হর্ষবর্ধন নেওটিয়া
হর্ষবর্ধন নেওটিয়া ( জন্ম- ১৯ জুলাই ১৯৬১) হলেন একজন ভারতীয় শিল্পপতি, শিক্ষাবিদ, কলকাতা ভিত্তিক 'অম্বুজা-নেওটিয়া' গোষ্ঠীর কর্ণধার। [১] ১৯৯৯ খ্রিস্টাব্দে ভারত সরকার বাণিজ্য ও শিল্পে অবদান রাখার জন্য দেশের চতুর্থ সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান পদ্মশ্রী প্রদান করে।[২]
হর্ষবর্ধন নেওটিয়া | |
---|---|
জন্ম | |
মাতৃশিক্ষায়তন | সেন্ট জেভিয়ার'স কলেজ হার্ভার্ড বিজনেস স্কুল |
পেশা | সভাপতি, অম্বুজা-নেওটিয়া গোষ্ঠী |
দাম্পত্য সঙ্গী | মধু নেওটিয়া (বি.১৯৮৫) |
সন্তান | পরমা নেওটিয়া (কন্যা) |
পিতা-মাতা | বিনোদ কুমার নেওটিয়া (পিতা) |
পুরস্কার | পদ্মশ্রী (১৯৯৯) |
ওয়েবসাইট | ambujaneotia.com |
জন্ম ও শিক্ষা জীবন
সম্পাদনাহর্ষবর্ধন নেওটিয়ার জন্ম ১৯৬১ খ্রিস্টাব্দের ১৯ জুলাই পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতার এক বিশিষ্ট মাড়োয়ারি পরিবারে। [৩] পিতা বিনোদ কুমার নেওটিয়া ছিলেন বিশিষ্ট ভারতীয় শিল্পপতি, উদ্যোক্তা, শিল্প সংগ্রাহক ও জনহিতৈষী সুরেশকুমার নেওটিয়ার কনিষ্ঠ ভ্রাতা। শতবর্ষ আগে এদের পূর্বপুরুষ রাজপুতানা তথা রাজস্থান হতে কলকাতায় আসেন। [৪] হর্ষবর্ধনের বিদ্যালয়ের পাঠ কলকাতার 'লা মার্টিনিয়ার ফর বয়েজ স্কুল'-এ। পরে কলকাতার সেন্ট জেভিয়ার'স কলেজ থেকে বাণিজ্যে অনার্সসহ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক হন।[৫] যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিজনেস স্কুলের এক্সিকিউটিভ এডুকেশন প্রোগ্রামের - ওনার প্রেসিডেন্ট ম্যানেজমেন্ট প্রোগ্রাম (OPM) সম্পন্ন করেন। [৬]
কর্মজীবন
সম্পাদনাহর্ষবর্ধন নেওটিয়া পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সাথে অংশীদারিত্বে "বেঙ্গল অম্বুজা হাউজিং ডেভেলপমেন্ট লিমিটেড" নামে ভারতে প্রথম যৌথ সেক্টর কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেন, [৭] যার সাহায্যে ভারতের শহরাঞ্চলে সামাজিক আবাসন উন্নয়নের ধারণা ও প্রসার সম্ভাবনা উন্মুক্ত হয়।[৮] তার প্রথম প্রকল্প, "উদয়ন" কে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার 'মডেল হাউজিং প্রকল্প' হিসাবে ঘোষণা করে। [৯] এছাড়াও তাদের পারিবারিক অম্বুজা-নেওটিয়া গ্রুপ কোম্পানি যে যে রিয়েল এস্টেট তথা ভূসম্পত্তির প্রকল্প সফলভাবে সম্পন্ন করে সেগুলি হল -
উদয়ন~দ্য কন্ডোভিল, উজ্জ্বলা~দ্য কন্ডোভিল, উপহার~দ্য কন্ডোভিল, ইকোস্পেস বিজনেস পার্ক, ইকোস্টেশন, কলকাতার তাজ সিটি সেন্টার, তাজ চিয়া কুটির, রাজকুটির IHCL নির্বাচন , উতলিকা লাক্সারি, কলকাতার সল্টলেক ও নিউ টাউনে, শিলিগুড়ি, হলদিয়া, রায়পুর এবং পাটনায় নির্মিত সিটি সেন্টার, 'রায়চক অন গ্যাঞ্জেস' এবং পাঁচতারা বিলাসবহুল AltAir বুটিক হোটেল।
হর্ষবর্ধন নেওটিয়া 'ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি'-এর একজন সক্রিয় সদস্য এবং সাবেক সভাপতি। এছাড়াও, 'অল ইন্ডিয়া ম্যানেজমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন' এর সাবেক সভাপতি। তিনি বর্তমানে ইন্ডিয়া ব্র্যান্ড ইক্যুইটি ফাউন্ডেশন (IBEF) ট্রাস্টিদের একজন, ইন্দিরা গান্ধী ন্যাশনাল সেন্টার ফর দ্য আর্টস (IGNCA), এবং ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ টেকনিক্যাল টিচার্স ট্রেনিং অ্যান্ড রিসার্চ (NITTTR) এর চেয়ারম্যান। তিনি পশ্চিমবঙ্গ হেরিটেজ কমিশনেরও একজন সদস্য।[৪] তিনি নেওটিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য পদেও আসীন আছেন।
হর্ষবর্ধন কলকাতার ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ম্যানেজমেন্ট বোর্ড অফ গভর্নরস এর সদস্য।[৫] খড়্গপুরের আই আই টি , জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অফ গভর্নরস এর সদস্য ছিলেন।[৪]
পুরস্কার ও সম্মাননা
সম্পাদনা- সামাজিক আবাসন ক্ষেত্রে অবদান রাখার জন্য তিনি ১৯৯৯ খ্রিস্টাব্দে বাণিজ্য ও শিল্প উদ্যোগে দেশের চতুর্থ সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান পদ্মশ্রীতে ভূষিত হন । [৯]
- তিনি ইয়াং প্রেসিডেন্টস অর্গানাইজেশন কর্তৃক 'লিগ্যাসি অফ অনার' পুরস্কারে ভূষিত হন।
- পশ্চিমবঙ্গের বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় তাকে সাম্মানিক ডিলিট ডিগ্রি প্রদান করে।[৪]
- ভারতের অল ইন্ডিয়া ম্যানেজমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন তাকে সাম্মানিক লাইফ ফেলোশিপ প্রদান করে। [৪]
ড.হর্ষবর্ধন নেওটিয়া পশ্চিমবঙ্গে ইসরায়েলের অনারারি কনসাল হিসাবে কাজ করেন । [১০]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ India, NDTV (মার্চ ৩০, ২০০৭)। "boss's day out"। NDTVINDIA। সংগ্রহের তারিখ ২৪ আগস্ট ২০১২।
- ↑ "Padma Awards | Interactive Dashboard"। www.dashboard-padmaawards.gov.in (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২০-০৭-১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১০-২৪।
- ↑ "Bibs bulletin"। ৪ সেপ্টেম্বর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ আগস্ট ২০১২।
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ "Shri Harshavardhan Neotia"। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-১০-১১।
- ↑ ক খ "Indian Advertising, Media, Marketing, Digital, Advertising Agencies - afaqs!"। www.afaqs.com। ২৮ জানুয়ারি ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ জানুয়ারি ২০১৯।
- ↑ Kader, Syed Ameen (৪ মে ২০১১)। "Top 20 entrepreneurs of construction industry"। Construction Week Online: 1। সংগ্রহের তারিখ ২৪ আগস্ট ২০১২।
- ↑ Agarwal, Surabhi (জুন ১২, ২০০৮)। "My Life has been a series of accidents"। THE FINANCIAL EXPRESS। সংগ্রহের তারিখ ২৪ আগস্ট ২০১২।
- ↑ "My Life has been a series of accidents"। The Financial Express। ১৩ জুন ২০০৮। সংগ্রহের তারিখ ২৮ জানুয়ারি ২০১৯।
- ↑ ক খ Reddi, C.V. Narasimha (২ নভেম্বর ২০০৯)। 1. Effective Public Relations And Media Strategy। PHI publisher। পৃষ্ঠা 158। আইএসবিএন 9788120336469।
- ↑ Harshavardhan Neotia (২০১১-০৭-২৫)। "Harshavardhan Neotia: Executive Profile & Biography - Businessweek"। Investing.businessweek.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-০৮-১২।[অকার্যকর সংযোগ]