স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর
স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর(এইচইডি) বাংলাদেশের সরকারি স্বাস্থ্য অবকাঠামো নির্মাণ, উন্নতিকরণ ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে নিয়োজিত সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীন একটি নিয়ন্ত্রক সংস্থা।[১][২] ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মীর সারোয়ার হোসাইন চৌধুরী,এএফডব্লিউসি,পিএসসি স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের বর্তমান প্রধান প্রকৌশলী।[৩]
গঠিত | ১৯৯১ |
---|---|
সদরদপ্তর | ঢাকা, বাংলাদেশ |
যে অঞ্চলে কাজ করে | বাংলাদেশ |
দাপ্তরিক ভাষা | বাংলা, ইংরেজি |
প্রধান প্রকৌশলী | ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মীর সারোয়ার হোসাইন চৌধুরী,এএফডব্লিউসি,পিএসসি |
প্রধান প্রতিষ্ঠান | স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় |
ওয়েবসাইট | www |
ইতিহাস
সম্পাদনাএইচইডির ইতিহাস
সম্পাদনাবাংলাদেশের নিভৃত পল্লীর জনগণসহ আপামর জনগোষ্ঠীর দোরগোড়ায় স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অবকাঠামোগত সুযোগ সুবিধা তথা স্বাস্থ্য সেবা পৌঁছে দেয়ার জন্য স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য উইং এর অধীনে ১৯৭৪ বিল্ডিং প্ল্যানিং এন্ড ডিজাইন ইউনিট (বিপিডিইউ) এবং পরিবার পরিকল্পনা উইং এর অধীনে ১৯৭৯ সালে কনষ্ট্রাকশন ম্যানেজমেন্ট সেল (সিএমসি) নামে দুটি ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিট/সেল গঠন করা হয়। পরবর্তীতে ৪র্থ জনসংখ্যা এবং স্বাস্থ্য প্রকল্পের আওতায় ১৯৯১ সালে প্রকল্প বাস্তবায়নে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা, গতিশীলতা ও আর্থিক শৃঙ্খলা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে বিপিডিইউ এবং সিএমসি’কে একীভূত করে নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণ ব্যবস্থাপনা ইউনিট (সিএমএমইউ) শীর্ষক প্রকল্প প্রতিষ্ঠা করা হয়। পরবর্তীতে ০১/০১/১৯৯৭ খ্রিঃ তারিখ হতে সিএমএমইউ এর ৩৮৬ টি পদ রাজস্বখাতে স্থানান্তরিত হয়।
মন্ত্রণালয়ের ভৌত অবকাঠামো নির্মাণ, রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামতের কর্মপরিধি বহুগুণ বৃদ্ধি পাওয়ায় এবং প্রকল্প বাস্তবায়নে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও কাজে গতিশীলতা আনয়নের স্বার্থে এবং সরকারের স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবে সংস্থাপন মন্ত্রণালয় (বর্তমান জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়), অর্থ মন্ত্রণালয় এবং সচিব কমিটির সুপারিশের প্রেক্ষিতে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্মারক নং-স্বাপকম/নির্মাণ/HED-২৭/০৩ (অংশ)/১০২, তারিখঃ ২২ মার্চ, ২০১০ এর মাধ্যমে সরকারের সিদ্ধান্তের আলোকে মন্ত্রণালয়ের অধীন নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণ ব্যবস্থাপনা ইউনিট (সিএমএমইউ) কে সংযুক্ত দপ্তর (Attached Department) হিসাবে স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর বা Health Engineering Department (HED) এ উন্নীত করা হয়।
এইচইডি এর উপর অর্পিত দায়িত্ব অনুযায়ী কাজের পরিধি ক্রমান্নয়ে বৃদ্ধি পাওয়ায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সুপারিশের প্রেক্ষিতে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবে জনপ্রশাসন মন্ত্রলালয়, অর্থ মন্ত্রণালয় ও প্রশাসনিক উন্নয়ন সংক্রান্ত সচিব কমিটির কর্তৃক অনুমোদন এবং অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা পালন পূর্বক স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান মন্ত্রণালয়ের নির্মাণ শাখা কর্তৃক ২৩/১২/২০১৮ খ্রিঃ তারিখ ৪৫.০০.০০০০.১৫৬.১৫.০৫৭.১৮-৭৩২ নং স্মারকের মাধ্যমে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগাধীন স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের বিদ্যমান ৬১৯ টি পদের অতিরিক্ত ৪২৪ টি পদের সৃজন করা হয়। বর্তমানে স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের মোট পদের সংখ্যা ১০৪৩।
রূপকল্প : মানসম্মত স্বাস্থ্য অবকাঠামো উন্নত স্বাস্থ্যসেবার সহায়ক।
অভিলক্ষ্য : যথাসময়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অবকাঠামো নির্মাণ, উন্নীতকরণ এবং বিদ্যমান অবকাঠামো সম্প্রসারণসহ মানসম্মত মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ এর মাধ্যমে স্থাপনাসমূহকে উন্নত স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের উপযোগী রাখা।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "3 hospitals not launched in decade"। দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ২৮ জুলাই ২০১৯।
- ↑ "Seven Rings Cement pays homage to infrastructure dev authorities"। দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। ৩০ অক্টোবর ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ২৮ জুলাই ২০১৯।
- ↑ "Health Engineering Department ( HED )"। hed.gov.bd। ২৮ জুলাই ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ জুলাই ২০১৯।
- ↑ স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |