স্নান

তরল পদার্থ দ্বারা সর্বাঙ্গ ধৌত করণ

স্নান এর শাব্দিক অর্থ অবগাহন, সর্বাঙ্গ ধৌত করণ, নাওয়া, গোসল,[] যাতে সাধারণত পানি দিয়ে বা পানিতে শরীর ডুবিয়ে দিয়ে শরীর ধোয়া বা পরিস্কার করা হয়। এটি স্বাস্থ্যবিধি, চিকিৎসা, ধর্মীয় আচার বা থেরাপিউটিক উদ্দেশ্যে অনুশীলন করা হয়। স্নান করার অর্থ নিজের বা অন্যের গায়ে পানি ঢেলে বা ফেলে পরিচ্ছন্ন হওয়া এবং ঝরণা ব্যবহার করে নিজেকে বা অন্যকে গোসল করিয়ে দেওয়াও হতে পারে।

পার্কে জিন-পিয়ের নরব্লিন দে লা গৌরডাইনের গোসলের বিবরণ (১৭৮৫)
মহাকাশচারী জ্যাক আর. লুসমা মহাকাশে গোসল করছেন, ১৯৭৩

লোকেরা প্রথা বা উদ্দেশ্য অনুসারে খুব ঠান্ডা থেকে খুব গরম পর্যন্ত বিভিন্ন তাপমাত্রায় গোসল করে। পশ্চিমা বিশ্বে, গোসল সাধারণত বাথটাব বা ঝরনায় আরামদায়ক তাপমাত্রায় করা হয়। বাংলাদেশে গোসল করার প্রধান মাধ্যম হল বালতি এবং মগ দিয়ে, গ্রামে নদী, পুকুর, পুকুর, ঝিল ইত্যাদিতে গোসল করে, এবং বড় শহরে অনেকেই বাথটাব এবং ঝরনার মাধ্যমে করে থাকে। এই ধরণের থেরাপিউটিক উদ্শ্যে পানির ব্যবহারকে পানি চিকিৎসা বা হাইড্রোথেরাপি বলা যেতে পারে। বিনোদনমূলকভাবে পানিতে গোসল করার জন্য সুইমিং পুল এবং ওয়াটার পার্ক রয়েছে।

বিভিন্ন ধর্মমতে স্নান

সম্পাদনা

গোসল স্বাস্থ্যবিধির উদ্দেশ্যে প্রতিদিন কমবেশি করা হয়। খ্রীষ্ট ধর্মে গোসলকে কখনও কখনও নিমজ্জন বা বাপ্তিস্ম হিসাবে উল্লেখ করা হয়। ইসলামের পরিভাষায়, গোসল হল সমস্ত দেহ ধৌত করার মাধ্যমে পূর্ণ পবিত্রতা অর্জনের একটি পন্থা। কতিপয় ধর্মীয় উপাসনা এবং আচার-আনুষ্ঠান পালনের পূর্বশর্ত হচ্ছে গোসল। সকল প্রাপ্তবয়স্ক মুসলমান নর-নারীর যৌনসঙ্গম, যৌনস্থলন (যেমন: বীর্যপাত), রজঃস্রাব সমাপ্তির পর, সন্তান প্রসবের পর এবং স্বাভাবিক কারণে মৃত্যুর পর গোসল করা ফরজ (বাধ্যতামূলক) হয়। তাছাড়া, শুক্রবারে জুম্মার নামাজের পূর্বে, ঈদের নামাজের পূর্বে, এহরামের পূর্বে, হজ্জের জন্য প্রস্তুত হওয়ার সময়, অজ্ঞান হওয়ার পর সচেতন হলে অথবা আনুষ্ঠানিকভাবে কেঊ ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করার পূর্বে গোসল করা মুস্তাহাব (উৎসাহিত করা হয়)। শিয়া মতে, তওবার নামাযের পূর্বে গোসল করতে হয়।

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. "স্নান শব্দের অর্থ | স্নান সমার্থক শব্দ at English-bangla.com"www.english-bangla.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৬-২২