হর্সম্যানিং

হর্সম্যানিং হলো ছবি তোলার জন্য এমনভাবে ভঙ্গিতে অবস্থান নেওয়া, যাতে মনে হয় যেন তার শিরশ্ছেদ করা হয়েছে এবং তার মাথা মাটিতে বা তলে অবস্থান করছে। ১৯২০-এর দশকে এই ধরনের ছবি তোলার একটি চল শুরু হয়। ওয়াশিংটন আরভিংয়ের ছোটোগল্প “দ্য লিজেন্ড অব স্লিপি হলো”-এর খলচরিত্র হেডলেস হর্সম্যান বা মুণ্ডুহীন ঘোড়সয়ার থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে এর চল শুরু হয়।

আধুনিক হর্সম্যানিং

হর্সম্যানিং এর একটি আধুনিক উদাহরণ

২০১১ সালে হর্সম্যানিং পুনরায় ট্রেন্ডে আসে। পাশাপাশি প্ল্যাঙ্কিং, ঔলিং প্রভৃতি হর্সম্যানিংয়ের ধারাগুলোও প্রচলিত হয়। তিনটিই ২০১১ সালের সেরা ১০টি ফেসবুক সংবেদনগুলির মধ্যে বিবেচিত হয়েছিল এবং বাজফিডের মতো সাইটগুলিতে ঘোড়সওয়ার ছবিগুলির একটি সিরিজ প্রবণতা শুরু করেছিল কারণ লোকেরা আসল হর্সম্যানিংয়ের অনুকরণ করতে অনুপ্রাণিত হয়েছিল।

বর্ণনা

হর্সম্যামিংয়ের উদ্দেশ্য হলো ছবির বিষয়বস্তুর শিরশ্ছেদ করা হয়েছে, তা বোঝানো। এর জন্য দুইজন ব্যক্তির প্রয়োজন হয়, একজনের মাথা লুকানো থাকে (যেমন পিছন দিকে কাত হয়ে থাকে) এবং অন্যজন তার শরীরকে লুকিয়ে রেখে শুধুমাত্র তার মাথাটিকে প্রকাশ করে। ফলে ছবিতে একটি মাথাবিহীন শরীরের পাশে একটি বিচ্ছিন্ন মাথা পড়ে থাকতে দেখা যায়। প্রকৃতপক্ষে, এটি একজন ব্যক্তির শরীর এবং অন্য একজন ব্যক্তির মাথা দিয়ে তৈরি।

আরও দেখুন

• প্ল্যাঙ্কিং (ফ্যাড)
• ভিক্টোরিয়ান মাথাবিহীন প্রতিকৃতি