হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদ
হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদ (জন্ম: ৩ ফেব্রুয়ারি ১৯৪৬) একজন বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ। তিনি ঠাকুরগাঁও-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য।[১][২] ২০২৪ সালে অসহযোগ আন্দোলনের পর রাষ্ট্রপতি জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত করলে তিনি সংসদ সদস্য পদ হারান।[৩]
হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদ | |
---|---|
ঠাকুরগাঁও-৩ আসনের সংসদ সদস্য | |
কাজের মেয়াদ ৩ মার্চ ১৯৮৮ – ৬ ডিসেম্বর ১৯৯০ | |
পূর্বসূরী | মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ |
উত্তরসূরী | মোখলেসুর রহমান |
কাজের মেয়াদ ১ অক্টোবর ২০০১ – ৫ জানুয়ারি ২০১৪ | |
পূর্বসূরী | এমদাদুল হক |
উত্তরসূরী | ইয়াসিন আলী |
কাজের মেয়াদ ১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ – ৬ আগস্ট ২০২৪ | |
পূর্বসূরী | জাহিদুর রহমান |
উত্তরসূরী | শুন্য |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | ১ ফেব্রুয়ারি ১৯৪৬ |
রাজনৈতিক দল | জাতীয় পার্টি |
জন্ম ও শিক্ষাজীবন
সম্পাদনাহাফিজ উদ্দিন আহম্মেদের জন্ম ৩ ফেব্রুয়ারি ১৯৪৬ সালে। তার শিক্ষাগত যোগ্যতা এইসএসসি পাশ।[৪]
রাজনৈতিক ও কর্মজীবন
সম্পাদনাকর্মজীবনে হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদ রাজনৈতির পাশাপাশি কৃষি ও ব্যবসার সাথে জড়িত। জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য।
১৯৮৮ সালে চতুর্থ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টি ঠাকুরগাঁও-৩ আসন থেকে প্রথম সংসদ নির্বাচিত হন।[১][৫]
২০০১ সালের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও ঠাকুরগাঁও-৩ আসন থেকে জাতীয় পার্টির লাঙ্গল মার্কায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।[১][৬]
২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির হয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট থেকে ঠাকুরগাঁও-৩ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে ছিলেন।[১][৭]
২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঠাকুরগাঁও-৩ আসনে তিনি জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে পরাজিত হন।[১]
২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ সালের ঠাকুরগাঁও-৩ আসনের উপনির্বাচনে তিনি জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।[১]
৭ জানুয়ারি ২০২৪ সালের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি ঠাকুরগাঁও-৩ আসন থেকে তিনি জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।[১]
৫ আগস্ট ২০২৪ সালে অসহযোগ আন্দোলনের মুখে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে ভারত পালিয়ে গেলে পরদিন ৬ আগস্ট রাষ্ট্রপতি সংসদ ভেঙ্গে দিলে তিনি সংসদ সদস্য পদ হারান।[৮][৯][১০]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ ছ "হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদ, আসন নং: ৫, ঠাকুরগাঁও-৩, দল: জাতীয় পার্টি (লাঙল)"। দৈনিক প্রথম আলো। ২১ জানুয়ারি ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ জানুয়ারি ২০২৪।
- ↑ রায়, অজয় কুমার (আগস্ট ২০১৮)। "রাজনৈতিক ও গুণী ব্যক্তিদের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি"। ঠাকুরগাঁও জেলার ইতিহাস (২ সংস্করণ)। ঢাকা: টাঙ্গন প্রিন্টিং এন্ড পাবলিকেশন। পৃষ্ঠা ২৮০-২৮১। আইএসবিএন 978-9843446497।
- ↑ "জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত ঘোষণা"। দৈনিক জনকণ্ঠ। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-০৬।
- ↑ "Constituency 05 (Bangla)"। www.parliament.gov.bd। ২০১৯-০৮-১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৮-১৬।
- ↑ "৪র্থ জাতীয় সংসদে নির্বাচিত মাননীয় সংসদ-সদস্যদের নামের তালিকা" (পিডিএফ)। জাতীয় সংসদ। বাংলাদেশ সরকার। ৮ জুলাই ২০১৯ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ আগস্ট ২০১৯।
- ↑ "৮ম জাতীয় সংসদে নির্বাচিত মাননীয় সংসদ-সদস্যদের নামের তালিকা" (পিডিএফ)। জাতীয় সংসদ। বাংলাদেশ সরকার। ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ "৯ম জাতীয় সংসদে নির্বাচিত মাননীয় সংসদ-সদস্যদের নামের তালিকা"। জাতীয় সংসদ। বাংলাদেশ সরকার। ২০১৬-১১-২৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৮-১৬।
- ↑ "সংসদ ভেঙে দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি"। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম। ১৭ আগস্ট ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ আগস্ট ২০২৪।
- ↑ "যা আছে সংসদ ভেঙে দেওয়ার সারসংক্ষেপে"। বাংলা ট্রিবিউন। ৬ আগস্ট ২০২৪। ১৭ আগস্ট ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ আগস্ট ২০২৪।
- ↑ "জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত ঘোষণা"। দৈনিক জনকণ্ঠ। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-০৬।
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |