেষ্টা করে সফলতা অর্জনে ব্যর্থ হন। বিশেষ করে, বোলিংয়ের শেষ মুহুর্তে তার পা যথাযথভাবে ক্রিজে পড়তো না। তার ফলো-থ্রোতেও ধারাবাহিকতা ছিল না। ফলে, তিনি কেবলমাত্র স্বল্পকালীন সময়ে সফলতা পেয়েছেন। সম্ভাবনাময় ক্রিকেট জীবন পূর্ণাঙ্গতা পায়নি তার।
১৯৯৭ সালে আইসিসি ট্রফির সফল সমাপ্তিতে তিনি সর্বমোট ১১ উইকেট পান। তারপরও তার সফলতম মূহুর্ত আসে কেনিয়ার বিপক্ষে চূড়ান্ত খেলায় লেগ-বাইয়ের মাধ্যমে জয়সূচক রানে। মার্চ, ২০০০ সালে ঢাকায় অনুষ্ঠিত ক্লাব ক্রিকেটের খেলা পাকিস্তানি ব্যাটসম্যান জহুর এলাহী’র সাথে ধাক্কা খেয়ে হাঁটুতে চোট পান। ঘটনাটি স্বাভাবিক হলেও স্টেডিয়ামে আবাহনী ও কলাবাগানের সমর্থকদের মধ্যে ঝগড়ায় পরিণত হয়।
খেলোয়াড়ী জীবন
সম্পাদনা১৯৯৫ সালে শারজায় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে একদিনের আন্তর্জাতিকে অভিষেক ঘটে তার। অভিষেক খেলায় প্রথম ওভারেই রোশন মহানামাকে আউটের মাধ্যমে প্রথম উইকেটের সন্ধান পান ও খ্যাতি অর্জন করেন তিনি। ১৯৯৯ সালে ঢাকায় কেনিয়ার বিপক্ষে ৪/৫৬ লাভ করে নিজস্ব সেরা বোলিং পরিসংখ্যান দাঁড় করান। ২০০০ সালের আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অবিস্মরণীয় সফলতা দেখান তিনি। কিন্তু, মার্চ, ২০০০ সালে হাঁটুতে আঘাতপ্রাপ্তির ফলে তার বোলিং আর আগের মতো হয়নি।
টেস্ট ক্রিকেটে গড়পড়তা সাফল্য পেয়েছেন তিনি। সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে পাঁচ টেস্টে অংশ নিলেও ইনিংসে কখনো দুইয়ের অধিক উইকেট পাননি। ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসের প্রথম টেস্ট খেলায় অংশ নেন। দ্বিতীয় ইনিংসে সদাগোপান রমেশকে বোল্ড করে স্বান্তনাসূচক প্রথম টেস্ট উইকেট পান তিনি।[১] দেশের অন্যতম ফাস্ট বোলার হিসেবে বেশ কয়েক বছর দলের নিয়মিত সদস্য ছিলেন। খেলোয়াড়ী জীবনের শেষদিকে আঘাতপ্রাপ্তি ও বোলিংয়ে ছন্দ হারানোর ফলে তার বোলিংয়ের কার্যকারিতা কমে যায়। ফলে ২০০৩ সালে নিয়মিত সদস্যের মর্যাদা হারান। কিন্তু, ডিসেম্বর, ২০০৪ সালে ঢাকায় অনুষ্ঠিত ওডিআইয়ে ভারতের বিপক্ষে আকস্মিকভাবে অংশগ্রহণের সুযোগ পান। কিন্তু ভারতীয় উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান বীরেন্দ্র শেওয়াগের নতুন বলে প্রতি আক্রমণের শিকার হন তিনি। মাত্র ৬ ওভার বোলিং করে ৫৩ রান দিয়ে কোন উইকেট লাভে ব্যর্থ হন তিনি।
ক্রিকেট বিশ্বকাপ
সম্পাদনা১৯৯৯ সালের গ্রীষ্মে যুক্তরাজ্যে অনুষ্ঠিত ক্রিকেট বিশ্বকাপে অংশ নেন। এডিনবরায় স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ২/২৬ পান ও বিশ্বকাপে দলের প্রথম জয়ে সবিশেষ ভূমিকা রাখেন। সমগ্র প্রতিযোগিতায় চার খেলায় অংশ নিয়ে তিনি তিন উইকেট শিকার করেছিলেন।
প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট ও ক্লাব ক্রিকেটে খেলা শেষে অবসর নেয়ার পর ব্যবসায়ের দিকে ঝুঁকে পড়েন হাসিবুল। সাবেক টেস্ট ক্রিকেটার রঞ্জন দাসের পরিচালনায় কিশোরগঞ্জভিত্তিক এক ক্রিকেট একাডেমির সাথে সম্পৃক্ত তিনি; যাতে মেহরাব হোসেনও কোচের দায়িত্ব পালন করছেন।[২]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ Ramchand, Partab (নভেম্বর ১৩, ২০০০)। "Sudden Bangladesh collapse leaves India easy winners, only one Test: Bangladesh v India at Dhaka"। ইএসপিএন ক্রিকইনফো। সংগ্রহের তারিখ ২২ মে ২০১৫।
- ↑ "Rana, the one-Test wonder, Mazhar Uddin, retrieved: 18 October, 2016"। ১৫ নভেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ অক্টোবর ২০১৬।
আরও দেখুন
সম্পাদনাবহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- ইএসপিএনক্রিকইনফোতে হাসিবুল হোসেন (ইংরেজি)