হাবীবুল্লাহ সিরাজী
হাবীবুল্লাহ সিরাজী (৩১ ডিসেম্বর ১৯৪৮ - ২৪ মে ২০২১[১]) ছিলেন একজন বাংলাদেশী কবি ও লেখক।[২] বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক তিনি ২০১৬ সালে একুশে পদকে ভূষিত হয়েছিলেন।[৩] সিরাজী ২০১৮ সালের ২০ ডিসেম্বর থেকে মৃত্যু অবধি বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন।[৪]
হাবীবুল্লাহ সিরাজী | |
---|---|
জন্ম | ফরিদপুর, বাংলাদেশ | ৩১ ডিসেম্বর ১৯৪৮
মৃত্যু | ২৪ মে ২০২১[১] | (বয়স ৭২)
পেশা | কবি, ঔপন্যাসিক, প্রকৌশলী |
ভাষা | বাংলা |
জাতীয়তা | বাংলাদেশী |
নাগরিকত্ব | বাংলাদেশ |
শিক্ষা | প্রকৌশল-স্নাতক |
উল্লেখযোগ্য রচনাবলি | দাও বৃক্ষ দাও দিন (কবিতা), নোনা জলে বুনো সংসার (কবিতা), নির্বাচিত কবিতা |
উল্লেখযোগ্য পুরস্কার | বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার (১৯৯১) একুশে পদক (২০১৬) |
জন্ম ও শিক্ষা জীবন
সম্পাদনাসিরাজী ১৯৪৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর ফরিদপুর জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা আবুল হোসেন সিরাজী ও মাতা জাহানারা বেগম। তিনি ফরিদপুর জিলা স্কুল থেকে ১৯৬৪ সালে মাধ্যমিক, ফরিদপুর রাজেন্দ্র কলেজ থেকে ১৯৬৬ সালে উচ্চ মাধ্যমিক এবং বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৭০ সালে প্রকৌশলে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন।[৫][৬]
সাহিত্য কর্ম
সম্পাদনাহাবীবুল্লাহ সিরাজী'র প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থের সংখ্যা ৩২টি। এছাড়াও তিনি ২টি উপন্যাস, ২টি প্রবন্ধ, ১টি স্মৃতিকথা এবং ১০টির মতো ছড়া/পদ্যগ্রন্থ রচনা করেছেন।
- কবিরাজ বিল্ডিংয়ের ছাদ
- দাও বৃক্ষ দাও দিন (১৯৭৫),
- মোমশিল্পের ক্ষয়ক্ষতি (১৯৭৭),
- মধ্যরাতে দুলে ওঠে গ্লাশ (১৯৮১),
- হাওয়া কলে জোড়া গাড়ি (১৯৮২),
- নোনা জলে বুনো সংসার (১৯৮৩),
- স্বপ্নহীনতার পক্ষে (১৯৮৪),
- আমার একজনই বন্ধু (১৯৮৭),
- পোশাক বদলের পালা (১৯৮৮),
- প্রেমের কবিতা (১৯৮৯),
- কৃষ্ণ কৃপাণ ও অন্যান্য কবিতা (১৯৯০),
- সিংহদরজা (১৯৯০),
- বেদনার চল্লিশ আঙুল (১৯৯০),
- ম্লান, ম্রিয়মাণ নয় (১৯৯২),
- বিপ্লব বসত করে ঘরে (১৯৯৯),
- ছিন্নভিন্ন অপরাহ্ণ (১৯৯৯),
- জয় বাংলা বলোরে ভাই (২০০০),
- সারিবদ্ধ জ্যোৎস্না (২০০০),
- সুগন্ধ ময়ূর লো (২০০০),
- নির্বাচিত কবিতা (২০০১),
- মুখোমুখি (২০০১),
- তুচ্ছ (২০০৩),
- স্বনির্বাচিত প্রেমের কবিতা (২০০৪),
- হ্রী (২০০৫),
- কতো কাছে জলছত্র, কতোদূর চেরাপুঞ্জি (২০০৬),
- কাদামাখা পা (২০০৬),
- ভুলের কোনো শুদ্ধ বানান নেই (২০০৮),
- শূন্য, পূর্বে না উত্তরে (২০০৯),
- ইতিহাস বদমাশ হ’লে মানুষ বড়ো কষ্ট পায় (২০০৯),
- একা ও করুণা (২০১০),
- যমজ প্রণালী (২০১১),
- কবিতাসমগ্র (২০১১),
- আমার জ্যামিতি (২০১২)
ছড়া-পদ্য
সম্পাদনা- ইল্লিবিল্লি (১৯৮০),
- নাইপাই (১৯৮৪),
- রাজা হটপট (১৯৯৯),
- ফুঁ (২০০১),
- ফুড়–ৎ (২০০৪),
- এই আছি, মৌমাছি (২০০৮),
- মেঘভ্রমণ (২০০৯),
- রে রে (২০১০),
- ছয় লাইনের ভূত (২০১১),
- ছড়াপদ্য (২০১২)
- উপন্যাস: ১. কৃষ্ণপক্ষে অগ্নিকা- (১৯৭৩), ২. পরাজয় (১৯৮৮)
- প্রবন্ধ: দ্বিতীয় পাঠ (২০১০), মিশ্রমিল (২০১২)
- স্মৃতিকথা: আমার কুমার (২০১০)
পদক, পুরস্কার ও সম্মাননা
সম্পাদনা- যশোর সাহিত্য পরিষদ পুরস্কার (১৯৮৭),
- আলাওল সাহিত্য পুরস্কার (১৯৮৯),
- বাংলা একাডেমী সাহিত্য পুরস্কার (১৯৯১),
- বিষ্ণু দে পুরস্কার (২০০৭),
- রূপসী বাংলা পুরস্কার (২০১০),
- কবিতালাপ সাহিত্য পুরস্কার (২০১০),
- একুশে পদক (২০১৬)
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ কবি হাবীবুল্লাহ-সিরাজী-আর-নেই "কবি হাবীবুল্লাহ সিরাজী আর নেই"। দৈনিক ইত্তেফাক। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৫-২৪।
- ↑ "HABIBULLAH SIRAJEE"। Write Foundation। সংগ্রহের তারিখ ২২ নভেম্বর ২০১৭।
- ↑ "একুশে পদকপ্রাপ্ত সুধীবৃন্দ"। সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়। সংগ্রহের তারিখ ২২ নভেম্বর ২০১৭।
- ↑ "কবি হাবীবুল্লাহ সিরাজী বাংলা একাডেমির নতুন মহাপরিচালক | কালের কণ্ঠ"। Kalerkantho। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-১২-২০।
- ↑ কবি হাবীবুল্লাহ সিরাজী: জীবন ও কর্ম, বাংলা নিউজ টুয়েন্টি ফোর ডটকম, ২৫ মে ২০২১
- ↑ "হাবিবুল্লাহ সিরাজীর মরদেহ নেওয়া হবে বাংলা একাডেমিতে, বাংলা ট্রিবিউন, ২৫ মে ২০২১"। ২৫ মে ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ মে ২০২১।
- ↑ "হাবীবুল্লাহ সিরাজী"। বিডিনিউজ আর্টস। ৩০ মে ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ নভেম্বর ২০১৭।