হাবিবুল আলম
হাবিবুল আলম (জন্ম: ১৫ মে, ১৯৫০) বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। স্বাধীনতা যুদ্ধে তার সাহসিকতার জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে বীর প্রতীক খেতাব প্রদান করে । [১]
হাবিবুল আলম | |
---|---|
জন্ম | ১৫ মে ১৯৫০ |
জাতীয়তা | বাংলাদেশী |
নাগরিকত্ব | পাকিস্তান (১৯৭১ সালের পূর্বে) বাংলাদেশ |
পরিচিতির কারণ | বীর প্রতীক |
পরিচিতি
সম্পাদনাতার বাবার নাম হাফিজুল আলম, মা ফাতেমা বেগম। হাবিবুল আলমের পিতা নিজেও মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। তাদের পৈতৃক বাড়ি নড়াইল জেলার কালিয়া উপজেলার পিরুলী গ্রামে। স্থায়ীভাবে বাস করেন ঢাকায়। তার স্ত্রীর নাম তৌহিদা আলম। তাদের এক ছেলে ও এক মেয়ে।
মুক্তিযুদ্ধে অবদান
সম্পাদনাহাবিবুল আলম ১৯৭১ এর এপ্রিলে গোপনে বাড়ি ত্যাগ করে ২ নং সেক্টর এর হেডকোয়ার্টার মতিনগরে যান। প্রশিক্ষণ নিয়ে তিনি মে মাসে ঢাকা ফিরে আসেন, এবং অগাস্ট পর্যন্ত ঢাকায় অবস্থান করেন। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে মুক্তিবাহিনীর ক্র্যাক প্লাটুনের অকুতোভয় ও দুর্ধর্ষ সদস্যরা ঢাকায় একের পর এক অপারেশন করেন। এসব অপারেশনে তখন পাকিস্তান সরকারের ভিত্তি কেঁপে উঠেছিল। এই ক্র্যাক প্লাটুনের একজন সদস্য ছিলেন হাবিবুল আলম। তিনি ঢাকায় বেশ কয়েকটি অপারেশনে অংশ নেন।[২] এ অপারেশনগুলোর মধ্যে ছিলো "অপারেশন পেট্রল পাম্প", "অপারেশন ফাইভ পাওয়ার সাবস্টেশনস", "অপারেশন ফার্মগেট চেক পয়েন্ট"। [৩]
মুক্তিযুদ্ধে পারিবারিক অবদান
সম্পাদনাহাবিবুল আলমের পিতা হাফিজুল আলম মুক্তিযোদ্ধাদের সক্রিয় সহযোগিতা করতেন। তার ১/৩ দিলু রোডের বাড়িটি ছিলো মুক্তিযোদ্ধাদের একটি সেইফ হাউস। এ বাড়িতে হাফিজুল আলম একটি ভূগর্ভস্থ অস্ত্রাগার নির্মাণ করিয়েছিলেন।
জুনের শুরুর দিকে "অপারেশন হোটেল ইন্টার-কন্টিনেন্টাল" এর পর হাফিজুল আলম নিজেই মুক্তিযোদ্ধাদের তার হেরাল্ড ট্রায়াম্ফ গাড়িতে করে ঢাকা থেকে নারায়ণগঞ্জ নিয়ে গিয়েছিলেন।
হাবিবুল আলমের তিন বোন, আসমা, রেশমা ও সায়মা আশ্রয়প্রার্থী আহত মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা করতেন, এবং তাদের অস্ত্র পরিষ্কার করে শূন্য ম্যাগাজিনে গুলি ভরে অস্ত্রাগারে গুছিয়ে রাখতেন। এ কাজে তারা তিনজনই পারদর্শী হয়ে ওঠেন।
বীরপ্রতিক হাবিবুল আলম তার নিজ গ্রাম পিরোলীতে হাবিবুল আলম বীরপ্রতিক মহাবিদ্যালয় নামে একটি কলেজ স্থাপন করেছেন।
স্বীকৃতি ও পুরস্কার
সম্পাদনামুক্তিযুদ্ধে সাহস ও বীরত্বের জন্য হাবিবুল আলমকে বীর প্রতীক খেতাবে ভূষিত করা হয়। ১৯৭৩ সালের গেজেট অনুযায়ী তার বীরত্বভূষণ নম্বর ৩১৫।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "দৈনিক প্রথম আলো, "তোমাদের এ ঋণ শোধ হবে না" | তারিখ: ০৪-১২-২০১২"। ২০১৭-০৭-০১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০৯-০১।
- ↑ সূত্র: হাবিবুল আলম বীর প্রতীক, মেজর (অব.) ওয়াকার হাসান বীর প্রতীক ও শহীদ শাফী ইমাম রুমী স্মারকগ্রন্থ। গ্রন্থনা: রাশেদুর রহমান
- ↑ একাত্তরের বীরযোদ্ধা, খেতাব পাওয়া মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বগাথা (দ্বিতীয় খন্ড)। প্রথমা প্রকাশন। মার্চ ২০১৩। পৃষ্ঠা ৩৩৯। আইএসবিএন 9789849025375।
পাদটীকা
সম্পাদনা- এই নিবন্ধে দৈনিক প্রথম আলোতে ১৩-০২-২০১২ তারিখে প্রকাশিত তোমাদের এ ঋণ শোধ হবে না প্রতিবেদন থেকে লেখা অনুলিপি করা হয়েছে। যা দৈনিক প্রথম আলো ক্রিয়েটিভ কমন্স অ্যাট্রিবিউশন-শেয়ার-এলাইক ৩.০ আন্তর্জাতিক লাইসেন্সে উইকিপিডিয়ায় অবমুক্ত করেছে (অনুমতিপত্র)। প্রতিবেদনগুলি দৈনিক প্রথম আলোর মুক্তিযুদ্ধ ট্রাস্টের পক্ষে গ্রন্থনা করেছেন রাশেদুর রহমান (যিনি তারা রহমান নামেও পরিচিত)।
বহি:সংযোগ
সম্পাদনাজীবনী বিষয়ক এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |