হাজেরা মাহতাব
হাজেরা মাহতাব (জন্ম: ২২ সেপ্টেম্বর ১৯৪১) একজন বাংলাদেশি অধ্যাপক এবং হরমোন বিশেষজ্ঞ।[১] তিনি বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব হেল্থ সায়েন্সেস-এর বোর্ড অব ট্রাস্টি সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।[২] এছাড়াও তিনি বাংলাদেশ ফলিত পুষ্টি গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের পরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।[৩] ১৯৯৮ সালে বাংলাদেশ বিজ্ঞান একাডেমী তাকে ফেলোশীপ প্রদান করে।[৪]
হাজেরা মাহতাব | |
---|---|
জন্ম | |
জাতীয়তা | বাংলাদেশি |
পেশা | হরমোন বিশেষজ্ঞ |
পুরস্কার | বাংলাদেশ বিজ্ঞান একাডেমির ফাউন্ডেশন ফেলো (১৯৯৮) |
জীবনী
সম্পাদনাহাজেরা ১৯৪১ সালের ২২ সেপ্টেম্বর অবিভক্ত বাংলার কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন।[৫] তিনি ১৯৫৬ সালে সিনিয়র ক্যামব্রিজ পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হন। ১৯৫৯ সালে সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন মাধ্যমিক ও ১৯৬৪ সালে লিভারপুল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেন। পরবর্তীতে ১৯৬৫ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ট্রপিক্যাল মেডিসিন অ্যান্ড হাইজিন বিষয়ে ডিপ্লোমা, ১৯৭০ সালে পাকিস্তানের কলেজ অব ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জনস থেকে মেডিসিনে এফসিপিএস এবং যুক্তরাজ্যের এডিনবার্গের রয়্যাল কলেজ অব ফিজিশিয়ানস থেকে ১৯৯৮ সালে এফআরসিপি অর্জন করেন। কর্মজীবনে তিনি জাতীয় বক্ষব্যাধি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক এবং ১৯৯০ থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজে মেডিসিনের অধ্যাপক ছিলেন। ১৯৯৮ সালের ২১ সেপ্টেম্বর ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের অধ্যাপক হিসেবে সরকারি চাকুরী থেকে অবসর গ্রহণ করেন।[৫]
পরিবার
সম্পাদনাহাজেরার পিতা বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির প্রতিষ্ঠাতা ডাক্তার মোহাম্মদ ইব্রাহিম এবং মাতা বিখ্যাত শিক্ষাবিদ ও সাহিত্যিক ড. নিলীমা ইব্রাহিম। অধ্যাপক কিশোয়ারা আজাদ এবং ডলি আনোয়ার তার দুই ছোট বোন।[৬] [৭]
পদক
সম্পাদনা২০১৮ সালে হাজেরা মাহতাব ডা ইব্রাহিম স্মৃতি স্বর্ণপদক লাভ করেন।[৮]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ দিগন্ত, Daily Nayadiganta-নয়া। "ডায়াবেটিক সমিতির উদ্যোগে ২ দিনব্যাপী কর্মশালা ও সেমিনার"। Daily Nayadiganta (নয়া দিগন্ত) : Most Popular Bangla Newspaper। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০১-১১।
- ↑ "Board Of Trustees"। বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব হেল্থ সায়েন্সেস (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২১ অক্টোবর ২০২৩।
- ↑ "বারটান এর প্রাক্তন নির্বাহী প্রধানগণের নামের তালিকা"। birtan.gov.bd। সংগ্রহের তারিখ ২১ অক্টোবর ২০২৩।
- ↑ "Foundation Fellow - Bangladesh Academy of Sciences"। www.bas.org.bd (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২১ অক্টোবর ২০২৩।
- ↑ ক খ "Fellow Details - Bangladesh Academy of Sciences"। www.bas.org.bd (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২১ অক্টোবর ২০২৩।
- ↑ BonikBarta। "যার জীবন থেকে শেখা যায়"। যার জীবন থেকে শেখা যায় (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০১-১১।
- ↑ জীবনে সৎ হওয়া গুরুত্বপূর্ণ : অধ্যাপক এ কে আজাদ, এনটিভি, ১৩ অক্টোবর ২০১৬
- ↑ "BanglaNews24.com"। banglanews24.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০১-১১।