হাসি হচ্ছে একপ্রকার মুখমণ্ডলীয় বহিঃপ্রকাশ, যা সচরাচরভাবে মুখের নমনীয় পেশীকে দু’পাশে প্রসারিত করার মাধ্যমে অর্জিত হয়। মুখমণ্ডল ছাড়াও চোখের মধ্যেও হাসির বহিঃপ্রকাশ ফুটে উঠতে পারে। মানুষের হাসি আনন্দ, সুখ, বা মজা পাওয়ার উপলক্ষ হিসেবে হাসির চল আছে। কিছু ক্ষেত্রে দুশ্চিন্তা বা উদ্বেগের বহিঃপ্রকাশ হিসেবেও হাসির ব্যবহার দেখা যায়, যা প্রচলিতভাবে মুখবিকৃতি বা ভেংচি কাটা হিসেবে পরিচিত। এছাড়াও রাগ, ভয় এবং কিছুক্ষেত্রে কষ্টের বহিঃপ্রকাশ হিসেবেও হাসি দেখা যেতে পারে। আন্তঃসাংস্কৃতিক গবেষণায় দেখা যায়, বিশ্বজুড়ে হাসি যোগাযোগের একটি অন্যতম হাতিয়ার ও মাধ্যম।[] সুখ প্রকাশকেই হাসির সবচেয়ে বহুল ব্যবহার হিসেবে স্বীকৃত ও বিবেচনা করা হয়। প্রাণীদের মধ্যে দাঁত প্রদর্শন করাকে হাসির সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ মনে হলেও প্রায় সময়ই তা হুমকি বা সতর্ক করা হচ্ছে—এমন অর্থ বহন করে। শিম্পাঞ্জীদের মাঝে ভয়ের প্রতীক হিসেবেও হাসি দেখা যায়।

পুরুষের হাসি, গালে মৃদু টোল পড়েছে
একটি স্মিত মেয়ে

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. Carroll E. Izard (1971). The Face of Emotion, New York: Appleton-Century-Croft.

আরো পড়ুন

সম্পাদনা
  • Conniff, R. (2007). What's behind a smile? Smithsonian Magazine, 38,46-53.
  • Miller, Professor George A., et al. Overview for "smile." Retrieved 12 December 2003 from this page.
  • Ottenheimer, H.J. (2006). The anthropology of language: An introduction to linguistic anthropology. Belmont, CA: Thomson Wadsworh.
  • Ekman, P., Davidson, R.J., & Friesen, W.V. (1990). The Duchenne smile: Emotional expression and brain psysiology II. Journal of Personality and Social Psychology, 58, 342-353. Cited in: Russell and Fernandez-Dols, eds. (1997).
  • Russell and Fernandez-Dols, eds. (1997). The Psychology of Facial Expression. Cambridge. আইএসবিএন ০-৫২১-৫৮৭৯৬-৪.

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা