হরসিদ্ধি
হরসিদ্ধি শক্তিপীঠ। পীঠ নির্ণয় তন্ত্র অনুসারে এটি অবন্তী শক্তিপীঠ(পঞ্চম শক্তিপীঠ,এটি উজানি শক্তিপীঠ নয়)। আদি শঙ্করাচার্য রচিত অষ্টাদশ মহাশক্তিপীঠ স্তোত্র এর অন্তর্ভুক্ত। এটি ভারতের মধ্যপ্রদেশ এর উজ্জয়িনী বা অবন্তী নগরে অবস্থিত। পীঠনির্ণয়তন্ত্র মতে ঊর্ধ্বেীষ্ঠো ভৈরব পর্বতে অবন্ত্যাঞ্চ মহাদেবী লম্বকর্ণস্ত ভৈরবঃ।। [১]অর্থাৎ
দেবীর ভৈরব লম্বকর্ণ বা মহাকালেশ্বর জ্যোতির্লিঙ্গ। এখানে দেবী সতীর ওষ্ঠ পতিত হয়েছিল। পুণ্যসলিলা শিপ্রা নদীর তীরে এখানকার ভৈরব পাহাড়ে মহাদেব এখানে ‘মহাকাল’ নামে পূজিত হন। তাঁর মন্দিরের সন্নিকটেই রয়েছে রুদ্রসাগর সায়র। সেই সায়রের তীরে রয়েছে দেবী মহাকালীর পীঠমন্দির। অষ্টাদশ মহাশক্তিপীঠ স্তোত্র তে তাঁকে মহাকালী বলে বর্ণনা করা হয়েছে ।--- উজ্জয়িন্যাং মহাকালী পীঠিকায়াং পুরুহূতিকা ।[২]
মুর্তিতত্ত্ব
সম্পাদনাধ্যানমন্ত্র অনুযায়ী দেবী চতুর্ভুজা রক্তবর্ণা । চার হাতে যথাক্রমে তরবারি, কমণ্ডলূ, সুরাপাত্র ও ডমরু ধারণ করেছেন। মন্দিরে দেবী শিলাময়ী। তাঁর কোন বিগ্রহ নেই । শিলাতেই নেত্রত্রয় অঙ্কিত।
পৌরাণিক কাহিনী
সম্পাদনাঅত্যাচারী ত্রিপুরাসুর কে বধ করার জন্য মহাদেব দেবীর তপস্যা করে তাঁকে এখানে জাগ্রত করেন । দেবী সন্তুষ্ট হয়ে তাঁকে পাশুপত অস্ত্র প্রদান করেন । তাই দিয়ে ত্রিপুরাসুর বধ করা হয়েছিল।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ Raja Gope (২০১৭)। Devi Pith Tantra। পৃষ্ঠা 98।
- ↑ Ashtadasa Shakti Peethas and Rahasya and mahimas। KS Omniscriptum Publishing। ২০২১। আইএসবিএন 9786200626400।
১) https://www.jiyobangla.com/bn/news/satipeeth-harisidhi?q&utm_source=search&utm_medium=listing